বিজয়ের মাস ডিসেম্বর

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরবিজয়ের মাস ডিসেম্বর

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর
১লা ডিসেম্বর। বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাসের শুরু। ১৯৭১ সালের এই ডিসেম্বর বাঙালি জাতির জীবনে নিয়ে এসেছিল এক মহান অর্জনের আনন্দ। একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বর পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয় বাংলাদেশ। এদিন বিশ্বের বুকে রচিত হয় এক নতুন ইতিহাস। বাংলাদেশের নামে মানচিত্র রচনা করার ইতিহাস। পাকিস্তানিদের দ্বারা সুদীর্ঘ ২৩ বছরের শোষণ, বঞ্চনা আর অত্যাচার-নির্যাতনের সমাপ্তি ঘটে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে। তাই ডিসেম্বর যেমনি বীরত্বপূর্ণ তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে কারান্তরিন করে হানাদার বাহিনী। শুরু হয় ইতিহাসের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। এরপরই শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধাদের পাল্টা প্রতিরোধ। দেশকে স্বাধীন ও মুক্ত করার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে নানা বয়স, শ্রেণি ও পেশার নারী-পুরুষ। ৯ মাস যুদ্ধ শেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও ২ লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৬ই ডিসেম্বর আসে মুক্তির স্বাদ। এদিন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানিদের আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের মাধ্যমে সূচিত হয় বাঙালির বিজয়। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ এবং মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের খবর ভেসে আসতে থাকে চারদিক থেকে। মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাস ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও ডিসেম্বরে বিজয়ের শেষ সময়ে এসে পাকিস্তানি বাহিনী দেশকে মেধাশূন্য করতে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় মেতে ওঠে। তালিকা করে তারা একে একে হত্যা করে দেশের খ্যাতিমান শিক্ষক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, সাংবাদিকদের। তাই বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে প্রতি বছরের ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেও শেষ রক্ষা হয়নি হানাদারদের। শেষ পর্যন্ত ১৬ই ডিসেম্বরেই পর্যুদস্ত হতে হয় তাদের। এরপর স্বাধীন স্বভূমে ফিরে আসে ভারতের শিবিরে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করা প্রায় কোটি নর নারী। প্রবাসী মুজিবনগর সরকারও দেশে ফিরে এসে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।
প্রতিবছর বিজয়ের মাস ডিসেম্বর এলে জাতি যেমন আনন্দে উদ্বেলিত হয়, তেমনি শোকে মুহ্যমান হয়ে স্মরণ করেন শহীদদের। এবার ১৬ই ডিসেম্বরে পালিত হবে স্বাধীনতার ৪৪তম বছর।
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মাসব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনা, আলোচনা সভা, বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ, র্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি। এদিকে আজ ১লা ডিসেম্বরে জাতীয় ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক জীবনের সবক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা, অধিকার ও সম্মান নিশ্চিত করার দাবিতে আজ দেশব্যাপী জাতীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করা হবে। দিবসটি পালন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। আজ সকালে মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মুক্তিযোদ্ধা শহীদদের স্মরণ, আলোচনাসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও তাদের শৌর্যবীর্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২০০৪ সালের ১২ই জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ থেকে প্রতি বছরের ১লা ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

মহান বিজয়ের মাস শুরু আজ ১ ডিসেম্বর

মহান বিজয়ের মাস শুরু আজ ১ ডিসেম্বর
মহান বিজয়ের মাস শুরু

ঢাকা: আজ ১ ডিসেম্বর। শুরু হয়ে গেল মহান বিজয়ের মাস। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রাম, লাখ লাখ প্রাণ ও দু’লাখের মতো মা-বোনের সম্ভ্রমহানির মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার সাক্ষর ডিসেম্বর।
যুগ যুগ ধরে নানা কায়দায় শোষণ-বঞ্চনার শিকার বাঙালিরা এ ডিসেম্বর মাসেই বিভীষিকামুক্ত হয়ে নব আনন্দে জেগে ওঠে। ২৪ বছরের ধারাবাহিক লড়াই সংগ্রাম শেষে ১৯৭১ সালের এই মাসে বাঙালি চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হয়। সেই থেকে ডিসেম্বর মানেই বাঙালির আনন্দের মাস। ডিসেম্বর মানেই বাঙালির অর্জনের মাস।
মহান এই মাসে বাঙালির ঘরে ঘরে গৌরবের রেশ ছড়িয়ে পড়ে। আর এই রেশ বাঙালিকে নতুন করে মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাহস জোগায়।
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবারের বিজয়ের মাস পালিত হবে।
বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ট্রতম ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক রাজনৈতিক স্বপ্ন সাধ পূরণ হয় এ মাসে।
বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চুড়ান্ত বিজয় এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়। স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূ-খন্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা।
ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল ,এক রক্তক্ষয়ী জনযুদ্ধের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এ দিনে।
বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ হবার পাশাপাশি বহু তরতাজা প্রাণ বিসর্জন আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই অর্জন হওয়ায় বেদনাবিঁধূর এক শোকগাঁথার মাসও এই ডিসেম্বর।
এ মাসেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর আল শামসদের সহযোগিতায় দেশের মেধা, শ্রেষ্ঠ সন্তান-বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করে দেয়ার এধরনের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের দ্বিতীয় কোন নজির বিশ্বে নেই।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর জল,স্থল আর আকাশপথে সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে বর্বর পাক-হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের খবর চারদিক থেকে ভেসে আসতে থাকে।
এ বছরের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। যেখান থেকে ৭ মার্চ মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,’ বলে স্বাধীনতার ডাক দেন, সেখানেই পরাজয়ের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাক জেনারেল নিয়াজী। এর মধ্যদিয়ে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। আর জাতি অর্জন করে হাজার বছরের স্বপ্নের স্বাধীনতা।
মহান এ বিজয়ের মাস উদযাপনে জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। বিজয়ের মাসের প্রথম দিনেই বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করবে।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিজয়ের মাসকে স্বাগত জানিয়ে সমাবেশ, মানববন্ধন, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, বিজয় শোভাযাত্রা, মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন ইত্যাদি।
মুক্তিযোদ্ধা দিবস বাস্তবায়ন পরিষদ আজ সকাল ১০টায় বিজয়ের মাসের প্রথম প্রহরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনীতে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করবে।
‘যুদ্ধাপরাধী মুক্ত বাংলাদেশ চাই’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার-সদস্যবৃন্দের অংশগ্রহণে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে অপরাজেয় বাংলা থেকে বিজয় শোভাযাত্রা বের হবে। শোভাযাত্রাটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হবে।
(kobirajhat24.net/১ডিসেম্বর/গর্বিত কবিরাজহাট)

দিনাজপুর বড়মাঠে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে তাবলীগ

দিনাজপুর বড়মাঠে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে তাবলীগ
দিনাজপুর বড়মাঠে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে তাবলীগ
জামাতের ৩ দিনব্যাপী ইজতেমা : শেষ হবে শনিবার
বৃহস্পতিবার (৩০ নবেম্বর) বাদ জোহর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন
দিনব্যাপী তাবলীগ জামাতের ইজতেমা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু
হবে। দিনাজপুর বড়মাঠে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের
পূর্বপাশের অংশে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য প্যান্ডেল
তৈরীর কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) জোহর নামাজের পূর্বে আখেরী
মুনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে। দিনাজপুর জেলার
১৩ উপজেলার তাবলীগ জামাতের সাথীদের নিয়ে এই
ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার বিকেল থেকে জেলার বিভিন্ন
উপজেলা হতে মুসল্লিদের ইজতেমা মাঠে আসতে দেখা
গেছে। শুক্রবার ইজতেমা প্যান্ডেলে জুমার নামাজ আদায়
করা হবে। এটি জেলার সর্ববৃহৎ জুমার নামাজের জামাত হবে
বলে জানিয়েছেন তাবলীগ জামাতের মুরব্বিরা।
এদিকে ইজতেমা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে
ইজমেতা মাঠে অবস্থানের জন্য আগত মুসল্লিদের জন্য চাটাইসহ
অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে ইজমেতা মাঠের উত্তর পাশে ঈদগাহ
মাঠের চার পাশে দোকানীরা তাদের দোকান সাজিয়ে
বসেছেন। এছাড়া মেছওয়াক, টুপি, তসবিহ, জায়নামাজসহ
অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়েও দোকানীরা এরই
মধ্যে তাদের দোকান সাজিয়ে বসেছেন।
দিনাজপুর তাবলীগ জামাতের আমীর (জিম্মাদার) আলহাজ্ব
মো. লতিফুর রহমান জানান, ঢাকার কাকরাইল থেকে তাবলীগ
জামাতের মুরব্বিদের মাওলানা মো. রবিউল হক, মাওলানা
মো. মোশাররফ হোসেন ও মাওলানা মো. আব্দুল মতিনসহ
অন্যান্য মুরব্বি এই ইজমেতায় মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান করবেন।
মানুষকে দ্বীনের পথে উদ্বুদ্ধ ও আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগীর দিকে
রুজু করতে, মানুষের মাঝে হক তথা সঠিক পথ কবুল করার যোগ্যতা
তৈরী, আখেরাতের জিন্দেগী বা মৃত্যুর পরবর্তি জীবন কেমন
হবে এবং কিভাবে মানুষ আখেরাতমূখী করা যায় এ সব বিষয়ে
এই ইজতেমায় বয়ান (আলোচনা) করা হবে।
আলহাজ্ব মো. লতিফুর রহমান আরো জানান, এই ইজতেমায়
ইন্দোনেশিয়া হতে আগত একটি জামাত অংশগ্রহণ করবে। তিনি
জানান, যে বছর ঢাকার টঙ্গীতে দিনাজপুরের তাবলীগ
জামাতের সার্থীরা যেতে পারবেন না, মূলত তাদের নিয়েই
জেলা পর্যায়ে এই ইজতেমার আয়োজন করা হবে। আর সে
কারণে এ বছর দিনাজপুরে তিন দিনব্যাপী এই ইজতেমার
আয়োজন করা হয়েছে।
তিন দিনব্যাপী ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য দিনাজপুর
বড়মাঠে প্যান্ডেল তৈরীর কাজ শেস হয়েছে। প্রায় ৩০ হাজার
মুসল্লির জন্য এ প্যান্ডেল তৈরী করা হয়েছে। তবে
প্যান্ডেলের বাইরে আশপাশের এলাকায় ৩০ হাজারসহ প্রায়
৫০ হাজার মুসল্লি অবস্থান করতে পারবেন বলে জানান
মুরব্বিরা।
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের এরই মধ্যে অজু-গোসলের পানি
সরবরাহের জন্য ৩০টি টিউবওয়েল, একটি সাবমারসেবল পাম্প,
৩টি মটর স্থাপন করা হবে। এছাড়া নিরাপদ স্যানিটেশনের জন্য
৪শ’ টয়লেট তৈরা করা হয়েছে। বিদেশী মেহনান ও তাবলীগ
জামাতের বৃদ্ধ সাথীদের জন্য মাঠের পশ্চিম পাশে খাস
কামরা (বিশেষ কক্ষ) তৈরী করা হয়েছে। এই খাস কামরায় আগত
বিদেশী মেহমান ও তাবলীগ জামাতের বৃদ্ধ সাথীরা
থাকবেন বলে জানান মুরব্বিরা।
উল্লেখ্য, ইজতেমায় প্যান্ডেল তৈরী, টয়লেট নির্মাণ, নিরাপদ
পানি সরবরাহের জন্য টিউবওয়েল স্থাপন, বিদ্যুৎ সংযোগসহ
অন্যান্য সব ধরনের খরচ তাবলীগ জামাতের সার্থীরা নিজ
উদ্যোগে করেছেন। কারো নিকট থেকে ধরনের সহযোগিতা
নেয়া হয়নি। একমাত্র আল্লাহকে রাজি-খুশি ও সওয়াবের
আশায় সবাই স্বেচ্ছায় এসব কাজ করেছেন তাবলীগ জামাতের
সাথীরা।+(গর্বিত কবিরাজহাট)

অনামিকা ২ এক ভয়ংকর আত্মা

অনামিকা ২ এক ভয়ংকর আত্মা
[""""""""""""''''''"''"#অনামিকা_২"""""""""""'"""""]
[______<<#এক_ভয়ঙ্কর_আত্বা>>______]
Written_By:-#Gorbito kobirajhat
=============পর্ব:-১===========

অনামিকার কথা ভেবে আজও জারিনের শরীলে কাঁটা দিয়ে উঠে।
আবার যদি সে ফিরে আসে।
আবার যদি তাদের জীবন টাকে আবার এলোমেলো করে দেয়।কিন্তু প্রত্যয়ের ভালোবাসা জারিনের মন থেকে সব ভয় দূর করে দেয়।
প্রত্যয়ের বুকে মাথা রেখে সারাটা জীবন এভাবেই কাটাতে চায় জারিন।

ঠিক ৪ বছর পর.....

কিছুদিন হলো প্রত্যয় লেখাপড়া শেষ করে একটা ব্যবসা শুরু করেছে।বেশ ভালোই চলছি।
কিন্তু একদিন সকালে জারিনের হঠাৎ শরীল খারাপ হয়ে যায়।
কিন্তু সে কাউকে বলে না।
সেদিন বিকেলে জারিন লোকিয়ে ডাক্তারের কাছে চলে যায়।
সেখানে কিছু টেষ্ট করিয়ে যা ধরা পরে তাতে জারিনের চোখের কোণ থেকে এক ফোঁটা জ্বল গড়িয়ে পড়ে।
সে যা শুনলো তা কি সত্যি?এখনও ডাক্তারের কথা তার বিশ্বাস হচ্ছে না।
সে চিন্তা করতে থাকে কিভাবে এই কথাটা প্রত্যয়কে জানাবে।
সন্ধ্যায় প্রত্যয় বাড়ি ফেরে।অদ্ভুত একটা ব্যেপার লক্ষ করে সে।প্রতিদিন বাড়িতে আসতেই জারিন তার কাছে ছুটে চলে আসে কিন্তু আজ আসে নি কেন।চারপাশ খুজতে খুজতে হঠাৎ তার নজর বিছানার দিকে পড়লো।দুটো বাচ্চা পুতুল রাখা সেখানে,একটা মেয়ে অন্যটা ছেলে।সাথে একটা কাগজ।কাগজ টা হাতে নেয় প্রত্যয়।সেখানে লিখা ছিল""তোমার ইচ্ছে মতো যেকোন একটা পুতুল তুলে নাও।"
প্রত্যয় ভালোভাবে পুতুল গুলো দেখতে থাকে এর পর মেয়ে বাচ্চা পুতুলটাকে হাতে তুলে নেয়।ঠিক তখনই পেছন থেকে জারিন প্রত্যয়কে জরিয়ে ধরে।আর বলে উঠে""
:-আমার মিষ্টি মেয়ের বাবা টা আজ আসতে দেরি করলো কেন?(অভিমান করার অভিনয় করে)
:-জারিন!(চমকে)
জারিন লজ্জা পেয়ে চলে যেতে চায়।কিন্তু প্রত্যয় আটকে ফেলে।
:-কি হলো বলো ।
:-কিরে দেখতে পারছিস(পেট এর দিকে তাকিয়ে)তোর বাবা একটা লেইট লতিফ।প্রতিদিন এভাব লেইট করে।দেখ দেখ তুর মা কে একটুও ভালোবাসে না।
প্রত্যয়ের মুখ দিয়ে কথা বেরোচ্ছে না।শুধু একটা কথাই জিগ্যেস করলো "সত্যি জারিন?''জারিন প্রত্যয়ের বুকে মুখ লুকিয়ে ফেলল।দুজনে খুশিতে পাগল হয়ে যাচ্ছে।তাদের মুখ থেকে কোন কথা বেরোচ্ছে না।সেই মুহূর্ত টাকে তারা উপভোগ করছে।
পরদিন সকালে প্রত্যয় একগাদা মিষ্টি নিয়ে বড়ি আসে।সকলে জিগ্গেস করতে থাকে কিসের মিষ্টি।প্রত্যয় সবাইকে খুশির খবরটা দেয়।সবাই খুব খুশি।প্রত্যয়ের মা জারিন কে কালো টিকা লাগিয়ে দেয় যেন এই খুশিতে কারো নজর না লাগে।

কিন্তু কেও জানে না এই খুশিতে কারো অনেক আগেই নজর লেগে গেছিল।বেশি দিন নয় মাত্র কয়েকটা মাস।তার পর সব শেষ............

এক এক করে দিনগুলো পার হয়ে যাচ্ছে।আলাদা করে প্রত্যয় ও তার পরিবার জারিনের খেয়াল রাখছে।খাওয়া থেকে ঘুম সবকিছুতে নজর রাখছে।একটু সরিল খারাপ হতেই সবাই অস্থির হয়ে যায়।
প্রত্যয় জারিনের পেটের কাছে গিয়ে কান পেতে থাকে।
একটু আওয়াজ হলেই আনন্দের সীমা থাকে না তার।
জারিন নিজের ভেতর আস্তে আস্তে একজনের অস্তিত্ব বুঝতে পারে।বুঝতে পারে কেও বড় হচ্ছে।
জারিন চায় সবার আগে সে প্রথম তার সন্তানকে কোলে নেবে।এদিকে প্রত্যয়ও তাই চায়।
এই নিয়ে জারিন আর প্রত্যয়ের মধ্য মিষ্টি ঝগড়া হয় সব সময়।
যে আসছে তাকে নিয়ে জারিন আর প্রত্যয়ের অনেক স্বপ্ন।
কিন্তু কিসের যেন একটা ভয় সবসময় কাজ করে জারিনের ভেতর।
কয়েক মাস পর নতুন অতিথি আসার সময় হয়ে যায়..... 
kobirajhat24.net
একদিন হঠাৎ জারিন ব্যথায় ককিয়ে উঠে।চিৎকার করতে থাকে।
জারিন কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যয় জারিনের হাতটা শক্তকরে ধরে রাখে।কিন্তু অপারেশন করার জন্য জারিন কে নিয়ে যাওয়া হয়।
যখন জারিন কে নিয়ে যাচ্ছিল প্রত্যয়ের কেন যানি মনে হচ্ছিল তার ভেতর থেকে প্রাণ টা কেও কেড়ে নিচ্ছে।
কিছুক্ষন পর ডাক্তার বেরিয়ে আসে।
প্রত্যয় তাকে জিগ্যেস করতে থাকে জারিন কেমন আছে।আর তার বাচ্চা কোথায়।
ডাক্তার প্রত্যয়ের কাঁধে হাত রেখে বলে।
সরি আমরা অনেক চেষ্টা করেও মা বা মেয়ে কাওকেই বাঁচাতে পারলাম না।
প্রত্যয় নিরব হয়ে যায়।যেন পাথর হয়ে গেছে সে।
সবাই প্রত্যয়কে ধরে কাঁদতে থাকে।
একটু পর একটা নার্স দৌড়াতে দৌড়াতে আসে।
:-ডক্টর ডক্টর অলৌকিক কিছু ঘটে গেছে।যে বাচ্চাটা একটু আগে মৃত ছিল সে হঠাৎ বেঁচে উঠেছে।

কথাটা শুনে ডক্টর সেখানে যেতে লাগলো।প্রত্যয় যেন আশার আলো দেখলো।সাথে প্রত্যয়ও দৌড়ে সেখানে গেল।
গিয়ে দেখে এক পাশে জারিনের দেহটা বেডের উপর পড়ে আছে,অন্যদিকে সেই ছোট্ট শিশুটি কাঁদছে।
প্রত্যয় আস্তে আস্তে বাচ্চার কাছে গেল।
ডাক্তার বাচ্চাটা কে প্রত্যয়ের হাতে তুলে দিয়ে বলল

:-আজ এক অলৌকিক কিছু আপনার বাচ্চাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।
ও এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।
কিন্তু একটু আগেও ওর নার্ভ চলছিল না আরও অনেক সমস্যা ছিল।
কিন্তু কি করে আবার সে বেঁচে উঠলো মেডিকেল সাইন্সে এর কোন উত্তর নেই।

প্রত্যয় তার মেয়েকে নিয়ে জারিনের মৃত দেহের সামনে গেল।
:-চিৎকার করে কাঁদতে থাকে প্রত্যয়....ফিরে এসো জারিন এই দেখ আমাদের মেয়ে।
তুমি না ওকে প্রথম কেলে নিবে বলেছিলে,ওঠো জারিন।
দেখ আমি তোমার আগে ওকে কোলে নিয়েছি।তুমি অভিমান করেছো সেইজন্য?
এইযে কান ধরলাম আর এমন হবে না।এভাবে অভিমান করে থেকো না।তুমি জানো না আমি তোমায় ছাড়া থাকতে পারি না।উঠো জারিন...কথা বল.. উঠো....বলে কাঁদতে লাগলো।

ঠিক তখনই কোলে থাকা বাচ্চাটা প্রত্যয়ের চোখের কাছে হাতটা বাড়িয়ে দিল।যেন চোখ মুছে বলতে চাইছে...তোমি কেঁদো না আমি আবার ফিরে এসেছি।এইতো আমি।
papry99.blogspot.com
পরদিন বিকেলে জারিনকে কবর দেয়া হয়।প্রত্যয় জারিনের সেই তাবিজ টা নিয়ে বসে থাকে।আর শুধু দরজার দিকে চেয়ে থাকে।
এই বুঝি জারিন এলো।
ঠিক তখনই পেছন থেকে কেও ঢেকে উঠে।প্রত্যয়....প্রত্যয় পেছনে তাকায়।
জারিন...
প্রত্যয় আমি আছি সবসময় তোমার কাছে তোমার পাশে........ সব সময়।
তুমি আমাদের সন্তানের খেয়াল রাখ।সে ভালো থাকলে আমি ভালো থাকব।সে তো আমারই অংশ।
প্রত্যয়ের চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে।
জারিন চলে যায় সেই না ফেরার দেশে।
এদিকে প্রত্যয় মনে মনে বলতে থাকে হে জারিন আমি আমাদের সন্তান কে খুব ভালো রাখবো।

প্রত্যয় বিশ্বাস করে তার মেয়ের মধ্যে জারিন আবার ফিরে এসেছে।

"""তাই সে বাচ্চারও নাম রাখে জারিন।"""

সে জারিনের খুব খেয়াল রাখে।শত কাজের মাঝেও জারিন কে সে সময় দেয়।খুব ভালোবাসে জারিন কে।এভাবে দিন যেতে লাগলো।

প্রায় ১৮ বছর পর....

আর দুই দিন পর জারিনের জন্মদিন।
সবাই খুব খুশি।সেদিন খুব বড় করে অনুষ্ঠান হবে।চার দিকে সবাই কাজে ব্যস্ত।
সময়ের পরিবর্তনে সবাই ভুলে যায় আর মাত্র দুইদিন পরই সেই দিন।
দুইদিন পর যে ২২ বছর পূর্ণ হতে চলেছে।জেগে উঠবে অনামিকা।
আর বদলে যাবে এই সুখের দিনগুলো।............

(চলবে)

পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন :

গ্রামীণফোন এমবি ও মিনিট অফার

গ্রামীণফোন এমবি ও মিনিট অফার
প্রতিদিন নতুন নতুন পোষ্ট পেতে 
এর সাথেই থাকুন ।
≡ Menu

জিপি সিম রিরেজিস্টার করে জিতে নেন ২০০ টাকার টকটাইম(জিপি -জিপি)
জিপিতে MB এর অফারগুলো দেখে নিন কোনগুলো আপনার জন্য প্রযোজ্য।
বিনা মূল্যে ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা দিল গ্রামীণফোন (মার্চ ৩১, ২০১৬)
গ্রামীণফোনে সকল গ্রাহকে শর্তসাপেক্ষে দিচ্ছে ১ জিবি ইন্টারনেট ফ্রী
ফেসবুক প্যাক এর মেগাবাইট দিয়ে সকল ব্রাউজার + প্লে স্টোর ব্রাউজ + সব ডাউনলোড
জিপি সিমে Flexiplan ছাড়াও MB এর মেয়াদ ১ মাস বাড়ান। মাত্র ১.১৮ টাকা খরচ করে।
 Previous Post
বন্ধ হচ্ছে আড়াই কোটি সিম! জানুন পরবর্তী শর্তসমূহ
Next Post 
ভিডিও তৈরির নতুন অ্যাপ আনল ফেসবুক  Home  GP 
 Blog Comments 1  Facebook Comments 0 2. ২+ ( ১৫% ভ্যাট এবং মোট মূল্যের উপর ৩% সম্পূরক শুল্ক ) টাকায় আপনি পাচ্ছেন ৬ মিনিট জিপি-জিপি টকটাইম ৷
=কিনতে ডায়াল করুন *1000*6#
=মিনিট চেক করতে ডায়াল করুন *1000*2#
=মিনিটের মেয়াদ মাত্র ৪ ঘন্টা ……..
=*1000*9# ডায়াল করে প্যাকটি বন্ধ করতে পারবেন ।
3. ৩ টাকা ( ভ্যাটসহ ) টাকায় আপনি পাচ্ছেন ১০ মিনিট জিপি-জিপি টকটাইম ৷
কিনতে ডায়াল করুন *5000*70#
মিনিট চেক করতে ডায়াল করুন
*1000*2#
 ক্রয় করার সময় থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত ফ্রি মিনিটের মেয়াদ থাকবে
4. ৫ টাকায় ২০মিনিট+৫এমবি+৫এসএমএস+৫এমএমএস
=কিনতে ডায়াল করুন *111*10*1#
= *111*10*99# ডায়াল করে প্যাকটি বন্ধ করতে পারবেন ।
= মেয়াদ ২ দিন, রাত ১০টা-সকাল ৮টা
5. ৫.৫০ টাকায় ১৭মিনিট+১৭এসএমএস
=কিনতে ডায়াল করুন *111*10*8#
= *111*10*94# ডায়াল করে প্যাকটি বন্ধ করতে পারবেন ।
= মেয়াদ ১ দিন, রাত ১২টা-বিকাল ৪টা
6. ১৩ টাকা ( ভ্যাটসহ ) টাকায় আপনি পাচ্ছেন ৪০ মিনিট জিপি-জিপি টকটাইম ৷
কিনতে ডায়াল করুন *111*29#
মিনিট চেক করতে ডায়াল করুন
*1000*2#
 ক্রয় করার সময় থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত ফ্রি মিনিটের মেয়াদ থাকবে
SHARE THIS  আপনারা সবাই কেমন আছেন।আশা করি ভাল।আচ্ছা কাজের কথাই আসি,আমাদের অনেক সময় বেশী কথা বলার প্রয়োজন হয়।কিন্তু আমরা টাকা দিয়ে কথা বললে আমাদের সাশ্রয় হয়না। তখন আমরা মিনিট কিনে কথা বলতে পারি।এই জন্য নিচের টিপসটি দেখুন:------

এবার ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠানো যাবে হাই রেজুলেশন ছবি


 Kobirajhat24.net
Nov 29, 2017 10:12 AM
এবার ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠানো যাবে হাই রেজুলেশন ছবি
এই পাতার আরো খবর
সর্বাধিক পঠিত

ফেসবুক মেসেঞ্জারে মেসেজের পাশাপাশি ছবি কিংবা ভিডিও শেয়ার করা হয়। একই সঙ্গে ভয়েস কল কিংবা ভিডিও কলও করার সুযোগ রয়েছে।

দিন দিন এই অ্যাপ তার ঝুলিতে নিত্য নতুন ফিচার অ্যাড করছে। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এসব অ্যাপ আপডেট চায়। আর প্রতিবার আপডেটে কিছু না কিছু সুবিধা বা ফিচার যোগ হতে থাকে।

মেসেঞ্জারে আগে 2k ছবি শেয়ার করা যেত। গত মঙ্গলবার মেসেঞ্জার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, এখন থেকে মেসেঞ্জার 4k বা বর্তমান সময়ের সবচেয়ে হাই রেজুলেশন ছবিও শেয়ার করা যাবে। ফলে এখন থেকে মেসেঞ্জারেও ইউজাররা হাই রেজুলেশনের ছবি একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবে, যেটা আগে ছিল না। এই ছবির রেজুলেশন হবে 4096 X 4096।

তবে মন খারাপের বিষয় হচ্ছে এখনই এই সুবিধা এখানে পাওয়া যাবে না। মেসেঞ্জার কর্তৃপক্ষ আপাতত আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, হংকং, সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় এই ফিচার চালু করেছে।

এই ফিচারের সুবিধা পেতে ইউজারকে অবশ্যই তার মেসেঞ্জারকে আপডেট করে নিতে হবে। আপডেট ছাড়া এসব দেশেও 4K ছবি শেয়ার করা যাবে না।

মেসেঞ্জার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানা গেছে, দু'এক সপ্তাহের ভেতর এখানেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে। আমাদের এখানে একটু দেরি করে আসার কারণ অবশ্য ভিন্ন। এখনও অনেকের কাছে 4k ছবির কনসেপ্ট পরিষ্কার নয়। তাই এখানকার মানুষ আক্ষরিক অর্থেই 4k ছবি বা ভিডিওর সঙ্গে তেমন পরিচিত নয় আর অপ্রচলিত ছবি শেয়ার করা তো পরের ব্যাপার। তবে খুব শিগগিরই আমাদের দেশে ফেসবুক মেসেঞ্জার আপডেটে পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে আপনার অ্যাপ আপডেট চাওয়ামাত্র সেটা আপডেট করে নিতে হবে।


বিডি প্রতিদিন/২৯ নভেম্বর ২০১৭/ papry99.blogspot.com

দুই শিশুর ছবি নিয়ে. "চিনে" তোলপাড়

দুই শিশুর ছবি নিয়ে.  "চিনে" তোলপাড়

বাসের নিচে থাকা ক্যারিয়ারে ঝুলে ৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ফেলেছে চীনের দুই শিশু। ছবিটি 'পরিবার-বিচ্ছিন্ন' শিশুদের অবস্থা ও তাদের কল্যাণের বিষয়টি নিয়ে দেশটিতে তুমুল আলোড়ন তৈরি করেছে।

দেশটির সংবাদ মাধ্যমে ছেলে দুটির নাম উল্লেখ করা হয়নি, তবে তারা দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংশি প্রদেশের দরিদ্র একটি গ্রামের ছেলে। তাদের বাবা-মা কাজ করেন প্রতিবেশি গুয়াংডং প্রদেশে। বাবামায়ের সঙ্গে দেখা করতে ওই দুই শিশু এভাবে লুকিয়ে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

তাদের স্কুল শিক্ষক ২৩ নভেম্বর তারা নিখোঁজ বলে খবর দেন। ওই একই দিনে একটি বাস স্টেশনে বাসের নিচে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়।

ছবিতে দেখা যায় দুটি ছেলেরই সারা শরীর কাদা মাখা এবং তারা বাসের তলায় কিছু একটা ধরে ঝুলছে।  

'তারা বাবা-মায়ের সন্ধানে বেরিয়েছিল'
সার্দান মর্নিং পোস্ট পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ছেলে দুটির বয়স 'আট বা নয়'। পথে বাসটি একটি স্টেশনে থামলে নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের খুঁজে পায়।

যাত্রাপথের পাঁচ কিলোমিটার পথ বাসটিকে খাড়া চড়াই বেয়ে উঠতে হয়েছিল।

কর্মীরা অবাক হয়ে গেছেন কীভাবে অক্ষত অবস্থায় ছেলে দুটি ওই পথটা পাড় হয়েছে।

'শিশু দুটি খুবই রোগা, কাজেই বাসের নিচটা তাদের লুকিয়ে থাকার জন্য খুবই উপযুক্ত জায়গা ছিল,' ওই পত্রিকাকে বলেন বাস কোম্পানির একজন কর্মচারী।

স্টাফরা জানায়, ছেলে দুটি তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে চায়নি। তবে সার্দান মর্নিং পোস্টকে একজন কর্মচারী বলেন, 'আমরা জানতে পেরেছি এই ছেলে দুটির তাদের বাবা-মার জন্য খুব মন খারাপ করছিল। তারা বাবা-মাকে খোঁজার বৃথা চেষ্টায় বাসের নিচে লুকিয়ে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। '

খবরে বলা হচ্ছে- তাদের আত্মীয়-স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে এবং ওইদিনই সন্ধ্যাবেলা আত্মীয়রা তাদের নিয়ে গেছে।

'হৃদয়বিদারক'


চীনের অনলাইন ব্যবহারকারীরা এই ঘটনায় স্তম্ভিত। জনপ্রিয় সিনা ওয়েবো সাইটে বিষয়টি নিয়ে কয়েক হাজার মানুষ আলোচনা করেছে। ছবিটি ব্যাপক শেয়ার হয়েছে এবং বহু মানুষ এই ঘটনাকে 'হৃদয়-বিদারক' বলে মন্তব্য করেছে।

'চীনের স্বপ্নভঙ্গ'

এই ঘটনার পর অনেকেই ''চীনা স্বপ্ন''-এর ধ্যানধারণা নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রূপ শুরু করেছে। ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ব্যক্তিগত ও জাতীয় আদর্শের যে ধ্যানধারণা তুলে ধরেছিলেন কম্যুনিস্ট তাকে জনপ্রিয় শ্লোগানে পরিণত করেছে। 
তার পরিকল্পনার মধ্যে একটি হল ২০২০ সালের মধ্যে দারিদ্র দূরীকরণ।

অনলাইনে একজন মন্তব্য করেছে: চীনের উত্থানের পেছনে রয়েছে অভিবাসী শ্রমিকদের শোষণ,'এই মন্তব্য ২০০টি লাইক পেয়েছে। 
আরেকজন লিখেছেন এই দুই শিশুর জন্য ''চীনের স্বপ্ন তিক্ততায় ভরা। '

'চীনের স্বপ্ন কি এই শিশুদের স্বার্থের কথা ভাবে না?' প্রশ্ন তুলেছেন তারা। -বিবিসি বাংলা

বিডি প্রতিদিন/২৯ নভেম্বর ২০১৭/  .https:?/Kobirajhat24.netদুই শিশুর ছবি নিয়ে তোলপাড়

 

ঢালিউডে আসছেন নায়ক মান্নার ছেলে

ঢালিউডে আসছেন নায়ক মান্নার ছেলে

ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা মান্নার ছেলে এবার নায়ক হিসেবে সবার সামনে আসছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারি থেকে ছবির শ্যুটিং শুরু হবে।

ছবিটি নির্মাণ করবেন মালেক আফসারী।

কৃতাঞ্জলি কথাচিত্রের ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করবেন মান্নার স্ত্রী শেলী। আফসারী বলেন, আমার 'এই ঘর এই সংসার' ছবির প্লট অনুসারে ছবিটি নির্মাণ করা হবে। এটা রিমেক হবে বলতে পারেন।

মান্নার ছেলে সিয়াম বর্তমানে পড়াশোনার জন্য বিদেশে অবস্থান করছেন। জানুয়ারিতে ফেরার কথা রয়েছে তার। আফসারী বলেন, ছবিতে নায়কের চরিত্রে সিয়াম নিশ্চিত। নায়িকা হিসেবে একেবারেই নতুন কাউকে নেব। যে মেয়েটি ভ্রু প্লাগ পর্যন্ত করেনি, কখনো মেকাপ নেয়নি, তেমন কাউকে।

বিশ্বাস নাকি আত্মবিশ্বাস

বিশ্বাস নাকি আত্মবিশ্বাস
       বিশ্বাস নাকি আত্মবিশ্বাস
https://papry99.blogspot.com
========================
#গল্পটা সবাই পড়েন ........ ১ মিনিট লাগবে গল্পটি মিস করবেনা........
১টি ছেলে বিয়ে করার জন্য মেয়ে
দেখতে গেল।মেয়েটা তার ভাল
লাগলো। তারপর সবাই সবার সবকিছু খোজ
খবর নিলো।
তার ১৫ দিন পর ছেলেটার পক্ষ থেকে
মানুষ জন গিয়ে মেয়েটার হাতে আংটি
পড়িয়ে দেয় আর বিয়ের কথা পাকা করে
আসে।তারপরে তাদের মাঝে ফোনালাপ
চলতে থাকে।
তার ৩ দিন পর ফোনের আলাপ আলোচন :-
ছেলে:- আচ্ছা তুমি কি আরও পড়তে
চাও ???
মেয়ে :- হ্যা... কারণ আমার আশা ছিল
ডাঃ হবো।
ছেলে:- ডাঃ হলে তুমি খুশি হবে ???
মেয়ে :- হ্যা.. এটাই আমার সবচেয়ে বড়
চাওয়া খোদার কাছে। আর চাইলে কি সব
পারবো !!!
ছেলে:- কেনো ???
মেয়ে :- কারণ.. ১। আমার বিয়ে ঠিক হয়ে
গেছে.. ২। আমার বাবার এত টাকা নাই।
ছেলে:- আমার তো আছে। তোমাকে
আর কিছু দিতে পারি আর না পারি।তবে
তোমার আশাটা আমি পুরন করব !!! তুমি কি
পড়তে রাজি ???
মেয়ে :- হ্যা. কিন্তু বিয়ের আর মাএ ৯ দিন
বাকী..সেটার কি হবে ???
ছেলে:- এটা আমার উপর ছেড়ে দাও !!!
মেয়ে :- OK.
ছেলে তার ফেমিলির সবাইকে বুঝিয়ে
বলে, আর সবাই রাজি হল। মেয়ের লেখা
পড়ার জন্য সব খরচ ছেলেটা দিচ্ছে এবং
দেখা শুনা ঠিকমত ছিল কিন্তু কিছু দিন পর ।
মেয়ে :- আমার ১টা কথা রাখবে ???
ছেলে:- হ্যা. বল আমি কি করতে পারি ???
মেয়ে :- কিছু মনে করনা। আমার সাথে
আর দেখা করিওনা !!!
ছেলে:- কিন্তু কেনো ???
মেয়ে :- তোমাকে দেখলে নিজেকে
ধরে রাখতে পারিনা। ওদিকে আমার
পরীক্ষার ২ বছর বাকী। যদি,,ফেল করি
সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না। আর
তোমার টাকা ও কষ্ট বিথা যাবে।
ছেলে:- OK. কিন্তু ফোনে কথা বলবা
না ???
মেয়ে :- হ্যা.
ছেলে:- ok.
২ বছর পর মেয়েটা পরীক্ষা দিল এবং পাশ
করল।সেই খুশিতে মেয়ের বাড়ীতে
মেহমান বরপুর।কিন্তু ছেলেটাকে বলল না
।কারণ এখন ঐ ছেলেকে স্বামী হিসেবে
সবার সামনে পরিচয় করাতে পারবে না
বলে ।তার ১৫ দিন পর মেয়েটা একটি
চেম্বার নিয়ে বসে।তখন জানতে পেরে
ছেলেটা তাকে ফোন করলে,মেয়েটা
ফোন কেটে দেয় এবং বন্ধ করে দেয়।
ছেলেটা তার বাড়ীতে যায় । আর মেয়ে
তাকে বলল,,,,,,আমাকে ক্ষমা করে দাও এবং
মনে কষ্ট নিওনা,, আমি তোমাকে বিয়ে
করতে পারবো না !!!
ছেলে:- কেন:???
মেয়ে :- কারণ তুমি আমার যোগ্য না এবং
লেখা পড়াও জানো না ।
ছেলে:- আমাদের ফেমিলি থেকে যে
সব ঠিক করা ???
মেয়ে :- ওটা আগে ছিল,,আমি এখন তা
মানতে পারবোনা ।
ছেলে:- দু চোখ ভরা কান্না নিয়ে বলল ।
OK. আমিতোমার জন্য দোয়া করি ভাল
থেকো,,,বলে চলে আসলো।
কিছু দিন পরে ছেলেটা অসুস্থ হয়ে পড়ে ।
আর ঐ দিকে মেয়েটা এক হাসপাতালের
বড় ডাঃ হয়।ছেলেটার অবস্থা খারাপ
দেখে ঐ হাসপাতালে নিয়েযায়।
ঐ খানে এক ডাঃ তাকে দেখে চিনে
ফেলে,,,,আর ওর ফেমিলির সবাইকে বকা
জকা করল। কারণ অনেক লেট করে
ফেলেছে। তখন মেয়েটা ঐ ডাঃ কে
বলল আপনি ওদের বকছেন কেন ??? তখন
ডাঃ বলল এই মানুষটা আজ থেকে প্রায় ৫
বছর আগে ওর বউয়ের ডাক্তারী পড়তে
টাকা লাগবে বলে ১টি কিডনী বিক্রি
করল। আমি নিষেধ করলে সে বলল আমার
বউ ডাঃ হলে আমাকে সে ভালো করে
দিবে,,,,,,,তা শুনে মেয়েটার চোখ থেকে
জল নেমে এল !!!
কি লাভ এখন কান্না করে,,আসলে সব
মেয়েরাই স্বার্থপর,,, তাদের স্বার্থের
জন্য তারা সব করতে পারে,,,
কষ্ট লাগে যখন পোস্ট গুলো পড়ে লাইক
বা কমেন্ড না করেন।তাই লাইক কমেন্ড
করেন পারলে শেয়ার করুন। শেয়ার না করলে লিখতে ভাল লাগেনা প্লিজ শেয়ার করো 
______________ সমাপ্ত !!

ভালোবাসার গল্পটি… papry99.blogspot.com

ভালোবাসার গল্পটি…

papry99.blogspot.com
গল্পটি পড়ে অনেকেই কেঁদেছেন। কি আছে সেই ভালোবাসার গল্পে? চলুন পাঠক পড়ে আসি সেই ভালোবাসার গল্পটি…
papry99.blogspot.com

কান্নায় ভরা এক দম্পতির- স্বপ্ন আঁকা ভালোবাসা: ভালোবাসা? এত প্রশ্ন কেন এই চার অক্ষরে। কি আছে এতে? কেউ জানেনা এর মানে। ভালোবাসার নৌকা চলে জীবনের উপর দিয়ে। নাকি জীবনের নৌকা চলে ভালবাসার উপর দিয়ে।

এত বোঝার প্রয়োজন হয়ে ওঠেনা। সে সময়ও নেই। শুধু এতটুকু বলা যায়, এই চলার পথে যে মাঝি আছেন তিনি শুধু বেয়ে যান নৌকা।

আর যিনি যাত্রী হয়ে বসে থাকেন নৌকায়, তিনি শুধু চেয়ে থাকেন অপলক দৃষ্টিতে। এভাবেই চলে জীবন আর চলছে ভালোবাসা।

সম্প্রতি ফেসবুকে এক ভালোবাসার দম্পতির গল্প ভাইরাল হয়েছে ছবিসহ। গল্পটি পড়ে অনেকেই কেঁদেছেন। কি আছে সেই ভালোবাসার গল্পে? চলুন পাঠক পড়ে আসি সেই ভালোবাসার গল্পটি। গল্পটি পড়ে আবার আপনিও কাঁদবেন না তো? ভাবুন একবার।

স্বপ্ন আঁকা ভালোবাসা

ওর সাথে পারিবারিক ভাবেই বিয়েটা হয়েছিলো।
বাসর রাতে ওর প্রথম প্রশ্ন ছিলো, কয়টা প্রেম করছেন?

আমি ওর মুখের দিকে অনেকক্ষন তাকিয়ে ছিলাম।
আবার বলেছিলো, কয়টা প্রেম করছেন?
আমি বলেছিলাম, একটাও না!
উওরটা শুনে অনেক খুশি হয়েছিলো। বলেছিলো, এখন থেকে শুধু আমাকেই
ভালোবাসবেন, অন্য কোন মেয়ের দিকে তাকালে মেরে ফেলবো!
ও আমাকে কতটা ভালোবাসে বুঝেছিলাম সেই দিন। যেদিন আমি ওর চাচাতো বোনের সাথে হেসে হেসে কথা কিছুক্ষন
বলছিলাম।
ও আমাকে জড়িয়ে ধরে সে কি কান্না!
আমাকে বলেছিলো, তোমাকে না বলেছি আর
কারো সাথে কথা বলবে
না। আমি মরে গেলে ইচ্ছেমত কথা বলো!
তখন আর নিষেধ করবো না!
ওর কাঁন্না দেখে আমি নিজেই কেঁদে ছিলাম।

ও আমাকে বলে ছিলো,আমি নাকি
বাবা হবো!
কথাটা শুনে যে কি খুশি
হয়ে ছিলাম বোঝাতে পারবো না!
ওকে কোলে করে সারা বাড়ি ঘুরে ছিলাম।ও আমাকে বলতো, রান্না করার সময় ওকে পিছন থেকে জড়িয়ে না থাকলে
নাকি ওর রান্না করতে ইচ্ছে করে না।
আমি ওর সব আবদার হাসি মুখে পূরণ করতাম।
বড্ড ভালোবাসতাম ওকে।
এখনো বাসি।

ও আমাকে বলে ছিলো, আমাকে জড়িয়ে ধরে না ঘুমালে নাকি ওর ঘুমই আসে না!
সারারাত জড়িয়ে ধরে থাকতো।
তাই কোথাও রাতে থাকতাম না। যত রাতই
হোক, বাসায় আসতাম!
ও যখন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তখন আমাকে বলে ছিলো, আমাকে ছাড়া তোমার কেমন লাগবে গো?
আমি ওর কথা উওর দিতে পারি নি, শুধু কেঁদে ছিলাম!
ও আমাকে প্রায় বলতো,আমার যদি কিছু
হয়ে যায় তুমি আবার আরেকটা বিয়ে করো না যেন!
মরে গিয়েও তোমাকে অন্য কারও হতে দিবো না!
আমাকে ভুলে যেও না।
ওর কথা শুনে কাঁদতাম।
ঘুমানোর সময় আমাকে বলতো, আমাকে ছাড়া ঘুমানোর চেষ্টা করো?
বলা তো যায় না……….
আমি ওকে আরও জড়িয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতাম!

এক দিন ওর ব্যথা উঠলো! সাথে সাথে ওকে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম।
ও আমাকে বলে ছিলো, আমার যদি
কিছু হয়ে যায় প্লিজ আমাকে ভুলে যেও না!
বড্ড ভালোবাসি তোমাকে।
কথাটা শুনে কান্না ধরে রাখতে পারি নি!
ওকে বলেছিলাম, কিছু
হবে না তোমার আমি তো আছি।
কিছু হতে দিবো না!
ও আমাকে বলেছিলো,
শেষ বারের মত একবার
বুকে নিবে?
কথাটা বলেই হাউ মাউ
করে কেঁদে দিয়ে ছিলো!
আমিও কান্না ধরে রাখতে পারি নি। ও আমাকে ছেড়ে দিতে চাইছিলো না, জড়িয়ে ধরে কাঁদছিলো!
আমিও কাঁদ ছিলাম!
সবাই হা করে তাকিয়ে ছিলো।

নিয়ে ছিলাম ওকে বুকে
কিন্তু এটাই যে শেষবার বুঝতে পারি নি। বুঝতে পারলে কখনোই ছেড়ে দিতাম না। ও আমাকে
বলছিলো, আমার সাথে তুমিও চলো। আমার খুব ভয় করছে!
ডাক্তারকে কত বার বলে ছিলাম,আমিও ওর পাশে থাকবো!
কিন্তু আমাকে যেতে দিলো না।

অপারেশন থিয়েটার থেকে একটা বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনলাম।
বাচ্চাকে পেলাম, কিন্তু ওকে আর পেলাম না!

পাগলের মতো ওর কাছে গেলাম, দেখলাম সাদা কাপড় দিয়ে ওকে ঢেকে রাখছে।
কাপড়টা সরাতেই অজ্ঞান হয়ে গিয়ে ছিলাম!
জ্ঞান ফিরার পর দেখলাম ওকে খাটলিতে শুইয়ে রেখেছে।
ওর কাছে গেলাম। বলে ছিলাম, এই কই যাও আমাকে ছেড়ে?
আমার রাতে ঘুম হয় না তোমাকে ছাড়া জানো না?
তোমাকে না জড়িয়ে ঘুমালে আমার ঘুম হয় না জানো না?
কেন চলে যাচ্ছো?
এই উঠো উঠো অনেক তো ঘুমালে, আর কত ঘুমাবে?
আমার কথা মনে পড়েনি?
এই তুমি না বলেছিলে আমার চোখের জল তুমি সহ্য করতে পারো না!
এই দেখো আমি কাদছি, এই উঠো,আরে উঠো না!
প্লিজ উঠো!
ও শুনলোই না আমার কথা ঘুমিয়ে থাকলো!

ওকে যখন নিয়ে যাচ্ছিলো আমি পাগলের মত আচরন করছিলাম।
তবুও উঠলো না!
চলে গেলো।
ও আমাকে বলতো যে দিন হারিয়ে যাবো সেই দিন বোঝবে কতটা ভালোবাসি
তোমাকে!
চলে গেলো, হারিয়ে গেলো!

১০ বছর ধরে তার স্মৃতি বুকে নিয়ে বেঁচে আছি।
ছোট্ট মেয়ে বুঝতে শিখেছে। আমাকে বলে
আব্বু আম্মুর জন্য আর কেঁদো না। তোমাকে
আর কাঁদতে দিবো না!
বলে চোখের পানি মুছে দেয়। আবার চোখ জলে ভরে উঠে, আবার মুছে দেয়।

এরপর আর কিছুই বলার থাকেনা। শুধু বলা যায় তাদের ভালোবাসার নৌকা বয়ে চলুক অনবরত। আর পাঠকের উদ্দেশ্যে বলে রাখি- যারা ভালবাসার মানে খুঁজে পাচ্ছেন না, তারা রাত্রীর স্নান করা ভোরের শিশির ভেজা ঘাসে হাত বুলিয়ে নিয়েন। আশা করি বুঝে যাবেন।



ফুল শয্যা

ফুল শয্যা
গল্প:- ফুলশয্যা

Writter_By:- Alamgir Rahman
 
বন্ধুদের খোচা খেতে খেতে বাসর ঘরে বীর পুরুষের মত প্রবেশ করেই ফেললাম। প্রবেশ করার পূর্বে হার্টবিট কিছুটা কম থাকলেও,প্রবেশ করার পর ইহা চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে লাগল। লাজুক ছেলেটি একটা অপরিচিত মেয়ের সাথে থাকবে, মেয়েটার কি তাকে পছন্দ হবে? মেয়েটি কি তাকে স্বাভাবিক ভাবে নিবে! ভাবতে ভাবতে কপাল থেকে ঘাম ঝড়তে শুরু করল। এত ভয় পাওয়ার কি আছে, তার সাথে তো সারাজীবন থাকতে হবে, ভয় পাওয়ার কিছু হয়নি কাব্য, নিজেকে নিজে সাহস যুগাতে শুরু করলাম। এই সন্ধিক্ষনে অসহায় ছেলেটিকে সাহায্য করার মতও কেউ নাই। মেয়েটির মনেও কি তাই চলছে? চলবেই বা না কেন, সেও তো একটা অপরিচিত ছেলের সাথে থাকবে, তারও নিশ্চই হার্টবিট বাড়ছে। নিজেকে শক্ত করলাম। একটু এগিয়ে গেলাম তার কাছে। সে চুপটি করে বসে আছে। তার ঘোমটা খানা তুলিয়া তাহার মুখখানা দেখিবার জন্য নিজেকে শক্তভাবে প্রস্তুত করলাম। কিন্তু বেচারা হাত কিছুতেই তাহার ঘোমটা ধরিবার সাহস পাইতেছে না। মেয়েটি বুঝতে পারিল, আমি ভীষন ভাবে লজ্জ্বিত, তাই নিজেই ঘোমটা তুলিল। তার চন্দ্রমুখ টা দেখে আমি অবাক দৃষ্টিতে থমকে গেলাম। হরিনী চোখ আর মেঘ বর্ন চুল আমাকে ভাষাহীন করে দিয়েছে।

–এই যে মিস্টার,কি দেখছেন এত করে হুম?
— ইয়ে মানে, না কিছু না। থতমত হয়ে তার কাছ থেকে কিছুটা দুরে গিয়ে টেবিলে রাখা পানিটা পান করলাম। বুঝতে পারছি মেয়েটি মুচকি মুচকি হাসতেছে। এবার একটু সাহস পেলাম। মেয়ের নিশ্চই আমাকে কিছুটা পছন্দ হয়েছে। তার কাছে আবার গেলাম।
— আচ্ছা তোমার নাম তো মিষ্টি।
— মানে কি!! বিয়ে করছেন, অথচ নাম জানেন না। — না মানে ইয়ে।
— এত মানে মানে করবেন না তো।
- বুঝতে পারলাম বালিকার সাহস আমার থেকে অনেকটা বেশি।
–আচ্ছা মিষ্টি একটা কথা বলি?
–হুম।
— আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি? আমার প্রস্তাব শোনে সে মুচকি হাসিতে লাগিল, নব বধু না হলে মনে হচ্ছে অট্টহাসিই দিতো। বাসর ঘরে বৌকে বন্ধুর প্রস্তাব দেয়াতেই মনে হয় এমন হাসি। মাথা নেড়ে মুচকি হাসিতে উত্তর দিল, হুম হতে পারি |
— একটা অপরিচিত মেয়ের সাথে শারিরীক সম্পর্ক করাটা আমার মনে বাধা দিল। তাই তাকে বন্ধুত্ব করার প্রস্তাবটা দিয়েছিলাম। একে অপরকে ভাল করে বুঝা, দুজনকে দুজন জানা। একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলা যা আমার প্রতিদিনেরর স্বপ্ন ছিল। স্বামী স্ত্রী সবচেয়ে ভাল বন্ধু হতে পারে। যখন দুজন মনের খুব কাছাকাছি থাকতে পারব, তখন শরীর এমনিতে কাছে আসবে।
— ছাদে যাবেন এখন? কি সুন্দর পুর্নিমা! (আমি)
 — হুম।
— আচ্ছা আজকে সারা রাতটা চলেন গল্প করে কাটাই। আমার এমন আবদার শোনে খুব খুশি হলো।দুজন ছাদে গেলাম। চাঁদের আলোতে মিষ্টিকে  স্বর্গের অপ্সরী লাগছিল।
— আচ্ছা মিষ্টি পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্ক কোনগুলা? ভালবাসা কোনগুলা। মিষ্টি চাঁদটার দিকে তাকিয়ে উত্তরটা দিলো,
— প্রথম যখন আপনাদের বাসায় পা দিলাম, তখন আপনার মা আমাকে শক্ত করে বুকে জড়িয়ে ধরছিলেন, আমার মনে হলো আমি আমার মাকে পেয়ে গেছি, সেটা হচ্ছে সুন্দর সম্পর্ক, আমাকে আপনার মায়ের নিজের মেয়ে মনে করা, আর আমি আপনার মাকে আমার শ্বাশুরী নয়, নিজের মা মনে করা। আপনার বাবা যখন বলেছিলেন, আমার কোন মেয়ে নেই, এখন একটা লক্ষ্মী মেয়ে আমি পেয়ে গেছি, সেটা হচ্ছে ভালবাসা। অর্নির কথা শুনে আমি চুপ হয়ে গেলাম। নিজেকে সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ছেলে মনে হচ্ছে। যে আমার কথা না বলে আমার পরিবার, আমার মা বাবাকে নিয়া প্রথমেই ভাবে, সেই মেয়ের মত আমাকে কেউ ভালবাসতে পারবেনা। একটু অভিমানের নাটক করে বললাম,
 — আমি কিছুই না বুঝি?? হুহ!!!
 –এই যে আপনি এই রাতে একটা মেয়েকে পেয়েও তার শরীরকে না ভালবেসে তার কাছে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, একটা সুন্দর রাত উপহার দিচ্ছেন, আমার জীবনের সেরা রাতটি উপহার দিচ্ছেন। সেটা হচ্ছে একটা মেয়েকে সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ। যা প্রতিটা মেয়েই তার স্বামীর কাছ থেকে আশা করে। 

মিস্টি মুখে স্বামী শব্দটি শোনে লজ্জ্বায় লাল হয়ে গেলাম। মিষ্টি আমার হাতটি ধরে ফেলল, 
— এই যে লাজুক ছেলে, এত ভয় পাচ্ছেন কেন? আমার আরেকটা জিনিষ চাই, সেটা পারবেন তো দিতে? 
— হুম পারব।
— একটা রাজকন্যা গিফট করতে পারবে? আমি সেদিন লজ্জ্বাকন্ঠে বলেছিলাম,
— শুধু ভালবাসতে হবে, আমি তোমায় পৃথিবীর সব সুখ দিয়ে দিব,,,,,,,,,,,।   💗💗💗

✍ প্রতিটি স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক এইরকম মধুর হোক 😊
Copy post

কলকাতার বিভিন্ন সড়কে জিয়াউরের ছবি

কলকাতার বিভিন্ন সড়কে জিয়াউরের ছবি
ব্রিটিশ ভারতে সবচেয়ে অভিজাত ও জগত্খ্যাত বিদ্যাপীঠ হেয়ার স্কুল তাদের প্রতিষ্ঠার দুইশত বার্ষিকী উদযাপনের প্রাক্কালে স্কুলের বিখ্যাত প্রাক্তন ছাত্রদের আলোকচিত্রের ফেস্টুন, ব্যানারে সাজিয়ে তুলেছে মহানগরী কলকাতাকে। সেখানে মিত্র, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, রমেশ চন্দ্র দত্ত, রামতনু লাহিড়ীসহ মহাকীর্তিমানদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম জিয়াউর রহমানের ছবি।বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম জিয়াউর রহমানের ছবি

তার আলোকচিত্র এখন শোভা পাচ্ছে কলেজ স্ট্রিট, বিদ্যাসাগর স্ট্রিট, বউবাজার, পিয়ারী সরকার স্ট্রিট, প্রেসিডেন্সি কলেজ স্কয়ার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মোহনায়। মূলত স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন ‘হেয়ার স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন’ তাদের স্কুলের স্বনামধন্য প্রাক্তন ছাত্রদের নিয়ে নানা আয়োজন রেখেছে। খোলা হয়েছে-(http://www.hareschoolalumni.com/alumni.php) নামের একটি ওয়েব পেজ। সেই ওয়েব পেজে বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর পাশে রাখা হয়েছে জিয়াউর রহমানকে। একই সঙ্গে হেয়ার স্কুলের উইকিপিডিয়াতে জিয়াউর  রহমানসহ প্রখ্যাত প্রাক্তন ১৬ জন ছাত্রের নাম ও তাদের অবদান উল্লেখ করা হয়েছে। জানা যায়, স্কটিশ ঘড়ি ব্যবসায়ী ডেভিড হেয়ার ১৮১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তার নামে হেয়ার স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার বাগবাড়ীতে জিয়াউর রহমানের জন্ম। জিয়াউর রহমানের পিতা মনসুর রহমান কলকাতার এক সরকারি দফতরে রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জিয়াউর রহমান শৈশবে কিছুকাল বগুড়ার গ্রামাঞ্চলে এবং কিছুকাল কলকাতায় অতিবাহিত করেন।


সর্বাধিক পঠিত

জিয়াউর রহমানের স্কুলজীবন শুরু হয় কলকাতায় ‘হেয়ার স্কুলে’। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর তার পিতা করাচিতে বদলি হলে জিয়াউর রহমান কলকাতার হেয়ার স্কুল ছেড়ে করাচির একাডেমি স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫২ সালে তিনি দ্বিতীয় বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন করাচিতে ‘করাচি একাডেমি স্কুল’ (বর্তমানে তাইয়েব আলী আলভী একাডেমি) থেকে। ম্যাট্রিক পাসের পর তিনি ভর্তি হন করাচির ‘ডি জে কলেজে’। ১৯৫৩ সালে ‘পাকিস্তান সামরিক একাডেমিতে একজন অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। প্রসঙ্গত, জিয়াউর রহমানের নামে অনেক আগেই তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা শহরের প্রাণকেন্দ্রে ১.৮ কিমি দীর্ঘ একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরেও জিয়াউর রহমানের নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। সূত্র : কলকাতা হেয়ার স্কুল অ্যালামনাই ওয়েব পেজ।

এ জীবন শুধু তোমার জন্যে

এ জীবন শুধু তোমার জন্যে
আসা করি সবার মোন ছুঁয়ে জাবে........

..... গল্পের নাম :.. এই জীবন শুধুই তোমার...... 

ছেলে : আজ রাতে ১১.৩০ এই সময় একবার 
আসতে পারবে আমি তোমার সাথে একবার দেখা করতে চাই ?
মেয়ে : কালকে আমার বিয়ে আর তুমি আজ ডাকছো
বাড়ির লোকজন জানতে পারলে 
খারাপ মনে করবে ।
ছেলে : না মানে জীবনে শেষ বারের মতো 
তোমাকে একবার দেখতে চাই । 
আর তো তোমাকে দেখতে পাবো না তাই একবার প্লীজ
মেয়ে : আচ্ছা যাবো ।
ছেলে : আমাদের সেই পুরানো দেখা করার 
জায়গাটাতে ।

মেয়ে : ঠিক আছে ।

মেয়েটা ঠিক সময়ে পৌছে। গেল
দেখল ছেলেটা একটা কেক
নিয়ে আর একটা মোমবাতি
জালিয়ে
চাঁদের আলোয় বসে আছে ।
মেয়েটা এসে ছেলেটার পাশে
বসলো ।
মেয়ে : আমার জন্মদিন তুমি এখনও মনে রেখেছো 
আর তুমি আমাকে এখনো ভালোবাসো !
ছেলে : মরার আগে পর্যন্ত ভালো বাসবো । কারণ 
ভুলে যাওয়ার জন্যে তো আমি তোমায় ভালোবাসিনি
মেয়েটা এই কথাটা শুনার পরে হু হু করে কেঁদে উঠলো ছেলেটার হাতটা ধরলো ।

ছেলে : এই নাও কেকটা কাটো
মেয়েটা ছুরিটা তুলে কেকটা কাটলো ।
এক টুকরো ছেলেটাকে খাইয়ে দিল 
আর এক টুকরো ছেলেটা
মেয়েটাকে খাইয়ে দিল ।
ছেলে : চোখে অস্রু আর কান্না কান্না কন্ঠে বললো 
দেখো তুমি না অনেক সুখি থাকবে !
তোমার বর তোমাকে অনেক সুখে রাখবে!
মেয়ে : তোমার কি মনে হয় তোমাকে ছাড়া আমি সুখে থাকতে পারবে  ।
কিছুক্ষন চুপ থাকার পরে!

ছেলে : তুমি আমায় ভুলে যেও প্লিজ ।

মেয়ে : এটা হতে পারে না আচ্ছা আমরা কি এখনি পালিয়ে বিয়ে
করতে পারিনা ।

ছেলে : না , তাতে শুধু হয়তো আমরা সুখে থাকবো
কিন্তু তোমার আর আমার বাবা মা কিন্তু 
খুব কষ্ট পাবে ।
 ছেলে: আর তোমার বাবা 
তোমার উপরে অনেক ভরসা করে বলেছে 
পাত্র পক্ষকে যে তার মেয়ে তার কথার উপরে 
কথা বলবে না । আর এটাই তোমার বাবার বিশ্বাস 
তোমার উপরে । আর সে বিশ্বাস তুমি কি করে
ভাঙবে ।
মেয়ে :কেঁদে কেঁদে বললো 
কেনো বাবা মা গুলো এমন হয় । তাদের কি 
একটি বারও মনে হয়না তাদের সন্তানদের ও
একটি স্বাধীনতা আছে ।

ছেলে : বাবা মা আমাদের জন্ম দিয়েছে কত কষ্টের পরেও করে আপনাদের  লালন পালন করেছে । আজ আমাদের এত বড়ো করেছে তাই
তাদের ভরসাটা আমাদের উপরে একটু বেশীই!!

মেয়ে : I Love you .
ছেলে : I Love you too.
ছেলেটি মেয়েটির কপালে শেষ চুমু দিয়ে মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি
ফিরে গেল।

ছেলেটি ওখানেই বসে রইল ।
......
....
পরের দিন সকালে দেখা গেল মেয়েটা তার ঘরে 
বিষ খেয়ে  আত্মহত্যা করেছে ।
আর ওদিকে ছেলেটা ওখানে ছুরি দিয়ে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করেছে ।

 ভালোবাসা সত্যিই অবুঝ.....

আর সেই অবুঝ ভালোবাসা ঠিকই একদিন প্রকাশ 
পায় কিন্তু তখন । সন্তানকে নিয়ে গর্ব করা 
বাবা মায়ের কিছুই করার থাকে না ।

প্রিয় বাবা মা তোমাদের উপরে রাগ নয় । 
নয় কোনো অভিযোগ 
বরং তোমাদের উপরে রইল অজস্র সন্মান 
আর ভালোবাসা ।

কেমন লাগলো গল্পটা জানাবেন প্লিজ......................
#আলমগীর-রাহমান 

ফেসবুকে প্রেম

ফেসবুকে প্রেম
ফেইসবুকে প্রেম,,,সজিব,, ওও জেরিন,,,
সজীব এর ফেসবুকে
জেরিন নামেই একটা
মেয়ের সাথে সম্পর্ক
হয়! তার প্রতিদিন
ফেসবুকে এসে
ভালবাসার কথা বলে!
একজন আর একজন
ফেসবুকে না পেলে খুব
কষ্ট পায়!.
 
তাদের মাঝে ভাল লাগা
শুরু হয়! হয়ত এই
ভাললাগা থেকেই
তাদের ভালবাসা শুরু
হয়! তারা ভালবাসা
জড়িয়ে পড়ে!.
.
সেদিন রাত ৩টা
পযর্ন্ত তারা ফেসবুকে ছিলো!.
.সজীব তোমায় খুব MISS
করছি গো! একা একা
ভালো লাগছে না!.
.
জেরিন আমারও একা
একা ভালো লাগছে না!
শুধু তোমায় কাছে পেতে
ইচ্ছে করছে! চলে
এসো না জান.
.
সজীব ঃ আর বেশী দিন নেই
জান! খুব তারাতারী
তোমায় কাছে পেতে
ব্যবস্থা করছি!.
.
আরো কত কি হলো
তাদের মাঝে!.
.
ভালবাসার ২ বছর
কেটে গেল! তাদের
ভালবাসার আরো
গভীর হতে লাগল.
.
এরি মাঝে একদিন
জেরিনের বাবা জেরিনের
বিয়ে ঠিক করে ফেলে!
সেই কথা জেরিনের বাবা জেরিন কে
জানায়,,
.
জেরিন,, তার বাবার
কথা না করতে পারলো
না! শুধু সারারাত ধরে কাঁদছে! কাঁদা ছাড়া
আর কিছুই নেই হয়ত!.
.সজীব কে ফোনে দেখা
করার জন্য বলল! .
.
এদিকে সজীব ও কি যেন
বলবে জেরিন কে.
.
দুজনে দেখা করলো!
তাদের দুজনের মুখে
কোন কথা নেই শুধু
চোখের পানিতে বন্যা
বয়ে যাচ্ছে! {কারন
সজীব এর ও বিয়ে ঠিক
করেছে তার বাবা}.
.
এত কষ্ট কেন
ভালবাসায়,,, সজীব ?,,
,,,
,,,, রাবেয়া
,
,,,
সজীব এর বুকে মাথা রেখে কাদঁছে!
সজীব ও
কাঁদছে! .
.
এরি মাঝে দুজনে
বিদায় নিল.তাদের না বলা কথা শেষ না করেই
,,
.
এরি মাঝে দুজনের অজানা জায়গায় বিয়ে হয়ে গেলো
,,,
এদিকে,
! সজীব
বাসর রাতে গেল!
,,কিন্তু একি
গোমটা দেওয়া বউটা
তার জেরিনের কথা
বলল!
,,সজিব শুনে অবাক,,সে জেরিনের কথা জানে কিভাবে,,তবুও
,তখন সজিব বললো জেরিন কে
ছাড়া অন্য কাউ কে
সে
ভালবাসতে পারবেনা.
আর বউ,,,,,,
.
এই বলে ঘর থেকে বের
হয়ে যেতে লাগল সজীব
.
আরে আরে কোথাও
যাচ্ছো সজীব ! আমায়
একা করে.
সজীব :পিছু ফিরে
তাকাতেই দেখল
জেরিন বউ সেজে বসে
আছে!.
,,সজিব কিছু না বলেই
.
দৌড়ে গিয়ে
জেরিন কে জড়িয়ে
ধরে
আদর করতে লাগল!.
.
সজীব :-আমি যে
বিস্বাস করতে পারছি
না! জেরিন,,তুমি এখানে,,,,
তখন জেরিন কি যেনো তাকে এলোপাথাড়ি বুঝিয়ে বললো অনেক্ষন,,
তার পর সজিব বলবো সত্যি আমি বিশ্যাস করতে পারছিনা,,জেরিন যে তোমায় এতো কাছে পাবো,,.
.
জেরিন,,, আমিও তাই!
জেরিন,,,
আসো আমাদের এই
রাত কে আরো মধুর
রাতে করে কাটিয়ে
দেই সজীব
.
এই বলে জেরিন সজীব
কে একটা,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
দিলো!,,,,,,,,,,, প্রায় ১মিনিট
ধরে থাকল!,,,,, কিন্তু সজীব খুশিতে, চিত্কার করে উঠল!.
.
জেরিন,, আরে আরে
তুমি এমন করছো
কেন? লোকে শুনবে তো.
.
সজীব :আচ্ছা,,,,
আর চিল্লাবো না,,
,,এই বলে দুজনে সুখের,,সাগরে ডুপ দিলো,,,
-----তুমি,,,,খুশিতো জেরিন,,,,???
papry99.blogspot.com

%গান পাগলী%

%গান পাগলী%
♦গানপাগলী মেয়ে...♦
শাইখ হাম্মাদ একটা ঘটনার কথা বলেছেন। ঘটনাটি তার মহল্লার।তিনি বললেনঃ
.
-একদিন মসজিদে বসে আছি।ফজরের পরে একটা ছোট ছেলে এলো।আমাকে বললোঃ
.
-আমাদের বাসায় একটু যেতে পারবেন?আব্বু বলেছেন যদি আপনার কষ্ট না হয় তাহলে বাসায় আসতে।
.
-ঠিক আছে চলো।
বাসায় গেলাম।মসজিদের অদূরেই বাসাটা।দরজাতে ছেলের পিতা আমাকে স্বাগত জানালেন।ভিতরে গিয়ে বসলাম।বাবা বললেনঃ
.
-শাইখ!আমার মেয়েটা খুবই অসুস্ত।গতরাত থেকে কেমন যেন করছে।কয়েকবার বেহুঁশ হয়ে পড়েছে।মেয়ের মা বারবার তার কানের কাছে কালিমা পড়ছে কিন্তু মেয়ে কি যেন বলছে বুঝা যাচ্ছে না।
.
আমি সেখানে গেলাম।দেখলাম আপাদমস্তক আবৃত একটা মানুষ শুয়ে আছে।কাছে গিয়ে কালিমার তালকীন দিলামঃ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।
.
বেশ কয়েকবার বলার পরও মেয়েটার কাছ থেকে কোনও সাড়া পেলাম না।এভাবে কিছুক্ষণ যাওয়ার পর আমার মনে হলো,চাদরের ভেতর থেকে অস্পষ্ট একটা আওয়াজ আসছে।মেয়ের বাবাকে বললামঃ
.
-আপনি কান পেতে শুনার চেষ্টা করুন তো।বোঝা যায় কি না দেখুন।
বাবা মুখের কাছে কান নিয়ে গেলেন।অনেকবার চেষ্টায় তিনি উদ্ধার করতে পারলেন,মেয়ে বলছেঃ
.
-আমি কিছু বলতে পারছিনা।আহ!আমার বুকটা ফেটে যেতে চাইছে।বুকের ওপর ভীষণ চাপ অনুভব করছি।আহ!আমি দেখতে পাচ্ছি অদূরেই একটা প্রকাণ্ড অগ্নিকাণ্ড দাউদাউ করে জ্বলছে।
এসব বলতে বলতে মেয়েটার শেষ নিঃশ্বাস বেরিয়ে গেলো।আমি মেয়ের বাবাকে জিজ্ঞেস  করলামঃ
.
-মেয়েটার জীবন কিভাবে কাটতো?সে কী করতো?
.
-শাইখ!আমার মেয়েটা খুবই ভালো মেয়ে।পড়ালেখা,আচার-আচরণ সবদিক থেকে সে সেরা একটা মেয়ে।কিন্তু তার একটা সমস্যা আমরা বাবা-মা দুজনেই হাজার চেষ্টা করেও ছাড়াতে পারিনি।
.
-কী সেটা?
.
-সে দিনের বেশির ভাগ সময়ই কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতো।ওর নাকি গান না শুনলে ভালো লাগতো না।এমনকি ও পড়ার সময়ও কানে গানের হেডফোন লাগিয়ে রাখতো।এই গানের কারনে তার নামাজ-তিলাওয়াতেও অনেক সময় ঘাটতি হতো।এই একটা কাজই সে আমাদের বারণ ঠেলে করতো।
.
-আমার মনে হয়,এই পাপেই তার মুখে শেষ মুহূর্তে কালিমা নসিব হয়নি।
.
ইয়া আল্লাহ!
আমাদের সবাইকে হারাম গানের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিন।আমিন।

#শাইখ মুহাম্মদ আতীক উল্লাহ।

নিপা কলেজ এর খুব মেধাবি ছাত্রী এবং শিপন

নিপা কলেজ এর খুব মেধাবি ছাত্রী এবং শিপন
নিপা কলেজ এর খুব মেধাবি ছাত্রী
তার বাবার ও অনেক টাকা।
একে তো ভাল ছাত্রী আরও বড় লোক বাবার একমাত্র মেয়ে
তাই একটু অহংকারী টাইপ এর মেয়ে
আর এদিকে কলেজ এর আর একটা ছেলে শিপন নামের
নিপা কে ভালবাসত।
গরিব এর ছেলে বলে নিপা কে কখনো তার ভালবাসার কথা বলে নি।
কিন্তু নিপা কলেজ এর আর একটা ছেলের সাথে প্রেম করত
তবে ওই ছেলের চরিত্র এত ভাল না
আর এই কথা টা নিপার বান্ধবি রা অনেক বুঝানোরর পরেও নিপা বুঝত না।
আর শিপন তো পাগলের মত করে নিপা কে ভালবাসত
নিপা জানতো এই কথা।
কিন্তু শিপন গরিব বলে পাত্তা দিত না
শিপন একদিন সাহস করে কলেজ এর বারান্দায় একটা ফুল নিয়ে দাড়িয়ে রইল যে আজ যেভাবে হোক নিপা কে তার মনের কথা জানাবে।
আর নিপা কাছে আসতেই।।
শিপন: নিপা তোমাকে একটা কথা বলার ছিল।
নিপা: বল
শিপন: তোমাকে অনেক দিন আগ থেকেই আমি ভালবাসি
প্রথম দেখার পর থেকেই
কখন যে তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি আমি জানি না
আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি অনেক।
নিপা: রাগান্বিত হয়ে দেখো আমি অন্য কাও কে ভালবাসিনিপা কলেজ এর খুব মেধাবি ছাত্রী শিপন
 
আর তুমি আমাকে ভালবেসে দিতে পারবেই বা কি?
থাকো তো বস্তির মাঝে
আর ভালবাস আমাকে?
হাহাহা সত্ত্যি খুব হাসি পাচ্ছে
তোমার কথা শুনে।।।
শিপন: মন টা খারাপ করে নিচু স্বরে বলল দেখো নিপা
জানি আমি গরিব কিন্তু গরিব বলে কি আমার ভালবাসার অধিকার নেই?
আর তুমি আমাকে ভাল নাই বা বাসো
তবে তুমি যাকে ভালবাস সেই ছেলে টা ভাল না
তোমাকে কষ্ট দেবে
আর আমি চাই না কখনো তুমি কষ্ট পাও।
নিপা: আরও রেগে গিয়ে বলল আমার বেপারে তোকে না ভাবলেও চলবে।
শিপন এর হাত থেকে ফুল টা নিয়ে ছুরে ফেলে দিল

এরপর থেকে যখনি শিপন কে দেখত তখনি নিপা অপমান করত।
সবার সামনে অপমান করলেও শিপন কিছু বলত না উলটা বলত আমি যে তোমাকে খুব ভালবাসি
তাই তুমি আমাকে যতই অপমান কর একটুও কষ্ট হয় না।

সব সময় নিপার পিছে ঘুরত শিপন আর বলত পৃথিবীতে আমার চেয়ে বেশি তোমাকে কেও ভালবাসতে পারবে না। এটা আমি একদিন বুঝিয়ে দেব তোমায়।।
নিপা তখন বলল যে যদি আমাকে এতই ভালবাস তাহলে আমার সামনে কখনওই আসবি না তুই।

সেইদিন নিপার বয়ফ্রেন্ড শিপন কে কলেজ এর মাঠে অনেক মেরেছে
শিপন তার কোন প্রতিবাদ করে নি
কারন নিপা কষ্ট পাবে বলে।
পরে নিপা তার বাবা কে বলে শিপন কে কলেজ থেকে বার করিয়ে দেয়।

আর দেখা যায় নি শিপন কে সেইদিন এর পর।

কয়েক বছর কেটে গেল।
একদিন নিপা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
হসপিটাল এ admit হবার পর জানতে পারে যে নিপার দুই কিডনী ই নষ্ট হয়ে
গেছে।
তার বাবার তো টাকারর অভাব নাই।
সব জায়গা তেই খুজতেছে কিন্তু কোথাও পেল না।
নিপার তো হুশ নেই।
পরে আছে বিছানায়
আর এইদিকে ডাক্তার বলল তাড়াতাড়ি যদি কিডনী না দেয়া যায়
তাহলে নিপাকে বাচানো যাবে না।
অবশেষে কিডনী পাওয়া গেল।
অপারেশন এর পর নিপা সুস্থ হল
যখন নিপার হুশ আসতেই চারিদিকে দেখতে লাগল।
তার মা - বাবা সবাই কে দেখতে পেল কিন্তু তার ভালবাসার মানুষটি কে না দেখেই নিপার বুকে যেন কেপে উঠল।
তার ভালবাসার মানুষ টা তাকে বাচানোর। জন্যে কিডনী দিয়ে দিল বলে।
পাগলের মত হয়ে উঠে নিপা
ডাক্তার কে বলল
আমাকে কিডনী কে দিল?
তখন ডাক্তার নিপা কে নিয়ে গেল
সেই লাশ এর সামনে
নিপার শক্তি নাই লাশ এর মুখের থেকে সাদা কাফন টা সরানোর,,,,,
সাহস করে যখন কাফন টা সরালো
নিপা কান্নায় মাটিতে লুটে পড়ল।
কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলল নিপা।
কারন এই লাশ তো শিপন এর।
যাকে সে সারা জীবন শুধু অপমান করেছে। ক
এরপর ডাক্তার নিপা কে বলল আপনার ভালবাসার মানুষ টি আপনাকে একটি
বারের জন্যেও দেখতে আসে নি
আর শিপন এর দেয়া একটা
চিঠি দিল,,,,,,
চিঠি তে লিখা ছিল,,,,,,,,,

তুমি তো আমার মুখ কখনো দেখতে চাও নি।।।
জানো তুমি না বলেছিলা সত্যি যদি তোমা কে ভালবেসে থাকি তোমার সামনে যেন কখনো না আসি।
দেখলে তো কত টুকু ভালবাসি তোমায়
একটি বারের জন্যেও তোমার সামনে আসি নি।
জানো তোমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম আর সেই তুমি তো কখনো আমার ভালবাসা কে বুঝ নি,,
বলতে পারো কি করব এই জীবন দিয়ে যেই জীবনে তোমাকে পাব না.......
আর তাই তো চিরবিদায় নিলাম।
আর কখনো তোমার সামনে এসে বলব না
ভালবাসি তোমায়
অনেক বেশি ভালবাসি তোমায়।
আমার একটা শেষ ইচ্ছে পুরন করবে?
একটি বার এর জন্যে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধর না,,,,
চিঠি পড়া শেষ হতেই নিপা শিপন এর লাশ টা বুকে জরিয়ে কাঁদতে লাগল
আর বলতে লাগল......
শিপন আমাকে ছেড়ে কেন গেলে,,,,☺☺পোষ্টি ভালো লাগলে অবশ্যই আমার সাথে থাকুন😊😊 কষ্ট করে আমার পেজ টি তে লাইক দিন অনেক কষ্ট করে লেখছি আপনার একটা লাইক আমার কষ্ট শেষ হবার কারন👇👇
papry99.blogspot.com
প্লিজ লাইক না দিয়া যাবে না👏👏
 👉papry99.blogspot.com👈
👉papry99.blogspot.com👈
👉papry99.blogspot.com👈

হাজী রমিজউদ্দিন মেমোরিয়াল কিন্ডার গার্ডেন এন্ড স্কুল .

হাজী রমিজউদ্দিন মেমোরিয়াল কিন্ডার গার্ডেন এন্ড স্কুল .
হাজী রমিজউদ্দিন মেমোরিয়াল কিন্ডার গার্ডেন এন্ড স্কুল .
papry99.blogspot.com
=======================

হাজী রমিজউদ্দিন মেমোরিয়াল কিন্ডার গার্ডেন এন্ড স্কুল .
কবিরাজহাটে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান 


কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা পদ্ধতি
কবে, কীভাবে চালু হয়?

কিন্ডারগার্টেন এখনকার জনপ্রিয় শিক্ষা পদ্ধতি। 
প্রাইমারি পর্যায়ের এ প্রতিষ্ঠানে
হয় শিশুদের হাতেখড়ি। সরকারি প্রাইমারি
স্কুলে যেসব শিশু পড়ে না, তাদের
কাছে এটি বেশি জনপ্রিয়।
এ শিক্ষা পদ্ধতির পেছনে বড় ভূমিকা
রেখেছিল ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লব।
শিশুশ্রম এসময় বন্ধ হয়ে যায়। কারখানায়
কর্মরত শ্রমিকদের সন্তানের জন্য
স্কটল্যান্ডের ল্যানার্কে একটি স্কুল
প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮১৬ সালে। রবার্ট ওয়েন নামে এক ব্যক্তি ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা।
শিশুদের যথেষ্ট স্বাধীনতা দিয়ে
তাদের মানসিক বিকাশে গুরুত্বারোপ করা
হতো এ স্কুলে। ১৮৩৮ সালে
সুইজারল্যান্ডের পেস্টালোজা উন্নত
পদ্ধতিতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের
জন্য হোম অ্যান্ড কলোনিয়াল স্কুল
সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন।
পরে খেলার মাধ্যমে শিশুদের মানসিক
প্রশিক্ষণের জন্য জার্মানির এফ
ফোবেল ক্লাঙ্কেনবার্গে একটি স্কুল
খোলেন। তিনি এর নাম দেন
কিন্ডারগার্টেন। পরবর্তীতে এ শিক্ষা
পদ্ধতি বিশ্বের বহুদেশে চালু হয়।
papry99.blogspot.com





সুন্দর ইসলামী গল্প

সুন্দর ইসলামী গল্প
সুন্দর ইসলামী গল্প
****************
বিয়ের একমাস পর বৌ-শাশুড়ির কথোপকথন:
→বউমা, আমি ২৮টি বছরে যা পারিনি
তুমি এক মাসেই তা করে ফেলেছ।
→আম্মু,আপনি এ কী বলছেন!
→হ্যাঁ মা,, আমি এই ২৮টি বছরে ছেলেকে ফজর নামাজে অভ্যস্ত করতে পারিনি।
তুমি এক মাসেই পেরেছ!
→আম্মু, আপনি কি পাথর আর স্বর্ণের গল্পটা জানেন?
→না তো!
→কোন এক গ্রামে চলাচলের পথে একটি বড় পাথর প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াল। এক ব্যক্তি রাস্তা পরিস্কার করতে মনস্থ করল। সে একটি কুড়াল নিয়ে পাথরটি ভাঙার চেষ্টা করল। ৯৯টি আঘাত করে সে ক্লান্ত হয়ে গেল। তখনই সেখান দিয়ে এক পথিক যাচ্ছিল। লোকটি পথিকের সাহায্য চাইলো। পথিক কুড়াল নিয়ে আঘাত করতেই পাথরটি ভেঙে গেল এবং ভেতর থেকে স্বর্ণভর্তি একটি থলে বেরিয়ে এল।
-পথিক: যেহেতু পাথরটি আমার আঘাতে ভেঙেছে, তাই থলেটি আমার।
-আমাকেও কিছু দাও।আমিও যে ৯৯টি আঘাত করলাম।
পথিক রাজি হল না। দুজনে কাজীর কাছে গেল। সব শোনে কাজী মীমাংসা করলেন। স্বর্ণগুলোকে ১০০ভাগ করে ১ভাগ দিলেন পথিককে, বাকি ৯৯ভাগ লোকটিকে দিয়ে দিলেন এবং বললেন, "যদি তোমার ৯৯টি আঘাত না হত তাহলে এই পাথরটি ভাঙতোই না"।
-আম্মু,আপনি ২৮টি বছর পরিশ্রম করে সবকিছু প্রস্তুত করেছেন। আমি শুধু শেষ আঘাতটাই করেছি।
বউ-শাশুরীর সম্পর্কগুলো এরকম মধুর হলে কোন পরিবারেই অশান্তি থাকতো না।আল্লাহ সবাই কে বুঝার ক্ষমতা দান করুন আমিন

কিশোরী ও বুদ্ধিমতী মা

কিশোরী ও বুদ্ধিমতী মা
গল্প : 
“কিশোরী ও বুদ্ধিমতী মা” 
যেভাবে আপনার মেয়েকে পর্দার গুরুত্ব বুঝাবেন!
..........................................................

প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরপুর এক কিশোরী। নবম শ্রেণীতে পড়ে। পড়াশুনায় যেমন মেধাবী তেমনি দুষ্টুমিতেও কম যায়না। বাড়ির সবাইকে দুষ্টুমিতে মাতিয়ে রাখে। প্রাকৃতিক নিয়মেই হঠাৎ করে তার শারীরিক পরিবর্তন শুরু হতে লাগল। ঠিকরে বেরুতে লাগল সৌন্দর্য।
প্রতিদিন পায়ে হেঁটে স্কুলে যাওয়া-আসা করত। সাথে থাকত তার প্রতিবেশী কয়েকটি মেয়ে। একসাথে গল্প করতে করতে বাসায় ফিরত। প্রতিদিনের মত সে স্কুল থেকে ফিরছিল। কিন্তু আজ তার সাথে কেউ ছিলনা। রাস্তার পাশে এক ছেলে এসময় দাঁড়িয়ে থাকতো কিন্তু কিছু বলত না। আজ তাকে একা আসতে দেখে ছেলেটি তার কাছে এসে বলল – তুমি না অনেক সুন্দর! তোমাকে আমার অনেক ভাল লাগে। একথা বলে ছেলেটি দ্রুত চলে যায়। সুমাইয়া হঠাৎ একথা শুনে একটু থমকে দাড়ায়। কিছু বুঝতে পারেনা। একসময় সম্বিৎ ফিরে পেয়ে দ্রুত বাসায় ফিরে আসে। বাসায় ফিরে স্কুল ব্যাগ রেখে ড্রেস পরিবর্তন না করেই আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকে দেখতে লাগল।
সুমাইয়ার মা ব্যাপারটি লক্ষ্য করলেন। ভাবলেন মেয়েতো কখনও এরকম করেনা। তাই তিনি মেয়ের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন –
– মামনি, কি ব্যাপার ? কিছু হয়েছে ?
– আচ্ছা আম্মু, আমি কি দেখতে অনেক সুন্দর?
মেয়ের এ কথায় মা একটু থমকে গেলেন। ভাল করে মেয়ের দিকে তাকালেন। সত্যিই মেয়ে যে দিনে দিনে এত সুন্দর হয়ে উঠছে তা তো অত ভাল করে খেয়াল করা হয়নি।
– একথা কেন মামনি ?
– আজ স্কুল থেকে আসার পথে এক ছেলে আমাকে বলে আমি নাকি অনেক সুন্দর !
– ও আচ্ছা এই কথা !
– বলনা আম্মু !!
– হুম তুমিতো অনেক সুন্দর হয়ে যাচ্ছ দিনে দিনে !! আচ্ছা এখন তুমি তাড়াতাড়ি পোষাক পরিবর্তন কর আর গোছল করে ফ্রেস হয়ে খাওয়া দাওয়া করে রেষ্ট নাও। বিকালে তোমাকে নিয়ে মার্কেটে যাব। তোমার জন্য কিছু জামা কাপড় কিনব।
– আচ্ছা ঠিক আছে।
বিকেলে মার্কেট থেকে মেয়ের পছন্দমত থ্রী পিছ কিনে দিলেন। বাসায় এসে মেয়েকে নতুন জামা পরিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে দিলেন। আর মেয়েকে বললেন যাও তোমার আব্বুকে দেখিয়ে আস তোমাকে কেমন সুন্দর লাগছে। নতুন জামা পরে খুব খুশিমনে আব্বুর কাছে গিয়ে সালাম করল। আর বলল –
– আব্বু দেখতো আমাকে কেমন লাগছে ?
– সুবহানাল্লাহ ! তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে। এত সুন্দর করে তোমাকে কে সাজিয়ে দিল ?
– মামনি।
তার বাবা মানিব্যাগ থেকে দুটো পাঁচশত টাকার নোট বের বরে মেয়ের হাতে দিয়ে বললেন –
– পাঁচশত টাকা হল তোমার সালামী আর পাঁচশত টাকা হল তোমাকে এত সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়ার জন্য তোমার আম্মুকে আমার তরফ থেকে বকশীশ।
মেয়ে খুশি মনে টাকা নিয়ে আম্মুর কাছে গেল। আম্মুকে টাকা দিল। আম্মু মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খেলেন। তারপর পাশে বসিয়ে বললেন –
– তোমাকে যদি কেউ কিছু উপহার দেয় তাহলে তুমি সেটা কি কর ?
– যত্ন করে রেখে দিই।
– আচ্ছা, আল্লাহ তাআলা আমাদের মানুষকে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন। তোমাকে এত সৌন্দর্য দান করেছেন। এটা কি তোমাকে আল্লাহর তরফ থেকে দেয়া উপহার না ?
– হ্যাঁ 
– তাহলে এই উপহার যত্ন করে রাখা দরকার না ?
– হ্যাঁ অবশ্যই 
– বলতো কিভাবে যত্ন করে রাখবে ?
– কিভাবে আবার ! চেহারার যত্ন নিব, রোদে যাবনা, ধূলাবালি থেকে দূরে থাকব, স্নো ব্যবহার করব।
– হুম। আর কি করবে ?
– আর কি ?
– শোন মামনি, আল্লাহ তাআলা যেমন মানুষকে সৌন্দর্য দান করেছেন, ঠিক তেমনি সৌন্দর্য রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য ও কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন – 'আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই-এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।'
(সূরা আন-নূর:৩১)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন – 'হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বল, ‘তারা যেন তাদের জিলবাবের কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে দেয়, তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।'
(সূরা আহযাব-৫৯)
'যদি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে (পরপুরুষের সাথে) কোমল কন্ঠে কথা বলো না, তাহলে যার অন্তরে ব্যধি রয়েছে সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলবে।'
(সূরা আহযাব-৩২)
– এই যে, আল্লাহ তাআলা কতগুলো নির্দেশ দিয়েছেন এগুলো মেনে চলাকে বলা হয় পর্দা করা। আর প্রত্যেক মুসলিমের জন্য এগুলো অনুসরণীয়।
– তাহলে তো আমাকে পর্দা পালন করতেই হবে আম্মু?
– হুম, নিশ্চিন্ত জীবন যাপনের জন্য তোমাকে তা পালন করতেই হবে। তাতেই আসবে জীবনের সফলতা। 
– আম্মু, আজ থেকে আমি পর্দা করা শুরু করে দেব।
– আল্লাহ তাওফিক দান করুন।

বীরগঞ্জে এসএসসি ফরম পুরনে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিক্ষোভ

বীরগঞ্জে এসএসসি ফরম পুরনে অতিরিক্ত ফি আদায়ের
প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিক্ষোভ
বীরগঞ্জে এসএসসি ফরম পুরনে অতিরিক্ত ফি আদায়ের
প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিক্ষোভ
papry99.blogspot.com


॥ বীরগঞ্জে গত বৃহস্পতিবার এসএসসি ফরম পুরনে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের সনকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব ওবাইদুল হক সরকারী বিধি মালা ও শিক্ষা বোর্ডের প্রদত্ত পত্রের নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রতিটি শিক্ষার্থী’র কাছে অতিরিক্ত ১০০০/-দাবী করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে।

 

অনেক শিক্ষার্থী ও সচ্ছল অভিভাক অতিরিক্ত ফি দিয়ে ফরম পুরন করলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থীও অভিভাক ফরম পুরনে অংশ গ্রহন করতে পারছে না বা তাদের ফরম পুরনের সুযোগ দিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে নিরম্নপায় দরিদ্র শিক্ষার্থী ও অভিভাকের গত বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিবাদে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

 

সংবাদ পেয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক ওবাইদুল হকের সাথে সাক্ষাত করা হলে জানান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ ও সাধারন সম্পাদক বিপুল চন্দ্র রায়ের প্রদত্ত পত্রের নিদের্শ মোতাবেক অতিরিক্ত ১০০০/- টাকা আদায় করা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে জানান, ৯৪জন পরীক্ষার্থী মধ্যে ইতি মধ্যে ৩০জন শিক্ষার্থী ফরম পুরন করেছে।

 

শিক্ষার্থীদের কাছে অতিরিক্ত টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে কি না জনতে চাইলে তিনি জানান তা ভবিষতে দেখা যাবে। বিদ্যালয়ে সরকারী ও বেসরকারী ভাবে ফরম পুরনে টাকা আদায়ের স্বাক্ষরিত নিদের্শিত পত্র মোতাবেক আদায় করা হচ্ছে। আমি পত্রের নিদের্শের বাইরে কোন অতিরিক্ত টাকা আদায় করছি না।

 

শিক্ষার্থী অভিভাবক মন্মথ চন্দ্র রায়, আজগর আলী, এমদাদুল হক, জবায়দুল ইসলাম, ফজির উদ্দিন, আজিজার রহমান, আসগর আলী-২, মোস্তফা কামাল, মিজানুর রহমান, ইসরাইল হোসেন, মনিরুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, আবু সাইদ, মারু মিয়া, মোজাম্মেল হক ও হাকিমুল ইসলাম সহ

 

অর্ধশত শিক্ষার্থী অভিভাবক অতিরিক্ত টাকা ফিরিয়ে দেয়া ও  সরকার নিদের্শ মোতাবেক ফরম পুরনের দাবি জানান এবং সরকারী আইন অমান্যকারী প্রধান শিক্ষক ওবাইদুল হকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির জোর দাবি জানান।
https//:papry99.blogspot.com

প্রসঙ্গ : শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে তিনবার - এক কূটনীতিকের স্মৃতিচারন। https://papry99.blogspot.com

প্রসঙ্গ : শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে তিনবার - এক কূটনীতিকের স্মৃতিচারন।
https://papry99.blogspot.com
প্রসঙ্গ : শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে তিনবার - এক কূটনীতিকের স্মৃতিচারন।
https://papry99.blogspot.com
______________________________
 

শহীদ জিয়াউর রহমান যখন প্রেসিডেন্ট, তখন আমার পোস্টিং ছিল বিদেশে। প্রথমে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে, পরে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসে। বিদেশে থাকা অবস্থাতেই তার সাথে তিনবার সাক্ষাতের সৌভাগ্য আমার হয়। প্রথম সাক্ষাৎটি হয় ১৯৭৭ সালে, লন্ডলে। তিনি সেবার কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের সম্মেলনে যোগ দিতে লন্ডন এসেছিলেন। দ্বিতীয় সাক্ষাৎও লন্ডনে, ১৯৭৯ সালে, হাভানায় জোট নিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলনে যাওয়ার পথে লন্ডনে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতিকালে। শেষবার তার দেখা পাই ১৯৮০ সালে বেলগ্রেডে। যুগোস্লাভিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট টিটোর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে। https://papry99.blogspot.com

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ শুরুর পর শহীদ জিয়াউর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা শুধু বাংলাদেশীরা নয়, বরং বিশ্বের সব স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষই সর্বদা স্মরণ করবে। আমার স্মৃতিতে এখনো ভাস্বর হয়ে আছে সেসব মুহূর্তের কথা, যখন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র, নিরপরাধ ও বেসামরিক মানুষের ওপর নিষ্ঠুরভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি সেনারা আর গোটা জাতি অপেক্ষা করছিল যথোপযুক্ত নির্দেশনার। সেই দিশেহারা মুহূর্তে ইথারে ভেসে আসে মেজর জিয়ার কণ্ঠস্বর। 

চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর একটি রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার জিয়া সেদিন মুক্তিযোদ্ধাদের স্থাপিত একটি অস্থায়ী বেতারকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণা গোটা জাতিকে উজ্জীবিত করে। মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার চেতনায় তারা নতুনভাবে উদ্দীপ্ত হয়। মার্চের ঝোড়ো দিনগুলোতে আমি সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিসের (সিএসএস) মৌখিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম। কিন্তু ২৫ মার্চের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ দেখে এবং মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে আমি তাৎক্ষণিকভাবে মনস্থির করে ফেললাম, পাকিস্তান সরকারের চাকরি আমি কখনোই করব না, বরং মুক্তিযুদ্ধে চলে যাবো। তাতে যদি জীবনও যায় তো যাক।

প্রথম সান্নিধ্য : অনেক ঝুঁকি নিয়ে, বিপদ এড়িয়ে অবশেষে একদিন আমি পৌঁছে গেলাম মুজিবনগর। প্রবেশনার হিসেবে যোগ দিলাম প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র বিভাগে। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় সেখানেই নিয়োজিত ছিলাম। শহীদ জিয়া ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ‘জেড’ ফোর্সের কমান্ডিং অফিসার। কিন্তু এ সময় তার সাক্ষাৎ লাভের সুযোগ আমার হয়নি। তার সাথে আমার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয় ১৯৭৭ সালে লন্ডনে। সেবার তিনি কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের সম্মেলনে যোগ দিতে লন্ডনে এসেছিলেন। আমি ছিলাম লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব ও হেড অব চ্যানসারি। ওই সময় হাইকমিশনার ছিলেন এ এফ এম আবদুল ফাতেহ। এ ছাড়া ছিলেন আবুল আহসান (ডেপুটি হাইকমিশনার), ইনাম আহমেদ চৌধুরী (ইকনোমিক মিনিস্টার), মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (মিনিস্টার কনসুলার) ও এম আর ওসমানী (পলিটিক্যাল কাউন্সিলর)। https://papry99.blogspot.com

প্রেসিডেন্ট আসছেন তাই প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা নেয়া হলো। প্রেসিডেন্টের থাকার ব্যবস্থা হলো শেরাটন হোটেলে। হোটেলটি হাইকমিশনের কাছেই; ২৮ কুইন্স গেট, লন্ডন এসডাব্লিউ-৭ এলাকায়। প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গীদের মধ্যে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রফেসর শামস-উল হক, পররাষ্ট্র সচিব তোবারক হোসেন, প্রিন্সিপ্যাল স্টাফ অফিসার মেজর জেনালে নুরুল ইসলাম, ডাইরেক্টর জেনারেল এম মহসিন ও প্রাইভেট সেক্রেটারি কর্নেল অলি আহমদ।

প্রেসিডেন্ট ও তার সফরসঙ্গীরা এলেন বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে। এয়ারপোর্টে হাইকমিশনার তাকে অভ্যর্থনা জানালেন। সাথে আমরা হাইকমিশনের অন্যরা প্রায় সবাই ছিলাম। ব্রিটেনের ফরেইন অফিস, কমনওয়েলথ অফিস ও কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট থেকেও কর্মকর্তারা এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাতে।
সত্যি বলতে কী, প্রেসিডেন্টের আগমনের দিন গুনছিলাম আমি। ভাবছিলাম, প্রেসিডেন্টকে খুব কাছে থেকে দেখার বিরল একটি সুযোগ এটা। এয়ারপোর্ট অভ্যর্থনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমরা তাকে নিয়ে যাই অ্যালকক অ্যান্ড ব্রাউন ভিআইপি লাউঞ্জে। সেখানে চা-নাশতা পরিবেশন করা হয়। আমাদের সবাইকে প্রেসিডেন্টের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন হাইকমিশনার। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সামনাসামনি ওটাই আমার প্রথম দেখা। দেখলাম, তার পরনে ধূসর রঙের সুট, চোখে সেই চিরসেনা সানগ্লাস। শুরুতে প্রেসিডেন্ট ছিলেন খানিকটা রিজার্ভড। কিন্তু ওই দূরত্ব কাটতে সময় লাগল না। অল্পক্ষণের মধ্যেই খোলামেলা আলাপে পরিবেশ প্রাণবন্ত হয়ে উঠল। প্রেসিডেন্টের সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণে মুগ্ধ হলাম আমি। তিনি কথা বলছিলেন মৃদুস্বরে এবং আমাদের সম্মান রেখে ও সৌজন্যবোধের সাথে। দু-একটি বিরল ব্যতিক্রম বাদ দিলে এখন রাজনীতিকদের মধ্যে এমন আচরণ দেখাই যায় না। এয়ারপোর্ট থেকে আমরা প্রেসিডেন্ট ও তার সফরসঙ্গীদের হোটেলে পৌঁছে দিলাম। সেদিন সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট জিয়া ও তার সিনিয়র সফরসঙ্গীরা হাইকমিশন পরিদর্শনে এলেন। প্রেসিডেন্ট হাইকমিশনের সবার সাথেই কুশল বিনিময় করলেন, এমনকি সাধারণ কর্মচারীদের সাথেও। এ সময় সাংবাদিকদের সাথে ছিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জুও (এখন ইত্তেফাক সম্পাদক)। প্রেসিডেন্ট জিয়া তার (মঞ্জু) সাথে হাত মেলানোর সময় বললেন, ‘হাইকমিশনে কবে যোগ দিচ্ছেন?’

প্রেসিডেন্টের এ কথায় একটু যেন অপ্রতিভ হলেন মঞ্জু। কিন্তু মুহূর্ত মাত্র। তার পরই সবার কলহাস্যে সব ভেসে গেল। পরিবেশ আবার উচ্ছ্বল ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠল। প্রেসিডেন্ট জিয়া হাইকমিমনে বেশ কিছু সময় ছিলেন। এ সময় তিনি প্রত্যেককে তার সাথে কথা বলা ও মতবিনিময় করার সুযোগ দিয়েছিলেন। তিনি লন্ডনে বেশ ক’জন বাংলাদেশী তরুণ পেশাজীবীকেও সাক্ষাৎ দেন। তাদের দেশে ফিরে জাতি গঠনে আত্মনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন। তিনি তাদের কাছে তার সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কর্মসূচির কথা এবং একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য তুলে ধরেন। এ ব্যাপারে আরো কথা বলতে তিনি তাদের বলেন, যেন তারা তার দলের (বিএনপি) মহাসচিব প্রফেসর বি. চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ রাখেন। প্রেসিডেন্ট জিয়া এ সময় জানান যে, তিনি শিগগিরই বি. চৌধুরীকে লন্ডন পাঠাবেন।
কয়েক মাস পর নিউ ইয়র্ক যাওয়ার পথে লন্ডন আসেন বি. চৌধুরী। তিনি তরুণ বাংলাদেশী পেশাজীবীদের সাথে ফলোআপ ডিসকাশনে মিলিত হন। এ সময় তিনি তাদের কয়েকজনকে দেশে ফিরে বিএনপিতে যোগ দিতে রাজি করাতে সক্ষম হন। তাদের মধ্যে ছিলেন ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। প্রেসিডেন্ট জিয়ার ওই সফরকালে একটি ঘটনায় তার সাহস ও আত্মবিশ্বাস দেখে আমি অভিভূত হই। https://papry99.blogspot.com

একদিন দিনের কর্মসূচি শেষে প্রেসিডেন্টের গড়িবহর হোটেলে ফিরছিল। এ সময় তার নজরে আসে রাস্তার অপর পাড়ে প্ল্যাকার্ড হাতে একদল বাংলাদেশী স্লোগান দিচ্ছে। নিরাপত্তাতকর্মীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রেসিডেন্ট জিয়া তার গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন। হেঁটে চলে গেলেন বিক্ষোভকারীদের কাছে এবং তাদের সাথে কথা বলতে শুরু করলেন। তিনি তাদের কাছে বিক্ষোভের কারণ এবং তাদের সমস্যা সমাধানে তার কিছু করার আছে কিনা জানতে চাইলেন। তিনি তাদের কথা বলার জন্য হোটেলে আসারও আমন্ত্রণ জানালেন। প্রেসিডেন্ট জিয়া তাদের একেবারে সামনে চলে আসবেন, এমনটা কল্পনায়ও ছিল না বিক্ষোভকারীদের। প্রেসিডেন্টের সাহসী তৎপরতায় তারা হতভম্ব হয়ে গেল। প্রসঙ্গক্রমে আমি আরো একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করতে চাই। ঘটনাটি ব্রিটিশ রাজকীয় প্রটোকল নিয়ে। কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে আগত রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানদের সম্মানে বাকিংহাম প্রাসাদে ভোজসভার আয়োজন করেছিলেন রাণী। ড্রেস কোড : ফর্মাল। অর্থাৎ সবাইকে কালো সুট ও বো টাই পরে যেতে হবে। মেজর জেনারেল (তখন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল) মইনুল হোসেন চৌধুরী বিষয়টি জানালেন প্রেসিডেন্টকে। শোনামাত্র প্রেসিডেন্ট জিয়া ড্রেস কোডের বিষয়টি নাকচ করে দিলেন।

আমার এখনো মনে আছে, প্রেসিডেন্ট জিয়া স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, আমরা কমনওয়েলথে আছি স্বইচ্ছায়, বাধ্য হয়ে নয়। এই একটি মাত্র কথার মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়ার প্রখর জাতীয়তাবাদী মনোভাবটি পরিস্ফুট হয়ে উঠেছিল। ‘কী হয়’ ভেবে সবাই উদ্বিগ্ন ছিলাম। বিষয়টি ফরেইন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসকে জানিয়ে দেয়া হয়। এক দিন পর তারা আমাদের জানান যে, তারা আমাদের প্রেসিডেন্টের এ মনোভাবের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানেরা সাধারণ সুট বা জাতীয় পোশাক পরেই রাণীর ভোজসভায় আসতে পারবেন। আমরা সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। https://papry99.blogspot.com

দ্বিতীয় সান্নিধ্যে : ১৯৭৯ সালের শেষ দিকের কথা। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যাচ্ছিলেন কিউবার রাজধানী হাভানায়। পথে লন্ডনে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করবেন। ওই সময় ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে প্রলঙ্করী ঘূর্ণিঝড় (হারিকেন) এন্ড্রু আসি-আসি করছিল। ফলে প্রেসিডেন্টের সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি আর সংক্ষিপ্ত থাকল না, প্রলম্বিত হলো। সেবার তার সাথে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শামস-উল হক, পররাষ্ট্র সচিব এস এ এম এস কিবরিয়া (পরে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, এখন প্রয়াত), চিফ অফ প্রটোকল এম আর ওসমানী প্রমুখ। প্রেসিডেন্ট জিয়া ও তার সফরসঙ্গীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল হিথরো এয়ারপোর্টের কাছেই একটি হোটেলে, যাতে তারা খুব ভোরেই হাভানা রওনা হতে পারেন। কিন্তু আগেই বলেছি, বাদ সাধল ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের আবহাওয়া। তাদের যাত্রা বিলম্বিত হলো। 

এ অবস্থায় নবনিযুক্ত হাইকমিশনার এ আর এস দোহা (পরে এরশাদ সরকারের মন্ত্রী) প্রেসিডেন্টের সম্মানে ওই হোটেলেই এক নৈশভোজের আয়োজন করলেন। অন্যদের সাথে হাইকমিশনের সব অফিসারও নৈশভোজে আমন্ত্রিত ছিলেন। সেখানে প্রেসিডেন্ট জিয়াকে দেখলাম বেশ খোশমেজাজে। তিনি আমাদের সবার সাথে নানা বিষয়ে মতবিনিময় করলেন। আমাদের জানালেন বিভিন্ন সেক্টরে তার সরকার কী কী কর্মসূচি ও ব্যবস্থা নিয়েছে, বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পল্লী উন্নয়ন সেক্টরে। আমাদের তার সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক লক্ষ্য সন্বন্ধেও জানালেন। বললেন, তিনি চান দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরো জোরদার করে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে এবং এর মাধ্যমে গোটা অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে।
প্রেসিডেন্ট জিয়ার কথা শুনে নিজের দেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আমাদের আশাবাদ শতগুণ বেড়ে গেল। কথা বলার ফাঁকে প্রেসিডেন্ট হাসতে হাসতে কিবরিয়াকে দেখিয়ে বললেন, আপনাদের ফরেইন সেক্রেটারি চেইন স্মোকার ছিলেন। এখন ধূমপানই ছেড়ে দিয়েছেন। তাহলে দেখুন, কেউ সত্যি সত্যি চাইলে নিজের ও দেশের আলোর জন্য কাজ করতে পারেন। ভালো কিছু করার সিদ্ধান্ত নেয়া এবং কাজটা করাই আসল কথা। https://papry99.blogspot.com

প্রেসিডেন্টের যাত্রাবিরতিটি ছিল সংক্ষিপ্ত। কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত সময়টাকেও তিনি কাজে লাগাতে চাইলেন। সিদ্ধান্ত নিলেন, বিশ্রাম নয়, বরং এ সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে বৈঠক করবেন। এ সময় প্রেসিডেন্টের সাথে যারা বৈঠক করেন তাদের মধ্যে ছিলেন বার্মিংহামের তাজাম্মুল হক (পরে এরশাদের শাসনামলে প্যারিসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত), লন্ডনের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা: গিয়াসউদ্দিন মিয়া ও বেশ কিছু তরুণ বাংলাদেশী পেশাজীবী। একের পর এক বৈঠকে রাত গভীর হচ্ছিল। আমরা ভাবতে থাকলাম এই তো, এবারের মিটিংটা শেষ হলেই হলো। প্রেসিডেন্ট ঘুমাতে গেলেই আমরা বাসায় ফিরব, আগামীকাল ভোরে ভোরে চলে আসব। কিন্তু কিসের কী। মিটিং পর্ব যখন শেষ, লন্ডনে তখন ভোর ৩টা। আমরা ভাবলাম, এবার তো শেষ হলো। কিন্তু আমাদের সবাইকে চমকে দিয়ে প্রেসিডেন্ট ইচ্ছা প্রকাশ করলেন এবার তিনি হাইকমিশন পরিদর্শনে যাবেন। কী আর করা, আমরা দ্রুত একটি অ্যাডভান্স টিম পাঠালাম হাইকমিশনে, প্রেসিডেন্টের পরিদর্শনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে। হোটেল থেকে হাইকমিশন এক ঘণ্টার পথ। প্রেসিডেন্ট জিয়া ভোর ৪টায় হাইকমিশনে পৌঁছলেন, পরিদর্শন শেষে ভিজিটরস বুকে স্বাক্ষর দিলেন এবং ভোর ৬টায় হোটেলে ফিরে গেলেন। হোটেলে ফিরেই তিনি আমাদের আমন্ত্রণ জানালেন সকাল ৭টায় তার সাথে নাশতা করার। নাশতার টেবিলে প্রেসিডেন্ট জিয়াকে দেখে আমাদের বিস্ময়ের সীমা রইল না, কী তরতাজা। দীর্ঘ রাত জাগরণের ক্লান্তির চিহ্নমাত্র নেই তার চেহারায়। এদিকে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের আবহাওয়াও ধীরে ধীরে ভালো হয়ে আসছিল। ফলে ওই দিন দুপুরেই হাভানার উদ্দেশে লন্ডন ছাড়লেন প্রেসিডেন্ট জিয়া ও তার সফরসঙ্গীরা।

তৃতীয় সান্নিধ্যে : প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে আমার তৃতীয় ও শেষ দেখা ১৯৮০ সালের মে মাসে, বেলগ্রেডে। যুগোস্লাভিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট টিটোর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রেসিডেন্ট জিয়া বেলগ্রেড এসেছিলেন। আমাকে তখন লন্ডন থেকে বদলি করা হয়েছিল ইয়াঙ্গুনে। বেলগ্রেডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফখরুদ্দীন আহমদ ও তার মিসেস আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ইয়াঙ্গুনে যোগদানের আগে ক’টা দিন যেন আমি তাদের সাথে কাটাই। এখানে বলে রাকি, রাষ্ট্রদূত ফখরুদ্দীন ও তার মিসেসই ছিলেন আমাদের বিয়ের ঘটক। আমি ও আমার স্ত্রী জুয়েনাকে তারা অত্যন্ত স্নেহ করতেন। দু’জনের কেউই আর এ পৃথিবীতে নেই, কিন্তু আমাদের মনের গভীরে তারা আছেন। বেলগ্রেডে বাংলাদেশ দূতাবাসটি ছিল ছোট। রাষ্ট্রদূত ছাড়া ওখানে ছিলেন ফার্স্ট সেক্রেটারি কাজী নজরুল ইসলাম (মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিবনগরে আমরা একসাথে কাজ করেছি। ফলে তার সাথেও আমার সম্পর্ক ছিল গভীর)। কিন্তু মাত্র এই দু’জনের পক্ষে প্রেসিডেন্টের সফর সামাল দেয়া ছিল আসলেই কঠিন। প্রেসিডেন্ট জিয়ার বেলগ্রেড সফর যখন চূড়ান্ত হলো, রাষ্ট্রদূত ফখরুদ্দীন আহমদ আমাকে বললেন, পররাষ্ট্র সচিবের সাথে তার (ফখরুদ্দীন) আলাপ হয়েছে, প্রেসিডেন্টের সফরকালে আমি অফিসিয়ালি অন ডিউটিতে থাকব। এভাবে আমাকে ছুটি কাটানোর কথা ভুলে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়ার সফরের সাথে জড়িয়ে পড়তে হলো। https://papry99.blogspot.com

প্রেসিডেন্ট জিয়ার সফরটি ছিল চার দিনের। কিন্তু মার্শাল টিটোর শেষকৃত্য অনুষ্ঠান এবং একটি কী দু’টি সরকারি অনুষ্ঠান ছাড়া সফরটি ছিল ঢিলেঢালা। অন্যান্য বারের মতো সেবারও তার সফরসঙ্গী দলটি ছিল ছোট পররাষ্ট্রমন্ত্রী শামস-উল হক, চিফ অফ প্রটোকল খায়রুল আনাম, প্রেসিডেন্টের মিলিটারি সেক্রেটারি মেজর জেনারেল সাদেকুর রহমান চৌধুরী, কয়েকজন সাংবাদিক ও তার সিকিউরিটি টিম। লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত হওয়ার আগে বেলগ্রেডে রাষ্ট্রদূত ছিলেন এ আর এস দোহা। তাই তাকেও প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী দলে থাকতে বলা হয়েছিল। সেবারই প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে খুব কাছে থেকে দেখার এবং ভালোভাবে জানার সুযোগ পাই আমি। যে হোটেলে প্রেসিডেন্টের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল, সেটি ছিল ড্যানিয়ুব নদীর তীরে। তার রুমে বসেই নদীটির শোভা উপভোগ করা যেত। সেবার তার কাছে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অনেক ঘটনার কথা শুনি, যা আমার জীবনে একটা বড় অভিজ্ঞতা। তবে নিজেকে আমার সবচেয়ে ভাগ্যবান মনে হয় এ কারণে যে, জিয়াউর হরমানের নিজের মুখ থেকে তার স্বাধীনতা ঘোষণার বিষয়টি আমি শুনেছি।

ওই দিন সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্টের সম্মানে নিজের বাসভবনে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন রাষ্ট্রদূত ফখরুদ্দীন ও মিসেস ফখরুদ্দীন। সেই সন্ধ্যায় আমরা অন্য এক জিয়াউর রহমানকে দেখি যিনি প্রাণবন্ত, রসিক ও স্নেহময় একজন মানুষ। তিনি রাষ্ট্রদূতের পুরো বাড়িটি ঘুরলেন। গভীর আগ্রহ নিয়ে দেখলেন কিছু ডেকোরেটিভ আইটেম। বাংলাদেশের কয়েকজন বিখ্যাত শিল্পীর চিত্রকর্ম দেখে তার প্রশংসা করলেন। ভবিষ্যতের বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে মহিলাদের পূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেয়ার ব্যাপারে ভোজসভায় আগত মহিলাদের সাথে খোলামেলা আলাপ করলেন। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নারীদের অংশগ্রহণ এবং বাংলাদেশের মানুষের আর্থ - সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়ার প্রাগ্রসর দৃষ্টিভঙ্গি দেখে আমার স্ত্রী মুগ্ধ হলেন।

যুগোস্লাভ সরকারের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট, তার সফরসঙ্গী দল ও আমাদের সবাইকে কিছু টুরিস্ট স্পট দেখাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এক রেস্টুরেন্টে বসে আমরা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলাম। ওখান থেকেই দূরে পাহাড় ও নদী দেখা যাচ্ছিল। হঠাৎ আমরা প্রেসিডেন্টের গলা শুনতে পেলাম : এবার কিছু জোকস শোনা যাক। তিনি প্রত্যেককে কমপক্ষে একটি করে হলেও জোক বলতে বললেন। তার এ কথায় অনেকেই বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রফেসর শামস-উল হক মহাবিপাকে পড়ে গেলেন। তবে পরিস্থিতি সামাল দিলেন মি. দোহা। তিনি একের পর এক জোক বলে যেতে থাকলেন আর চার দিকে হাসির রোল পড়ে গেল। নাসিরউদ্দিন হোজ্জার গল্পগুলো শুনে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট জিয়া বেশ মজা পেলেন। মি. দোহা এমনিতেই প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, এবার তিনি চলে এলেন লাইমলাইটে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী শামস-উল হক পরে আমাদের বলেন, গত আড়াই বছরে তিনি প্রেসিডেন্টকে কাজ ছাড়া আর কিছু করতে দেখেননি। এই প্রথম প্রেসিডেন্টকে ছুটির মেজাজে দেখলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সে সময় কে জানত চট্টগ্রামে নিহত হওয়ার মাত্র এক বছর আগে এটাই ছিল তার শেষ কাজবিহীন অবকাশ যাপন!

লেখক : রফিক আহমেদ খান, সাবেক কূটনীতিক।

সুত্র : দৈনিক নয়া দিগন্ত, ২৯ মে, ২০১৫।

সংগ্রহ : https://papry99.blogspot.com