কাপুরুষ

কাপুরুষ

কাপুরুষ

লিখেছেন: আমার আমি | আগস্ট ১১, ২০১৭ - ২:১৫ পূর্বাহ্ন

দেখো, একদিন আমি লিখে ফেলবোই সেই অমর কবিতা!
কি করে তোমার বেড়াজ্বালে বন্ধি হয়ে আমি আমার জীবনের সব উচ্ছ্বাস হারিয়েছি!
কি করে আমি লেখক কিংবা সাধারন জীবনের ইতি টেনেছি!
কি করে আমি জীবনের সরল পথ হারিয়ে অন্ধকারে প্রবেশ করেছি!

দেখো, একদিন আমি বলেই ফেলবো!
তোমাকে ভাল রাখতে গিয়ে, কি করে আমি আমাকে গুটিয়ে নিয়েছি!
কি করে আমি নিজকে আমার সমাজের বাইরে টেনে ফেলেছি!
কি করে আমি ভুলে গিয়েছি আমার অতীত কিংবা শিশুকাল!

দেখো, আমি একদিন চিৎকার করে বলবোই!
কেন আমি আর মধ্য রাতের চাঁদের আলোয় আলোকিত হতে পারি না!
কেন শেষ রাতের শিয়াল গুলো জ্বলজ্বল চোখে আমাকে অবজ্ঞা করে যায়!
কেন আমার প্রিয় নীল আকাশ দূরে আরো!

দেখো, আমি একদিন জেগে উঠবোই!
বলবো কেন অর্থের প্রয়োজনে আমি এতটা বিভোর হয়েছি!
যদিও তোমাকে দেখলে আত্বহত্যার স্বাদ জেগে উঠে!
কিংবা কি করে আমি আমার যৌবন হারিয়েছি!

দেখো, একদিন আমি প্রকাশ করেই দেবো!
ক্যাল্কুলেটরে 'কমা' খোঁজার কাহিনী!
বাস্তব জ্ঞানহীন ব্যক্তির সর্বোচ সার্টিফিকেট অর্জন!
কিংবা গৃহপালিত মুরগী ব্যবস্থাপনা!

একদিন আমি লিখে ফেলবোই আমার সেই অমর কবিতা!
তুমি বেঁচে থাকতেই হয়ত!
জানি, কেহ হয়ত পড়বে না, সেই কবিতা! তাতে কি!
ইতিহাস সাক্ষ্য দেবে, কে সত্য ছিলাম, কেন ভাল বেসেছিলাম!

শেয়ার করুনঃ

 |   |   |  


বাবা তোমায় মনে পড়ে

বাবা তোমায় মনে পড়ে

বাবা তোমায় মনে পড়ে

লিখেছেন: আমার আমি | আগস্ট ২৬, ২০১৭ - ১১:০০ পূর্বাহ্ন

ঊনিশশ’ সাতাত্তর সাল
বাবার হলো এ কী হাল
ধরেছে ঘাতক রোগ
যন্ত্রণায় কাতর বুক।

দেহে বইছে পদ্মার ঢেউ
থামাতে পারছে না কেউ
দাও একবার শুইছে
বালিশে খানিকটা নুইয়ে।

এবার ধরে একটু তোলো
বাবার এ কী হাল হলো
যাও ঈদের নামাজ পড়ো
এসে পশু জবাই করো।

বাবাকে এই হালে রেখে
জামায় একটু সুগন্ধি মেখে
নামাজে হলো যাওয়া
হলো না ফিরনি খাওয়া।

ছয় তাকবিরে দুই রাকাত
ওয়াজিব হলো সারা
এসে দেখি বাবাকে এবার
যমদূত করছে তাড়া।

জিলহজ মাসের দশ তারিখ
রোববার সকাল বেলা
বাবা আমার নিলেন বিদায়
সাঙ্গ জীবনের খেলা।

-আগস্ট ২৬, ২০১৭ খ্রি.



.
 তাকেই ভালোবাস যে, তোমাকে ভালোবাসে।
.
 তার কথাই ভাব যে, তোমার কথা ভাবে।
.
 তাকে কখনোই কষ্ট দিওনা যে, তোমার কষ্ট সহ্য করতে পারে না।
.
 তাকে কখনো কাঁদিও না যে, তোমাকে কখনো কাঁদতে দেখতে চায়না।
.
 তাকে খুশি রাখ যে, তোমাকে সব সময় খুশি রাখে।
.
 তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখ যে, তোমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে।
.
 তার জন্য অশ্রু ফেল যে, তোমার জন্য অশ্রু ফেলে।
.
 তাকেই বুকে আগলে রাখ, যে তোমাকে বুকে আগলে রাখতে চায়।
.
 তার জন্য তুমি আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া চাও যে, তোমার জন্য আল্লাহ্‌র নিকট দোয়া চায়।
.
 তার জন্য আল্লাহ্‌রর কাছে ক্ষমা চাও যে, তোমার জন্য আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা চায়।
.
 তার ভাল কামনা কর যে, সব সময় তোমার ভাল কামনা করে।
.
 তাকে কখনো তুমি খালি হাতে ফিরিয়ে দিওনা যে, তোমাকে কখনো খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়নি।
.
তোমার ভাল যে সব সময় চায় তাকে মূল্য দিতে শিখ। মানুষ কে ভালোবাসতে শিখ। তুমি যাকে মুল্য দিবে সে, অবশ্যই তোমাকে মূল্য দিবে। মানুষের কর্মের প্রতিদান দিতে শিখ। তাহলেই তোমার জীবন ধন্য হবে।
.
.
→লেখা: alamgirrahman (প্রেম কাব্যের অদ্ভুত লেখক)https://mobile.facebook.com/alamgir.rahman.9847

যারা কম্পিউটারে বিজয় বাংলা টাইপিং এ যারা দুর্বল তাদের কাজে লাগবে।

যারা কম্পিউটারে বিজয় বাংলা টাইপিং এ যারা দুর্বল তাদের কাজে লাগবে।
১. ক্ষ = ক+ষ
২. ষ্ণ = ষ+ণ
৩. জ্ঞ = জ+ঞ
৪. ঞ্জ = ঞ+জ
৫. হ্ম = হ+ম
৬. ঞ্চ = ঞ+চ
৭. ঙ্গ = ঙ+গ
৮. ঙ্ক = ঙ+ক
৯. ট্ট = ট + ট
১০. ক্ষ্ম = ক্ষ + ম = ‍ক + ষ + ম
১১. হ্ন = হ + ন
১২. হ্ণ = হ + ণ
১৩. ব্ধ = ব + ধ
১৪. ক্র = ক + ্র (র-ফলা)
১৫. গ্ধ = গ + ধ
১৬. ত্র = ত + ্র (র-ফলা)
১৭. ক্ত = ক + ত
১৮. ক্স = ক + স
১৯. ত্থ = ত + থ (উদাহরন: উত্থান,
উত্থাপন)
২০. ত্ত = ত + ত (উদাহরন: উত্তম, উত্তর,
সত্তর)
২১. ত্ম = ত + ম (উদাহরন: মাহাত্ম্য)
নিচের যুক্তবর্ণের
তালিকাটি বাংলা সঠিকভাবে লিখতে সহায়ক হতে পারে।
এখানে বাংলায় ব্যবহৃত
২৮৫টি যুক্তবর্ণ দেওয়া হয়েছে। এর
বাইরে কোন যুক্তবর্ণ সম্ভবত বাংলায়
প্রচলিত নয়।
ক্ক = ক + ক; যেমন- আক্কেল, টেক্কা
ক্ট = ক + ট; যেমন- ডক্টর (মন্তব্য: এই
যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/
বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ক্ট্র = ক + ট + র; যেমন- অক্ট্রয়
ক্ত = ক + ত; যেমন- রক্ত
ক্ত্র = ক + ত + র; যেমন- বক্ত্র
ক্ব = ক + ব; যেমন- পক্ব, ক্বণ
ক্ম = ক + ম; যেমন- রুক্মিণী
ক্য = ক + য; যেমন- বাক্য
ক্র = ক + র; যেমন- চক্র
ক্ল = ক + ল; যেমন- ক্লান্তি
ক্ষ = ক + ষ; যেমন- পক্ষ
ক্ষ্ণ = ক + ষ + ণ; যেমন- তীক্ষ্ণ
ক্ষ্ব = ক + ষ + ব; যেমন- ইক্ষ্বাকু
ক্ষ্ম = ক + ষ + ম; যেমন- লক্ষ্মী
ক্ষ্ম্য = ক + ষ + ম + য; যেমন- সৌক্ষ্ম্য
ক্ষ্য = ক + ষ + য; যেমন- লক্ষ্য
ক্স = ক + স; যেমন- বাক্স
খ্য = খ + য; যেমন- সখ্য
খ্র = খ+ র যেমন; যেমন- খ্রিস্টান
গ্ণ = গ + ণ; যেমন - রুগ্ণ
গ্ধ = গ + ধ; যেমন- মুগ্ধ
গ্ধ্য = গ + ধ + য; যেমন- বৈদগ্ধ্য
গ্ধ্র = গ + ধ + র; যেমন- দোগ্ধ্রী
গ্ন = গ + ন; যেমন- ভগ্ন
গ্ন্য = গ + ন + য; যেমন- অগ্ন্যাস্ত্র,
অগ্ন্যুৎপাত, অগ্ন্যাশয়
গ্ব = গ + ব; যেমন- দিগ্বিজয়ী
গ্ম = গ + ম; যেমন- যুগ্ম
গ্য = গ + য; যেমন- ভাগ্য
গ্র = গ + র; যেমন- গ্রাম
গ্র্য = গ + র + য; যেমন- ঐকাগ্র্য, সামগ্র্য,
গ্র্যাজুয়েট
গ্ল = গ + ল; যেমন- গ্লানি
ঘ্ন = ঘ + ন; যেমন- কৃতঘ্ন
ঘ্য = ঘ + য; যেমন- অশ্লাঘ্য
ঘ্র = ঘ + র; যেমন- ঘ্রাণ
ঙ্ক = ঙ + ক; যেমন- অঙ্ক
ঙ্ক্ত = ঙ + ক + ত; যেমন- পঙ্ক্তি
ঙ্ক্য = ঙ + ক + য; যেমন- অঙ্ক্য
ঙ্ক্ষ = ঙ + ক + ষ; যেমন- আকাঙ্ক্ষা
ঙ্খ = ঙ + খ; যেমন- শঙ্খ
ঙ্গ = ঙ + গ; যেমন- অঙ্গ
ঙ্গ্য = ঙ + গ + য; যেমন- ব্যঙ্গ্যার্থ,
ব্যঙ্গ্যোক্তি
ঙ্ঘ = ঙ + ঘ; যেমন- সঙ্ঘ
ঙ্ঘ্য = ঙ + ঘ + য; যেমন- দুর্লঙ্ঘ্য
ঙ্ঘ্র = ঙ + ঘ + র; যেমন- অঙ্ঘ্রি
ঙ্ম = ঙ + ম; যেমন- বাঙ্ময়
চ্চ = চ + চ; যেমন- বাচ্চা
চ্ছ = চ + ছ; যেমন- ইচ্ছা
চ্ছ্ব = চ + ছ + ব; যেমন- জলোচ্ছ্বাস
চ্ছ্র = চ + ছ + র; যেমন- উচ্ছ্রায়
চ্ঞ = চ + ঞ; যেমন- যাচ্ঞা
চ্ব = চ + ব; যেমন- চ্বী
চ্য = চ + য; যেমন- প্রাচ্য
জ্জ = জ + জ; যেমন- বিপজ্জনক
জ্জ্ব = জ + জ + ব; যেমন- উজ্জ্বল
জ্ঝ = জ + ঝ; যেমন- কুজ্ঝটিকা
জ্ঞ = জ + ঞ; যেমন- জ্ঞান
জ্ব = জ + ব; যেমন- জ্বর
জ্য = জ + য; যেমন- রাজ্য
জ্র = জ + র; যেমন- বজ্র
ঞ্চ = ঞ + চ; যেমন- অঞ্চল
ঞ্ছ = ঞ + ছ; যেমন- লাঞ্ছনা
ঞ্জ = ঞ + জ; যেমন- কুঞ্জ
ঞ্ঝ = ঞ + ঝ; যেমন- ঝঞ্ঝা
ট্ট = ট + ট; যেমন- চট্টগ্রাম
ট্ব = ট + ব; যেমন- খট্বা
ট্ম = ট + ম; যেমন- কুট্মল
ট্য = ট + য; যেমন- নাট্য
ট্র = ট + র; যেমন- ট্রেন (মন্তব্য: এই
যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/
বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ড্ড = ড + ড; যেমন- আড্ডা
ড্ব = ড + ব; যেমন- অন্ড্বান
ড্য = ড + য; যেমন- জাড্য
ড্র = ড + র; যেমন- ড্রাইভার, ড্রাম
(মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/
বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ড়্গ = ড় + গ; যেমন- খড়্গ
ঢ্য = ঢ + য; যেমন- ধনাঢ্য
ঢ্র = ঢ + র; যেমন- মেঢ্র (ত্বক) (মন্তব্য:
অত্যন্ত বিরল)
ণ্ট = ণ + ট; যেমন- ঘণ্টা
ণ্ঠ = ণ + ঠ; যেমন- কণ্ঠ
ণ্ঠ্য = ণ + ঠ + য; যেমন- কণ্ঠ্য
ণ্ড = ণ + ড; যেমন- গণ্ডগোল
ণ্ড্য = ণ + ড + য; যেমন- পাণ্ড্য
ণ্ড্র = ণ + ড + র; যেমন- পুণ্ড্র
ণ্ঢ = ণ + ঢ; যেমন- ষণ্ঢ
ণ্ণ = ণ + ণ; যেমন- বিষণ্ণ
ণ্ব = ণ + ব; যেমন- স্হাণ্বীশ্বর
ণ্ম = ণ + ম; যেমন- চিণ্ময়
ণ্য = ণ + য; যেমন- পূণ্য
ৎক = ত + ক; যেমন- উৎকট
ত্ত = ত + ত; যেমন- উত্তর
ত্ত্ব = ত + ত + ব; যেমন- সত্ত্ব
ত্ত্য = ত + ত + য; যেমন- উত্ত্যক্ত
ত্থ = ত + থ; যেমন- অশ্বত্থ
ত্ন = ত + ন; যেমন- যত্ন
ত্ব = ত + ব; যেমন- রাজত্ব
ত্ম = ত + ম; যেমন- আত্মা
ত্ম্য = ত + ম + য; যেমন- দৌরাত্ম্য
ত্য = ত + য; যেমন- সত্য
ত্র = ত + র যেমন- ত্রিশ, ত্রাণ
ত্র্য = ত + র + য; যেমন- বৈচিত্র্য
ৎল = ত + ল; যেমন- কাৎলা
ৎস = ত + স; যেমন- বৎসর, উৎসব
থ্ব = থ + ব; যেমন- পৃথ্বী
থ্য = থ + য; যেমন- পথ্য
থ্র = থ + র; যেমন- থ্রি (three) (মন্তব্য: এই
যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/
বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
দ্গ = দ + গ; যেমন- উদ্গম
দ্ঘ = দ + ঘ; যেমন- উদ্ঘাটন
দ্দ = দ + দ; যেমন- উদ্দেশ্য
দ্দ্ব



কম্পিউটার keyboard এর শর্টকার্টঃ
-
© F1: সাহায্য (Help);
© CTRL+ESC: Start menu চালু;
© ALT+TAB: চালু করা প্রোগ্রামগুলো থেকে
বাছাই;
© ALT+F4: প্রোগ্রম বন্ধ করা;
© SHIFT+DELETE: সরাসরি ফাইল ডিলিট করা;
© Windows Logo+L: কম্পিউটার লক করা;
© CTRL+C: কপি;
© CTRL+X: কাট;
© CTRL+V: পেস্ট;
© CTRL+Z: আনডু;
© CTRL+B: অক্ষর বোল্ড করা;
© CTRL+U: অক্ষর আন্ডারলাইন করা;
© CTRL+I: অক্ষর ইটালিক করা;
© SHIFT+right click: অতিরিক্ত শর্টকাট সহ
মেনু;
© SHIFT+double click: বিকল্প ডিফল্ট কমান্ড;
© ALT+double click: প্রোপার্টিজ প্রদর্শন;
© F10: মেনু বার চালু করা;
© SHIFT+F10: নির্বাচিত আইটেমের জন্যে
শর্টকাট মেনু;
© CTRL+SHIFT+ESC: টাস্ক ম্যানেজার;
© ALT+DOWN ARROW: ড্রপ ডাউন মেনু খোলা;
© ALT+TAB: অন্য কোনো চালু করা
প্রোগ্রামে
যাওয়া ( সবগূলো প্রোগ্রাম দেখতে ALT
চেপে
ধরে TAB চাপুন );
© SHIFT: অটোরান বন্ধ করতে এটি চেপে ধরে
রাখুন;
© ALT+SPACE: মেইন উইন্ডো’র সিস্টেম মেনু
দেখা;
© CTRL+TAB: কোনো প্রোগ্রামের এক
উইন্ডো
থেকে অন্য উইন্ডোতে যাওয়া;
© ALT+আন্ডারলাইন কৃত অক্ষরঃ নির্দিষ্ট
মেনুতে
যাওয়া;
© ALT+F4: বর্তমান উইন্ডো বন্ধ করা;
© CTRL+F4: একাধিক ডকুমেন্ট ইন্টারফেস সহ
কোনো প্রোগ্রাম বন্ধ করা;
© F2: নির্বাচিত ফাইল রিনেইম করা;
© F3: ফাইল খোঁজা
© F4: অন্য কোনো ফোল্ডারে ফাইল মুভ করা
© F5: বর্তমান উইন্ডো রিফ্রেশ করা
© CTRL+A: ফোল্ডারের সবগুলো আইটেম
নির্বাচন
করা
© BACKSPACE: পুর্ববর্তি ফোল্ডারে যাওয়া
(ইন্টারনেট ব্রাউজারের ক্ষেত্রে পুর্বের
পেইজ)
© Left ALT+left SHIFT +PRINT SCREEN: Toggles
high
contrast on and off;
© Windows Logo: Start menu;
© Windows Logo+M: সব প্রোগ্রাম মিনিমাইজ
করা;
© SHIFT+Windows Logo +M: মিনিমাইজ আনডু
করা;
© Windows Logo+E: Windows Explorer চালু করা;
© Windows Logo+F: Files অথবা Folders খোঁজা;
© Windows Logo+D: সব প্রোগ্রাম মিনিমাইজ
করা;
© Windows Logo+TAB: টাস্কবার চক্রাকারে
দেখা;
© Windows Logo+Break: System Properties
ডায়ালগ
বক্স চালু করা;
© Application key: নির্বাচিত আইটেমের
জন্যে
শর্টকাট মেনু;
© Windows Logo+L: উইন্ডোজ লগ অফ করা;
© Windows Logo+P: প্রিন্ট ম্যানেজার চালু
করা;
© Windows Logo+C: কন্ট্রোল প্যানেল চালু
করা;
© Windows Logo+V: ক্লিপবোর্ড চালু করা;
© Windows Logo+K: Keyboard Properties
ডায়ালগ
বক্স চালু করা;
© Windows Logo+I: Mouse Properties ডায়ালগ
বক্স
চালু করা।
-
-
লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।।https://mobile.facebook.com/alamgir.rahman.9847

ভালোবাসার আত্মপ্রকাশের

ভালোবাসার আত্মপ্রকাশের




https://mobile.facebook.com/alamgirrahman803✘✘✘✘✘✘✘✘✘✘✘✘✘

১.বাংলা = আমি তোমাকে ভালবাসি।

২.ইংরেজি = আই লাভ ইউ।

৩.ইতালিয়ান = তি আমো।

৪.রাশিয়ান = ইয়া তেবয়া লিউব্লিউ।

৫.কোরিয়ান = তাঙশিনুল সারাঙ হা ইয়ো।

৬.কানাডা = নান্নু নিনান্নু প্রীতিসুথিন।

৭.জার্মান = ইস লিবে দিস।

৮.রাখাইন =অ্যাঁই সাঁইতে।

৯.ক্যাম্বোডিয়ান=বোন স্রো লানহ্উন।

১০.ফার্সি = দুস্তাত দারাম।

১১.তিউনিশিয়া = হাহে বাক।

১২.ফিলিপিনো = ইনবিগ কিটা।

১৩.লাতিন = তে আমো।

১৪.আইরিশ = তাইম ইনগ্রা লিত।

১৫.ফ্রেঞ্চ = ইয়ে তাইমে।

১৬.ডাচ = ইক হু ভ্যান ইউ।

১৭.অসমিয়া = মুই তোমাকে ভাল্ পাও।

১৮.জুলু = মেনা তান্দা উইনা।

১৯.তুর্কি = সেনি সেভিউর ম।

২০.মহেলি = মহে পেন্দা।

২১.তামিল = নান উন্নাই কাদালিকিরেন।

২২.সহেলি = নাকু পেন্দা।

২৩.ইরানি = মাহ্ন দুস্তাহ্ত দোহ্রাহম।

২৪.হিব্রু = আনি ওহেব ওটচে (মেয়েকে ছেলেকে) আওটচা (ছেলেকে মেয়ে)।

২৫.গুজরাটি = হুঁ তানে পেয়ার কার ছু।

২৬.চেক = মিলুই তে।

২৭.পোলিশ = কোচাম গিয়ে।

২৮.পর্তুগীজ = ইউ আমু তে।

২৯.বসনিয়ান = ভলিম তে।

৩০.তিউনেশিয়ান = হা এহ বাদ।

৩১.হাওয়াই = আলোহা ওয়াউ লা ওই।

৩২.আলবেনিয়া = তে দুয়া।

৩৩.লিথুনিয়ান = তাভ মায়লিউ।

৩৪.চাইনিজ = ওউ আই নি।

৩৫.তাইওয়ান = গাউয়া আই লি।

৩৬.পার্শিয়ান = তোরা ডোস্ট ডারাম।

৩৭.মালয়শিয়ান =সায়া চিনতা কামু।

৩৮.মায়ানমার = মিন কো চিত তাই।

৩৯.ভিয়েতনামিস = আনাহ ইউই এম (ছেলে মেয়েকে) এম ইউই আনাহ (মেয়ে ছেলেকে)।

৪০.থাইল্যান্ড = চান রাক খুন (ছেলে মেয়েকে) ফেম রাক খুন (মেয়ে ছেলেকে)।

৪১.গ্রিক = সাইয়াগাপো।

৪২.চেক = মিলুই তে।

৪৩.বর্মিজ = চিত পা দে।

৪৪.পোলিশ = কোচাম গিয়ে।

৪৫.মালয়ি = আকু চিন্তা কামু।

৪৬.ব্রাজিল = চিতপাদে।

৪৭.হিন্দি = ম্যায় তুমছে পেয়ার করতাহুঁ,।

৪৮.জাপানী = কিমিও আইশিতের।

৪৯.পাকিস্তান = মুজে তুমছে মহব্বত হায়।

৫০.ফার্সি = ইয়ে তাইমে।

৫১.সিংহলিজ = মামা ও বাটা আছরেই।

৫২.পাঞ্জাবী = মেয় তাতনু পেয়ার কারতা।

৫৩.আফ্রিকান = এক ইজ লফি ভির ইউ (ছেলে মেয়েকে) এক হাত যাও লিফ (মেয়ে ছেলেকে)।
papry1858@gmail.com
৫৪.তামিল = নান উন্নাহ কাদা লিকিরেণ।

৫৫.রোমানিয়া = তে ইউবেস্ক।

৫৬.স্লোভাক = লু বিমতা।

৫৭.নরওয়ে = ইয়েগ এলস্কার দাই।

৫৮.স্প্যানিশ = তে কুইয়েবু।

৫৯.ফিলিপাইন = ইনি বিগকিটা।

৬০.বুলগেরিয়া = অবি চামতে।

৬১.আলবেনিয়া = তে দাসরোজ।

৬২.গ্রীক = সাইয়াগাফু।

৬৩.এস্তোনিয়ান = মিনা আর মাস্তান সিন্দ।

৬৪.ইরান =সাহান দুস্তাহত দোহরাম।

৬৫.লেবানিজ = বহিবাক।

৬৬.ক্যান্টনিজ = মোই ওইয়া নেয়া।

৬৭.ফিনিশ = মিন্যা রাকাস্তান সিনোয়া।

৬৮.গ্রিনল্যান্ড= এগো ফিলো সু।

৬৯.আরবী = আনা বেহিবাক (ছেলে মেয়েকে) আনা বেহিবেক (মেয়ে ছেলেকে)।

৭০.ইরিত্রয়ান = আনা ফাতওকি।

৭১.ইথিওপিয়ান =ইনি ওয়াডিসাল্লেহ।

৭২.তেলেগু = নেনু নিন্নু প্রেমিসতুন্নানু।

৭৩.সুরিনাম = মি লোবি যোই।

Comments you're  momment

জেনে নিন কোরআনের ১১৪টি সূরার আরবি ও বাংলা নাম

জেনে নিন কোরআনের ১১৪টি সূরার আরবি ও বাংলা নাম

.
১. আল ফাতিহা (সূচনা)
২. আল বাকারা (বকনা-বাছুর)
৩. আল ইমরান (ইমরানের পরিবার)
৪. আন নিসা (নারী)
৫. আল মায়িদাহ (খাদ্য পরিবেশিত টেবিল)
৬. আল আনআম (গৃহপালিত পশু)
৭. আল আরাফ (উচু স্থানসমূহ),
৮. আল আনফাল (যুদ্ধে-লব্ধ ধনসম্পদ),
৯. আত তাওবাহ্ (অনুশোচনা),
১০. ইউনুস (নবী ইউনুস),
১১. হুদ (নবী হুদ),
১২. ইউসুফ (নবী ইউসুফ),
১৩. আর রা’দ (বজ্রপাত),
১৪. ইব্রাহীম (নবী ইব্রাহিম),
১৫. আল হিজর (পাথুরে পাহাড়),
১৬. আন নাহল (মৌমাছি),
১৭. বনী-ইসরাঈল (ইহুদী জাতি),
১৮. আল কাহফ (গুহা),
১৯. মারইয়াম (মারইয়াম (ঈসা নবীর মা))
২০. ত্বোয়া-হা (ত্বোয়া-হা),
২১. আল আম্বিয়া (নবীগণ),
২২. আল হাজ্জ্ব (হজ্জ),
২৩. আল মু’মিনূন (মুমিনগণ),
২৪. আন নূর (আলো),
২৫. আল ফুরকান (সত্য মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারণকারী গ্রম্থ),
২৬. আশ শুআরা (কবিগণ),
২৭. আন নম্‌ল (পিপীলিকা),
২৮. আল কাসাস (কাহিনী),
২৯. আল আনকাবূত (মাকড়শা),
৩০. আর রুম (রোমান জাতি),
৩১. লোক্‌মান (একজন জ্ঞানী ব্যাক্তি),
৩২. আস সেজদাহ্ (সিজদা),
৩৩. আল আহ্‌যাব (জোট),
৩৪. সাবা (রানী সাবা/শেবা),
৩৫. ফাতির (আদি স্রষ্টা),
৩৬. ইয়াসীন (ইয়াসীন),
৩৭. আস ছাফ্‌ফাত (সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো),
৩৮. ছোয়াদ (আরবি বর্ণ),
৩৯. আয্‌-যুমার (দলবদ্ধ জনতা),
৪০. আল মু’মিন (বিশ্বাসী)
৪১. হা-মীম সেজদাহ্ (সুস্পষ্ট বিবরণ),
৪২. আশ্‌-শূরা (পরামর্শ),
৪৩. আয্‌-যুখরুফ (সোনাদানা),
৪৪. আদ-দোখান (ধোঁয়া),
৪৫. আল জাসিয়াহ (নতজানু),
৪৬. আল আহ্‌ক্বাফ (বালুর পাহাড়),
৪৭. মুহাম্মদ (নবী মুহাম্মদ),
৪৮. আল ফাত্‌হ (বিজয়, মক্কা বিজয়),
৪৯. আল হুজুরাত (বাসগৃহসমুহ),
৫০. ক্বাফ (ক্বাফ),
৫১. আয-যারিয়াত (বিক্ষেপকারী বাতাস),
৫২. আত্ব তূর (পাহাড়),
৫৩. আন-নাজম (তারা),
৫৪. আল ক্বামার (চন্দ্র)
৫৫. আর রাহমান (পরম করুণাময়)
৫৬. আল ওয়াক্বিয়াহ্‌ (নিশ্চিত ঘটনা)
৫৭. আল হাদীদ (লোহা)
৫৮. আল মুজাদালাহ্ (অনুযোগকারিণী),
৫৯. আল হাশ্‌র (সমাবেশ),
৬০. আল মুম্‌তাহিনাহ্ (নারী, যাকে পরীক্ষা করা হবে),
৬১. আস সাফ (সারবন্দী সৈন্যদল),
৬২. আল জুমুআহ (সম্মেলন/শুক্রবার),
৬৩. আল মুনাফিকূন (কপট বিশ্বাসীগণ),
৬৪. আত তাগাবুন (মোহ অপসারণ),
৬৫. আত ত্বালাক (তালাক),
৬৬. আত তাহ্‌রীম (নিষিদ্ধকরণ),
৬৭. আল মুল্‌ক (সার্বভৌম কতৃত্ব),
৬৮. আল ক্বলম (কলম),
৬৯. আল হাক্কাহ (নিশ্চিত সত্য),
৭০. আল মাআরিজ (উন্নয়নের সোপান),
৭১. নূহ (নবী নূহ)
৭২. আল জ্বিন (জ্বিন সম্প্রদায়)
৭৩. আল মুয্‌যাম্মিল (বস্ত্রাচ্ছাদনকারী)
৭৪. আল মুদ্দাস্‌সির (পোশাক পরিহিত),
৭৫. আল ক্বিয়ামাহ্ (পুনরু্ত্তান),
৭৬. আদ দাহ্‌র (মানুষ),
৭৭. আল মুরসালাত (প্রেরিত পুরুষগণ),
৭৮. আন্‌ নাবা (মহাসংবাদ),
৭৯. আন নাযিয়াত (প্রচেষ্টাকারী),
৮০. আবাসা (তিনি ভ্রুকুটি করলেন),
৮১. আত তাক্‌ভীর (অন্ধকারাচ্ছন্ন),
৮২. আল ইন্‌ফিতার (বিদীর্ণ করা),
৮৩. আত মুত্বাফ্‌ফিফীন (প্রতারণা করা),
৮৪. আল ইন্‌শিকাক (খন্ড-বিখন্ড করণ),
৮৫. আল বুরুজ (নক্ষত্রপুন্জ),
৮৬. আত তারিক্ব (রাতের আগন্তুক),
৮৭. আল আ’লা (সর্বোন্নত),
৮৮. আল গাশিয়াহ্‌ (বিহ্বলকর ঘটনা),
৮৯. আল ফাজ্‌র (ভোরবেলা),
৯০. আল বালাদ (নগর),
৯১. আশ শামস (সূর্য),
৯২. আল লাইল (রাত্রি),
৯৩. আদ দুহা (পূর্বান্হের সুর্যকিরণ),
৯৪. আল ইনশিরাহ (বক্ষ প্রশস্তকরণ),
৯৫. আত ত্বীন (ডুমুর),
৯৬. আল আলাক (রক্তপিন্ড),
৯৭. আল ক্বাদর (মহিমান্বিত),
৯৮. আল বাইয়্যিনাহ (সুস্পষ্ট প্রমাণ),
৯৯. আল যিল্‌যাল (ভূমিকম্প),
১০০. আল আদিয়াত (অভিযানকারী),
১০১. আল ক্বারিয়াহ (মহাসংকট),
১০২. আত তাকাসুর (প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা),
১০৩. আল আছর (সময়),
১০৪. আল হুমাযাহ (পরনিন্দাকারী),
১০৫. আল ফীল (হাতি),
১০৬. কুরাইশ (কুরাইশ গোত্র),
১০৭. আল মাউন (সাহায্য-সহায়তা),
১০৮. আল কাওসার (প্রাচুর্য),
১০৯. আল কাফিরুন (অবিশ্বাসী গোষ্ঠী),
১১০. আন নাসর (স্বর্গীয় সাহায্য),
১১১. আল লাহাব (জ্বলন্ত অংগার),
১১২. আল ইখলাস (একত্ব)
১১৩. আল ফালাক (নিশিভোর)
১১৪. আন নাস (মানবজাতি)
🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌
👀👀👀👀👀👀👀👀👀👀👀
https://www.facebook.com/alamgirrahman803

সংগ্রহে রাখুন কাজে আসবে:-

সংগ্রহে রাখুন কাজে আসবে:-
¤ রবীন্দ্রনাথ = ১৮৬১ - ১৯৪১
¤ নজরুল = ১৮৯৯ - ১৯৭৬
¤ জীবনানন্দ = ১৮৯৯ - ১৯৫৪
¤ শরৎচন্দ্র = ১৮৭৬ - ১৯৩৮
¤ মানিক = ১৯০৮ - ১৯৫৬
¤ ওয়ালীউল্লাহ = ১৯২২ - ১৯৭১
¤ আখতারুজ্জামান =১৯৪৩ - ১৯৯৭
¤ শওকত = ১৯১৭ - ১৯৯৮
¤ ঈশ্বরচন্দ্র = ১৮২০ - ১৮৯১
¤ মাইকেল = ১৮২৪ - ১৮৭৩
¤ বঙ্কিমচন্দ্র = ১৮৩৮ - ১৮৯৪
¤ জসীমউদ্দীন = ১৯০৩ - ১৯৭৬
¤ শহীদুল্লাহ = ১৮৮৫ - ১৯৬৯
¤ হুমায়ূন = ১৯৪৮ - ২০১২
¤ রোকেয়া = ১৮৮০ - ১৯৩২
¤ শামসুর = ১৯২৯ - ২০০৬
¤ তারাশঙ্কর = ১৮৯৮ - ১৯৭১
-
MD Alamgir Rahman

প্রজন্ম ক্লাব এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

প্রজন্ম ক্লাব এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
"বিসমিল্লাহির রাহমানুর রাহীম"
আলহামদুলিল্লাহ্-
প্রজন্ম ক্লাব এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনের কাজ দ্রুততার সহিত এগিয়ে চলছে।
সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় স্মরণ-কালের শ্রেষ্ঠ একটি অনুষ্ঠান উপহার দিতে আমরা দৃড় প্রতিশ্রুতি-বদ্ধ।
আমরা চেষ্টা করবো আগামী ০৩-০৯-২০১৭ ইং তারিখের অনুষ্ঠানটি কবিরাজহাটের বুকে চির স্মরণীয় করে রাখতে।
সকলের কাছে আন্তরিক সহযোগীতা ও আশির্বাদ প্রার্থনা করছি।
এবং একইসাথে প্রজন্ম ক্লাব ও এর সকল অঙ্গ  সংগঠনের সদস্যদের প্রতি অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।
আহবানে
মো:এমরান হোসেন রায়হান
সভাপতি(পরিচালনা পর্ষদ)
প্রজন্ম ক্লাব
কবিরাজহাট।

ঈদুল আয্হার তাৎপর্য ও কুরবানীর ইতিহাস লিখেছেনঃ নীল আসমান (তারিখঃ সোমবার, ২৫/০৮/২০১৭ - ০২:০৬)

ঈদুল আয্হার তাৎপর্য ও কুরবানীর ইতিহাস
লিখেছেনঃ নীল আসমান (তারিখঃ সোমবার, ২৫/০৮/২০১৭ - ০২:০৬)


ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴ
ﺍَﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌﺎَﻟَﻤِﻴْﻦَ ﻭَﺍﻟْﻌَﺎﻗِﺒَﺔُ ﻟِﻠْﻤُﺘَّﻘِﻴْﻦَ ﻭﺍﻟﺼَّﻠﻮﺓُ ﻭ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ ﻋَﻠﻰ ﺍَﺷْﺮَﻑِ ﺍﻟْﺎَﻧْﺒِﻴﺎﺀِ ﻭَﺍﻟْﻤُﺮْﺳَﻠِﻴْﻦَ ﻭَﻋَﻠﻰ ﺍَﻟِﻪ ﻭَﺍَﺻْﺤَﺎﺑِﻪ ﺍَﺟْﻤَﻌِﻴْﻦَ
আচ্ছালামু আলাইকুম সম্মানিত ব্লগারগন, আগামী ৭ই নভেম্বর পবিত্র কুরবানী। আসুন আমরা কুরবানীর কিছু মাসায়েল জেনে নেই এবং অপরকে জানিয়ে দেই।
ঈদুল আয্হার তাৎপর্য ও কুরবানীর ইতিহাস
কুরবানীর বিধান আল্লাহ প্রদত্ত সকল শরীয়তেই বিদ্যমান ছিল
কুরবানীর ইতিহাস ততোটাই প্রাচীন যতোটা প্রাচীন মানব অথবা ধর্মের ইতিহাস। আল্লাহ পুরস্তির কুরবানী নামক এ মহান নিদর্শন মানব জাতির প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত সকল শরীয়তেই কার্যকর ছিলো। সকল নবীর উম্মতকেই কুরবানী করতে হয়েছে। প্রত্যেক উম্মতের ইবাদতের এ ছিল একটা অপরিহার্য অংশ। আল্লাহতায়ালার এ বিধান মানব জাতির সৃষ্টি লগ্ন থেকেই কার্যকর হয়ে আসছে ।
মানব সভ্যতার সুদীর্ঘ ইতিহাস এটাই সাক্ষ্য দেয় যে, পৃথিবীর সব জাতি ও সম্প্রদায় কোন না কোন ভাবে আল্লাহর দরবারে নিজেদের প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করে । এটাই মানুষের চিরন্তন স্বভাব বা ফিতরাত।
এ ফিতরাতের স্বীকৃতি প্রদান করে মহান আল্লাহ তায়ালা সুস্পষ্ট ভাবে ঘোষণা করেছেন ঃ
ﻭَﻟِـﻜُﻞِّ ﺍُﻣَّﺔٍ ﺟَﻌَـﻠْـﻨَﺎ ﻣَﻨْﺴَﻜًﺎ ﻟِّـﻴَـﺬْﻛُﺮُﻭْﺍ ﺍﺳْﻢَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻋَﻠﻰ ﻣَـﺎ ﺭَﺯَﻗَـﻬُﻢْ ﻣِﻦْ ﺑَـﻬِﻴـْﻤَﺔِ ﺍﻟْﺎَﻧْـﻌَـﺎﻡِ “আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কুরবানীর এক বিশেষ রীতি পদ্ধতি নির্ধারণ করে দিয়েছি, যেন তারা ওসব পশুর উপর আল্লাহর নাম নিতে পারে যে সব আল্লাহ তাদেরকে দান করেছেন”। { সূরা আল হজ্জ-৩৪}
মানব ইতিহাসের সর্ব প্রথম কুরবানী
মানব ইতিহাসের সর্ব প্রথম কুরবানী হযরত আদম আ. এর দু’পুত্র হাবিল ও কাবিলের কুরবানী। এ ঘটনাটি বিশুদ্ধ ও শক্তিশালী সনদ সহ বর্ণিত হয়েছে। ইবনে কাসীর একে ওলামায়ে মোতাকাদ্দেমীন ও ওলামায়ে মোতায়াখ্খেরীনের সর্ব সম্মত উক্তি বলে আখ্যা দিয়েছেন। ঘটনাটি এই :
যখন আদম ও হাওয়া আ. পৃথিবীতে আগমন করেন এবং সন্তান প্রজনন ও বংশ বিস্তার আরম্ভ হয়, তখন প্রতি গর্ভ থেকে একটি পুত্র ও একটি কন্যা এরূপ যমজ সন্তান জন্ম গ্রহণ করত। তখন এক শ্রেণীর ভাই বোন ছাড়া হযরত আদমের আর কোন সন্তান ছিলনা। অথচ ভাই বোন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে না।
তাই মহান আল্লাহ উপস্থিত প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে আদম আ. এর শরীয়তে বিশেষ ভাবে এ নির্দেশ জারি করেন যে, একই গর্ভ থেকে যে যমজ পুত্র ও কন্যা জন্ম গ্রহণ করবে, তারা পরস্পর সহোদর ভাই-বোন গণ্য হবে। সুতরাং তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম হবে। কিন্তু পরবর্তী গর্ভ থেকে জন্ম গ্রহণকারী পুত্রের জন্য প্রথম গর্ভ থেকে কন্যা সহোদরা বোন গণ্য হবে না। তাই তাদের পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বৈধ হবে।
কিন্তু ঘটনাক্রমে কাবিলের সহজাত সহোদরা বোনটি ছিল খুবই সুশ্রী-সুন্দরী তার নাম ছিল ‘আকলিমা’ আর হাবিলের সহজাত বোনটি ছিল তুলনামূলক কম সুন্দরী তার নাম ছিল ‘গাজা’। বিবাহের সময়ে হলে নিয়মানুযায়ী হাবিলের সহজাত অসুন্দরী কন্যা কাবিলের ভাগে পড়ল। এতে কাবিল অসন্তুষ্ট হয়ে হাবিলের শত্রু হয়ে গেল। সে জেদ ধরল যে, আমার সহজাত বোনকেই আমার সঙ্গে বিবাহ দিতে হবে। হযরত আদম আ. তাঁর শরীয়তের আইনের পরিপ্রেক্ষিতে কাবিলের আবদার প্রত্যাখ্যান করলেন।
অতঃপর তিনি হাবিল ও কাবিলের মতভেদ দূর করার উদ্দেশ্যে বললেন, তোমরা উভয়েই আল্লাহর জন্য নিজ নিজ কুরবানী পেশ কর। যার কুরবানী গৃহীত হবে, সে-ই উক্ত কন্যার পানি গ্রহণ করবে। হযরত আদম আ. এর নিশ্চিত বিশ্বাস ছিল যে, যে সত্য পথে আছে, তার কুরবানীই গৃহীত হবে।
তৎকালে কুরবানী গৃহীত হওয়ার একটি সুস্পষ্ট নিদর্শন ছিল এই যে, আকাশ থেকে একটি অগ্নি শিখা এসে কুরবানীকে ভস্মীভূত করে আবার অন্তর্হিত হয়ে যেত। যেমন মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন ঃ
ﺑِـﻘُـﺮْﺑَـﺎﻥٍ ﺗَـﺄﻛُـﻠُـﻪُ ﺍﻟـﻨَّـﺎﺭُ “ঐ কুরবানী যাকে আগুন গ্রাস করে নিবে”। { সূরা আলে ইমরান-১৮৩।}
আর যে কুরবানীকে অগ্নি ভস্মীভূত করত না, সেটাকে প্রত্যাখ্যাত গণ্য করা হত। কুরবানীর এ তরীকা খাতামুল আম্বিয়া হযরত মুহাম্মদ সা. এর যুগ পর্যন্ত সকল পূর্বেকার নবীর যুগে বলবৎ ছিল।
হাবিল ভেড়া, দুম্মা ইত্যাদি পশু পালন করত। সে একটি উৎকৃষ্ট দুম্বা কুরবানী করল। কাবিল কৃষি কাজ করত। সে কিছু শস্য, গম ইত্যাদি কুরবানীর জন্যে পেশ করল। { তাফসীরে ইবনে কাসীর, সূত্র হযরত ইবনে আব্বাস রা. কর্তৃক বর্ণিত। } অতঃপর নিয়মানুযায়ী আকাশ থেকে অগ্নি শিখা অবতরণ করে হাবিলের কুরবানীটি ভস্মীভূত করে দিল এবং কাবিলের কুরবানী যেমন ছিল তেমনি পড়ে রইল। এ অকৃতকার্যতায় কাবিলের দুঃখ ও ক্ষোভ বেড়ে গেল। সে আত্মসংবরণ করতে পারল না। তাই সে হাবিলকে হত্যা করার সংকল্প করল এবং এক পর্যায়ে তাকে হত্যা করে ফেলল। { মাআ’রেফুল কুরআন বাংলা সংস্করণ-৩২৪ পৃষ্ঠা। }
হাবিল ও কাবিলের কুরবানীর ঘটনা পবিত্র কুরআনে এ ভাবে বর্ণিত হয়েছে,
ﻭَﺍﺗْﻞُ ﻋَﻠَﻴْـﻬِﻢْ ﻧَﺒَﺎَ ﺍﺑْـﻨَـﻰْ ﺍﺩَﻡَ ﺑِـﺎﻟْـﺤَـﻖِّ - ﺍِﺫْ ﻗَـﺮَّﺑَـﺎ ﻗُـﺮْﺑَﺎﻧًﺎ ﻓَـﺘُـﻘُـﺒِّـﻞَ ﻣِﻦْ ﺍَﺣَﺪِﻫِﻤَﺎ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُـﺘَـﻘَﺒَّﻞْ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺎﺧَﺮِ - ﻗَﺎﻝَ ﻟَﺎَﻗْﺘُﻠَـﻨَّﻚَ - ﻗَﺎﻝَ ﺍِﻧَّﻤَﺎ ﻳَﺘَﻘَﺒَّﻞُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺘَّﻘِﻴْﻦَ - ﻟَﺌِﻦْ ﺑَﺴَﻄْﺖَّ ﺍِﻟَﻰَّ ﻳَﺪَﻙَ ﻟِﺘَﻘْﺘُﻠَﻨِﻰْ ﻣَﺎ ﺍَﻧَﺎ ﺑِﺒَﺎﺳِﻂٍ ﻳَّﺪِﻯَ ﺍِﻟَﻴْﻚَ ﻟِﺎَ ﻗْﺘُﻠَﻚَ - ﺍِﻧِّﻰْ ﺍَﺧَﺎﻑُ ﺍﻟﻠﻪَ ﺭَﺏَّ ﺍﻟْﻌﻠَﻤِﻴْﻦَ - ﺍِﻧِّﻰْ ﺍُﺭِﻳْﺪُ ﺍَﻥْ ﺗَﺒُـﻮْﺍَ ﺑِـﺎِﺛْﻤِﻰْ ﻭَﺍِﺛْﻤِﻚَ ﻓَﺘَﻜُـﻮْﻥَ ﻣِﻦ ﺍَﺻْﺤﺐِ ﺍﻟﻨَـﺎﺭِ - ﻭَﺫﻟِﻚَ ﺟَﺰﺅُ ﺍﻟﻈّﻠِﻤِﻴْﻦَ - ﻓَﻄَﻮَّﻋَﺖْ ﻟَـﻪُ ﻧَـﻔْﺴُﻪ ﻗَـﺘْﻞَ ﺍَﺧِـﻴْـﻪِ ﻓَﻘَـﺘَـﻠَﻪُ ﻓَﺎَﺻْﺒَﺢَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْـﺨﺴِﺮِﻳْﻦَ - ﻓَﺒَـﻌَـﺚَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻏُـﺮَﺍﺑًﺎ ﻳَﺒْﺤَﺚُ ﻓِﻰ ﺍﻟْﺎَﺭْﺽِ ﻟِﻴُﺮِﻳَﻪُ ﻛَـﻴْـﻒَ ﻳُـﻮَﺍﺭِﻯْ ﺳَـﻮْﺀَﺓَ ﺍَﺧِﻴْﻪِ - ﻗَﺎﻝَ ﻳـﻮَ ﻳْﻠَﺘـﻰ ﺍَﻋَﺠَﺰْﺕُ ﺍَﻥْ ﺍَﻛُﻮْﻥَ ﻣِـﺜْﻞَ ﻫـﺬَﺍ ﺍﻟْﻐُﺮَﺍﺏِ ﻓَﺎُﻭَﺍﺭِﻯَ ﺳَـﻮْﺀَﺓً – ﻓَﺎَﺻْﺒَﺢَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨّﺪِﻣِﻴْﻦَ “আপনি তাদেরকে আদমের দু’ পুত্রের ঘটনাটি ঠিকভাবে শুনিয়ে দিন। (তা হচ্ছে এই যে,) যখন তারা উভয়ে কুরবানী পেশ করলো, তখন তাদের একজনের কুরবানী গৃহীত হল আর অপর জনের কুরবানী গৃহীত হলোনা। তখন সে ভাইকে বলল- অবশ্যই আমি তোমাকে হত্যা করব। সে উত্তরে বলল আল্লাহ তো মুত্তাকীদের কুরবানীই কবুল করেন। যদি তুমি আমাকে হত্যা করতে আমার দিকে হস্ত প্রসারিত কর, তবে আমি তোমাকে হত্যা করতে তোমার দিকে হস্ত প্রসারিত করব না। নিশ্চয়ই আমি বিশ্ব জগতের পালন কর্তা আল্লাহকে ভয় করি। আমি চাই যে, আমার পাপ ও তোমার পাপ তুমি নিজের মাথায় চাপিয়ে নাও। অত:পর তুমি দোযখীদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাও। এটাই অত্যাচারীদের শাস্তি। অতঃপর তার অন্তর তাকে ভ্রাতৃ হত্যায় উদ্বুদ্ধ করল। অনন্তর সে তাকে হত্যা করল। ফলে সে ক্ষতি গ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেল। আল্লাহ এক কাক প্রেরণ করলেন। সে মাটি খনন করছিল যাতে তাকে শিক্ষা দেয় যে, আপন ভ্রাতার মৃতদেহ সে কিভাবে সমাহিত করবে। সে বললো, আফসোস! আমি কি এ কাকের সমতুল্যও হতে পারলাম না যে, আপন ভ্রাতার মৃতদেহ সমাহিত করি! অত:পর সে অনুতাপ করতে লাগল”। { সূরা আল মায়িদাহ, ২৭-৩১ আয়াত। }
উল্লেখ্য যে, হযরত আদম আ. এর পর সকল উম্মতের মধ্যেই অবিচ্ছন্ন ভাবে কুরবানীর ধারাবাহিকতা চলতে থাকে।
আমাদের কুরবানী সুন্নাতে ইবরাহীমী
কুরবানী ইবাদত হিসেবে যদিও আদম আ. এর যুগ হতে হয়ে আসছে কিন্তু পরবর্তীতে হযরত ইবরাহীম আ. এর এক ঐতিহাসিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে শুরু হয়েছে। আমরা হযরত ইবরাহীম আ. এর মিল্লাতের উপর প্রতিষ্ঠিত আছি। এ মিল্লাতের প্রতিষ্ঠাতা ও মুসলিম জাতির পিতা হচ্ছেন হযরত ইবরাহীম আ.। তিনি যেমন আল্লাহর নির্দেশে জীবনের সবচাইতে প্রিয় বস্তু- পুত্র ইসমাঈলকে তাঁর উদ্দেশ্যে কুরবানী করতে প্রস্তুত ছিলেন, ঈদুল আয্হার দিন মুসলমানরাও তেমনি পশু কুরবানীর মাধ্যমে নিজেদের প্রিয়তম জান-মাল আল্লাহর পথে কুরবানী করার সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মুসলিম মিল্লাতের পিতা হযরত ইবরাহীম আ. এর সেই মহত্ব ও মাকবুল কুরবানীকে শাশ্বত রূপদানের জন্যেই আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূল সা. এই দিনে মুসলমানদেরকে ঈদুল আয্হা উপহার দিয়েছেন এবং এ কুরবানী করার নির্দেশ দিয়েছেন।
হযরত ইবরাহীম আ. কর্তৃক স্বীয় পুত্র ইসমাঈলের কুরবানীর জীবন্ত ইতিহাস
মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে সান্নিধ্যপ্রাপ্ত মহান নবী হযরত ইবরাহীম আ. কে আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন ধরনের কঠিন থেকে কঠিনতর পরীক্ষা করেছেন। তিনি প্রত্যেকটি পরীক্ষায় পূর্ণ সফলকাম প্রমাণিত হয়েছেন। পরীক্ষাগুলি হলো-
এক. তাওহীদের হেফজতের প্রয়োজনে চিরদিনের জন্য প্রিয় জ¤œভূমি ত্যাগ করে হিজরত করলেন। হযরত লূত আ. যিনি ইতিপূর্বে তাঁর উপর ঈমান এনেছিলেন তাকে সাথে নিয়ে নিজ জ¤œভূমি ইরাক থেকে হিজরত করে ফিলিস্তিনের কেনানে অবস্থান নিলেন। ৮৬ বৎসর বয়সে সেখানে বসে আওলাদের জন্য দোয়া করলেন
ﺭَﺏِّ ﻫَـﺐْ ﻟِﻰْ ﻣِـﻦَ ﺍﻟـﺼَّﺎﻟِـﺤِﻴْـﻦَ “হে আল্লাহ আমাকে সৎ পুত্র দান করুন”। { সূরা আসসাফ্ফাত-১০০।}
মহান আল্লাহ তায়ালা সুসংবাদ দিয়ে বললেন
ﻓَـﺒَـﺸَّـﺮْﻧﻪُ ﺑِـﻐُـﻠـﻢٍ ﺣَـﻠِـﻴْـﻢٍ “ইবরাহীমকে এক ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম। ৯৯ বৎসরের সময় আরেক জন ছেলে হয়েছে তার নাম ইসহাক”। { সূরা আসসাফ্ফাত-১০১।}
দুই. নমরুদ কর্তৃক প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুন্ডে নিক্ষিপ্ত হয়ে চরম ধৈর্য্যরে ও আল্লাহ প্রেমের পরাকাষ্ঠ প্রদর্শন করেন। আল্লাহ তায়ালা তাঁর খলীলের জন্য আগুনকে ফুলবাগীচায় পরিণত করে দিয়েছিলেন।
মহান আল্লাহ্ বলেন
ﻗُﻠْﻨَﺎ ﻳﺎ ﻧَﺎﺭُ ﻛُﻮْ ﻧِﻰْ ﺑَﺮْﺩًﺍ ﻭَ ﺳَﻠَﺎ ﻣًﺎ ﻋَﻠﻰ ﺍِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ “আমি বললাম, হে আগুন, তুমি ইবরাহীমের উপর শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও”। { সূরা আল আম্বিয়া -৬৯। }
তিন. অতঃপর যখন তাঁর প্রিয় আদরের পুত্র ইসমাঈল ও প্রিয় স্ত্রী হযরত হাজেরা আ. কে মক্কার বিরাণ মরুভূমিতে ছেড়ে আসার আদেশ হলো। সেটাও ছিল কঠিন পরীক্ষা। কেননা বার্ধক্য ও শেষ বয়সের বহু আকাংখার স্বপ্নসাধ, দিবা রাত্রির প্রার্থণার ফল এবং পরিবারের একমাত্র আশার আলো হযরত ইসমাঈল কে শুধু আল্লাহর নির্দেশ পালনার্থে পানি ও জনমানবহীন মরু প্রান্তরে রেখে এসেছেন। অথচ একবারও পিছনের দিকে ফিরেও তাকাননি। যেন এমন না হয় যে, পিতৃ¯েœহ উথলিয়ে উঠে এবং আল্লাহর আদেশ পালনে কোন প্রকার বিচ্যুতি ঘটে যায়। স্ত্রী ও পুত্রকে সেখানে রেখে এসে তিনি কেবল আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করলেন:
ﺭَﺑَّﻨﺎَ ﺍِﻧِّﻰْ ﺍَﺳْﻜَﻨْﺖُ ﻣِﻦْ ﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻰْ ﺑِﻮَﺍﺩٍ ﻏَﻴْﺮِ ﺫِﻯْ ﺯَﺭْﻉٍ ﻋِﻨْﺪَ ﺑَﻴْﺘِﻚَ ﺍﻟْﻤُﺤَﺮَّﻡِ - ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟِﻴُﻘِﻴْﻤُﻮْﺍ ﺍﻟﺼَّﻠﻮﺓَ ﻓَﺎ ﺟْﻌَﻞْ ﺍَﻓْﺌِﺪَﺓً ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺗَﻬْﻮِﻯْ ﺍِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﺍَﺭْﺯُﻗْﻬُﻢْ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﺜَﻤَﺮَﺍﺕِ ﻟَﻌَﻠَّﻬُﻢْ ﻳَﺸْﻜُﺮُﻭْﻥَ “হে আল্লাহ! আমি নিজের এক বংশধরকে আপনার পবিত্র ঘরের নিকট অনাবাদ জায়গায় বসবাস করালাম। হে আল্লাহ ! যেন তারা নামায কায়েম করে। অত;পর আপনি কিছু লোকের অন্তর তাদের প্রতি আকৃষ্ট করুন এবং তাদের ফল ফলাদি দ্বারা রুজি দান করুন। আশা করি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে”। { সূরা আল ইবরাহীম -৩৭।}
চার. উপরোল্লিখিত পরক্ষিাগুলির কঠিন মঞ্জিল অতিক্রম করার পর হযরত ইবরাহীম আ. কে স্বপ্নের মাধ্যমে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন করা হয়। যা বিগত পরীক্ষাগুলির চেয়ে ও অধিক কঠিন, হৃদয় বিদারক ও আল্লাহ প্রেমের কঠিন পরীক্ষা। কোন কোন বর্ণনা মতে জানা যায় যে, এই স্বপ্ন তিনি পরপর তিন রাত্রি দেখেন।
স্বপ্নে তিনি একমাত্র প্রিয় পুত্র ইসমাঈল কে কুরবানী করতে আদিষ্ট হন। প্রাণ প্রিয় পুত্রকে কুরবানী করার নির্দেশ তাঁকে এমন সময় দেয়া হয়েছিল, যখন অনেক দোয়া কামনা করে পাওয়া সন্তানকে লালন পালন করার পর পুত্র পিতার সাথে চলাফেরা করতে পারে এবং তাঁকে সাহায্য করার যোগ্য হয়েছে। তাফসীরবিদগণ লিখেছেন: এ সময় হযরত ইসমাঈলের বয়স ছিল তের বছর। কেউ কেউ বলেছেন তিনি তখন বয়প্রাপ্ত হয়ে গিয়েছিলেন। { তাফরীরে মাযহারী।}
তবে তাফসীরে রুহুল বয়ানে আছে ৯ বছরের কথা। এ কথা অকাট্যভাবে প্রমাণিত সত্য যে, নবী রাসূলগণের স্বপ্নও ওহীর অর্ন্তভূক্ত। তাই এ স্বপ্নের অর্থ ছিল এই যে, আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে হযরত ইবরাহীম আ. এর প্রতি একমাত্র পুত্রকে যবেহ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এ হুকুমটি স্বপ্নের মাধ্যমে দেয়ার কারণ হলো হযরত ইবরাহীম আ. এর আনুগত্যের বিষয়টি পূর্ণমাত্রায় প্রমাণিত করা। হযরত ইবরাহীম আ. মহান প্রতি পালকের নির্দেশ সত্বর পালনের নিমিত্তে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন। কিন্তু এ পরীক্ষাটি যেহেতু ইবরাহীম আ. এর ব্যক্তিত্বের সাথে সাথে তার পুত্রও সংশ্লিষ্ট ছিলেন তাই তিনি তার পুত্র ইসমাঈলকে লক্ষ্য করে বললেন
ﻗَﺎﻝَ ﻳﺒُﻨَﻰَّ ﺍِﻧِّﻰْ ﺍَﺭﻯ ﻓِﻰ ﺍﻟْﻤَﻨَـﺎﻡِ ﺍَﻧِّﻰ ﺍَﺫْ ﺑَـﺤُـﻚَ ﻓَـﺎﻧْـﻈُـﺮْ ﻣَـﺎﺫَﺍ ﺗَـﺮﻯ - “হে প্রাণ প্রিয় পুত্র আমার! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে যবেহ করছি। সুতরাং তুমি চিন্তা ভাবনা করে দেখ এবং এ স্বপ্নের ব্যাপারে তোমার অভিমত কি? তা বল”। { সূরা আস-সাফফাত-১০২ ।}
যেমন বাপ, তেমন বেটা। পুত্রও ছিলেন যেন হযরত ইবরাহীম আ. এর ছাঁচে গড়া, কেননা তিনি ও ভাবী নবী। তাই তৎক্ষণাৎ আত্মসর্ম্পনে মস্তক অবনত করে পুত্র জবাবে বললেন :
ﻗَﺎﻝَ ﻳـﺎَﺑَﺖِ ﺍﻓْـﻌَـﻞْ ﻣَﺎ ﺗُـﺆْﻣَﺮُ - ﺳَـﺘَـﺠِـﺪُ ﻧِﻰْ ﺍِﻥْ ﺷَـﺎﺀَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻣِﻦَ ﺍﻟـﺼّـﺒِـﺮِﻳْـﻦَ - “হে আমার পিতাজী! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে আপনি তাই করুন। ইনশা আল্লাহ আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্যে পাবেন”। { সূরা আস সাফ্ফাত-১০২।}
পুত্রের সাথে পরামর্শের হিকমত ছিল এই যে,
প্রথমত: পুত্রের দৃঢ়তা, হিম্মত এবং আল্লাহর আনুগত্যের জয্বা সৃষ্টি হওয়ার পরীক্ষা স্বরূপ।
দ্বিতীয়ত : সে আনুগত্য স্বীকার করলে সওয়াব ও প্রতিদানের অধিকারী হবে। কেননা সওয়াবের জন্য নিয়ত ও আগ্রহ জরুরী।
তৃতীয়ত : যবেহের সময় মানুষ হিসেবে এবং স্বভাবজাত পিতৃ¯েœহের কারণে কোন ভূল ভ্রান্তি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকে অনেকটা মুক্ত থাকার প্রবল আশা সৃষ্টি হবে।{ তাফসীরে রুহুল বয়ান।}
পরামর্শ শেষে পিতা ও পুত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে কুরবানীর নির্দেশ পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন এবং এ কাজ সমাধার জন্য তারা মিনা প্রান্তরে গমন করেন।
ইতিহাস ও তাফসীর ভিত্তিক কোন কোন রেওয়ায়াত থেকে জানা যায় যে, শয়তান কুরবানীর মহান একাজে বিভিন্নভাবে বাঁধার সৃষ্টি করে । সে প্রথমে মা হাজেরা ও ইসমাঈল আ. কে উল্টো বুঝিয়ে এ থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করে। কিন্তু তাঁরা শয়তানের প্ররোচনায় কোন পাত্তা দিলেন না। মরদুদ শয়তান হযরত হাজেরা আ. ও হযরত ইসমাঈল আ. কে ধোঁকা দেয়া থেকে নিরাশ হয়ে মিনা যাওয়ার পথে ‘জামরায়ে আকাবাহ’, ‘জামারায়ে উসত্বা’ এবং ‘জামরায়ে উলা’ এই তিন জায়গায় তিনবার হযরত ইবরাহীম আ. কে প্ররোচিত করার চেষ্টা করে এবং হযরত ইবরাহীম আ. প্রত্যেকবারই তাকে সাতটি করে কংকর নিক্ষেপের মাধ্যমে তাড়িয়ে দেন। অদ্যাবধি এ প্রশংসনীয় কাজের স্মৃতি স্বরূপ মিনায় ঐ তিনটি স্থানে কংকর নিক্ষেপ করার বিধান হাজীদের জন্য ওয়াজিব হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
অবশেষে পিতা-পুত্র উভয়ে যখন এই মহান কুরবানীর ইবাদত পালনের উদ্দেশ্যে কুরবানগাহে পৌঁছলেন এবং ইবরাহীম আ. কুরবানী করার জন্য ইসমাঈল আ. কে শোয়ালেন, তখন পুত্র ইসমাঈল আ. পিতা ইবরাহীম আ. কে বললেন আব্বাজান! আমার হাত পা খুব শক্ত করে বেঁধে নিন যাতে আমি নড়াচড়া করতে না পারি। আর আপনার পরিধেয় বস্ত্রাদি সামলে নিন, যাতে আমার রক্তের ছিটা না পড়ে। অন্যথায় এতে আমার ছওয়াব হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া রক্ত দেখলে আমার মা অধিক ব্যাকুল হবেন। আপনার ছুরিটি ধার দিয়ে নিন এবং আমার গলায় দ্রুত চালাবেন, যাতে আমার প্রাণ সহজে বের হয়ে যায়। কারণ, মৃত্যু বড় কঠিন ব্যাপার। আপনি আমার আম্মাজানের নিকট আমার শেষ বিদায়ের সালাম টুকু অনুগ্রহ পূর্বক পৌঁছে দিবেন। যদি আমার জামা তার নিকট নিয়ে যেতে চান, তবে নিয়ে যাবেন।
একমাত্র আদরের সন্তানের মুখে এমন কথা শুনে পিতার মানসিক অবস্থা কি যে হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। কিন্তু হযরত ইবরাহীম আ. দৃঢ়তায় অটল পাহাড় হয়ে জবাব দিলেন, ওগো আমার প্রাণ প্রিয় বৎস! আল্লাহর নির্দেশ পালন করার জন্য তুমি আমার চমৎকার সহায়ক হয়েছ। অতঃপর তিনি পুত্রকে আদর করে চুম্বন করলেন এবং অশ্রু সজল নয়নে তাকে বেঁধে নিলেন ।
অতঃপর তাঁকে সোজা করে শুইয়ে দিয়ে তার গলায় ছুরি চালালেন। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার যে, বার বার ছুরি চালানো সত্বেও গলা কাটছে না। কেননা আল্লাহ তায়ালা স্বীয় কুদরতে পিতলের একটা টুকরা মাঝখানে অন্তরায় করে দিয়েছিলেন।
তখন পুত্র নিজেই আবদার করে বললেন, আব্বাজী! আমাকে উপুড় করে শুইয়ে নিন। কারণ, আমার মুখমন্ডল দেখে আপনার মধ্যে পিতৃ ¯েœহ উথলে উঠে। ফলে গলা কাটা যাচ্ছে না। এ ছাড়া ছুরি দেখে আমি ঘাবড়ে যাই। সে মতে হযরত ইবরাহীম আ. তাকে উপুড় করে শুইয়ে দিলেন এবং পুনরায় সজোরে প্রাণপণে ছুরি চালালেন।
কিন্তু তখন ও গলা কাটতেছেনা। হযরত ইবরাহীম আ. চেষ্টা করেই যাচ্ছেন। হযরত ইবরাহীম আ. এর এ প্রাণন্তর প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করে মহান আল্লাহ সন্তুষ্ট হলেন এবং হযরত ইসমাঈলের বিনা যবেহেই তার কুরবানী কবুল করে নিলেন। এ ব্যাপারে হযরত ইবরাহীম আ. এর উপর ওহী নাযিল হলো। { তাফসীরে রুহুল মাআ’নী। সূত্র হযরত কাতাদাহ রা. হতে বর্নিত, তাফসিরে ইবনে কাসীর মসনদে আহমদ থেকে নকল করা হয়েছে। সূত্র হযরত ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত।}
ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺍَﺳْﻠَﻤَﺎ ﻭَﺗَﻠَّﻪ ﻟِﻠْﺠَﺒِﻴْﻦِ - ﻭَﻧَﺎﺩَﻳْﻨﻪُ ﺍَﻥْ ﻳَّﺎ ﺍِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ - ﻗَﺪْ ﺻَﺪَّﻗْﺖَ ﺍﻟﺮُّﺀْﻳَﺎ - ﺍِﻧَّﺎ ﻛَﺬﻟِﻚَ ﻧَـﺠْـﺰِﻯ ﺍﻟْـﻤُﺤْﺴِﻨِﻴْـﻦَ - ﺍِﻥَّ ﻫـﺬَﺍ ﻟَﻬُـﻮَ ﺍﻟْـﺒَﻠـﺆُ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴْـﻦُ - ﻭَﻗَـﺪَﻳْﻨﻪُ ﺑِـﺬِﺑْﺢٍ ﻋَـﻈِـﻴْﻢٍ - “অবশেষে যখন পিতা-পুত্র উভয়ে আল্লাহর কাছে নিজেদের কে সোপর্দ করলো এরং ইবরাহীম আ. পুত্রকে উপুড় করে শুইয়ে দিলেন (যবেহ করার জন্যে), তখন আমরা তাকে সম্বোধন করে বললাম, হে ইবরাহীম! তুমি সপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখিয়েছ। আমরা সৎকর্মশীলদের এরূপ প্রতিদানই দিয়ে থাকি। বস্তুত এ এক সুস্পষ্ট কঠিন পরীক্ষা। আর আমরা বিরাট কুরবানী ফিদিয়া স্বরূপ দিয়ে তাকে (ইসমাঈলকে) উদ্ধার করেছি”। { সূরা আস-সাফ্ফাত ১২০-১০৭।}
অতঃপর আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিলেন এখন পুত্রকে ছেড়ে দিন এবং আপনার নিকট যে দুম্বাটি দাঁড়ানো রয়েছে, পুত্রের পরিবর্তে সেটাকে যবেহ করুন। তখন ইবরাহীম আ. পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখেন, একটি হৃষ্ট পুষ্ট দুম্বা দাঁড়ানো আছে। আল্লাহর শোকর আদায় করে তিনি সেই দুম্বাটিকে যবেহ করলেন।
এটাই সেই কুরবানী যা আল্লাহর দরবারে এতই প্রিয় ও মাকবুল হয়েছিল যে, আল্লাহ তায়ালা পরবর্তী সকল উম্মতের মধ্যে তা অবিস্মরণীয় রূপে বিরাজমান রাখার ব্যবস্থা করে দিলেন।
যদ্দরুণ মিল্লাতে ইবরাহীমে তথা দ্বীন ইসলামে এক মহান ওয়াজিব ইবাদত ও শিয়ার প্রতীক হিসেবে এ কুরবানী আজও পালিত হয়ে আসছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত তা পালিত হতে থাকবে।
তাই মহান আল্লাহ বলেন
ﻭَﺗَﺮَﻛْﻨَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻓِﻰ ﺍﻟْﺎ ﺧِﺮِﻳْﻦَ “আর আমরা ভবিষ্যতের উম্মতের মধ্যে ইবরাহীমের এ সুন্নাত স্মরণীয় করে রাখলাম”। { সূরা আস আস সাফ্ফাত ১০৮।}
বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা. এর প্রতি কুরবানীর নির্দেশ
আল কুরআনে নবী করীম সা. কে সালাত আদায় করার মতো কুরবানী করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে ঃ ﻓَﺼَﻞِّ ﻟِﺮَﺑِّﻚَ ﻭَﺍﻧْﺤَﺮْ “তোমার রবের জন্য নামায পড় এবং কুরবানী করো”। { সূরা আল কাউসার -০২}
মহান আল্লাহ কুরবানী ও জীবন দানের প্রেরণা ও চেতনা সমগ্র জীবনে জাগ্রত রাখার জন্যে নবী সা. কে আরো নির্দেশ দিয়ে বলেছেন ﻗُﻞْ ﺍِﻥَّ ﺻَﻠﻮﺗِﻰْ ﻭَﻧُﺴُﻜِﻰْ ﻭَﻣَﺤْﻴَﺎﻯَ ﻭَﻣَﻤَﺎﺗِﻰْ ﻟِﻠّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌﻠَﻤِﻴْﻦَ – ﻟَﺎ َﺷَﺮِﻳْﻚَ ﻟَﻪ ﻭَﺑِﺬ ﻟِﻚَ ﺍُﻣِﺮْﺕُ ﻭَﺍَﻧَﺎ ﺍَﻭَّﻝُ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴْﻦَ - “বলুন! হে মুহাম্মদ! আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ সব কিছুই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্যে। তাঁর কোন শরীক নেই। আমাকে তাঁরই নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং আমি সকলের আগে তাঁর অনুগত ও ফরমাবরদার”। { সূরা আল আনআম-১৬২}
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সা. মদীনায় দশ বৎসর অবস্থান করেন। এ সময় তিনি প্রতি বছর কুরবানী করতেন। { সুনানে আত তিরমিযী}
আল্লাহ তায়লা আমাদের প্রচেষ্টাগুলো কবুল করুন। আমিন। ইনশাআল্লাহ ধারাবাহিক ভাবে চলবে। সকলেই সাথে থাকুন।
ক্যাটেগরি: ধর্ম