নীলছবি দেখেন? তাহলে
কখনই প্রতিবেদনটি এড়িয়ে
যাবেন না.
পর্ণ দেখেনি এমন পুরুষ খুব কমই আছে। তাই
পর্ণ দেখাটা তাঁদের কাছে ভীষণ স্বাভাবিক।
তবে, এই সময়ে,তরুন প্রজন্মের কাছে
পর্ণগ্রাফির প্রতি আসক্তি এক ভয়াল নেশার
মতো। টিনএজার থেকে শুরু করে অনেক
মধ্য বয়সী পুরুষও পর্ণগ্রাফি আসক্তিতে
ভুগছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের
বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় পর্ণগ্রাফি
আসক্তিকে তেমন ক্ষতিকর নয় ব্যাখ্যা দিলেও
এরও বেশ কিছু খারাপ দিক আছে। নিয়মিত পর্ণ
ছবি দেখার মাধ্যমে নিজের অজান্তেই
নিজের ক্ষতির করে ফেলছেন অসংখ্য পুরুষ।
আসুন জেনে নেয়া যাক পর্ণ আসক্তির
কারণে যে ক্ষতি হতে পারে আপনার৷i
নারীরা ঘৃনার চোখে দেখে
পর্ণ আসক্ত পুরুষদেরকে সাধারণ রুচিশীল
নারীরা হীনমন্য ও চরিত্রহীন মনে করে।
নারীরা যখন জানতে পারে যে তার পরিচিত
কোনো পুরুষ নিয়মিত পর্ণ ছবি দেখে তখন
তার সম্পর্কে খারাপ মনোভাব জন্ম নেয় এবং
তাঁকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। বিশেষ
করে আমাদের সমাজের নারীরা তো
অবশ্যই।
রুচি বোধের অবনতি হয়
নিয়মিত পর্ণ ছবি দেখতে দেখতে পুরুষদের
রূচিবোধের অধঃপতন হয়। পর্ণ সিনেমার
অনৈতিক ও যৌনতা নির্ভর বিকৃত সম্পর্ক
গুলোকেই তখন ভাল লাগতে শুরু করে।
ফলে যারা নিয়মিত পর্ণ সিনেমা দেখে তাদের
রুচি বিকৃত হয়ে যায়। জীবনের স্বাভাবিক
সম্পর্ক গুলোতেও নিজের অজান্তে বিকৃতি
খোঁজে তাদের চোখ।
দেখুন ফ্যান্টাসির দুনিয়া
নিয়মিত পর্ণ ছবি দেখতে দেখতে বাস্তব
জগৎ ছেড়ে পুরুষরা ফ্যান্টাসি দুনিয়াতে চলে
যায়। অর্থাৎ বাস্তব জীবনেও তাঁরা পর্ণ
সিনেমার মত সঙ্গী আশা করে এবং তাঁরা স্বপ্ন
দেখে তাদের যৌন জীবনটাও পর্ণ সিনেমার
মতই হবে। তাই ফ্যান্টাসি দুনিয়ার স্বপ্নে
বিভোর হয়ে তাঁরা বাস্তব জীবনের সুখ শান্তি
হারায়। সাধারণ নারীদেরকে তখন আর তাদের
যথেষ্ট মনে হয় না।
নিঃসঙ্গতা
অতিরিক্ত পর্ণ নেশার কারণে সাধারন
নারীদের প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসে পর্ণ
আসক্তদের। তাঁরা পর্ণ সিনেমার নায়িকাদের মত
আকর্ষনীয় দেহ ও চেহারার নারী
খোঁজে বাস্তব জীবনে। কিন্তু পর্ণ
সিনেমার নায়িকাদের সৌন্দর্য মূলত কৃত্রিম
সৌন্দর্য, তাদের আচরণও কৃত্রিম। মেকআপ,
লাইট ও ক্যামেরার কারসাজিতে তাদেরকে
মোহনীয় ভাবে দেখানো হয় যা বাস্তব
জীবনে খুঁজে পাওয়া সম্ভব না। তাই পর্ণ
আসক্তরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিঃসঙ্গ থেকে
যায় অথবা সংসারে অসুখী হয়।
শারীরিক ক্ষতি
নিয়মিত পর্ণ ছবি যারা দেখে তাদের মধ্যে
হস্ত মৈথুনের অভ্যাসটাও বেশি থাকে। অতিরিক্ত
হস্ত মৈথুন করার ফলে তাদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি
বাড়ে এবং যৌন জীবনে নানান সমস্যার
মুখোমুখি হতে হয়।
ভয়াল নেশা
পর্ন সিনেমার নেশা মাদকের নেশার মতই
ভয়ংকর। মাদকাশক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যেমন
কষ্টসাধ্য, পর্ণ আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়াও
দূরহ ব্যাপার। পর্ণ আসক্তির কারণে পরিবারের
সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়, পড়াশোনায় ক্ষতি হয়
এমনকি নিজের মধ্যেও হীনমন্যতার সৃষ্টি হয়।
সামাজিকভাবে হেয় হতে হয়
পর্ণ আসক্তদের মোবাইলে, কম্পিউটারে,
পেন ড্রাইভে সব খানেই পর্ণ ছবি থাকে
অধিকাংশ সময়। অনেক সময় এসব অনৈতিক বিষয়
গুলো পরিবারের কাছে ধরা পড়ে যায়। ফলে
পরিবারের কাছে হেয় হতে হয় পর্ণ
আসক্তদেরকে। এছাড়াও সমাজের মানুষজন,
বন্ধুবান্ধব বিষয়টি জেনে গেলে তাদের
কাছেও হেয় হতে হয় তাদেরকে।