সম্রাট শাহজাহান - মমতাজের প্রেমের তাজমহল : দ্বিতীয় খন্ড

সম্রাট শাহজাহান - মমতাজের প্রেমের তাজমহল  : দ্বিতীয় খন্ড

ধন্যবাদ সঙ্গেই থাকার জন্য. :

তাজমহল নির্মানের জন্য পাঞ্জাব
থেকে আনা হয় স্বচ্ছ মার্বেল পাথর, চীন
থেকে সবুজ পাথর, তিব্বত থেকে স্বচ্ছ ও নীল
পাথর এবং শ্রীলংকা থেকে নীলমনি।
তাছাড়া ভারত, পাকিস্তান, পারস্য ছাড়াও
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৮ রকমের
মূল্যবান পাথর দিয়ে তৈরি করা হয় এই অনন্য
স্থাপত্য।
তৎকালীন নির্মাণ খরচ অনুমান করা কঠিন ও
কিছু সমস্যার কারণে তাজমহল নির্মাণে কত
খরচ হয়েছিল তার হিসাবে কিছুটা হেরফের
দেখা যায়। তাজমহল নির্মাণে তৎকালীন
আনুমানিক ৩২ মিলিয়ন বা $১০০০০০০ ডলার
রুপি খরচ হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু
শ্রমিকের খরচ, নির্মাণে যে সময় লেগেছে
এবং ভিন্ন অর্থনৈতিক যুগের কারণে এর মূল্য
অনেক, একে অমূল্য বলা হয।
তাজমহল যে জমির ওপর দাঁড়িয়ে, সেই জমি
ছিল অত্যন্ত নীচু । প্রচুর মাটি ফেলে সেই
জমি কে যমুনা নদীর তীরের উচ্চতা থেকে
প্রায় ৫০ মিটার [১৬০ ফুট] উচু করা হয়। ঠিক
এখনকার earthquake proof বহুতলের column
নির্মাণের মতো্ই সেখানে অনেকগুলি
পাতকুয়া খোঁড়া হয় ও তারপর সেগুলি
পাথর,বালি ও মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়।
তাজমহলের এই ভিতটি ভূমিকম্প বা প্রবল
প্রাকৃতিক বিপর্যয়েও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না ।
ওই ভরাট-করা পাতকুয়াগুলির ওপর এক বিশাল
মঞ্চ তৈরী করে তার ওপর সৌধের
র্নিমাণকাজ সম্পন্ন করা হয়। এখনকার বাড়ি
তৈরী করতে হলে বাঁশের তৈরী ভারা লাগে
। তাজমহল নির্মাণের জন্যে যে ভারা তৈরী
করা হয় তাও এক আশ্চর্য নজির । প্রকান্ড এক
ইঁটের তৈরী ভারা বানানো হয়েছিল
তাজমহলের ওপরের কাজের জন্যে । সেই
ভারা এতটাই বড় ছিল যে রাজমিস্ত্রিরা
জানায় ভারা ভাঙতে তাদের কযেক বছর সময়
লেগে যাবে । তখন শাহজাহান র্নিদেশ দেন
এই ভারার ইঁট যে কেউ নিয়ে যেতে পারে
একেবারে বিনামূল্যে । রাতারাতি সেই
প্রকান্ড ভারা অদৃশ্য হয়ে যায়।রাজ্যের
হাজার হাজার গরিব কৃষক সেই ভারার ইঁট
খুলে নিয়ে যায় তাদের নিজেদের গৃহ
নির্মানের জন্যে।
এর প্রধান নকশাকার ছিলেন ওস্তাদ আহমেদ
লাহুরি আরও ছিলেন আবদুল করিম মামুর খান
এবং মাকরামাত খান যারা সে সময়ের
সবচেয়ে নিখুঁত, পারদর্শী ও উচ্চ পর্যায়ের
প্রকৌশলী এবং নকশাকার ছিলেন। এছাড়া
তাজমহলের বিখ্যাত ক্যালিওগ্রাফিগুলো
করেছিলেন তৎকালের ক্যালিওগ্রাফার
আবদুল হক, যার প্রশংসনীয় ক্যলিওগ্রাফি
দেখে মুগ্ধ হয়ে সম্রাট নিজেই তাকে
‘আমানত খান’ উপাধিতে ভূষিত করেন।


..তাজমহল নিয়েও বিতর্ক রয়েছে:
  █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █
https://papry99.blogspot.com

এ বিমূর্ত শিল্পকলা তাজমহলের ইতিহাসকে
চ্যালেঞ্জ করে বসেছেন প্রফেসর পিএন অক
তার “তাজমহল: দ্য ট্রু স্টরিতে”। তিনি দাবি
করেন, তাজমহল বেগম মমতাজের সম্মানে
নির্মিত কোন প্রেমের সমাধিস্থল নয়, বরং
এটি প্রাচীন হিন্দু দেবতা শিবের মন্দির। এ
মন্দিরের নাম ছিল ‘তেজ মহালয়’। এই মন্দিরে
আগ্রার রাজপুতরা পূজা-অর্চনা করত, তাই
সাধারণের কাছে এ মন্দির অতটা পরিচিত
ছিল না। আর ‘তেজ মহালয়’ থেকেই
তাজমহলের নামকরণ। এটি পরে সম্রাট
শাহজাহান তার মৃত স্ত্রীর স্মরণে
স্মৃতিশালা হিসেবে গড়ে তোলেন। ইতিহাস
অনুসন্ধান করে প্রফেসর পিএন অক যে পিলে
চমকানো কথাগুলো ব্যক্ত করেন তা হল,
সম্রাট শাহজাহান অন্যায়ভাবে জয়পুরের
মহারাজা জয় সিংয়ের কাছ থেকে শিব
মন্দিরটি অর্থাৎ তাজমহলটি দখল করে নেন।
পিএন অক যে দলিল উপস্থাপন করেন - সম্রাট
শাহজাহান নিজেই তার দিনপঞ্জি
‘বাদশাহনামা’তে উল্লেখ করে গেছেন,
রাজা জয় সিংয়ের কাছ থেকে আগ্রার এক
চমৎকার প্রাসাদোপম ভবন মমতাজ মহলের
সমাধিস্থলের জন্য বেছে নেয়া হয়েছে এবং
এর জন্য সম্রাটের পক্ষ থেকে রাজা জয়
সিংকে অন্যত্র জমিও কিনে দেয়া হয়েছে।
‘তাজমহলের’ নাম নিয়েও প্রফেসর অক সংশয়
প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মুঘলামলে এমনকি
খোদ শাহজাহানের আমলেও কোন দলিলাদি
ও কোর্টের নথিপত্রে কোথাও ‘তাজমহলের’
নাম উল্লেখ নেই। আর সে সময়ে মুসলিম
শাসনামলে কোন ভবন বা প্রাসাদের নাম
‘মহল’ রাখার প্রচলন ছিল না। এছাড়া
‘তাজমহল’ নামটি এসেছে মমতাজ মহল থেকে
এ বিষয়টিও প্রফেসর অক মেনে নেননি।
তিনি এর পেছনে দুটি কারণ উল্লেখ করেন।
প্রথম কারণ, সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রীর
প্রকৃত নাম কখনোই মমতাজ ছিল না। দ্বিতীয়
কারণ, সাইকোলজিক্যাললি কেউ কারও
নামে প্রাসাদ নির্মাণ করলে নামের প্রথম
দুই অক্ষর বাদ দিয়ে অর্থাৎ মমতাজের মম
বাদ দিয়ে তাজ নাম রাখাটা মানব স্বভাবের
মধ্যে পড়ে না।
প্রফেসর অক তাজমহলের স্থাপত্য শৈলীর
কিছু অসামঞ্জস্যতার কথা উল্লেখ করে
বলেন, তাজমহল মূলত হিন্দু শিব মন্দির ছাড়া
আর কিছুই নয়। তিনি আরও যুক্তি দেখান,
তাজমহলের কিছু কামরা শাহজাহানের আমল
হতেই তালাবন্দি যা এখনও জনসাধারণের
অজানা রয়ে আছে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি
করেন ওই সব কামরার একটাতে রয়েছে
দেবতা শিবের মস্তকবিহীন মূর্তি অর্থাৎ শিব
লিঙ্গ যা হিন্দুদের শিব মন্দিরে সচরাচর
দেখতে পাওয়া যায়। বিখ্যাত তাজমহল নিয়ে
প্রফেসর অকের এ উল্টো বক্তব্য ও ইতিহাস
তিনি তার যে বইতে লিখেছিলেন তৎকালীন
ভারতের ইন্দিরা গান্ধী সরকার বইটি ব্যান্ড
করে দেয় ও সবগুলো কপি বাজার হতে উঠিয়ে
নেয় এবং ভারতে এর দ্বিতীয় কোন কপি
প্রকাশ করাও বন্ধ করে দেয়। সেখানে কারণ
দেখানো হয়, যদি এ বই প্রকাশ করা হয়
তাহলে ভারতে হিন্দু ও মুসলিমদের মাঝে
ধমর্ীয় এবং রাজনৈতিক সংঘাত বা রায়োট
বেঁধে যাওয়ার শংকা রয়েছে। পরে প্রফেসর
অকের প্রচলিত ইতিহাস বিরোধী বক্তব্য এবং
তার বই বিশ্লেষণে গবেষকরা এতটুকু মত
দিতে পেরেছেন, তাজমহলের মার্বেল পাথর,
ইসলামিক সংস্কৃতি, আলকোরআনের আয়াত
ক্যালিওগ্রাফি এবং সৌন্দর্যমণ্ডিত
গমু্বজের কারুকাজ এসব কিছুই সম্রাট
শাহজাহানের সময়ে হয়ে থাকলেও
তাজমহলের প্রাথমিক স্থাপনা শাহজাহান
কর্তৃক না হয়েও থাকতে পারে।
পরিশেষে তর্ক-বিতর্ক যতই থাকুন তবু
তাজমহল মুঘল মুসলিম স্থাপত্য কীর্তিগুলোর
মধ্যে গৌরবান্বিত অলঙ্কার, একটি অনন্য
কীর্তি। সপ্তাশ্চর্যের এক আশ্চর্য।
   █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █
https://papry99.blogspot.com


সম্রাট শাহজাহান - মমতাজের প্রেমের তাজমহল

সম্রাট শাহজাহান - মমতাজের প্রেমের তাজমহল

শাহজাহান-মমতাজের
প্রেমকাহিনীর পেছনের ইতিহাস
          Alamgir Rahman
সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজের প্রেম
কাহিনী বিশ্বের সাড়া জাগানো প্রেম
কাহিনীগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাদের মতো
এরকম অমর প্রেম কাহিনী আরও অনেক
রয়েছে। তবে সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজের
প্রেম কাহিনীটি একটি বিশেষ কারণে সাড়া
জাগিয়েছে। তা হলে মমতাজের জন্য সম্রাট
শাহজাহানের বানানো বিখ্যাত সেই
তাজমহল। আজ আমরা তাজমহলের খুঁটিনাটি
তথ্য এখানে তুলে ধরবো।


সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজের.            .......প্রেমের সংক্ষিপ্ত ঘটনা:
  █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █
https://papry99.blogspot.com

সময়টা ছিল ১৬১২ খ্রিষ্টাব্দ। সম্রাট
শাহজাহানের বয়স তখন ২০ বছর। একদিন
আগ্রার বাজার দিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ
শাহজাহানের চোখ চলে যায় পরমা সুন্দরী
এক মেয়ের দিকে। আরজুমান্দ বেগম নামের
মেয়েটির বয়স ১৫। প্রথম দেখাতেই আরজুমান্দ
বেগমকে ভালো লেগে যায় শাহজাহানের।
পরবর্তীতে ১৬১২ খ্রিস্টাব্দের ১০ মে
মমতাজের বিয়ে হয় যুবরাজ খুররমের (সম্রাট
শাহজাহান) সঙ্গে। (কিন্তু উইকিপিডিয়ায়
বলা আছে বিয়ের সময় তাদের দুজনের বয়স
ছিল যথাক্রমে ১৫ ও ১৪)। তবে এর আগে
রাজনৈতিক কারণে পারস্যের রাজকন্যাকে
বিয়ে করেন সম্রাট শাহজাহান। পরবর্তীতে
সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রীর নাম পরিবর্তন
করে রাখেন মমতাজ মহল।মমতাজই ছিলেন
শাহজাহানের সব চেয়ে প্রিয় বেগম ।
উনিশবছরের বিবাহিত জীবনে মমতাজের
মোট চোদ্দটি সন্তান হয়। মমতাজ মহল ১৬৩১
সালে ৩৯ বছর বয়সে বুরহানপরে ১৪তম সন্তান
জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। স্ত্রী হারানোর
শোকে মুহ্যমান শাহজাহান তাঁর প্রাণপ্রিয়
স্ত্রীর স্মৃতির জন্য নির্মাণ করেন ভালবাসার
এই অপরূপ নিদর্শন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর সাতদিন
সাতরাত শাহজাহান কিছু খান নি। ঘর
থেকেও বার হন নি। সাতদিন পর শাহজাহান
বাইরে বেরোলেন। তখন তার চুলের রং ধুসর
হয়ে গেছে , মুখ ফ্যাকাসে।


মমতাজ আসলে শাহজাহানের.       .............কতোতম স্ত্রী:
  █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █
https://papry99.blogspot.com

সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজের প্রেম
কাহিনী যতটা আলোচিত ততটাই আলোচিত
যে, মমতাজ আসলে সম্রাট শাহজাহানের
কততম স্ত্রী। উইকিপিডিয়ার মতে, মমতাজ
ছিলেন সম্রাট শাহজাহানের ২য় স্ত্রী।
কোথাও বলা হয়েছে মমতাজ শাহজাহানের
৩য় স্ত্রী, কোথাও বলা আছে ৪র্থ স্ত্রী।
আসলে কততম স্ত্রী তা কোথাও সঠিকভাবে
বলা নেই।


সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজের প্রেম
..........কাহিনী নিয়ে বিতর্ক:
  █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █
https://papry99.blogspot.com

পিএন অক নামের এক প্রফেসর তার “তাজমহল:
দ্য ট্রু স্টরিতে” শাহজাহান ও মমতাজের
প্রেমকাহিনীর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন
তোলেন। তার লেখায় তিনি উল্লেখ করেন,
মমতাজ ও শাহজাহনের ভালোবাসার গল্প
মূলত রূপকথা যা লোকমুখে সৃষ্ট। কারণ এত
গভীর ও চমৎকার প্রেমের কথা ভারতের ওই
সময়কার কোন সরকারি নথিপত্রে বা গ্রন্থে
উল্লেখ নেই। তিনি আরও কিছু ডকুমেন্টরি
উপস্থাপন করেন যা প্রমাণ করে তাজমহল
কখনোই সম্রাট শাহজাহানের আমলের নয়।
সেগুলো হল, নিউইয়র্কের আর্কিওলজিস্ট
মারভিন মিলার যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন
তাজমহলের দেয়ালের নমুনা পরীক্ষা করেন।
তিনি এর কার্বন টেস্ট করে যে তথ্য পান, এই
কার্বন সম্রাট শাহজাহানের শাসনামলেরও
চেয়ে ৩০০ বছর বেশি পুরনো! এছাড়া
আরেকটি ব্যাপার হল কোন এক ইউরোপীয়ান
পর্যটক ১৬৩৮ সালে আগ্রা ভ্রমণ করেন। সময়টি
শাহজাহান স্ত্রী মমতাজের মারা যাওয়ার
মাত্র ৭ বছর পর। কিন্তু তিনি তার লিখিত
ভারতবর্ষ ভ্রমণ গ্রন্থে তাজমহল নামক
প্রাসাদের কথাই উল্লেখ করেননি।


..........বিতর্ক আরও রয়েছে:
  █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █
https://papry99.blogspot.com

সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজের প্রেম
কাহিনীতে বলা হয়েছে সম্রাট
শাহজাহান মমতাজকে
বাজারে দেখতে পান এবং প্রথম দেখাতেই
মমতাজকে পছন্দ করে ফেলেন। কিন্তু এও
শোনা যায় শাহজাহানের সাথে বিয়ে হওয়ার
আগেও মমতাজের বিয়ে হয়েছিল এবং সম্রাট
শাহজাহান মমতাজের সেই স্বামীকে হত্যা
করে তারপর মমতাজকে বিয়ে করেছিল। শুধু
তাই নয় মমতাজের আগেও সম্রাট
শাহজাহানের আরও ৩ জন স্ত্রী ছিলেন এবং
মমতাজকে বিয়ে করার পরও সম্রাট
শাহজাহান আরও তিনটি বিয়ে করেন। এমনকি
মমতাজ মারা যাওয়ার পর শাহজাহান
মমতাজের আপন ছোট বোনকে বিয়ে করেন।
তাজমহলের ডিজাইনারের নাম ছিল- ঈশা
মোহাম্মদ। তিনি তার স্ত্রীকে উপহার
দেয়ার জন্য একটি ভাস্কর্য বানিয়েছিলেন।
পরে সম্রাট শাহজাহানের পছন্দ হওয়াতে
সেই ডিজাইনের আদলে বানানো হয়
বিশ্ববিখ্যাত তাজমহল এবং সেই ব্যক্তিটির
চোখ নষ্ট করে দেওয়া হয় যাতে তিনি নতুন
করে আর এই ডিজাইন তৈরি করতে না
পারেন। শুধু তাই নয়, যে বিশ হাজার শ্রমিক
দিন রাত খেটে এই মহলটি তৈরি করেছিলেন
তাদের হাতও কেটে দিয়েছিলেন সম্রাট
শাহজাহান। ভালোবাসার এক নিষ্ঠুর ও
নৃশংসতম ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে সম্রাট
শাহজাহান-মমতাজের প্রেম কাহিনী ও
তাজমহলের পেছনে।


...তাজমহলের নির্মাণকালীন তথ্য:
  █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █
https://papry99.blogspot.com

আজ যেখানে তাজমহল দাঁড়িয়ে, সেখানটা
ছিল মহারাজা জয় সিংহের সম্পত্তি।
শাহজাহান মধ্য-আগ্রার একটি প্রকান্ড
রাজপ্রাসাদের বিনিময়ে ওই জমিটি
অধিগ্রহণ করেন। তাজমহলের নির্মান শুরু হয়
১৬৩২ সালে; মমতাজের মৃত্যুর এক বছর পর। ২০
হাজারের বেশি শ্রমিকের প্রচেষ্টায় ১৬৪৮
সালে, মমতাজের মৃত্যুর ১৭ বছর পর গম্বুজ
গুলোর নির্মান কাজ শেষ হয়; যদিও পুরো
কাজ শেষ হয় ১৬৫৩ সালে। শুধু মানুষ নয়; এ
মহান কীর্তির ভাগিদার ১০০০ হাতী, যারা
নির্মাণের জন্য মার্বেল পাথর পরিবহনে
নিয়োজিত ছিল। এই সৌধ নির্মাণে বিভিন্ন. :
ধর্মের স্থাপত্যের অনুকরণ করা হয়; যেমন
তাজের মাথার ত্রিশূলটি হিন্দুদের
শিবমন্দিরের অনুকরণে, মুসলমানদের
মসজিদের মতো করা হয় তাজমহলের চারটি
মিনার ও মাথার গম্বুজ ।
পুরো তাজমহল ১৮০ ফুট উঁচু যার প্রধান গম্বুজটি
২১৩ ফুট উঁচু এবং ৬০ ফুট চওড়া এবং এর
চারপাশে চারটি মিনার আছে যার প্রতিটির
উচ্চতা ১৬২.৫ ফুট। পুরো কমপ্লেক্সটির আকার
১৯০২X১০০২ ফুট। শুধু তাজমহলটি ১৮৬X১৮৬ ফুট
মার্বেল পাথরের উপর নির্মিত। এর প্রধান
প্রবেশদ্বার ১৫১X১১৭ ফুট চওড়া এবং ১০০ ফুট
উঁচু।  :  বাকি অংশ এখানে https://papry99.blogspot.com


শাহজাহান-মমতাজের প্রেমকাহিনীর পেছনের ইতিহাস           Alamgir Rahman 

শাহজাহান-মমতাজের
প্রেমকাহিনীর পেছনের ইতিহাস
          Alamgir Rahman 

শাহজাহান-মমতাজের
প্রেমকাহিনীর পেছনের ইতিহাস
Alamgir Rahman
সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজের প্রেম
কাহিনী বিশ্বের সাড়া জাগানো প্রেম
কাহিনীগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাদের মতো
এরকম অমর প্রেম কাহিনী আরও অনেক
রয়েছে। তবে সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজের
প্রেম কাহিনীটি একটি বিশেষ কারণে সাড়া
জাগিয়েছে। তা হলে মমতাজের জন্য সম্রাট
শাহজাহানের বানানো বিখ্যাত সেই
তাজমহল। আজ আমরা তাজমহলের খুঁটিনাটি
তথ্য এখানে তুলে ধরবো।

সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজের. .......প্রেমের সংক্ষিপ্ত ঘটনা:
█ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █
https://papry99.blogspot.com

সময়টা ছিল ১৬১২ খ্রিষ্টাব্দ। সম্রাট
শাহজাহানের বয়স তখন ২০ বছর। একদিন
আগ্রার বাজার দিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ
শাহজাহানের চোখ চলে যায় পরমা সুন্দরী
এক মেয়ের দিকে। আরজুমান্দ বেগম নামের
মেয়েটির বয়স ১৫। প্রথম দেখাতেই আরজুমান্দ
বেগমকে ভালো লেগে যায় শাহজাহানের।
পরবর্তীতে ১৬১২ খ্রিস্টাব্দের ১০ মে
মমতাজের বিয়ে হয় যুবরাজ খুররমের (সম্রাট
শাহজাহান) সঙ্গে। (কিন্তু উইকিপিডিয়ায়
বলা আছে বিয়ের সময় তাদের দুজনের বয়স
ছিল যথাক্রমে ১৫ ও ১৪)। তবে এর আগে
রাজনৈতিক কারণে পারস্যের রাজকন্যাকে
বিয়ে করেন সম্রাট শাহজাহান। পরবর্তীতে
সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রীর নাম পরিবর্তন
করে রাখেন মমতাজ মহল।মমতাজই ছিলেন
শাহজাহানের সব চেয়ে প্রিয় বেগম ।
উনিশবছরের বিবাহিত জীবনে মমতাজের
মোট চোদ্দটি সন্তান হয়। মমতাজ মহল ১৬৩১
সালে ৩৯ বছর বয়সে বুরহানপরে ১৪তম সন্তান
জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। স্ত্রী হারানোর
শোকে মুহ্যমান শাহজাহান তাঁর প্রাণপ্রিয়
স্ত্রীর স্মৃতির জন্য নির্মাণ করেন ভালবাসার
এই অপরূপ নিদর্শন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর সাতদিন
সাতরাত শাহজাহান কিছু খান নি। ঘর
থেকেও বার হন নি। সাতদিন পর শাহজাহান
বাইরে বেরোলেন। তখন তার চুলের রং ধুসর
হয়ে গেছে , মুখ ফ্যাকাসে।

মমতাজ আসলে শাহজাহানের. .............কতোতম স্ত্রী:
█ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █
https://papry99.blogspot.com

সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজের প্রেম
কাহিনী যতটা আলোচিত ততটাই আলোচিত
যে, মমতাজ আসলে সম্রাট শাহজাহানের
কততম স্ত্রী। উইকিপিডিয়ার মতে, মমতাজ
ছিলেন সম্রাট শাহজাহানের ২য় স্ত্রী।
কোথাও বলা হয়েছে মমতাজ শাহজাহানের
৩য় স্ত্রী, কোথাও বলা আছে ৪র্থ স্ত্রী।
আসলে কততম স্ত্রী তা কোথাও সঠিকভাবে
বলা নেই।

সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজের প্রেম
..........কাহিনী নিয়ে বিতর্ক:
█ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █
https://papry99.blogspot.com

পিএন অক নামের এক প্রফেসর তার “তাজমহল:
দ্য ট্রু স্টরিতে” শাহজাহান ও মমতাজের
প্রেমকাহিনীর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন
তোলেন। তার লেখায় তিনি উল্লেখ করেন,
মমতাজ ও শাহজাহনের ভালোবাসার গল্প
মূলত রূপকথা যা লোকমুখে সৃষ্ট। কারণ এত
গভীর ও চমৎকার প্রেমের কথা ভারতের ওই
সময়কার কোন সরকারি নথিপত্রে বা গ্রন্থে
উল্লেখ নেই। তিনি আরও কিছু ডকুমেন্টরি
উপস্থাপন করেন যা প্রমাণ করে তাজমহল
কখনোই সম্রাট শাহজাহানের আমলের নয়।
সেগুলো হল, নিউইয়র্কের আর্কিওলজিস্ট
মারভিন মিলার যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন
তাজমহলের দেয়ালের নমুনা পরীক্ষা করেন।
তিনি এর কার্বন টেস্ট করে যে তথ্য পান, এই
কার্বন সম্রাট শাহজাহানের শাসনামলেরও
চেয়ে ৩০০ বছর বেশি পুরনো! এছাড়া
আরেকটি ব্যাপার হল কোন এক ইউরোপীয়ান
পর্যটক ১৬৩৮ সালে আগ্রা ভ্রমণ করেন। সময়টি
শাহজাহান স্ত্রী মমতাজের মারা যাওয়ার
মাত্র ৭ বছর পর। কিন্তু তিনি তার লিখিত
ভারতবর্ষ ভ্রমণ গ্রন্থে তাজমহল নামক
প্রাসাদের কথাই উল্লেখ করেননি।

..........বিতর্ক আরও রয়েছে:
█ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █
https://papry99.blogspot.com

সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজের প্রেম
কাহিনীতে বলা হয়েছে সম্রাট
শাহজাহান মমতাজকে
বাজারে দেখতে পান এবং প্রথম দেখাতেই
মমতাজকে পছন্দ করে ফেলেন। কিন্তু এও
শোনা যায় শাহজাহানের সাথে বিয়ে হওয়ার
আগেও মমতাজের বিয়ে হয়েছিল এবং সম্রাট
শাহজাহান মমতাজের সেই স্বামীকে হত্যা
করে তারপর মমতাজকে বিয়ে করেছিল। শুধু
তাই নয় মমতাজের আগেও সম্রাট
শাহজাহানের আরও ৩ জন স্ত্রী ছিলেন এবং
মমতাজকে বিয়ে করার পরও সম্রাট
শাহজাহান আরও তিনটি বিয়ে করেন। এমনকি
মমতাজ মারা যাওয়ার পর শাহজাহান
মমতাজের আপন ছোট বোনকে বিয়ে করেন।
তাজমহলের ডিজাইনারের নাম ছিল- ঈশা
মোহাম্মদ। তিনি তার স্ত্রীকে উপহার
দেয়ার জন্য একটি ভাস্কর্য বানিয়েছিলেন।
পরে সম্রাট শাহজাহানের পছন্দ হওয়াতে
সেই ডিজাইনের আদলে বানানো হয়
বিশ্ববিখ্যাত তাজমহল এবং সেই ব্যক্তিটির
চোখ নষ্ট করে দেওয়া হয় যাতে তিনি নতুন
করে আর এই ডিজাইন তৈরি করতে না
পারেন। শুধু তাই নয়, যে বিশ হাজার শ্রমিক
দিন রাত খেটে এই মহলটি তৈরি করেছিলেন
তাদের হাতও কেটে দিয়েছিলেন সম্রাট
শাহজাহান। ভালোবাসার এক নিষ্ঠুর ও
নৃশংসতম ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে সম্রাট
শাহজাহান-মমতাজের প্রেম কাহিনী ও
তাজমহলের পেছনে।

...তাজমহলের নির্মাণকালীন তথ্য:
█ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █
https://papry99.blogspot.com

আজ যেখানে তাজমহল দাঁড়িয়ে, সেখানটা
ছিল মহারাজা জয় সিংহের সম্পত্তি।
শাহজাহান মধ্য-আগ্রার একটি প্রকান্ড
রাজপ্রাসাদের বিনিময়ে ওই জমিটি
অধিগ্রহণ করেন। তাজমহলের নির্মান শুরু হয়
১৬৩২ সালে; মমতাজের মৃত্যুর এক বছর পর। ২০
হাজারের বেশি শ্রমিকের প্রচেষ্টায় ১৬৪৮
সালে, মমতাজের মৃত্যুর ১৭ বছর পর গম্বুজ
গুলোর নির্মান কাজ শেষ হয়; যদিও পুরো
কাজ শেষ হয় ১৬৫৩ সালে। শুধু মানুষ নয়; এ
মহান কীর্তির ভাগিদার ১০০০ হাতী, যারা
নির্মাণের জন্য মার্বেল পাথর পরিবহনে
নিয়োজিত ছিল। এই সৌধ নির্মাণে বিভিন্ন
ধর্মের স্থাপত্যের অনুকরণ করা হয়; যেমন
তাজের মাথার ত্রিশূলটি হিন্দুদের
শিবমন্দিরের অনুকরণে, মুসলমানদের
মসজিদের মতো করা হয় তাজমহলের চারটি
মিনার ও মাথার গম্বুজ ।
পুরো তাজমহল ১৮০ ফুট উঁচু যার প্রধান গম্বুজটি
২১৩ ফুট উঁচু এবং ৬০ ফুট চওড়া এবং এর
চারপাশে চারটি মিনার আছে যার প্রতিটির
উচ্চতা ১৬২.৫ ফুট। পুরো কমপ্লেক্সটির আকার
১৯০২X১০০২ ফুট। শুধু তাজমহলটি ১৮৬X১৮৬ ফুট
মার্বেল পাথরের উপর নির্মিত। এর প্রধান
প্রবেশদ্বার ১৫১X১১৭ ফুট চওড়া এবং ১০০ ফুট
উঁচু। তাজমহল নির্মানের জন্য পাঞ্জাব
থেকে আনা হয় স্বচ্ছ মার্বেল পাথর, চীন
থেকে সবুজ পাথর, তিব্বত থেকে স্বচ্ছ ও নীল
পাথর এবং শ্রীলংকা থেকে নীলমনি।
তাছাড়া ভারত, পাকিস্তান, পারস্য ছাড়াও
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৮ রকমের
মূল্যবান পাথর দিয়ে তৈরি করা হয় এই অনন্য
স্থাপত্য।
তৎকালীন নির্মাণ খরচ অনুমান করা কঠিন ও
কিছু সমস্যার কারণে তাজমহল নির্মাণে কত
খরচ হয়েছিল তার হিসাবে কিছুটা হেরফের
দেখা যায়। তাজমহল নির্মাণে তৎকালীন
আনুমানিক ৩২ মিলিয়ন বা $১০০০০০০ ডলার
রুপি খরচ হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু
শ্রমিকের খরচ, নির্মাণে যে সময় লেগেছে
এবং ভিন্ন অর্থনৈতিক যুগের কারণে এর মূল্য
অনেক, একে অমূল্য বলা হয।
তাজমহল যে জমির ওপর দাঁড়িয়ে, সেই জমি
ছিল অত্যন্ত নীচু । প্রচুর মাটি ফেলে সেই
জমি কে যমুনা নদীর তীরের উচ্চতা থেকে
প্রায় ৫০ মিটার [১৬০ ফুট] উচু করা হয়। ঠিক
এখনকার earthquake proof বহুতলের column
নির্মাণের মতো্ই সেখানে অনেকগুলি
পাতকুয়া খোঁড়া হয় ও তারপর সেগুলি
পাথর,বালি ও মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়।
তাজমহলের এই ভিতটি ভূমিকম্প বা প্রবল
প্রাকৃতিক বিপর্যয়েও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না ।
ওই ভরাট-করা পাতকুয়াগুলির ওপর এক বিশাল
মঞ্চ তৈরী করে তার ওপর সৌধের
র্নিমাণকাজ সম্পন্ন করা হয়। এখনকার বাড়ি
তৈরী করতে হলে বাঁশের তৈরী ভারা লাগে
। তাজমহল নির্মাণের জন্যে যে ভারা তৈরী
করা হয় তাও এক আশ্চর্য নজির । প্রকান্ড এক
ইঁটের তৈরী ভারা বানানো হয়েছিল
তাজমহলের ওপরের কাজের জন্যে । সেই
ভারা এতটাই বড় ছিল যে রাজমিস্ত্রিরা
জানায় ভারা ভাঙতে তাদের কযেক বছর সময়
লেগে যাবে । তখন শাহজাহান র্নিদেশ দেন
এই ভারার ইঁট যে কেউ নিয়ে যেতে পারে
একেবারে বিনামূল্যে । রাতারাতি সেই
প্রকান্ড ভারা অদৃশ্য হয়ে যায়।রাজ্যের
হাজার হাজার গরিব কৃষক সেই ভারার ইঁট
খুলে নিয়ে যায় তাদের নিজেদের গৃহ
নির্মানের জন্যে।
এর প্রধান নকশাকার ছিলেন ওস্তাদ আহমেদ
লাহুরি আরও ছিলেন আবদুল করিম মামুর খান
এবং মাকরামাত খান যারা সে সময়ের
সবচেয়ে নিখুঁত, পারদর্শী ও উচ্চ পর্যায়ের
প্রকৌশলী এবং নকশাকার ছিলেন। এছাড়া
তাজমহলের বিখ্যাত ক্যালিওগ্রাফিগুলো
করেছিলেন তৎকালের ক্যালিওগ্রাফার
আবদুল হক, যার প্রশংসনীয় ক্যলিওগ্রাফি
দেখে মুগ্ধ হয়ে সম্রাট নিজেই তাকে
‘আমানত খান’ উপাধিতে ভূষিত করেন।

..তাজমহল নিয়েও বিতর্ক রয়েছে:
█ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █
https://papry99.blogspot.com

এ বিমূর্ত শিল্পকলা তাজমহলের ইতিহাসকে
চ্যালেঞ্জ করে বসেছেন প্রফেসর পিএন অক
তার “তাজমহল: দ্য ট্রু স্টরিতে”। তিনি দাবি
করেন, তাজমহল বেগম মমতাজের সম্মানে
নির্মিত কোন প্রেমের সমাধিস্থল নয়, বরং
এটি প্রাচীন হিন্দু দেবতা শিবের মন্দির। এ
মন্দিরের নাম ছিল ‘তেজ মহালয়’। এই মন্দিরে
আগ্রার রাজপুতরা পূজা-অর্চনা করত, তাই
সাধারণের কাছে এ মন্দির অতটা পরিচিত
ছিল না। আর ‘তেজ মহালয়’ থেকেই
তাজমহলের নামকরণ। এটি পরে সম্রাট
শাহজাহান তার মৃত স্ত্রীর স্মরণে
স্মৃতিশালা হিসেবে গড়ে তোলেন। ইতিহাস
অনুসন্ধান করে প্রফেসর পিএন অক যে পিলে
চমকানো কথাগুলো ব্যক্ত করেন তা হল,
সম্রাট শাহজাহান অন্যায়ভাবে জয়পুরের
মহারাজা জয় সিংয়ের কাছ থেকে শিব
মন্দিরটি অর্থাৎ তাজমহলটি দখল করে নেন।
পিএন অক যে দলিল উপস্থাপন করেন - সম্রাট
শাহজাহান নিজেই তার দিনপঞ্জি
‘বাদশাহনামা’তে উল্লেখ করে গেছেন,
রাজা জয় সিংয়ের কাছ থেকে আগ্রার এক
চমৎকার প্রাসাদোপম ভবন মমতাজ মহলের
সমাধিস্থলের জন্য বেছে নেয়া হয়েছে এবং
এর জন্য সম্রাটের পক্ষ থেকে রাজা জয়
সিংকে অন্যত্র জমিও কিনে দেয়া হয়েছে।
‘তাজমহলের’ নাম নিয়েও প্রফেসর অক সংশয়
প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মুঘলামলে এমনকি
খোদ শাহজাহানের আমলেও কোন দলিলাদি
ও কোর্টের নথিপত্রে কোথাও ‘তাজমহলের’
নাম উল্লেখ নেই। আর সে সময়ে মুসলিম
শাসনামলে কোন ভবন বা প্রাসাদের নাম
‘মহল’ রাখার প্রচলন ছিল না। এছাড়া
‘তাজমহল’ নামটি এসেছে মমতাজ মহল থেকে
এ বিষয়টিও প্রফেসর অক মেনে নেননি।
তিনি এর পেছনে দুটি কারণ উল্লেখ করেন।
প্রথম কারণ, সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রীর
প্রকৃত নাম কখনোই মমতাজ ছিল না। দ্বিতীয়
কারণ, সাইকোলজিক্যাললি কেউ কারও
নামে প্রাসাদ নির্মাণ করলে নামের প্রথম
দুই অক্ষর বাদ দিয়ে অর্থাৎ মমতাজের মম
বাদ দিয়ে তাজ নাম রাখাটা মানব স্বভাবের
মধ্যে পড়ে না।
প্রফেসর অক তাজমহলের স্থাপত্য শৈলীর
কিছু অসামঞ্জস্যতার কথা উল্লেখ করে
বলেন, তাজমহল মূলত হিন্দু শিব মন্দির ছাড়া
আর কিছুই নয়। তিনি আরও যুক্তি দেখান,
তাজমহলের কিছু কামরা শাহজাহানের আমল
হতেই তালাবন্দি যা এখনও জনসাধারণের
অজানা রয়ে আছে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি
করেন ওই সব কামরার একটাতে রয়েছে
দেবতা শিবের মস্তকবিহীন মূর্তি অর্থাৎ শিব
লিঙ্গ যা হিন্দুদের শিব মন্দিরে সচরাচর
দেখতে পাওয়া যায়। বিখ্যাত তাজমহল নিয়ে
প্রফেসর অকের এ উল্টো বক্তব্য ও ইতিহাস
তিনি তার যে বইতে লিখেছিলেন তৎকালীন
ভারতের ইন্দিরা গান্ধী সরকার বইটি ব্যান্ড
করে দেয় ও সবগুলো কপি বাজার হতে উঠিয়ে
নেয় এবং ভারতে এর দ্বিতীয় কোন কপি
প্রকাশ করাও বন্ধ করে দেয়। সেখানে কারণ
দেখানো হয়, যদি এ বই প্রকাশ করা হয়
তাহলে ভারতে হিন্দু ও মুসলিমদের মাঝে
ধমর্ীয় এবং রাজনৈতিক সংঘাত বা রায়োট
বেঁধে যাওয়ার শংকা রয়েছে। পরে প্রফেসর
অকের প্রচলিত ইতিহাস বিরোধী বক্তব্য এবং
তার বই বিশ্লেষণে গবেষকরা এতটুকু মত
দিতে পেরেছেন, তাজমহলের মার্বেল পাথর,
ইসলামিক সংস্কৃতি, আলকোরআনের আয়াত
ক্যালিওগ্রাফি এবং সৌন্দর্যমণ্ডিত
গমু্বজের কারুকাজ এসব কিছুই সম্রাট
শাহজাহানের সময়ে হয়ে থাকলেও
তাজমহলের প্রাথমিক স্থাপনা শাহজাহান
কর্তৃক না হয়েও থাকতে পারে।
পরিশেষে তর্ক-বিতর্ক যতই থাকুন তবু
তাজমহল মুঘল মুসলিম স্থাপত্য কীর্তিগুলোর
মধ্যে গৌরবান্বিত অলঙ্কার, একটি অনন্য
কীর্তি। সপ্তাশ্চর্যের এক আশ্চর্য।
█ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █
https://papry99.blogspot.compapry99.com
□ papry99.blogspot.com


অপ্রিয় একটি সত্যি,

অপ্রিয় একটি সত্যি,

  ___ অপ্রিয় একটি সত্যি, ____
https://mobile.facebook.com/alamgir.rahman.9847
https://papry99.blogspot.com/
:
.-- অপ্রিয় একটি সত্যি, বিবেকের তাড়নায় লিখতে বসলামঃ
বাচ্চা নষ্ট করার সব পদ্ধতিই এক ধরণের, লম্বা নল
জরায়ুতে ঢুকিয়ে গর্ভের শিশুটিকে প্রথমে ক্ষত-
বিক্ষত করা হয়। পরে ভ্যাকুয়াম সাকারের মাধ্যমে
শিশুটিকে শুষে আনা হয়।
গর্ভপাতের সময়কার শিশুটির অব্যাক্ত বেদনা কারো
কানে পৌঁছে না।
মানুষ নামের নরপশুর নির্মমতায় একটি নিষ্পাপ শিশু মৃত
মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়।
যেসব মা ক্ষণিকের সুখের জন্য নিজ গর্ভের
সন্তানকে পাশবিকভাবে হত্যা করে
তাদের জন্য হৃদয় উগড়ে দেয়া সীমাহীন ঘৃণা।
Abortion জিনিস টা কি???
একটু পড়ে দেখুন হৃদয়হীন মানুষের হৃদয়েও
কম্পনের সৃষ্টি হবার কথা
লেখাটা লিখতে গিয়ে কতবার যে হাত কেপেছে !
পড়ে দেখুন,নিজের বিবেকে নাড়া দেয় কি না !!??
প্রথম মাস**
হ্যালো মা.....!! কেমন আছো তুমি? জানো
আমিএখন মাত্র ৩-৪ইঞ্চি লম্বা!!
কিন্তু হাত-পা সবই আছে তোমার কথা শুনতে পাই,
ভালো লাগে শুনতে।
দ্বিতীয় মাস**
মা,আমি হাতের বুড়ো আঙ্গুল চুষা শিখেছি, তুমি
আমাকে দেখলে এখন বেবি বলবে বাইরে
আসার সময় এখনো হয়নি আমার,এখানেই উষ্ণ
অনুভব করি খুব।
তৃতীয় মাস**
মা তুমি কি জানো আমি যে একটা মেয়ে? পরী
পরী লাগবে আমাকে,আমাকে দেখলে তুমি
অনেক খুশি হবে,তুমি মাঝে মাঝে কাঁদো
কেনো মা?তুমি কাঁদলে আমারও কান্না পায়...
চতুর্থ মাস**
আমার মাথায় ছোট্ট ছোট্ট চুল গজিয়েছে মা, আমি
হাত-পা ভালো ভাবে নাড়াতে পারি, মাথা নাড়াতে পারি, http:/alamgir.rahman.9
847
https://papry99.blogspot.com
অনেক কিছুই করতে পারি।
পঞ্চম মাস**
মা তুমি ডক্টরের কাছে কেনো গিয়েছিলে? কি
বলেছে ডক্টর? আমি তার কথা শুনতে
পারিনি,তোমার কথা
ছাড়া আমি কারো কথা শুনতে পারিনা।
ষষ্ঠ মাস**
মা আমি অনেক ব্যথা পাচ্ছি মা, ডক্টর সুঁচের মতো
কি যেনো আমার শরীরে ঢুকাচ্ছে,ওদের
থামতে বলো মা আমি তোমাকে ছেড়ে কথাও
যাবোনা মা..
সপ্তম মাস**
মা কেমন আছো? আমি এখন স্বর্গে আছি,একটা
এন্জেল আমাকে নিয়ে এসেছে,
এন্জেল বলেছে তোমাকে এবরশন করতে
হয়েছে,
তুমি আমাকে কেনো চাওনি মা ?
আমি কি এতোটাই খারাপ??
;;;;; না বেবি তুমি খারাপ নও । তুমি নিষ্পাপ । পাপী হলাম
আমরা । একটি মাকে যদি এ কারনে ১০০% দায়ী করা
হয় ভুল হবে, এর পেছনে আরো জড়িত আছে
আমাদের সমাজের কিছু অসাধু ডাক্তার, মহিলা ধাত্রী,
অখ্যাত ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলি পাশাপাশি সেই সব
অভিবাবক যারা তাদের ছেলে - মেয়েদের অবাধ
স্বাধীনতায় ছেড়ে দিয়েছে, ফলে অবাধ যৌনতায়
লিপ্ত হয়ে সমাজে লোক লজ্জার ভয়ে গর্ভপাত
করছে । যাদের হাতে প্রতিনিয়ত খুন হচ্ছে মানব
শিশু । দেশের কেউ খুন করে ধরা পড়ে খুনী
প্রমানিত হলে ফাঁসির রায় হয়, ক্ষেত্রবিশেষে ফাঁসি
কার্যকরও হয় । কিন্তু এই খুনীদের কি হবে ?
এরাতো নিঃশব্দ ঘাতক ।
তবে "হ্যা" দুনিয়ার আদালত এদের সাজা দিতে না
পারলেও, আখিরাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের
আদালতে এরা কঠিনভাবে পাকড়াও হবে । সেদিন
কোনো উকিল থাকবেনা, খুন হওয়া নিস্পাপ
সন্তানটিকে আল্লাহ যখন জীবিত করে সাক্ষী
হিসেবে দাড় করাবেন, যমীন সাক্ষী দেবে,
খুনী পিতা - মাতার নিজের অঙ্গ- প্রত্তঙ্গও সেদিন
সাক্ষ্য দেবে, কেরামান - কাতেবীন
ফেরেশতাদ্বয় যেদিন লিখিত আমালনামা প্রমান
হিসেবে পেশ করবে, সেদিন মহাপ্রভুর ন্যায় - নিষ্ঠ
সুবিচার থেকে তারা নিস্তার পাবে কিভাবে ?
_______The End_______K

http:/alamgir.rahman.9
847
https://papry99.blogspot.com/


স্যার একটা কথা কমু?

স্যার একটা কথা কমু?

  ___ স্যার একটা কথা কমু? ____
https://mobile.facebook.com/alamgir.rahman.9847
https://papry99.blogspot.com/
:
.-- স্যার একটা কথা কমু?
-কি বল?
-আইজ আমারে সারে ১২টায় ছুটি দেবেন?
-কেন? কি করবা?
-বাসায় গিয়া ভাত খামু, পেটে খুব ক্ষিধা লাগছে।
-কেন সকালে খেয়ে আসোনি?
-জ্বি না।
-কেন?
-তরকারি নাই। আর লবণ দিয়া ভাত খাইতে পারি না।
তাই খাইতে পারি নাই।
কথাটা শুনতেই বুকের মধ্যে কেমন যেন
লাগলো স্যারের?
-রাতে কি খেয়েছো?
-গরম ভাতে পানি দিয়া ডাল মনে করে ভাত।
-এখন কি দিয়ে খাবে?
-মায় কইছে ইস্কুল ছুটির পর গেলে কচু
রাইন্ধা রাখব। হেইডা দিয়া মজা কইরা ভাত খামু।
মায় খুব মজা কইরা কচু রানবার পারে।
কখন যে চোখটা ঝাপসা হয়ে আসল বুঝতে পারিনি।
একদিন তোমার মায়ের হাতের রান্না করা কচু
খেয়ে আসব। নিবা তোমার বাসায়?
যাইবেন স্যার সত্য?
হ্যাঁ যাব। যাও বাসায় গিয়ে পেট ভরে ভাত খাও।
মুখে পৃথিবী জয় করা হাসি নিয়ে বই হাতে নিয়ে তার
চলে যাওয়ার দিকে মন্ত্র মুগ্ধের মত তাকিয়ে রইলাম।
http:/alamgir.rahman.9
847
https://papry99.blogspot.com
তরকারির জন্য ভাত খেতে পারছে না। অথচ
আমাদের এই সমাজে কত মানুষ আছে যাদের
খাবারের মেনুতে কত আইটেম থাকে। যা তারা
খেয়ে শেষ করতে পারে
না। উচ্ছিষ্ট অংশ চলে যায় ডাস্টবিনে। এমন অনেক
বাবা মা আছেন যারা ছেলেকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে
পড়ান। গাড়ি করে নিয়ে যান। ছেলের কত আবদার!
সব পূরণ করতে ব্যস্ত। অথচ রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষ
গুলোর দিকে ফিরেও তাকান না। তাকাবেন কেন??
তাকালেই তো ঘাড়ে এসে পড়বে। আমরা তো
নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। হাজার টাকার বডি স্প্রে
গায়ে দিয়ে ঘুরে
বেড়াই। ঈদ আসলে ব্যস্ত হয়ে পড়ি শপিং নামক
টাকা উড়ানোর খেলায়। কেউ পাখি,কেউ কিরণমালা,
কেউ শীলা কি জাওয়ানি নামক উদ্ভট সব পোশাক
কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু বুঝতে চাই না এই
বাইরের পোশাক গুলোতে আমাকে কি মানাচ্ছে?
অথচ একটা গরীব লোক এসে বলছে-দুইটা টাকা
দেন। তখন বলি-ভাংতি নাই। মাফ কর। গার্লফ্রেন্ডকে
নিয়ে চাইনিজ এ
অনেক-ই যায়। কত টাকা খরচ হয় হিসাব রাখে না অথচ
গরীব রিক্সাচালক যখন বলে-পাঁচটা টাকা বাড়াইয়া দেন।
তখন তার গায়ে হাত তুলতে দ্বিধাবোধ করে না। ঐ
গরীব লোক গুলোর অপরাধ কি?
অপরাধ একটাই যে সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে গরীবের
ঘরে জন্ম দিয়েছেন। আর আপনাকে সোনার
চামচ মুখে দিয়ে কোন ধনী বাবার ঘরে। আমি
ছেলে মেয়ে কাউকে উদ্দেশ্য করে এই
পোষ্টটা দেইনি। আমি আমাকেই এখানে কল্পনা
করছি,,
"এটার কারণ শুধু আমাদের ঘুমন্ত
বিবেকটাকে একটু জাগ্রত করার জন্য"
#_পোষ্টটা_পরে_কিছু_বুঝে_থাকলে_শেয়ার_করতে_পারেন .....???
_______The End_______K

http:/alamgir.rahman.9
847
https://papry99.blogspot.com/