Blue whale গেইম কিভাবে মানুষের জীবন কেড়ে নেয়

Blue whale গেইম
কিভাবে মানুষের
জীবন কেড়ে নেয়

*******Blue whale গেইম
               কিভাবে মানুষের
                  জীবন কেড়ে নেয়*******



বর্তমানে অনলাইনে সবচেয়ে আতংকিত ও
চ্যালেঞ্জিং গেম হলো ব্লু হোয়েল (Blue whale)। এটিকে বলা যায় অনলাইন ভিত্তিক
সুইসাইড গেম । দিনের পর দিন এটি
মানুষের কাছে রহস্যময় হয়ে উঠছে ।
অনেকেই বুঝতে পারছে না যে এর রহস্যটি
আসলে কি? আবার অনেকের ধারনা এটি
আসলে একটি মিথ্যা ঘটনা যার কোন বাস্তবতা নেই।
আসলে ব্লু হোয়েল গেমটি অন্য সাধারণ
গেমের মত অনলাইন গেম যা ইন্টারনেট
কানেকশন ছাড়া খেলা যাবে না ।
গেমটিতে ৫০ টি লেভেল আছে। প্রতিটি
লেভেল চ্যালেঞ্জিং। গেমটি
প্লেয়ারকে সবগুলো লেভেল খেলতে বাধ্য
করে। প্রতিটি লেভেল সম্পুর্ন করার আগে
ও পরে গেমের টিম মেম্বাররা
প্লেয়ারদের সাথে যোগাযোগ করে এবং
একটি লেভেল সঠিকভাবে সম্পুর্ন করতে
পারলেই তাকে পরবর্তী লেভেল খেলার
সুযোগ করে দেওয়া হয়।
গেমটির প্রথম ১০টি লেভেল খুবই সহজ (বলা
হতে পারে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে,
একটি প্রিয় খাবার খেতে হবে বা একটি
হরর মুভি দেখতে হবে) যে কেউ সম্পূর্ন
করতে পারবে। কিন্তু লেভেল যতই বাড়তে
থাকে গেমটিও ততো বেশি ভংকর হতে
থাকে। এবং সর্বশেষ ৫০ নং লেভেলে
প্লেয়ার কে সুইসাইড করার চ্যালেঞ্জ
দেওয়া হয়। খুব কম মানুষই আছে যারা এর
থেকে বেঁচে ফিরতে পেরেছেন।
F57 নামে (ডেথ গ্রুপ নামেও
পরিচিত)একদল রাশিয়ান হ্যাকার ২০১৩
সালে প্রথম এই গেমেটি তৈরি
করেছিলেন। এরপর ২০১৫ সালে সর্বপ্রথম
vk.com (সোশ্যাল মিডিয়া)লিঙ্ক
শেয়ারের মাধ্যমে এই গেমেটি তুমুল
জনপ্রিয় হয়ে উঠে এবং অনেকেই গেমটি
ডাউনলোড করতে শুরু করে। গেমটি এমন এক
বিশেষ সিস্টেমে তৈরি করা হয়েছে যা
ইন্সটল করার পর আর কখনোই আনইন্সটল
করা যায় না। গেমটিতে জয়েন করার পর
তার সব ধরনের তথ্য (ip location সহ সকল
প্রকার পার্সনাল ইনফরমেশন) হ্যাক করা
হয়। তারপর তাকে বাধ্য করা হয় গেমটির
বিভিন্ন লেভেল খেলার জন্য।
গেমটি খেলার নিয়ম-কানুনঃ
https://mobile.facebook.com/alamgir.rahman.9847

https://papry99.blogspot.com/



#ট্যাটু চ্যালেঞ্জ
প্রথম ১০টি লেভেল সম্পন্ন হওয়ার পর
পরবর্তী ১০টি লেভেলে বিভিন্ন কৌশলে
প্লেয়ারদের ব্যাক্তিগত তথ্য হ্যাক করার
কাজ শুরু হয়। প্লেয়াররা নিজের অজান্তেই
আস্তে আস্তে সব তথ্য দিতে থাকে।
১৫টি লেভেলের পর প্লেয়ারকে একটি
নীল তিমির ছবি আঁকা শেখানো হয় এবং
কোন এক লেভেলে ব্লেড দিয়ে নিজের
হাত কেটে নীল তিমির ছবিটি আঁকতে বলা
হয়। এভাবেই শেষ হয় আরও দশটি লেভেল ।



#ড্রাগ চ্যালেঞ্জ
প্রথম ২০টি লেভেল শেষ হওয়ার পর ২১-৩০
লেভেলে কিছু কঠিন চ্যালেঞ্জে থাকে।
এই লেভেল-এর চ্যালেঞ্জগুলো কিছুটা
মস্তিস্ক নিয়ন্ত্রন করে করা হয়। যেমন,
বাড়ি থেকে টাকা চুড়ি করা, সারাদিন না
খয়ে থাকা, পরিবারের সাথে ঝগড়া করা
এবং প্রমান হিসেবে সেগুলোর একটি করে
ছবি আপলোড দেওয়া। ২৫ লেভেলের পর
প্লেয়ারকে বিভিন্ন ড্রাগ নেয়ার
চ্যালেঞ্জ দেয়া হয়।এবং এভাবে খুব
সুক্ষভাবে আস্তে আস্তে লেভেল ৩০ পর্যন্ত
এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।



#নগ্ন পোজ
৩০টি লেভেল সম্পুর্ন হলে ব্লু হোয়েল টিম
পরবর্তি লেভেল গুলো আনলক করতে চায়
না। এটা আসলে তাদের এক ধরনের কৌশল
তারা প্লেয়ার এর আগ্রহ ও ধৈর্য পরীক্ষা
করতে চায়। বাস্তবে ৩০ টি লেভেল সম্পন্ন
করার পর প্লেয়ার পরবর্তী চ্যালেঞ্জ
নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। আর ব্লু
হোয়েল টিম এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে
গেমের ৩১ নং লেভেল আনলক করে দিয়ে
বলে নগ্ন পোজে বেশকিছু ছবি তুলে
আপলোড করতে।
প্লেয়ার তখন ড্রাগের কারণে হোক গেম
খেলার নেশার কারনেই হোক সে নিজের
নগ্ন ছবি আপলোড দেয়। আর এর পরই গেমটি
প্লেয়ারকে পরবর্তী লেভেল গুলোতে বাধ্য
করে আরো অতি মাত্রার ড্রাগ নিতে বা
কারও সাথে সেক্স করে তার ছবি আপলোড
দিতে।
গেমটির ৪০ নং লেভেলএ বলা হয় যে
শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কমপক্ষে ২৫
থেকে ৩০ টা সুচ প্রবেশ করিয়ে তার একটি
ছবি আপলোড দিতে।
https://mobile.facebook.com/alamgir.rahman.9847

https://papry99.blogspot.com/



# ব্লাক মেইল লেভেল
৪০টি লেভেল সম্পন্ন হওয়ার পর ব্লু হোয়েল
টিম প্লেয়ারকে আরও বেশি চাপ প্রয়োগ
করতে থাকে এবং তাকে ব্লাক মেইল
করতে শুরু করে। তাকে সতর্ক করা হয় যে
প্লেয়ার যদি পরবর্তি চ্যালেঞ্জ গ্রহন না
করে তাহলে তার নিজের আপলোড করা
নগ্ন ছবি গুলো প্লেয়ারের ফেসবুকে পোষ্ট
করা হবে বা তার ড্রাগ নেয়ার সকল প্রমান
পুলিশকে দেওয়া হবে অথবা তার নিজের
সেক্স করার ছবি গুলো তার বাবা-মায়ের
কাছে প্রকাশ করা হবে। এর ফলে প্লেয়ার
আরও বেশি আতংকিত হয়ে পরে এবং
অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাধ্য হয় পরবর্তি
লেভেল গুলো accept করে। এবং এই লেভেল
এর বেশির ভাগ সময় তাকে বাধ্য করা হয়
শরীরে ব্লেড কিংবা ছুরি চালাতে বা
অতিরিক্ত মাত্রায় ড্রাগ নিতে। প্লেয়ার
যখন আর এ সব চাপ নিতে না পারে তখন সে
নিজ মনেই আত্নহনের পথ বেছে নেয়।


#সুইসাইড
গেমটির ৫০ নম্বর লেভেলএ প্লেয়ারকে
বলা হয় এটি সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ। এর পর
থেকে প্লেয়ার মুক্ত আর কোন চ্যালেঞ্জ
দেয়া হবে না। প্লেয়ার এর সকল তথ্য
ফিরিয়ে দেওয়া হবে প্লেয়ার গেমটিকে
আনইন্সটল করতে পারবে। এবং এই লেভেলএ
প্লেয়ারকে নির্দেশনা দেয়া হয় কোন
একটি উচু বিল্ডিং এর ছাদে উঠে
শেষবারের মত ড্রাগ নিয়ে একটি সেলফি
তুলে আপলোড দিতে।
নির্দেশনাটি পাওয়ার সাথে সাথেই
প্লেয়ার একটি ১৫ তলা আপার্ট্মেন্টের
ছাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে ড্রাগটি
নিজের শরীরে পুশ করে সেলফি তুলে ব্লু
হোয়েলে আপলোড দিবে। ব্লু হোয়েল টিম
মেম্বাররা প্লেয়ারকে অভিনন্দন জানিয়ে
একটা ম্যাসেজ দিবে এই গেমের সকল
লেভেল সম্পুর্ন ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে
এবং আজ থেকে আপনি মুক্ত। নিচে
তাকিয়ে দেখুন আপনার গন্ত্যব্য আপনাকে
ডাকছে, আর বেশি দেরি না করে এক্ষনি
ঝাঁপ দিন। প্লেয়ার তখন ড্রাগ
অ্যাফেক্টেড থাকার কারনে কিছু না
বুঝেই নিজের অজান্তে সত্যি সত্যিই ঝাঁপ
দিয়ে বসে এবং নিজের মুক্তির পথ খুজে
নেয়। আর ব্লু হোয়েলও খুজতে থাকে তার
পরবর্তী শিকারকে। এভাবেই সমাপ্তি ঘটে
ব্লু হোয়েল গেমের ৫০ নম্বর লেভেল।
https://mobile.facebook.com/alamgir.rahman.9847

https://papry99.blogspot.com/



ব্লু হোয়েল গেইমটি তৈরীর উদ্দেশ্যঃ

“ফিলিপ বুদেকিন
নামের একজন রাশিয়ান
যুবক ছিল এই ব্লু হোয়েল গেমটির মাস্টার
মাইন্ডে। সে রাশিয়ার একটি ভার্সিটিতে
সাইকোলজি বিভাগে অধ্যায়নরত ছিল ।
সম্প্রতি রাশিয়ার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনি
তাকে গ্রেফতার করার পর এক
জবানবন্দিতে ফিলিপ জানায় ভার্সিটি
থেকে বহিস্কৃত হওয়ার পর, সে এই গেমটি
তৈরিতে মনোনিবেশ করে। তরুন বয়সি
ছেলেমেয়ে, সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে
পিছিয়ে থাকা মানুষ এবং মানুষিক ভাবে
বিকারগ্রস্থ রোগীদের টার্গেট করেই এই
গেমটি তৈরি করা হয়েছে। তার মতে যারা
এই সমাজের হতাশাগ্রস্থ মানুষ এবং যারা
মানুষিক ভাবে বিকারগ্রস্থ তারা এই
সমাজের বোঝা, সমাজে তাদের কোন
প্রয়োজন নেই, মৃত্যুই তাদের একমাত্র
কাম্য। আর তাই এই গেমটির মাধ্যমে
তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে মানুষিক চাপ
প্রয়োগ করে তাদেরকে আত্মহত্যা করতে
বাধ্য করা হয়।



ব্লু হোয়েল গেইমটি পাওয়ার উপায়ঃ

অনেকেই এই ব্লু হোয়েল গেইমের
ডাউনলোড লিঙ্ক পাওয়ার জন্য গুগল, ইয়াহু
অথবা অন্যান্য ওয়েব পোর্টালে সার্চ
করেছেন। কিন্তু কোনভাবেই এর লিংক
খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। যেহেতু এটি
একটি “dark web” এর গেইম সুতরাং
আমাদের ব্যবহৃত “world wide web”
ইন্টারনেট পোর্টাল বা গুগল, ফেসবুক,
ইন্সটাগ্রাম, টুইটার কোথাও পাওয়া যাবে
না।
আমাদের এই ইন্টারনেট জগতের বাইরে
আরও একটি বিশাল জগত রয়েছে যার নাম
“dark web”. এটি সম্পুর্ন বিপরীত একটি
ইন্টারনেট জগত। এটি মূলত বিভিন্ন
ক্ষতিকর, অবৈধ ও খারাপ কাজের জন্যই
বিখ্যাত। ইন্টারনেট জগতের ৮০-৮৫% অবৈধ
ও বিভিন্ন ধরনের অপরাধমুলক কাজ মুলত
“dark web” এর মাধ্যমে সংঘঠিত হয়ে
থাকে। “dark web” প্রবেশ করতে একটি
বিশেষ ব্রাউজারের প্রয়োজন হয় সাধারণ
goole, chrome, firefox কিংবা opera দিয়ে
এই ওয়েবে প্রবেশ করা যায় না ।
https://mobile.facebook.com/alamgir.rahman.9847

https://papry99.blogspot.com/