স্বাগত ‘২০১৮’: ধুয়ে মুছে যাক সকল হিংসা- বিদ্বেষ- ক্লান্তি

স্বাগত ‘২০১৮’: ধুয়ে মুছে যাক সকল হিংসা- বিদ্বেষ- ক্লান্তি
স্বাগত ‘২০১৮’: ধুয়ে মুছে যাক সকল হিংসা- বিদ্বেষ- ক্লান্তি

গর্বিত কবিরাজহাট : পশ্চিম
আকাশে ডুবে গেছে ২০১৭ সালের শেষ সূর্য।
স্বাগত নতুন বছর। 
ভোরের সূর্যের আলো আজ জানান দিচ্ছে স্বাগতম ২০১৮। সকল ক্লান্তি আর হিংসা
বিদ্বেষ পেছনে ফেলে আরেকটি নতুন বছরে পুরো বিশ্ব। 
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে
আয়োজনের যেন কমতি নেই।
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বীরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে চলছে আয়োজন।
বছরের শুরুতে নিজেকে নতুন করে সাজাতে
প্রস্তুত বীরগঞ্জের জনসাধারণের । কেউবা কিনবে নতুন
গাড়ি, কেউ বানাবে বাড়ি, কেউবা আবার পরিবার নিয়ে বিদেশ দিবে পাড়ি।
 সমাজের বিত্তবানরা নতুন বছরকে
বরণে নানা আয়োজন করলেও খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষগুলোর বছরের প্রথম দিন কাটবে সাদা মাটা।
প্রতিদিনের মত গৃহকর্তা বেরিয়ে পড়বে দু-বেলা খাবার যোগাতে তার কর্মস্থলে। 
গৃহীনিরা ব্যস্ত হয়ে পড়বে সাংসারিক কাজকর্মে। kobirajhat24.net কে    এমনটাই জানালেন কিছু মেহেনতি
মানুষ।
বীরগঞ্জবাসী বলেন, আমরা বাড়ি ঘর করার স্বপ্ন দেখি না। 
ডাল ভাত ভালো কইরা খাইতে পারি এই প্রত্যাশা করি। 
যা আছে তাই যেনো আগামী বছর থাকে। 
আশা প্রত্যাশা বেশি না থাকলে  বীরগঞ্জসহ কবিরাজহাটবাসীর নতুন বছরটি হোক মঙ্গলময়.... kobirajhat24.net. / পরিবার 




বীরগঞ্জের শামুক শাহ জিন্দা পীরের মাজার Posted by: kobirajhat24.net 23 ডিসেম্বর 2017

বীরগঞ্জের শামুক শাহ জিন্দা পীরের মাজার

Posted by: kobirajhat24.net

23 ডিসেম্বর 2017
বীরগঞ্জের শামুক শাহ জিন্দা পীরের মাজার
Posted by: kobirajhat24.net
23 ডিসেম্বর 2017
-----*-------------------------------------------------------


kobirajhat24.netঃ শত শত বছর পূর্বের
বিভিন্ন পৌরনিক কাহিনি সমৃদ্ধ শামুক শাহ জিন্দা
পীরের মাজার। যেখানে মানত আর শিন্নি
দিয়ে মনোবাসনা পুরন হবে এই আশায়
ধর্মবর্ননির্বশেষে হাজার হাজার মানুষ বাংলা
মাসের ১৯ অগ্রহায়নে এখানে আসে।
আর এই আসা থেকে মেলা বসে যেটা
জিন্দাপীরের মেলা নামে পরিচিত। এখনও
দুর-দুরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষের
মুখরিত হয়ে উঠে ঐতিহ্যবাহী জিন্দা
পীরের মাজার এলাকা।
হাজার হাজার হিন্দু-মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের
মানুষ এই সময়ে আসে। দিনাজপুরের
বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর
ইউনিয়নের চৌপুকুরিয়া গ্রামে এ জিন্দা
পীরের মাজার এর অবস্থান।
ফটকের সামনো টাঙ্গানো বোর্ড
থেকে জানা যায়, শামুক শাহ একজন কামেল
আউলিয়া ছিলেন। তিনি পশ্চিম থেকে এ
এলাকায় এসে ইসলাম প্রচার করেন। তিনি
একদিন তার অনুসারীদের বলেন যে,
তোমরা আমাকে জীবিত অবস্থায় কবর
দিবে। আর ৮দিনের দিন আমাকে কবর
থেকে উঠাবে। অনুসারীরা ৮দিনের দিন
তাঁকে কবর থেকে উঠায়নি। একদিন
দেরী করার কারণে দেখা যায় কবরের
পাশ থেকে অনেক রক্ত বের হয়ে
আসছে।
ভক্তরা আর তাকে কবর থেকে উঠায়নি।
তথন থেকে ওই জিন্দাপীর মাজারের
গোরাপত্তন হয়। বর্তমান মাজার ও এর
সম্পত্তি ওয়াকফ এস্টেট কর্তৃক পরিচালিত
হয়। শামুক শাহ জিন্দাপীর ওয়াকফ
এস্টেটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন
বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
এই ওয়াকফ এস্টেটের আওতাধীন শামুক
শাহ জিন্দাপীর মাজার ভবন, চৌপুকুরিয়া উচ্চ
বিদ্যালয়, জিন্দাপীর বাজার, জিন্দাপীর
জামে মসজিদ ও জিন্দাপীর দারুস সালাম
মাদ্রাসা রয়েছে।
ওই এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা কবিরুল ইসলাম
জানায়, আমাদের পূর্বপুরুষদের সময়
থেকে শুনে আসছি এই জিন্দাপীরের
মাজারের কথা। তবে সঠিক দিনক্ষন কেউ
বলতে পারেনি। মরহুম শামুক শাহ
জিন্দাপীরের পুরো নাম হচ্ছে-শাহ
মাকসুদ শাহ। তার মৃত্যুর পর এই জায়গাটাসহ
মাজার এলাকাকে তৎকালীন এই এলাকার
জমিদার প্রিয়নাথ দাস চৌধুরীর আমলে ২৬
একর জায়গা ওয়াকফ করা হয়।
জিন্দা পীরের মাজার এর নামে অনেক
জায়গা বেদখল হয়েছে। আমরা শুনেছি
বাংলা ১২২৬ সালের দিকে ৮ অগ্রহায়নে
কামেল আউলিয়া চৌপুকুরিয়া ছোট রাস্তা দিয়ে
হেটে যাচ্ছেন। এমন সময় রাস্তার পাশে
কয়েকজন ঢুলি ঢোল নিয়ে বসে
আছেন। এ সময় ঢুলির সাথে কথোপকথন
হয় এবং একজন ঢুলির একটা ঢোল ফেটে
যায়। তারপরে পীর সাহেবের পিঠে ছাপ
দেখা যায়। তাই ওই ঘটনাকে স্মরন করে
রেওয়াজ আছে প্রতি অগ্রহায়ন মাসের ৮
তারিখ থেকে ১৯ তারিখ জিন্দাপীরের
মেলার প্রচারনা করা হয়। আর প্রতিবছরই ১৯
অগ্রহায়ন জিন্দাপীরের মাসব্যাপী মেলা
বসে।
চৌপুকুরিয়া গ্রামের আবু সাঈদ সরকার টিটিন
আরাজী জানায়, কবরে তাঁকে রাখার পর
অনুসারীরা না উঠায় তখন নির্দ্ধারিত দিনের
পরের দিন কবরের পাশ থেকে রক্ত
বের হয়ে আসে। আর এ সময় সৃষ্টি হয়
পাশে একটি পুকুর। যেটি এখনো
রয়েছে। এই পুকুরের পানি শুকায়না।
অনেকদিন যাবত মানুষ এই পুকুরের পানি
ব্যবহার করতো বিভিন্ন মানত করে। এমনটি
গবাদি পশুর কোন অসুখ হলে এই পানি পান
করিয়ে সুস্থ্য হতো। এরপর যারা এই
মাজারে বিভিন্ন মানত বা শিন্নি দিতে আসত
তারা এই এলাকায় ওই পানি ব্যবহার করে
রান্নাবান্না করে ফকিরদের খাওয়াতো। যা
এখনো অব্যাহত রয়েছে। papry99.blogspot.com

== ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ - সাদেক হোসেন খোকা == kobirajhat24.net

== ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ - সাদেক হোসেন খোকা == kobirajhat24.net
== ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ - সাদেক হোসেন খোকা == kobirajhat24.net

(১৯৭১ সালে সাদেক হোসেন খোকা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। 
২ নম্বর সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেছেন। 
জড়িত ছিলেন বিভিন্ন সাহসী গেরিলা অপারেশনে। 
১৬ ডিসেম্বর তিনি ও তার সহযোদ্ধারা মিলে টেলিভিশন ও রেডিওর নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করেছিলেন। 
মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা যুদ্ধের কলাকৌশল, যুদ্ধে সাধারণ মানুষের সমর্থন ও ১৬ ডিসেম্বরের ঘটনা)
           kobirajhat24.net
আমার মনে পড়ে, আত্মসমর্পণের পর রেডিও-টেলিভিশন এগুলোর নিয়ন্ত্রণ আমরা গ্রহণ করি। 
শাহাদাত চৌধুরী, নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, এখলাসউদ্দিন আহমদ প্রমুখের প্রচেষ্টায় টেলিভিশন অন এয়ারে আসে। 
পরে সেদিন রাতে মেজর হায়দার (পরে কর্নেল হায়দার) ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদান করেন। টেলিভিশন ভবনে আমি যখন প্রথম লোক পাঠাই তখন দু'একজন কর্মী সেখানে ছিল। 
তারা ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। 
তাদের একত্র করে অন্যদের সহযোগিতায় টিভি চালানো সম্ভব হয়। 
মেজর হায়দারের ভাষণ দিয়েই অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। 
বারবার সে ভাষণ প্রচার করা হয়।

রেডিওতেও আমরা যাই এবং সেখানকার নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করি। সাভারের মেইন টাওয়ারের যন্ত্রপাতি তখন কে বা কারা খুলে নিয়ে গিয়েছিল। 
সেগুলো খুঁজে বের করে সেটিকে আমরা আবার চালু করার ব্যবস্থা করি।

তখন মুক্তিযোদ্ধাদের নিজস্ব একটা নেটওয়ার্ক ছিল। 
সেই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা অবগত হই যে, ১৬ তারিখ পাকবাহিনী আত্মসমর্পণ করছে। আমি তখন মানিকনগরের দিক দিয়ে আসছি ঢাকার দিকে। 
সেখানে অনেক রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। 
আমার যতদূর মনে পড়ে, ওইদিন সকাল থেকেই আমরা ঢাকায় ছিলাম।

ওই দিন বিভিন্ন দিকে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু গোলাগুলি হয়েছিল। 
আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে অনেক বেসামরিক লোক কিছু গোলাগুলি করেছিল। 
আতঙ্কিত হয়ে পাকিস্তানি আর্মিও কিছু গুলি করেছিল। 
১৬ তারিখ বিকেলেই আমরা জানতে পারি রায়েরবাজারে কিছু মানুষকে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে।
সেখানে লাশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। 
তখন খবর সবেমাত্র ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ দেখার জন্য, তাদের হারানো স্বজনদের লাশ খোঁজার জন্য সেখানে ছুটে আসছে। 
পরে ১৭ তারিখ সবাই জেনে যায়।

আমার তিন ঘনিষ্ঠ বন্ধু শাজাহান, বদিউজ্জামান এবং মনিরুজ্জামানের মৃতদেহ সেখান থেকে উদ্ধার করি। পরে আমরা তাদের বাড়িতে মৃতদেহ পৌছে দিই। kobirajhat24.net

পিচ্চি_মেয়ের_প্রেম_কাহিনী

পিচ্চি_মেয়ের_প্রেম_কাহিনী
পিচ্চি_মেয়ের_প্রেম_কাহিনী
       Kobirajhat24.net



তখন ইন্টার প্রথম বর্ষের ছাত্র আমি। গ্রাম এলাকায় বাড়ি থাকায় শহরে ম্যাসে থেকে পড়াশোনা করতাম। আমাদের ম্যাসের সামানে কয়েকটি বাড়ি ছিলো।সেখানে বিভিন্ন ভাড়াটিয়া থাকতো।

কোন এক সমস্যার কারণে আমি একদিন কলেজে যাইনি। কিন্তু আমার বন্ধুরা সবাই কলেজে যাওয়ায় আমার রুমে একাই ভালো লাগছিলোনা। তাই রুম থেকে বেড়িয়ে বাড়িগুলোর পিছনে একটি পুকুর ছিলো। সেখানে বসে খুব মনোযোগ সহকারে গেমস খেলছিলাম।

হঠাত্ কারো ডাকে আমার ঘোড় কাটল। দেখি ৬-৭বছরের একটি মেয়ে বসে আছে আমার পাশে বসে। এবং আমাকে জিঞ্জেস করছে .

-ভাইয়া আপনার নাম মোবাশ্বের
না ?
-হ্যা ।কিন্তু তুমি কে ? আমাকে চিনো কিভাবে ? (আমি ঘোর কাটিয়ে বললাম)
-আমি তন্নি।আপনি আমাদের বাসার সামনের ম্যাসে থাকেন আমি আপনাকে চিনি।
-ও।কিন্তু তুমি কোন ক্লাসে পড়ো।
-ক্লাস ওয়ানে।(সে) এভাবে তারসাথে কিছুক্ষন কথা বলার পর রুমমেট ফোন করায় ম্যাসে চলে আসি।

কিছুদিন পর কোন কারণে আমি ওই বাসার সামনে দিয়ে আসছিলাম।তখন কে যেন আমাকে বললো মোবাশ্বের ভাইয়া ভালো আছেন।আমি চেয়ে দেখি সেদিনের ওই পিচ্চি মেয়েটা।

আমি বললাম হ্যা ভালো আছি। তুমি কেমন আছো??সে বলল আমিও ভালো আছি।তারপর সে একটি রুম দেখিয়ে বলল ভাইয়া এটা আমাদের রুম। তারপর আমি সেখান থেকে ম্যাছে চলে আসলাম।

তারপর থেকে প্রায়ই ওই পিচ্চির সাথে আমার দেখা হতো এবং কথা হতো। মেয়েটিই আমার সাথে আগে কথা বলতো।কিছুদিন যাওয়ার পর পিচ্চির মধ্যে আমি পরিবর্তন লক্ষ করলাম। সে আমাকে দেখে কি যেন বলতে চাইতো। আর আমাকে দেখে কেমন যেন একটু লজ্জা পেত।

কটা মজার ব্যাপার হলো যেহুতু মেয়েটার বাসা আমাদের ম্যাছের ঠিক সামনা সামনি ছিলো তাই মেয়েটির ঘরের জানালা দিয়ে আমাদের ম্যাছের বারান্দা সরাসরি দেখা যেত ।আমি একটা বিষয় লক্ষ করতাম আমরা বন্ধুরা যখন বারান্দায় বসে আড্ডা দিতাম।মেয়েটি তখন তাদের ঘড়ের জানালা দিয়ে কেমন যেন আমার দিকে তাঁকিয়ে থাকতো।

আমার বন্ধুরাও বিষয়টা লক্ষ করতো।এবং তাকে নিয়ে আমার সাথের মজা করতো।এবং পিচ্চিকে দেখলে ভাবি বলে ডাকতো।এতে পিচ্চি কিছুবলতোনা বরং লজ্জা পেত। মনে হতো এতে সে খুশি।

এভাবে ভালোই কাটছিলো আমার দিনগুলো। কিন্তু বিষয়টা মেয়েটির মা কিভাবে যেন লক্ষ করেছিলো। তাই তাকে আমাদের ম্যাছের দিকে আর বেশি আসতে দিতোনা। আগে সে দিনে প্রায় চার পাঁচ বার আসতো আমাদের ম্যাছের দিকে।কিন্তু তখন থেকে আর তাকে বেশি দেখতাম না এদিকে।

কিন্তু একটা বিষয় লক্ষ করতাম সে আগের তুলনায় বেশি তাঁদের জানালার কাছে দাড়িয়ে ম্যাছের দিকে তাকিয়ে থাকতো।

একদিন রুমে জানালা খুলে বসেছিলাম তখন মেয়েটি দেখি তার মায়ের সাথে ম্যাছের সামনে দিয়ে যাচ্ছে।আর বার বার জানালা দিয়ে আমার দিকে তাকাচ্ছে।আর তার মা বিষয়টি লক্ষ করে তাকে বাধা দেওয়া সত্তেও সে এদিকে তাকাচ্ছে।সেদিন বিষয়টি লক্ষ করে আমি মনেমনে খুব অবাক হয়েছিলামযে এত পিচ্ছি মেয়ের মধ্যে কিভাবে এরকম অনুভূতি থাকতে পারে।

দেখতে দেখতে আমার HSC পরীক্ষা খুবই নিকটে চলে আসলো।সে জন্য অন্যদিকে নজর না দিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু মাঝে মাঝে যখন বারান্দায় যেতাম।তখন প্রায়ই দেখতাম পিচ্চি জানালা দিয়ে ম্যাছের বারান্দার দিকে তাকিয়ে আছে।মাঝে মাঝে তাঁর আমার চোখে চোখ পড়লে সে লজ্জায় চোখ ফিড়িয়ে নিতো ।

এভাবে চলতে চলতে আমার পরীক্ষাও শুরু হলো।পরীক্ষা দেওয়ার পর বাড়িতে চলে এসেছিলাম।কিন্তু ঐ পিচ্চিকে মনেমনে কেমন যেন মিস করতাম।

তারপর HSC পাশ করার পর আমি বিদেশে চলে যাই।কিন্তু সেখানে গিয়েও আমি তাকে অনেক মিস করতাম।মনে হতো তার সেই পাগলামি গুলো।আমি ভাবতাম কিভাবে অতটুকু মেয়ের মধ্যে এরকম অনুভূতি থাকতে পারে।খুব মিসকরতাম আমি তাকে।

এভাবেই কাটছিলো আমার বিদেশের দিনগুলো।নয় বছর আমি বিদেশ থেকে দেশে আসি।

এসে আমি পিচ্চির খোজ করি।কিন্তু আমি শুনি ঐবাসায় তারা আর থাকেননা।গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। যেহুতু আমার কাছে তাদের গ্রামের বাড়ির ঠিকানা ছিলোনা।তাই আমি তাদের আর খোজ নিতে পারিনি।কিন্তু আমি তাকে খুব মিস করতাম।অনুভূব করতাম সে আমার কতটা হৃদয় জূড়ে ছিলো।

কিন্তু কিছুদিন পর আমাকে বাড়ি থেকে বিয়ের চাপ দিতে শুরু করলো। আমি বিয়েতে রাজি ছিলাম না তবুও বাবা মায়ের কথা ভেবে বিয়েতে রাজি হলাম।

বাবা মা আমাকে মেয়ে দেখতে যেতে বললো।কিন্তু আমি না গিয়ে তাদের বলেদিলাম আপনাদের পছন্দই আমার পছন্দ।আপনাদের পছন্দ হলেই হবে।

তারপর মেয়ে পছন্দ হলো তাদের। আমাকে মেয়ের ফটো দেখালো। কেমন যেন চেনা চেনা মনে হলো মেয়েটাকে। আমি বললাম আমি রাজি।তারপর তারা বিয়েঠিক করলো।

দেখতে দেখতে বিয়ের দিন এসে গেলো। বিয়ে করতে গেলাম সেখানে মেয়েকে দেখলাম।দেখে মনে হল তাকে যেনো আমি কোথায় দেখেছি।আমার খুব পরিচিত। কিন্তু মনে করতে পারছিলামনা। আবার ভাবলাম হয়তো মনের ভুল। যাইহোক বিয়ে হয়ে গেলো বিয়ে করে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসলাম।
.
বাসর রাতে ঘরে ঢুকলাম।দেখি সে ঘুমটা দিয়ে বসে আছে।সে আমাকে দেখে সালাম করলো।তারপর আমি তাকে দেখে অবাক হোলাম।এতো তন্নি।তার পর আমি তার নাম জিঞ্জেস করলাম। সে বলো নাদিয়া জাহান তন্নি।এতে আমি আরও শিওর হলাম যে সে সেই পিচ্চি তন্নি।
.
তারপর আমি তাকে তখনকার ঘটনা গুলো বললাম।প্রথমে না মনে করতে পারলেও পরে সে তা মনে করতে পেরেছিলো এবং খুবলজ্জা পেয়েছিলো। kobirajhat24.net

(কাল্পনিক) 

#এমন_গল্প_আরো_পড়তে_চাইলে_আমাকে_ফ্রেন্ড_অথবা_ফলোয়ার_বানাতে_পারেন

মোবাইলে কথা বললেই নারীদের জরিমানা ২১ হাজার টাকা!

মোবাইলে কথা বললেই নারীদের জরিমানা ২১ হাজার টাকা!

মোবাইলে কথা বললেই নারীদের জরিমানা ২১ হাজার টাকা!

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক  |  ২০:৪৭, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
  

ছবি-প্রতীকী
নারীদের জন্য অদ্ভুত এক ফতোয়া জারি করল ভারতের উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত। মোবাইলে কথা বললে দিতে হবে ২১ হাজার টাকা। অর্থাৎ মেয়েরা যদি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে মোবাইলে কথা বলে তাহলে তাদের ২১ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের মথুরায় মাদোরা গ্রামের পঞ্চায়েত এই ফতোয়া জারি করেছে। নারীদের ওপর আক্রমনের ঘটনা কমাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। জরিমানা ছাড়া আর কি শাস্তি দেওয়া হবে তা এখনও ঠিক করা হয়নি। kobirajhat24.net

উল্লেখ্য, এর আগে মেয়েদের জিনস পরার উপর ফতোয়া জারি করতে দেখা গেছে বিহারের গ্রাম পঞ্চায়েতকে৷ তাদের দাবি, মোবাইল ও জিনসই মেয়েদের বিপথে নিয়ে যাচ্ছে৷ সংস্কার ভুলে উচ্ছন্নে যাচ্ছে তারা৷

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস গর্বিত কবিরাজহাট ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭ kobirajhat24.net

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

গর্বিত কবিরাজহাট

ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭

kobirajhat24.net
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
গর্বিত কবিরাজহাট
ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
kobirajhat24.net


৪৬ বছর আগে এ দিনে
পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের এ
দেশীয় দোসর রাজাকার,
আলবদর, আলশামস বাহিনী
তালিকা তৈরি করে
পরিকল্পিতভাবে একে একে
হত্যা করে বুদ্ধিজীবীদের
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ
থেকে ১৪ ডিসেম্বর
পর্যন্ত বর্বর পাকিস্তানি হানাদার
এবং তাদের এ দেশীয়
দোসরদের হাতে
নির্মমভাবে শহীদ
বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে
প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর এ
দিবসটি বাঙালি জাতি শ্রদ্ধাভরে
স্মরণ করে থাকে। বিজয়ের
মাত্র দুদিন আগে জাতিকে
মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা
নিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানো
হয়। সেই সময় হানাদারদের
হাতে দেশের শ্রেষ্ঠ
সন্তান বুদ্ধিজীবী, কবি,
সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষক,
ডাক্তারসহ বিভিন্ন পেশার
খ্যাতনামা ব্যক্তিরা শহীদ হন।
তাদের অন্যতম হচ্ছেন ড.
ফজলে রাব্বি, ড. আলীম
চৌধুরী, শহীদুল্লা কায়সার
,মুনীর চৌধুরী, সাংবাদিক
সিরাজুদ্দীন হোসেন,
সাংবাদিক নিজামউদ্দিন আহমেদ,
ড. জি সি দেব, জোতির্ময়
গুহঠাকুরতা, ফয়জুল মাহি, লাডু ভাই,
আ.ন.ম গোলাম মোস্তফা,
আর পি সাহা, খন্দকার আবু
তালেব, নূতন চন্দ্র সিংহ,
রশীদুল হাসান, সিরাজুল হক খান,
ড. মুক্তাদির, ড.সাদেক, ড.
আমিনুদ্দীনসহ নাম না-জানা
আরো অনেকে।
৭১-এর শহীদদের কাছে
জাতির ঋণ শোধ হওয়ার নয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবীরা জাতির
শ্রেষ্ঠ সন্তান। বাঙালি জাতির
মানসগঠনকে তারা পুষ্ট
করেছেন। তারা জাতীয়
জাগরণ স্বাধীন বাংলাদেশের
ভিত্তিভূমি নির্মাণ করেছেন।
শিক্ষা, সাহিত্য ও সংগীত,
চিত্রকলা ও সাংস্কৃতিক
কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা
বাঙালির রেনেসাঁর পর্বটি
সম্পন্ন করেছেন।
তারা গণতন্ত্র, বাঙালি
জাতীয়তাবাদ, অসামপ্রদায়িক
চেতনা ও শোষণমুক্ত
স্বদেশের যে ছবি
এঁকেছেন তা-ই পথ
দেখিয়েছে আমাদের।
সেই আদর্শে প্রাণ
দিয়েছেন লক্ষ লক্ষ
শহীদ। জয়যুক্ত হয়েছে
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম।
স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও
সংরক্ষণ হয়নি দেশের
সবগুলো বধ্যভূমি ও গণকবর।
সমগ্র দেশে ছড়িয়ে থাকা
অসংখ্য বধ্যভূমি এবং গণকবর
এখনও শনাক্ত হয়নি।
প্রশাসনের উদাসীনতায়,
অযত্ন আর অবেহলায়
অরক্ষিত হয়ে পড়েছে
বধ্যভূমি ও গণকবর।
মুক্তিযুদ্ধের এসব স্মৃতিবিজড়িত
স্থাপনসমূহ সংরক্ষণ করা খুবই
জরুরি ছিল। আমরা চাই না
মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার নীরব
সাক্ষী এই বধ্যভূমিগুলো
অযত্ন, অবহেলায় বিলীন
হয়ে যাক। আমরা চাই, এগুলো
সংরক্ষণ করা হোক।
স্বাধীনতার পর থেকেই
চলে আসছে বুদ্ধিজীবী
হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি। কিন্তু
স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি
অধিকাংশ সময় ক্ষমতার
কেন্দ্রবিন্দুতে থাকায়
এতদিনেও তা বাস্তবায়ন করা
সম্ভব হয়নি। ২০০৯ সাল
থেকে স্বাধীনতার
পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসার
পর আবার উচ্চারিত হচ্ছে
সেদিনের সেই বর্বর
হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনকারী
ও বাস্তবায়নকারীদের
বিচারের দাবি। একাত্তরের ২৫
মার্চ ভয়াল কালরাত থেকে শুরু
করে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত
দেশের নিরীহ
জনগোষ্ঠীর ওপর নির্মম
অত্যাচার চালায় পাকহানাদর এবং
তাদের এ দেশীয়
দোসররা। ১৬ ডিসেম্বর
বাংলাদেশের বিজয়ের পরপর
আত্মগোপন করে
স্বাধীনতাবিরোধীরা।
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই তৈরি করা
হয় এদেশের মুক্তমনা,
চিন্তাশীল ব্যক্তিদের তালিকা।
২৫ মার্চ থেকেই চলতে
থাকে বুদ্ধিজীবী হত্যা।
কিন্তু ডিসেম্বর মাসে তা
ব্যাপক রূপ নেয়।
পাকিস্তান সরকার ১৪
ডিসেম্বরের আগেই
আত্মস মর্পণের সিদ্ধান্ত
নেয়। এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে
দেয়া হয় জেনারেল
নিয়াজিকে। তারপরই দ্রুত
বুদ্ধিজীবী নিধন শুরু করে
তাদের এদেশীয়
সহযোগী বাহিনী।
স্বাধীনতাযুদ্ধ শেষে জানা
যায়, ১৪ ডিসেম্বর এক রাতেই
স্বনামখ্যাত অনেক
বুদ্ধিজীবীকে তাদের বাসা
থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা
করা হয়। পাকিস্তানি বাহিনীর
হয়ে রাজাকার, আলবদর,
আলশামস, শান্তিবাহিনীর
দেশীয় দালালরা শিল্পী,
সাহিত্যিক, শিক্ষক, সাংবাদিক,
পেশাজীবীসহ সব শ্রেণি-
পেশার বুদ্ধিজীবীদের
ধরে নিয়ে হত্যা করে।
বুদ্ধিজীবীদের নদী-নালা,
পুকুর, ডোবা, ময়লার
জঞ্জালসহ বিভিন্ন স্থানে
নিয়ে হাত-পা,মুখ-চোখ
বেঁধে,গুলি করে, বেয়নেট
দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়। ১৬
ডিসেম্বর স্বাধীনতার পর
নৃশংস এই হত্যার কথা জানতে
পারে দেশবাসী। সেই
থেকে প্রতি বছর ১৪
ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয়ভাবে
দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী
দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
জাতি আজ শোক, শ্রদ্ধার মধ্য
দিয়ে হারিয়ে যাওয়া সেই
শ্রেষ্ঠ সূর্যসন্তানদের
স্মরণ করবে।
লেখক : প্রাবন্ধিক

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ১৯৭১ সালে
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ
বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত হয়
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। এটি ঢাকার মীরপুরে
অবস্থিত। স্মৃতিসৌধটির স্থপতি মোস্তফা হালি কুদ্দুস ।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি
সেনাবাহিনী, রাজাকার ও আল-বদর বাহিনীর
সহায়তায় বাংলাদেশের বহুসংখ্যক
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে তাদেরকে
মিরপুর এলাকায় ফেলে রাখে। সেই সকল
বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সেই স্থানে
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। এ সকল
বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ঢাকার রায়েরবাজার
বধ্যভূমিতে নাম জানা ও অজানা বুদ্ধিজীবীদের
সম্মানে নির্মাণ করা হয়েছে ‘শহীদ
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ’। স্থপতি মো. জামী-আল
সাফী ও ফরিদউদ্দিন আহমেদের নকশায় নির্মিত
এ স্মৃতিসৌধ ১৯৯৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর
আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন তৎকালীন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বাংলাদেশ
ডাকবিভাগ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে একটি স্মারক
ডাকটিকিটের সিরিজ বের করেছে।
২৫ মার্চ ১৯৭১ কলো রাতেই শুরু হয়
বুদ্ধিজীবীদের নিধনযজ্ঞ কার্যক্রম।
পরিকল্পিতভাবে ১৪ ডিসেম্বরে সবচেয়ে
বেশীসংখ্যক বুদ্ধিজীবী নিধন করা হয়েছিল।
তাই, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন
আহমেদ এইদিনকে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’
ঘোষণা করেন। বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত
‘শহিদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থ’(১৯৯৪)
থেকে জানা যায়, ২৩২ জন বুদ্ধিজীবী শহীদ
হয়েছেন। তবে তালিকায় অসম্পূর্ণতার কথা ওই
গ্রন্থেই স্বীকার করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের
ডিসেম্বরের ১৮, মতান্তরে ২৯ তারিখে
বেসরকারীভাবে গঠিত বুদ্ধিজীবী নিধন
তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি।
এরপর “বুদ্ধিজীবী তদন্ত কমিটি” গঠিত হয়। এই
কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাও
ফরমান আলী এদেশের ২০,০০০
বুদ্ধিজীবীকে হত্যার পরিকল্পনা
করেছিলেন। কিন্তু এই পরিকল্পনা মতো
হত্যাযজ্ঞ চলেনি। কারণ ফরমান আলীর লক্ষ্য
ছিল শীর্ষ বুদ্ধিজীবীদেরকে গভর্নর
হাউজে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে গিয়ে মেরে
ফেলা। বুদ্ধিজীবী তদন্ত কমিটির প্রধান জহির
রায়হান বলেছিলেন, এরা নির্ভুলভাবে
বাংলাদেশের গণতন্ত্রমনষ্ক
বুদ্ধিজীবীদেরকে বাছাই করে আঘাত
হেনেছে। উল্লেখ্য,ওই কমিশনের আহবায়ক
ছিলেন চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান, যিনি নিখোঁজ হন
১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী
তাজউদ্দিন আহমেদ একটি তদন্ত কমিশন গঠনের
সিদ্ধান্ত নেন ১৯৭১ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর।
কিন্ত,তার ঔ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি। “আর একটা
সপ্তাহ গেলেই ওরা বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের
সবাইকেই মেরে ফেলত- আল বদর বাহিনীর
মাস্টার প্ল্যান”---- ‘দৈনিক আজাদ ১৯৭১ সালের ২৭
ডিসেম্বর ’ সেখানে লেখা হয়েছিল:
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর গণহত্যার সাহায্যকারী
দলগুলির মধ্যে জামাতে ইসলামীর ভূমিকা ছিল
সবচেয়ে ঘৃণ্য ও জঘন্য। মওদুদী-গোলাম
আযম-আবদুর রহীমের নেতৃত্বে পরিচালিত
জামাতে ইসলামী বাংলাদেশের স্বাধীনতার শুধু
ঘোর বিরোধিতাই করেনি- লক্ষ লক্ষ
বাঙালীকে পাইকারীভাবে হত্যা করার কাজে
সক্রিয় সহযোগিতাও করেছে। এরাই আর একটা
সপ্তাহ গেলেই ওরা বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের
সবাইকেই মেরে ফেলত। এদের সাথে
প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল ইসলামী ছাত্র সংঘ
(বর্তমান ছাত্র শিবির)। একাধিক সূত্রে জানা যায়, পাক
বাহিনী ও জামাত এ ইসলামীর নেতৃত্বাধীন
ক্যাডারগ্রুপ বুদ্ধিজীবীদের নিধনযজ্ঞের
হোতা । আল বদর বাহিনীর যে দুইজন
জল্লাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন - চৌধুরী
মাইনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান। বুদ্ধিজীবী নিধন
তদন্ত কমিশন ১৯৭১ প্রফেসর ডঃ সৈয়দ সাজ্জাদ
হোসইনের কর্তৃক প্রণিত একটি দলিল পায় বলে
জানা যায়। বুদ্ধিজীবীর হত্যায় যারা ঘৃণ্য ভূমিকা
রাখে তাদের মধ্যে রয়েছে যুদ্ধাপরাধী পাকি
অফিসার ব্রিগে. রাজা, ব্রিগে আসলাম, ক্যাপ্টেন
তারেক, কর্ণেল তাজ, কর্ণেল তাহের, ভিসি
প্রফেসর ডঃ সৈয়দ সাজ্জাদ হোসইন, ডঃ মোহর
আলী, আল বদরের এবিএম খালেক মজুমদার,
আশরাফুজ্জামান ও চৌধুরী মাইনুদ্দিন এদের
নেতৃত্ব দেয় মেজর জেনারেল রাও ফরমান
আলী। ১১ ডিসেম্বর থেকে আল-বদর বাহিনী
ব্যাপকভাবে বুদ্ধিজীবী নিধন পরিকল্পনার
বাস্তবায়ন শুরু করে। জামাত দাবী করে যে, এ
নিধনযজ্ঞে তাদের কোন অংশগ্রহণ ছিল না,
পরবর্তীতে এগুলোর সাথে তাদের নাম
লাগানো হয়েছে। কিন্তু সে সময়ের
পত্রিকাগুলো ভিন্ন কথা বলে। বুদ্ধিজীবী ও
শিক্ষকদের অনেককেই যে “ইসলামী ছাত্র
সংঘ”-এর পুরানা পল্টন (১৫ পুরানা পল্টন) অফিসে এবং
জামাতের মোহাম্মদপুর অফিসে নিয়ে যাওয়া
হয়েছিল, সেকথা আমরা ডিসেম্বরের পত্রিকা
থেকেই জানতে পারি।
বুদ্ধিজীবী হত্যামামলার নথিপত্রের কোনো
হদিস নেই রাজনৈতিক আমলাতান্ত্রিক কারণে ৬ বছর
ধরে ঝুলে রয়েছে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ
আইনে শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলাটি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমেই
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ২০০২
সালে বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রস্তাবনা
দেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রহস্যজনক কারণে
সে মামলা দায়েরের অনুমতি দেয়নি। পরে
মামলার নথিটিও উধাও করে দিয়েছে তৎকালীন
জোট সরকার। অভিযোগ উঠেছে, বিএনপি-
জামায়াত জোট সরকার পরিকল্পিত ভাবে মামলাটিকে
ধ্বংস করেছে। সিআইডি’র সূত্র জানিয়েছে তারা
বেশ কয়েকবার এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছেন। সেখান
থেকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ দমন আইনে
মামলা দায়েরের কোনো অনুমতি পাননি। তিনি
জানান, ১৯৯৭ সালে দায়ের করা বুদ্ধিজীবী হত্যা
মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণ্মলয়ের অনুমতিক্রমে
ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কীভাবে
আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আইনে মামলা দায়ের করা
যায়, সে ব্যপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের
লিখিত প্রস্তাবনা চেয়েছিল। প্রস্তাবনা দেওয়ার
পর সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া
মেলেনি। স্বাধীনতার ২৫ বছর পর আওয়ামী
লীগ সরকারের শাসনামলে ১৯৯৭ সালের ২৪
সেপ্টেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনায় রমনা
থানায় প্রথম মামলা দায়ের করা হয় (মামলা নম্বর ১৫)।
ওই হত্যা মামলায় আলবদর বাহিনীর চৌধুরী
মাইনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানকে আসামি করা হয়।
মামলাটি দায়ের করেন শহীদ বুদ্ধিজীবী
অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিনের বোন ফরিদা বানু। মামলাটি
সিআইডিতে পাঠানোর পর তদন্তের দায়িত্ব
দেওয়া হয় সিআইডির তৎকালীন সিনিয়র এএসপি
মুন্সী আতিকুর রহমানকে (বর্তমানে অবসরে)।
তিনি মামলার তদন্ত পর্যায়ে ১৯৯৮ সালের ১৮
জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুদ্ধাপরাধ আইনে
মামলা দায়েরের জন্য অনুমতি চান। তদন্ত
চলাকালে তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের
আত্মীয়সজনদের ৪০ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণ
সংগ্রহ করেন। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আন্তর্জাতিক আইনে মামলাটি নতুন করে
দায়েরের জন্য সিআইডিকে প্রস্ততি নেওয়ার
নির্দেশ দেয়। সিআইডি সূত্র জানায়, ওই আইনে
মামলা দায়ের করার জন্য রমনা থানার মামলাটিতে
চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়ে আন্তর্জাতক যুদ্ধাপরাধ
আইনে অনুমতি চেয়ে পুরো প্রক্রিয়া জানিয়ে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ২০০২ সালে পুর্ণাঙ্গ
প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়। ওই প্রস্তাবনা বলা হয়,
কলাবরেটর অ্যাক্ট বাতিল হয়ে যাওয়ায় প্রচলিত
আইনে বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলায় বিচার পাওয়ার
সম্ভবনা কম। কিন্তু ১৯৭৩ সালের প্রণীত
আর্ন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আইনে এর বিচার সম্ভব।
এ আইনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
গঠনের বিধানও রয়েছে। তবে এই আইনটি
কার্যকর করতে হলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের
প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে অধ্যাদেশ জারি
করলেই ওই আইনে মামলা দায়ের সম্ভব। সূত্র
জানায়, এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আর
কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উপরন্ত
মামলাটির কাগজপত্র কোথায় কী অবস্থায় আছে
সে ব্যাপারেও কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন
করা হচ্ছে। এক পর্যায়ে মামলার তদন্তকারী
কর্মকর্তার কাছে থাকা কাগজপত্র সিআইডির
তৎকালীন অ্যাডিশনাল আইজি নিয়ে যান। সে
কাগজপত্রেরও কোনো হদিস নেই। দেশ
স্বাধীন হওয়ার ঠিক আগ মূহূর্তে হানাদারদের
এদেশীয় দোসর আলবদর বাহিনী দেশের
শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
রমনা থানায় দায়ের করা বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলার
বাদী ফরিদা বানু বর্ণনা দিয়েছেন সে
হত্যাকান্ডের। তিনি এজাহারে বলেছেন, তার ভাই
গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস
বিভাগের সিনিয়র লেকচারার ও মুহসীন হলের
হাউস টিউটর ছিলেন। ১৪ ডিসেম্বর সকালে ঘাতকরা
মুহসীন হল সংলগ্ন বাসায় গিয়ে তাকে না পেয়ে
হলের দিকে যায়। হলের সামনে তাকে
পেয়ে দারোয়ান আবদুর রহিমের গামছা নিয়ে
চোখ বেঁধে ইপিআরটিসির একটি মাইক্রোবাস
যোগে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর ফিরে
আসেননি। ঘাতকরা অন্যান্য হাউস টিউটরের বাসায়ও
যায়। এ সময় ওই হলের ছাত্র ছিলেন বাংলা
একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক ড. সৈয়দ
আনোয়ার হোসেন। তিনি পুরো ঘটনা প্রত্যক্ষ
করেন। পরে তারা জানতে পারেন গিয়াসউদ্দিন
আহমেদ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের
মধ্যে ড. মোঃ মুর্তজা, ড. আবুল খায়ের,
অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা,
অধ্যাপক সিরাজুল হক ও ড. সন্তোষ ভট্টাচার্যসহ
আরো অনেককে ধরে নিয়ে গেছে
আলবদররা। শহীদ বুদ্ধিজীবী মোঃ মুর্তজার
ও সিরাজুল হকের ছেলে এনামুল হক
অপহরণকারীদের দু’জনকে চিনতে পারেন।
তারা হলেন চৌধুরী মাইনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান।
দু’জনই তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাদের
মধ্যে আশরাফুজ্জামান তৎকালীন অবজারভার
পত্রিকায় সাংবাদিকতা করতেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার
পর ১৮ ডিসেম্বর ফরিদা বানু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসা
ছেড়ে আজিমপুরে ভাড়া বাসায় চলে যান। ১৯৭২
সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতাল মর্গে তিনি তার আত্মীয়-স্বজন নিয়ে
ড. মুর্তজা, ড. আবুল খায়ের ও ড. সন্তোষ
ভট্টাচার্যসহ অনেক বুদ্ধিজীবীর গলিত লাশ
দেখতে পান। ৫ জানুয়ারি মিরপুরের বর্তমান
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের কাছে গিয়ে
তার ভাই গিয়াসউদ্দিন আহমেদের গলিত লাশ পান।
লুঙ্গি ও জামা দেখে ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেন
তিনি। বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি
চৌধুরী মাইনুদ্দীন লন্ডনে ও আশরাফুজ্জামান
নিউইয়র্ক প্রবাসী। তাদের দেশে ফিরিয়ে
আনারও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
শহীদ শিক্ষাবিদ
(বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া) ও
আইনজীবীদের
জেলাওয়ারী তালিকা[৫]
জেলা ও
বিভাগ
শিক্ষাবিদ আই প্রাথমিক মাধ্যমিক কলেজ
ঢাকা ৩৭ ৮ ১০ ৬
ফরিদপুর ২৭ ১২ ৪ ৩
টাঙ্গাইল ২০ ৭ ২
ময়মনসিংহ ৪৬ ২৮ ১ ২
ঢাকা বিভাগ ১৩০ ৫৫ ১৭
চট্টগ্রাম ৩৯ ১৬ ৭ ১
পার্বত্য
চট্টগ্রাম ৯ ৪ ১ ১
সিলেট ১৯ ৭ ২
কুমিল্লা ৪৫ ৩৩ ১ ৪
নোয়াখালী ২৬ ১৩ ৪ ২
চট্টগ্রাম
বিভাগ ১৩৮ ৭৩ ১৩
খুলনা ৪৮ ১৫ ২ ২
যশোর ৫৫ ৩১ ৫ ৪
বরিশাল ৫০ ২১ ৪
পটুয়াখালী ৩ ১
কুষ্টিয়া ২৮ ১৩ ৪
খুলনা বিভাগ ১৮৪ ৮১ ১৫
রাজশাহী ৩৯ ৮ ৩ ৫
রংপুর ৪১ ২২ ৯ ৪
দিনাজপুর ৫০ ১০ ১ ২
বগুড়া ১৪ ১২ ২
পাবনা ৪৩ ৯ ১ ২
রাজশাহী
বিভাগ ১৮৭ ৬১ ১৪
বাংলাদেশ ৬৩৯ ২৭০ ৫৯
শহীদ শিক্ষাবিদের (বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া) মোট সং
৯৬৮
শহীদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংখ্যা = ২১
শহীদ শিক্ষাবিদের মোট সংখ্যা = ৯৮৯

বিপিএলের নতুন চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স / kobirajhat24.net

বিপিএলের নতুন চ্যাম্পিয়ন রংপুর

রাইডার্স


 / kobirajhat24.net
বিপিএলের নতুন চ্যাম্পিয়ন রংপুর
রাইডার্স


kobirajhat24.net
papry99.blogspot.com
ঢাকা ডায়নামাইটসকে ৫৭ রানে হারিয়ে
প্রথমবারের মতো বিপিএলের শিরোপা
জিতেছে রংপুর রাইডার্স। অবশ্য এমনও বলা
যায়, মহারণে ঢাকাকে হারিয়েছেন ক্রিস
গেইল!

ফাইনাল ম্যাচ চলাকালে রংপুর রাইডার্সের
উদযাপনের দৃশ্য। ছবিঃ বিডিক্রিকটাইম
ক্রিস গেইলে প্রতিপক্ষের ভয়টা ছিল
আগে থেকেই। যে রংপুর আসরের
শুরুতে ধুঁকছিল, তারাই খোলস পাল্টে
ফেলল গেইলের আবির্ভাবের পরপর।
ম্যাচের মোড় যেমনি ঘুরাতে পারে একটি
শট কিংবা একটি ডেলিভারি, তেমনি ক্রিস গেইল
মোড় ঘোরালেন পুরো
টুর্নামেন্টেরই। 
রীতিমতো খাদের কিনারা
থেকে রংপুর রাইডার্সকে তুললেন শীর্ষ
চারে, পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ দল
করে। দু-দু’টি কোয়ালিফাইং ম্যাচ খেলে মাটি
কামড়ে নিশ্চিত হল ফাইনাল। টানা তিন দিন মাঠে
নামার বিরল পেশাদারিত্বের প্রমাণের সাথে
সমর্থকদের চাপ আর প্রতিপক্ষের দর্শক
ঠাসা গ্যালারি- সবকিছুকে হারিয়ে ক্রিস গেইল
একাই চ্যাম্পিয়ন করলেন রংপুর রাইডার্সকে।
ঢাকার মাটিতে রান পায় না বিপিএল-
ক্রিকেটপ্রেমীদের এমন অনুযোগ
যেন শুনতে পেলেন ক্রিকেট দেবতা।
আর তাই শেষ চারের মঞ্চে রান ফোয়ারা
কাকে বলে এবং তা কত উপায়ে দেখা
যেতে পারে- সম্ভাব্য সব উপায়ই দর্শন
করাল ক্রিকেট দেবতার রসিকতা। অবশ্য
এক্ষেত্রে রসিক ক্রিকেট দেবতার
কৃতিত্বকে খাটো করে দেখতেও
পারেন ক্রিস গেইল। একপেশে ফাইনালে
বলার মতো মারকুটে ব্যাটিং যে
দেখিয়েছেন একমাত্র তিনিই!

Also Read - রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি ছক্কার
শতক ছুঁলেন গেইল

টস জিতে ফিল্ডিং। গুঞ্জনের শুরু তখনই- ভুল
সিদ্ধান্ত নিলেন না তো সাকিব আল হাসান?
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জনসন
চার্লসকে ব্যক্তিগত ৩ এবং দলীয় ৫ রানে
ফিরিয়ে সাকিব নিজেই জানালেন, ভুল নয় তার
সিদ্ধান্ত। তবে তার সেই জানানোতেই
যে ছিল খাদ, সেটি কড়ায়গণ্ডায় বুঝিয়ে
দিয়েছেন টি-২০ ফরম্যাটের সবচেয়ে
আবেদনময়ী ব্যাটের মালিকদ্বয় ক্রিস
গেইল ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
ধীর-স্থির শুরু। একপ্রান্ত আগলে রাখলেন
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ক্রিস গেইল তখনও
ছন্দ খুঁজে পাননি। ঢাকার বোলাররা ইনিংসের
প্রায় অর্ধেক ওভার পর্যন্ত ম্যাচ রাখলেন
তাদের নিয়ন্ত্রণে। তবে এর পরই শুরু
‘গেইল শো’! বলকে সীমানা ছাড়া
করছিলেন দৃষ্টিনন্দন সব শট হাঁকিয়ে। তাও
শটগুলোর যেন আবার চারের চেয়ে
ছক্কায় পরিণত হতেই স্বাচ্ছন্দ্য বেশি!
শেষমেশ গেইল আর ম্যাককালাম মাঠ
ছেড়েছেন অপরাজিত থেকেই। তার
আগে ৬৯ বল মোকাবেলা করে ১৪৬
রানের (১৮ ছক্কা, ৫ চার) ইনিংস
খেলেছেন গেইল, যে ইনিংস খেলার
পথে ছুঁয়েছেন বিপিএলের ছক্কার শতক,
ইনিংসে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ছক্কার
রেকর্ড এবং সবচেয়ে বেশিবার ইনিংসে
দশটিরও বেশি ছক্কা হাঁকানোর কীর্তি।
সেই সাথে বিপিএলের হাজারী ক্লাবেও
টুক করে ঢুকে পড়েছেন ইতিহাসের
প্রথম বিদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে। ৪৩
বলে ৫১ রানের ৩ ছক্কা, ৪ চার কার্যকরী
কিন্তু স্বভাববিরুদ্ধ ইনিংস খেলে ম্যাককালাম
যেন ছিলেন গেইলের ছায়া হয়ে।
২০৭ রানের লক্ষ্য পূরণ যেকোনো
দলের জন্যই বেশ কঠিন, বিশেষ করে
ম্যাচটি যখন শিরোপা নির্ধারণী। খরুচে
বোলিংয়ের পর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ
ছিল ব্যাট হাতে। তবে ঢাকার টপ অর্ডার
ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ সেখানেও।
স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ
হওয়ার আগেই মাশরাফির দুর্দান্ত ডেলিভারি
পায়ে লাগিয়ে সাজঘরে মেহেদী মারুফ।
এভিন লুইস এক রান নিয়ে স্ট্রাইক দিলেন
জো ডেনলিকে, তাতে নিজের প্রথম
শিকার পেয়ে গেলেন সোহাগ গাজী।
দলীয় ১৯ রানের এভিন লুইসকে গাজীর
বলে তালুবন্দী করলেন অধিনায়ক মাশরাফি;
আর দলীয় ২৯ রানে কাইরন পোলার্ডকে
তালুবন্দী করেন গেইল, রুবেল
হোসেনের বলে।

৪.৪ ওভারে ২৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে
ঢাকা তখন দিশেহারা। তবে এতো সহজে
হাল ছাড়ার পাত্র নন সাকিব! ক্রিজে নেমে
দলের হাল ধরলেন জহুরুল ইসলামকে
সঙ্গী করে। তবে ১৬ বলে ২৬ রান
করে সাকিব সাজঘরে ফিরলে সে যাত্রায়
রতিরধ ভাঙে। সাকিবের বিদায়ের পর আউট
হন মোসাদ্দেক হোসেন ও শহীদ
আফ্রিদিও। সুনীল নারাইনকে সঙ্গে নিয়ে
শেষদিকে সম্মানজনক সংগ্রহের চেষ্টা
করে যাচ্ছিলেন জহুরুল ইসলাম। তবে
তাতে শুধু নিজের হাফ-সেঞ্চুরিটাই
পেয়েছেন জহুরুল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯
উইকেট হারিয়ে শিরোপা খোয়ানো
দলটির সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৯।
আর এতে ৫৭ রানের জয় পেয়ে
প্রথমবারের মতো বিপিএলের শিরোপার
স্বাদ পায় রংপুর রাইডার্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
রংপুর রাইডার্স– ২০৬/১ (২০ ওভার) (গেইল
১৪৬*, ম্যাককালাম ৫১*; সাকিব ২৬/১)
ঢাকা ডায়নামাইটস – ১৪৯/৯ (২০ ওভার) (জহুরুল
৫০, সাকিব ২৬; নাজমুল ৮/২, উদানা ২৫/২)
ফল- রংপুর রাইডার্স ৫৭ রানের ব্যবধানে
জিতে শিরোপাজয়ী।
ম্যাচসেরা ঃ ক্রিস গেইল
আরও পড়ুনঃ রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি ছক্কার
শতক ছুঁলেন গেইল

তামিম আবার ম্যাচ খেলতে রাজি হওয়ায় যা বললেন মাশরাফি?

তামিম আবার ম্যাচ খেলতে
রাজি হওয়ায় যা বললেন
মাশরাফি?
তামিম আবার ম্যাচ খেলতে
রাজি হওয়ায় যা বললেন
মাশরাফি?

এটাকে আপনি এক কথায় বলতে পারেন,
‘অবিশ্বাস্য’। অথবা ‘অভূতপূর্ব’! ‘পূর্ব-নির্ধারিত’
রিজার্ভ-ডে না থাকলেও বিপিএলে দ্বিতীয়
কোয়ালাইফাইয়ারের ম্যাচটি এখন হবে নতুন
করে তৈরি করা রিজার্ভ ডে-তে। সেটাও আবার
আরেকটু অদ্ভুতভাবে। খেলা আজ যেখান
থেকে শেষ হয়েছে, কাল শুরু হবে
সেখান থেকেই।
বৃষ্টির কারণে কাট-অফ টাইম পেরিয়ে
গেলেও খেলা শুরু হতে পারেনি, পরে
দীর্ঘক্ষণ এটা নিয়েই চলেছে আলোচনা।
কখনও তামিমের সঙ্গে বোর্ড কর্তা মাহবুব
আনাম, তামিমের সঙ্গে মাশরাফির, বোর্ড
কর্তাদের সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকপক্ষের-
নানা ধাপে, নানা ভাবে চলেছে কথা। শেষ
পর্যন্ত ‘রাজি করানো হয়েছে এক দল’কে,
খেলার জন্য। সেই দলটা এখন বুঝা যাচ্ছে
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। যারা খেলতে রাজি
হয়েছে ‘বিপিএলের কল্যাণেই’।
মাশরাফির কন্ঠেও প্রায় একই সুর, ‘কোনও
দলেরই আসলে পরিত্যক্ত খেলার কারণে বাদ
পড়া উচিত নয়, বিশেষ করে ম্যাচটা যখন
সেমিফাইনাল। এটা আসলে বোর্ড বা এমন
কোনও কিছুর ব্যাপার নয়। এটা ক্রিকেটের
জন্যই ভাল একটা খবর। প্লেয়িং কন্ডিশন’
গুরুত্বপূর্ণ, আমরা ত্রিদেশীয় সিরিজের
আগে চোট পেতে চাই না। তামিমকে
অনেক ধন্যবাদ, এ সিদ্ধান্তকে সম্মান
জানানোর জন্য। বিপিএলের স্বার্থেই আমরা
আগামীকাল খেলবো। টুর্নামেন্টটা দারুণ
হচ্ছে।’
তামিম ইকবাল বলেছেন, ‘ঠিক আছে, আমাদের
জায়গায় অন্য কেউ হলে তারাও আমাদের
সঙ্গে এমনই করতো। বিপিএলের স্বার্থে
আমরা আগামীকাল খেলব। সব ঠিকঠাক এখন।
কাল আমরা ভাল খেলার পরিকল্পনা নিয়ে
নামবো। মাত্র ১২ ওভার বোলিং করতে হবে।
যে শুরুটা ভাল করতে পারবে, সেই পরে ভাল
করবে।’

বিপিএল ফাইনাল: ঢাকার সঙ্গী কে?

বিপিএল ফাইনাল: ঢাকার সঙ্গী কে?
বিপিএল ফাইনাল: ঢাকার সঙ্গী কে?
প্রকাশ : ০৯. ডিসেম্বর, ২০১৭ ১১:44
kobirajhat24.net
papry99.blogspot.com
গর্বিত কবিরাজহাট: আজ ৯ ডিসেম্বর,

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) এর
চলতি আসরে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত
করেছে ঢাকা ডায়নামাইটস।তবে ঢাকার
প্রতিপক্ষ হিসেবে কে ফাইনালে যাবে
সেটা এখন নিশ্টিত নয়।ঢাকার সঙ্গে
ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস না
রংপুর রাইডার্স মুখোমুখি হবে তা জানা
যাবে আগামীকাল।মিরপুর শেরেবাংলা
জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয়
কোয়ালিফায়ার ম্যাচে কুমিল্লা ও রংপুর
পরস্পরের মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচের বিজয়ী
দল আগামী ১২ ডিসেম্বর জমকালো
ফাইনালে প্রতিদ্বন্ধিতা করবে।
ঢাকা ৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে
কুমিল্লাকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে।
৩০ রানের ঝড়ো ইনিংসের পাশাপাশি ১৬
রানে ৩ উ্ইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন
পাকিস্তানী বুম বুম শহীদ আফ্রিদি। ঢাকার
অধিনায়ক সাকিবও নিয়েছেন দুই উইকেট। kobirajhat24.net
papry99.blogspot.com
বিপিএলের এলিমেনটর ম্যাচে খুলনার
বিপক্ষে দারুণ জয় পেয়েছে রংপুর
রাইডার্স।ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস
গেইলের অনবদ্য ১২৬ রানের ইনিংসে ভর
করে ২৮ বল বাকি থাকতেই ৮ উইেকেটে জয়
পেয়েছে মাশরাফির দল।রংপুরের জয়ে
টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে
পড়েছে মাহমুদউল্লাহর খুলনা টাইটানস।
এদিন মিরপুরে ক্রিস গেইলের ওয়ান ম্যান
শো দেখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।গেইল
একাই ৫১ বলে ১২৬ রান করে এ আসরের প্রথম
সেঞ্চুরিয়ানের রেকর্ড গড়েছেন।সেঞ্চুরি
করতে খেলেছেন মাত্র ৪৫ বল।তার ইনিংসটি
সাজানো ছিল ১৪টি ছক্কা ও ৬টি চারের
মারে।আর গেইলকে এদিন দারুণ সঙ্গ
দিয়েছেন মোহাম্মদ মিথুন।তিনি অপরাজিত
ছিলেন ৩৬ বলে ৩টি চারের মারে ৩০ রানে।
খুলনার হয়ে আর্চার দুটি উইকেট সংগ্রহ
করেছেন।
এর আগে দিনের শুরুতে টস জিতে
ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর
রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন
মর্তুজা। ব্যাটিংয়ে নেমে পুরান ও কার্লোস
ব্রাথ হোয়াইটের ব্যাটিংয়ে ভর করে ১৬৭
রান সংগ্রহ করে খুলনা। রংপুরের হয়ে
লাসিথ মালিঙ্গা ২টি, নাজমুল, রুবেল,
বোপারা ও সোহাগ গাজী ১টি করে উইকেট
সংগ্রহ করেন। kobirajhat24.net
papry99.blogspot.com
গতকাল খুলনা টাইটান্সকে হারিয়ে
ফাইনালে উঠার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেছে
রংপুর রাইডার্স। ফাইনালে খেলতে হলে
তাদের আরেকটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে
হবে। এই পরীক্ষায় মাশরাফি বিন
মুর্তজাদের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা
ভিক্টোরিয়ান্স।
কবিরাজহাট২৪ডটনেট/kobirajhat24.net



রিজার্ভ ডে’তে গড়ালো ম্যাচ       Kobirajhat24.net

রিজার্ভ ডে’তে গড়ালো ম্যাচ

      Kobirajhat24.net
রিজার্ভ ডে’তে গড়ালো ম্যাচ
      Kobirajhat24.net
========================

রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের
মধ্যকার চলমান বিপিএলের দ্বিতীয়
কোয়ালিফায়ার ম্যাচ মোড় নিয়েছে
নাটকীয়তার দিকে। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটি
কার্টেল ওভারে গড়ানোর শেষ সময়
৯.৩০ ওতিক্রম করার পর দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট
নির্ধারণ করতে রংপুর ও কুমিল্লার মধ্যকার
ম্যাচটি মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি একদিন পর অর্থাৎ
সোমবার আবারো শুরু করার সিদ্ধান্ত
নিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। দু’দলের
মধ্যকার ম্যাচটি মহা গুরুত্বপূর্ণ তাই নৈতিকতা
থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
আজ যে পর্যন্ত ম্যাচ গড়িয়েছে
আগামীকাল সন্ধ্যায় একই জায়গা থেকে
খেলা আবারো মাঠে গড়াবে বলে নিশ্চিত
করেছেন বিসিবি গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য
সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। স্টেডিয়ামের
মাইকে এই ঘোষণা দেন তিনি। এসময় তিনি
নিশ্চিত করেন আজকের ম্যাচের টিকিট
দিয়ে আগামীকালও খেলা দেখতে
পারবেন দর্শকরা।
প্রসঙ্গত দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জন্য
কোন রিজার্ভ ডে না থাকলেও, ম্যাচের
গুরুত্ব বিবেচনা করে দুই মালিক পক্ষের
সম্মতিতে ম্যাচটি সোমবার আজকের জায়গা
থেকে আবারো পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
এর আগে শঙ্কা থাকা স্বত্বেও নির্দিষ্ট
সময়েই মাঠে গড়িয়েছিল রংপুর রাইডার্স ও
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যকার একেএস
বিপিএল ২০১৭ আসরের দ্বিতীয়
কোয়ালিফায়ারের ম্যাচ। ঠিক-ঠাক গতিতে
সামনের দিকে এগোচ্ছিলও ম্যাচ। তবে
ম্যাচ শুরুর ঘন্টাখানেক সময় অতিক্রান্ত
হতেই শঙ্কাকে সত্য প্রমাণ করে ম্যাচে
বাগড়া দেয় বেরসিক বৃষ্টি।
এমতাবস্তায় ম্যাচের পরিণতি কি হতে পারে এ
নিয়ে উভয় দলের সমর্থকদের মধ্য দেখা
দিয়েছে চিন্তার ছাপ। বৃষ্টি বাগড়ায় ম্যাচ শেষ
পর্যন্ত মাঠে না গড়ালে ফাইনালে
উর্ত্তীণ হবে কুমিল্লা। তবে চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত জানানোর আগে শেষ পর্যন্ত
অপেক্ষা করবেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা।
প্রসঙ্গত ম্যাচে বৃষ্টি বাগড়া দেওয়ার আগে
আগের ম্যাচে শতক হাঁকিয়ে ফাইনালের
এক ধাপ কাছে নিয়ে আসা ক্রিস গেইলের
উইকেট হারিয়ে রংপুর সংগ্রহ করেছে ৭
ওভারে ৫৫ রান। ২৪ বল মোকাবেলায় ৪ ছয়
ও ৪ চারের সাহায্যে ৪৬ রান নিয়ে অপরাজিত
আছেন চার্লস আর তাঁর সাথে অপরাজিত
আছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
উল্লেখ্য মহা গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টস
জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়
কুমিল্লা। নিজেদের খেলা শেষ ম্যাচ
থেকে একটি করে পরিবর্তন এনে
আজকের লড়াইয়ে নামে উভয় দল। লাসিথ
মালিঙ্গা দেশে ফিরে যাওয়ায় তার জায়গায়
উদানাকে নিয়ে আজ মাঠে নামে রংপুর।
অন্যদিকে ডোয়াইন ব্রাভোর বদলে
গ্রায়েম ক্রেমারকে আজকের ম্যাচের
একাদশে অন্তর্ভুক্ত করে কুমিল্লা।
Papry99.blogspot.com

নীলছবি দেখেন? তাহলে কখনই প্রতিবেদনটি এড়িয়ে যাবেন না.

নীলছবি দেখেন? তাহলে

কখনই প্রতিবেদনটি এড়িয়ে

যাবেন না.
নীলছবি দেখেন? তাহলে
কখনই প্রতিবেদনটি এড়িয়ে
যাবেন না.


পর্ণ দেখেনি এমন পুরুষ খুব কমই আছে। তাই
পর্ণ দেখাটা তাঁদের কাছে ভীষণ স্বাভাবিক।
তবে, এই সময়ে,তরুন প্রজন্মের কাছে
পর্ণগ্রাফির প্রতি আসক্তি এক ভয়াল নেশার
মতো। টিনএজার থেকে শুরু করে অনেক
মধ্য বয়সী পুরুষও পর্ণগ্রাফি আসক্তিতে
ভুগছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের
বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় পর্ণগ্রাফি
আসক্তিকে তেমন ক্ষতিকর নয় ব্যাখ্যা দিলেও
এরও বেশ কিছু খারাপ দিক আছে। নিয়মিত পর্ণ
ছবি দেখার মাধ্যমে নিজের অজান্তেই
নিজের ক্ষতির করে ফেলছেন অসংখ্য পুরুষ।
আসুন জেনে নেয়া যাক পর্ণ আসক্তির
কারণে যে ক্ষতি হতে পারে আপনার৷i

নারীরা ঘৃনার চোখে দেখে

পর্ণ আসক্ত পুরুষদেরকে সাধারণ রুচিশীল
নারীরা হীনমন্য ও চরিত্রহীন মনে করে।
নারীরা যখন জানতে পারে যে তার পরিচিত
কোনো পুরুষ নিয়মিত পর্ণ ছবি দেখে তখন
তার সম্পর্কে খারাপ মনোভাব জন্ম নেয় এবং
তাঁকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। বিশেষ
করে আমাদের সমাজের নারীরা তো
অবশ্যই।

রুচি বোধের অবনতি হয়

নিয়মিত পর্ণ ছবি দেখতে দেখতে পুরুষদের
রূচিবোধের অধঃপতন হয়। পর্ণ সিনেমার
অনৈতিক ও যৌনতা নির্ভর বিকৃত সম্পর্ক
গুলোকেই তখন ভাল লাগতে শুরু করে।
ফলে যারা নিয়মিত পর্ণ সিনেমা দেখে তাদের
রুচি বিকৃত হয়ে যায়। জীবনের স্বাভাবিক
সম্পর্ক গুলোতেও নিজের অজান্তে বিকৃতি
খোঁজে তাদের চোখ।

দেখুন ফ্যান্টাসির দুনিয়া

নিয়মিত পর্ণ ছবি দেখতে দেখতে বাস্তব
জগৎ ছেড়ে পুরুষরা ফ্যান্টাসি দুনিয়াতে চলে
যায়। অর্থাৎ বাস্তব জীবনেও তাঁরা পর্ণ
সিনেমার মত সঙ্গী আশা করে এবং তাঁরা স্বপ্ন
দেখে তাদের যৌন জীবনটাও পর্ণ সিনেমার
মতই হবে। তাই ফ্যান্টাসি দুনিয়ার স্বপ্নে
বিভোর হয়ে তাঁরা বাস্তব জীবনের সুখ শান্তি
হারায়। সাধারণ নারীদেরকে তখন আর তাদের
যথেষ্ট মনে হয় না।

নিঃসঙ্গতা

অতিরিক্ত পর্ণ নেশার কারণে সাধারন
নারীদের প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসে পর্ণ
আসক্তদের। তাঁরা পর্ণ সিনেমার নায়িকাদের মত
আকর্ষনীয় দেহ ও চেহারার নারী
খোঁজে বাস্তব জীবনে। কিন্তু পর্ণ
সিনেমার নায়িকাদের সৌন্দর্য মূলত কৃত্রিম
সৌন্দর্য, তাদের আচরণও কৃত্রিম। মেকআপ,
লাইট ও ক্যামেরার কারসাজিতে তাদেরকে
মোহনীয় ভাবে দেখানো হয় যা বাস্তব
জীবনে খুঁজে পাওয়া সম্ভব না। তাই পর্ণ
আসক্তরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিঃসঙ্গ থেকে
যায় অথবা সংসারে অসুখী হয়।

শারীরিক ক্ষতি

নিয়মিত পর্ণ ছবি যারা দেখে তাদের মধ্যে
হস্ত মৈথুনের অভ্যাসটাও বেশি থাকে। অতিরিক্ত
হস্ত মৈথুন করার ফলে তাদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি
বাড়ে এবং যৌন জীবনে নানান সমস্যার
মুখোমুখি হতে হয়।

ভয়াল নেশা

পর্ন সিনেমার নেশা মাদকের নেশার মতই
ভয়ংকর। মাদকাশক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যেমন
কষ্টসাধ্য, পর্ণ আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়াও
দূরহ ব্যাপার। পর্ণ আসক্তির কারণে পরিবারের
সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়, পড়াশোনায় ক্ষতি হয়
এমনকি নিজের মধ্যেও হীনমন্যতার সৃষ্টি হয়।

সামাজিকভাবে হেয় হতে হয়

পর্ণ আসক্তদের মোবাইলে, কম্পিউটারে,
পেন ড্রাইভে সব খানেই পর্ণ ছবি থাকে
অধিকাংশ সময়। অনেক সময় এসব অনৈতিক বিষয়
গুলো পরিবারের কাছে ধরা পড়ে যায়। ফলে
পরিবারের কাছে হেয় হতে হয় পর্ণ
আসক্তদেরকে। এছাড়াও সমাজের মানুষজন,
বন্ধুবান্ধব বিষয়টি জেনে গেলে তাদের
কাছেও হেয় হতে হয় তাদেরকে।

বেগম রোকেয়া দিবস আজ প্রকাশ : ০৯. ডিসেম্বর, ২০১৭ ১১:০৯ kobirajhat24.net papry99.blogspot.com

বেগম রোকেয়া দিবস আজ
প্রকাশ : ০৯. ডিসেম্বর, ২০১৭ ১১:০৯
kobirajhat24.net
papry99.blogspot.com
বেগম রোকেয়া দিবস আজ
প্রকাশ : ০৯. ডিসেম্বর, ২০১৭ ১১:০৯
kobirajhat24.net
papry99.blogspot.com

গর্বিত কবিরাজহাট: আজ ৯ ডিসেম্বর,
বেগম রোকেয়া দিবস। বাংলার নারী
জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার
জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছর
এ দিন সারাদেশে সরকারিভাবে রোকেয়া
দিবস পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো
এবারো রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পৃথক
পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে
সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে
দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা
হয়েছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় রোকেয়া
দিবস উপলক্ষে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায়
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোকেয়া
পদক-২০১৭ প্রদান ও আলোচনা সভার
আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি থাকবেন।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার রাষ্ট্রপতি
তার বাণীতে বলেন, বেগম রোকেয়া
নারীমুক্তি, সমাজ সংস্কার ও প্রগতিশীল
আন্দোলনের পথিকৃৎ। কুসংস্কার ও
ধর্মীয় গোঁড়ামির বিধিনিষেধের অন্ধকার
যুগে শৃঙ্খলিত বাঙালি মুসলিম নারীদের
অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি
পর্দার অন্তরালে থেকেই নারীশিক্ষা
বিস্তারে প্রয়াসী হন এবং মুসলমান
মেয়েদের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে
মুক্তির পথ সুগম করেন।
তিনি বলেন, সামাজিক নানা বিধিনিষেধ, নিয়ম-
নীতির বেড়াজাল অগ্রাহ্য করে বেগম
রোকেয়া আবির্ভূত হন
অবরোধবাসিনীদের মুক্তিদূত হিসেবে।
রাষ্ট্রপতি আশা করেন, বৈষম্যহীন
সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বেগম
রোকেয়ার জীবনাদর্শ ও কর্ম আমাদের
নারী সমাজের অগ্রযাত্রায় প্রেরণা
যোগাবে।
অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে
বলেছেন, বেগম রোকেয়া ছিলেন
নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণের অগ্রদূত।
বিশ শতকের প্রথম দিকে বাঙালি
মুসলমানদের নবজাগরণের সূচনালগ্নে
নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণে তিনিই প্রধান নেতৃত্ব দেন। 
papry99.blogspot.com
সাহিত্যচর্চা, সংগঠন পরিচালনা
ও শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে বেগম
রোকেয়া সমাজ সংস্কারে এগিয়ে আসেন
এবং স্থাপন করেন উজ্জল দৃষ্টান্ত। বেগম
রোকেয়ার আদর্শ, সাহস, কর্মময় জীবন
নারী সমাজের এক অন্তহীন প্রেরণার
উৎস।
এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন,
এদেশের রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থায়
বেড়ে ওঠা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত
হোসেন ছিলেন নারী জাগরণের
অগ্রদূত। তিনি তার নিজ জীবনের বাস্তবতার
মধ্যে উপলব্ধি করেছিলেন সমাজে
নারীর পশ্চাদপদ অবস্থান। উপলব্ধি
করেছিলেন শিক্ষাই নারীর আত্মমর্যাদা
প্রতিষ্ঠার প্রধান অবলম্বন। তার জীবন-
সংগ্রামের লক্ষ্যই ছিল নারী শিক্ষার
বিস্তারের মধ্য দিয়ে নারীমুক্তি। আর
নারীমুক্তির বাণী বহন করতে গিয়ে
তাকে সমাজের গোঁড়া রক্ষণশীলদের
প্রচণ্ড আক্রমণের মুখোমুখি হতে
হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন
কর্তব্যকর্মে অদম্য ও অবিচল।
kobirajhat24.net
দিবসটি পালন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি
আগামী রোববার বিকেল ৪টায় একাডেমির
কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক
বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রদান করবেন অধ্যাপক
সোনিয়া নিশাত আমিন। সভাপতিত্ব করবেন
অধ্যাপক পারভীন হাসান।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঢাকায় ও শাখাগুলোতে
আলোচনা সভা, সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
সেই সাথে বেগম রোকেয়ার জন্মস্থান
রংপুরের পায়রাবন্দে দিবসটি পালন উপলক্ষে
বেগম রোকেয়া ফোরাম দিনব্যাপি নানা
কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
প্রসঙ্গত, বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের
৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার
পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ
করেও তিনি নারী জাগরণের অগ্রদূতের
ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তিনি উনবিংশ শতাব্দীর
একজন খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ
সংস্কারক। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি
মৃত্যুবরণ করেন।
যে সময় এ উপমহাদেশে নারীদের
শিক্ষা অর্জনের কথা ভাবাই যেত না, সে
সময় বেগম রোকেয়া পরিবার ও সমাজের
সমস্ত প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে শিক্ষার্জনে
ব্রতী হন। papry99.blogspot.com
তার সেই সাধনার পথ ধরেই
রচিত হয় নারী শিক্ষার পথ। তারপর দিনে
দিনে প্রশস্ত হয় সেই পথ। তারই
ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশেও আজ শিক্ষা ও সব
ধরনের কর্মক্ষেত্রে নারীদের সদম্ভ
পদচারণা আমাদের দেশের উন্নয়নকে
তরান্বিত করছে।
তৎকালীন মুসলিম সমাজব্যবস্থা অনুসারে
বেগম রোকেয়া ও তার বোনদের
বাইরে পড়াশোনা করতে পাঠানো হয়নি।
তাদের ঘরে আরবি ও উর্দু শেখানো হয়।
তবে রোকেয়ার বড় ভাই ইব্রাহীম
সাবের আধুনিকমনস্ক ছিলেন। তিনি তার দুই
বোন রোকেয়া ও করিমুন্নেসাকে
ঘরেই গোপনে বাংলা ও ইংরেজি শেখান। kobirajhat24.net
১৮৯৮ সালে বেগম রোকেয়ার বিয়ে হয়
খান বাহাদূর সাখাওয়াত হোসেনের সাথে।
তিনি ছিলেন উর্দুভাষী। তা সত্ত্বেও তিনি
রোকেয়াকে শিক্ষা এবং সাহিত্য সাধনায়
অনুপ্রেরণা দিতেন। ১৯০২ সালে
রোকেয়া লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ
করেন ‘পিপাসা’ রচনার মধ্য দিয়ে। ১৯০৯
সালে সাখাওয়াত হোসেন মারা যান।
স্বামীর মৃত্যুর পাঁচ মাসের মাথায় বেগম
রোকেয়া সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস
স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ‘আঞ্জুমানে
খাওয়াতিন’ নামে একটি ইসলামি নারী
সংঘঠনেরও প্রতিষ্ঠাতা।
বেগম রোকেয়ার উল্লেখিত রচনাসমূহ
হলো পিপাসা (১৯০২), মতিচূর (১৯০৪),
সুলতানার স্বপ্ন (১৯০৮), সওগাত (১৯১৮),
পদ্মরাগ (১৯২৪) ও অবরোধবাসিনী
(১৯৩১)।

কবিরাজহাট২৪ডটনেট/kobirajhat24.net



বুয়েট পড়ুয়া ছেলের বাবা

বুয়েট পড়ুয়া ছেলের বাবা
বুয়েট পড়ুয়া ছেলের বাবা
আজকে বুয়েটে গিয়েছিলাম । বাসায় ফেরার জন্য পলাশী থেকে রিক্সা ঠিক করলাম। ভাড়া ৮০ টাকা চাইল। সাধারনত ১০০ টাকা চায়। একজন কম চাইল ৷ রিক্সায় উঠে গেলাম ।
বাসার কাছাকাছি যখন আসলাম তখন রিক্সাওয়ালা আমাকে বলে
"প্রতিদিন কি এই খান থেকে ক্লাসে যাওয়া আসা করেন?"
আমি বলি না। পাস করেছি ৩ বছর হলো।
রিক্সাওয়ালাঃ "ও আচ্ছা! এখন কি করেন?"
আমিঃ "চাকরি করি।"
রিক্সাওয়ালাঃ "ও আচ্ছা! আমার ছেলেও
বুয়েটে পড়ে। এখন ফাইনাল ইয়ারে।"
(কি শুনলাম নিজের কানকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হল প্রথমে! আবার কনফার্ম করার জন্য জিজ্ঞাসা করলাম)
"আপনার ছেলে বুয়েটে পড়ে!! "
রিক্সাওয়ালাঃ "হা!"
আমিঃ(তখনও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তাই একটু ডিটেইলস জানতে চাইলাম) "কোন ডিপার্টমেন্ট?"
রিক্সাওয়ালাঃ "সিভিলে পড়ে।"
আমিঃ(যেহেতু ফাইলান টার্মে বলছে তাই HSC টা জিজ্ঞাসা করলাম) "ও HSC দিয়েছে কবে?" দেখলাম রিক্সাওয়ালা ঠিক ঠিক answer দিল!
HSC year শুনে আমি নির্বাক!
তার ছেলে যে আসলেই বুয়েটিয়ান! কিছুক্ষন অবাক বিস্ময়ে চুপচাপ বসে থাকলাম আর একটু পর জিজ্ঞাসা করলাম!
"আপনার কয় ছেলে মেয়ে?"
"২ ছেলে ১ মেয়ে।
.
মেয়েটা ইডেনে প্রানীবিজ্ঞানে সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে । ছেলেটা ক্লাস টেন এ বুয়েট স্কুলে পড়ে।"
আলাপ করতে করতে বাসার সামনে চলে এলাম।
রিক্সা থেকে নেমে বললাম,
"আপনি আগে কি করতেন?"
"পাঞ্জাবির কারখানা ছিল। টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।" তারপর বলল "মানুষ জন বলে, তোমার ছেলে তো বুয়েটে পরে, তোমার রিক্সা চালানোর কি দরকার। কিন্তু আমার টা তো আমি বুঝি।
কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ছেলে মেয়ের লেখা পড়ার খরচ চালাতে হয়।
ছেলেটা টিউশনি করে নিজের টা নিজে চালায় ।"
আরো অনেকক্ষণ কথা বললাম আমরা,
তিনি আমাকে বললেন কিভাবে ছেলেকে পড়াচ্ছেন, ছেলে ক্লাস ৫ এ বৃত্তি পেয়েছে, SSC তে A+ তারপর HSC তে গোল্ডেন A+ পেয়েছে । তেজগাও, কুয়েট, বুয়েটসহ আরো অনেক জায়গায় ভর্তি পরিক্ষা দিয়েছিল । সব জায়গায় চান্স পেয়েছে সে। যখন দেখলো ছেলে বুয়েটে টিকেছে , তখন ছেলেকে চোখ বন্ধ করে বুয়েটে ভর্তি হয়ে যেতে বললাম।
আমি বললাম আপনি আসেন আমার সাথে ভাত খাবেন। বাসায় আম্মু আব্বু নাই এখন। আমিই আপনাকে ভাত রেঁধে খাওয়াব। আপনি একজন গর্বিত পিতা! আপনি রিক্সা সাইড করে আমার বাসায় আসেন। তারপর উনি বললেন, না বাবা থাক! তোমার আম্মু আব্বু যেহেতু নাই আজ লাগবে না।
আমি বললাম "আচ্ছা আপনি একটু দাঁড়ান। আমি আসছি বাসার ভিতর থেকে। মানি বেগে যা ছিলো পুরোটাই দিয়ে দিলাম উনাকে। বললাম এইটা আপনি রাখেন। বেশি দিন না, আর মাত্র ৬ মাস! তারপর থেকে আপনার আর কষ্ট করা লাগবে না। আপনার ছেলে বুয়েটে পড়ে।
সামনে আপনার সুদিন। [পাশে দাঁড়ানো আরেক যাত্রি আমার শেষের কথা গুলি শুনলেন এবং উনার রিক্সা করে যেতে যেতে অবাক হয়ে কি কি যেন জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন ]
আমাদের এ দেশটা বড়ই অদ্ভুত!! গুণীজনরা রিক্সা চালিয়ে ক্ষুধা নিবারণ করে, ছেলে মেয়েদেৱ লিখা পড়ার খরচ যোগায় । আর ধনি মূর্খরা দেশ চালায়, অৰ্থের পাহাড় গড়ে, ছেলে মেয়েদের বিদেশে পড়ায় ৷
.
কার্টেসিঃ kobirajhat24.net
-----Md Alamgir Rahman 

ক্ষুদিরাম বসুঃ ভারত উপমহাদেশের কিংবদন্তী বিপ্লবী_

ক্ষুদিরাম বসুঃ ভারত উপমহাদেশের কিংবদন্তী বিপ্লবী_
ক্ষুদিরাম বসুঃ ভারত উপমহাদেশের কিংবদন্তী বিপ্লবী_kobirajhat24.net

‘একবার বিদায় দে-মা ঘুরে আসি/ হাসি হাসি পরব ফাঁসি দেখবে জগৎবাসী/ কলের বোমা তৈরি করে/ দাঁড়িয়ে ছিলেম রাস্তার ধারে মাগো/ বড়লাটকে মারতে গিয়ে/ মারলাম আরেক ইংল্যান্ডবাসী।/ শনিবার বেলা দশটার পরে/ জজকোর্টেতে লোক না ধরে মাগো/ হল অভিরামের দ্বীপ চালান মা ক্ষুদিরামের ফাঁসি/ দশ মাস দশদিন পরে/ জন্ম নেব মাসির ঘরে মাগো/ তখন যদি না চিনতে পারিস দেখবি গলায় ফাঁসি’।

এই গানের মধ্যে দেশমাতাকে ছেড়ে যাওয়ার যে আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে এবং যার কথা উঠে এসেছে সে এ উপমহাদেশেরই সূর্য সন্তান_ক্ষুদিরাম। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন কারণে ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী যাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল। যে ফাঁসির মঞ্চে হাসিমুখে মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছিলেন, সে আর কেউ নয়, বাংলার বিপ্লবী ক্ষুদিরাম।

ক্ষুদিরামের ফাঁসি কার্যকর হয় ১৯০৮ সালের ১১ আগষ্ট। সময়ের ঘড়িতে তখন ভোর ৪টা। সে সময় ক্ষুদিরামের পক্ষের আইনজীবি ছিলেন শ্রী উপেন্দ্রনাথ সেন। তাঁর ভাষ্যমতে - “ফাঁসির মঞ্চে ক্ষুদিরাম নির্ভিকভাবে উঠে যান। তাঁর মধ্যে কোন ভয় বা অনুশোচনা কাজ করছিল না। এদেশের নবীন যৌবনের প্রতীক হয়ে হাসিমুখে তিনি উঠে যান ফাঁসির মঞ্চে।”

যে গানটি আজও বিভিন্ন গণ আন্দোলনের অনুপ্রেরণা যোগায়, বিপ্লবী ক্ষুদিরামের আত্মত্যাগের প্রতিচ্ছবি চেতনার আয়নায় চিত্রায়ন করে, সেটি রচনা করেছিলেন বাঁকুড়ার লোককবি পীতাম্বর দাস। যে বিপ্লবীর আত্মত্যাগের উপাখ্যানকে কেন্দ্র করে এই গান তার নাম ক্ষুদিরাম। সরল লৌকিক ঝুমুর বাউল সুরে গীত গানটি সারা বাংলায় জনগণের অন্তরে গেঁথে রয়েছে।

ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী। দুটি নাম। দুজন বিপ্লবীর নাম। নাম দুটি শুনলেই চেতনার আয়নায় ভেসে উঠে একটি ফাসিঁর দৃশ্য ও একটি রিভলভার দিয়ে মাথায় গুলি ছোড়ার দৃশ্য ও শব্দ। কিছুক্ষণের জন্য হলেও চেতনা অসাড় হয়ে যায়। সমস্ত শরীর-মন শিহরণে কেঁপে উঠে। এ এক অদ্ভুদ ক্ষোভ আর গর্বের অনুভূতি। কিন্তু কিয়ৎক্ষণ পরেই আমরা সব ভুলে যায়। ফিরে চলি সাম্রাজ্যবাদী চেতনায়। তখন আমাদের সামনে দেশপ্রেমের চেয়ে নিজস্বার্থ বড় হয়ে দাড়ায়। কোনো ত্যাগ নয়, ভোগই মূল দর্শন। যার কারণে আজকে কাউকে বিপ্লবী বললে সন্দেহ চলে আসে। এবং যারা সন্দেহ করে তারা এই বৃত্তের বাইরে আসতে সক্ষম হয় নি। আপনি আমি সকলে একই।

প্রফুল্ল চাকী ক্ষুদিরামের তিন মাস দশ দিন পূর্বে নিজের রিভলবারের গুলিতে মোকামঘাট রেলস্টেশনে জীবন বিসর্জন দেন। ব্রিটিশ বুনো জানোয়ারের হাতে মরবে না বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

১৯০৮ সালে এমনি আরো অনেক বিপ্লবীকে ইংরেজের ফাসিঁ কাষ্ঠে ঝুলতে হয়েছিল কানাইলাল, সত্যেন বসু, গোপাল সেনসহ আরো অনেককে।

ক্ষুদিরামের বাবা- ত্রৈলক্যনাথ। মা- লক্ষ্ণী দেবী। অপরূপা, সরোজিনী, ননীবালা তিন বোনের নাম। ক্ষুদিরামের জন্মের পূর্বে দুই ভাই মারা যায়। ছেলে সন্তান না বাঁচার কারণে লক্ষ্ণী দেবী ক্ষুদিরামের জন্মের পর তাকেঁ তিন মুঠো চালের ক্ষুদের বদলে অন্যের কাছে ঠেলে দেন।

বাবা মারা যায় ক্ষুদিরামের বয়স যখন সাত বছর। মা মারা যান তার ছমাস পরে।

দুর সম্পর্কের এক দাদা ও বৌদির কাছে কতটুকু আর স্নেহ-ভালবাসা পাওয়া যায়। শুধু কাজ আর অত্যাচার। অশান্তিতে ভরা মন। সঙ্গী হল দুঃখ আর একাকীত্ব। তবু পেটের দায় ৮/৯ বছরের ছেলেকে সবই সইতে হতো। এ সকল কারণে পড়াশোনায় তার মন আর বসলো না। কিন্তু ফাঁক পেলেই খেলাধুলা, ব্যায়াম, এ্যাডভেঞ্চার জাতীয় কোনো কাজে প্রচুর আকর্ষণ ছিল তার।

দাদা-বৌদির দিনের পর দিন অমানবিক আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেন ক্ষুদিরাম। বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়ে পড়লেন একদিন। বোনের বাসায় যাবেন কিনা ভাবতে ভাবতে মেদিনীপুরে এসে পৌছলেন। ক্ষুদিরাম বোনের বাসা চিনতেন এবং তাকে ভগ্নীপতির বাড়িতে পৌছে দিলেন। সেখানে থেকে মেদিনীপুর হ্যামিলটন স্কুলে ক্লাস ফোরে ভর্তি হলেন। তারপর ভর্তি হন কলেজিয়েট স্কুলে। এই স্কুলে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন।

ক্লাস ফাকিঁ দেয়া ও পড়াশোনা না পারার জন্য তাকে স্কুলের মাস্টার মহাশয় সকল প্রকারের শাস্তি দিতেন। তার উপর বখাটেদের ওস্তাদ বলেও গালি দিতে বাদ দিতেন না কখনো। ক্ষুদিরাম তার মতো বাউণ্ডুলে স্বভাব ছেলেদের নিয়ে ভুত ধরা এবং তাড়ানোর দল গড়লেন। তখনকার দিনের কুসংস্কার তাকে মোটেও স্পর্শ করতে পারেনি। তাই সমাজের মানুষের মধ্য থেকে কুসংস্কার দুর করার জন্য এই প্রচেষ্টা। এজন্যও তাকে অনেকের বকাবকি খেতে হয়েছে। এক পর্যয়ে স্কুলটা ছেড়ে দিলেন। মেধাবী ও দুরন্ত এবং কিছুটা বাণ্ডুলে স্বভাবের কিশোর ক্ষুদিরাম ১৯০৩ সালে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে পড়াশুনা বন্ধ করে দেন। এ সময় তিনি ঝুকে পড়েন দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ডে। অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা সংকল্প গ্রহণ করেন।

স্কুলের অদুরে ভবানী মন্দির প্রাঙ্গনে গিয়ে সময় কাটাতেন। সেখানে স্বাক্ষাৎ হলো সত্যেন বসুর সাথে। ১৯০৩ সালে ক্ষুদিরাম তাঁর কাছে গুপ্ত সমিতির (সশস্ত্র বিপ্লববাদী সংগঠন) মন্ত্র শিষ্য হিসেবে দীক্ষা গ্রহণ করলেন। এতো দিন পর ক্ষুদিরাম মুক্তভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারলেন। মনে ইচ্ছা মতো পড়াশোনা, খেলাধুলাসহ নানা কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকতেন। বিপ্লবীদের আদর-স্নেহ-ভালবাসায় সিক্ত করলেন নিজেকে। রাজনৈতিক পড়াশোনা ক্রমান্বয়ে বাড়াতে থাকলেন। শপথ গ্রহণ করলেন দেশমাতৃকাকে ব্রিটিশদের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য।

১৯০৫ সালের অক্টোবরে বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলন চলার সময় বরিশালের টাউন হলে অশ্বিনী কুমার বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলনকে জোরদার করা প্রসঙ্গে তার উপলব্দির কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন_ ‘আমরা যে সব বক্তৃতা করে বেড়াচ্ছি, যদি কেউ তা যাত্রাপালা আকারে গ্রামে গ্রামে প্রচার করে, তাহলে তা_ আমাদের এরূপ সভা বা বক্তৃতার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর হবে’।

অশ্বিনী কুমার দত্তের এই বক্তব্য মুকুন্দদাস খুবই গুরুত্বসহকারে নিলেন। মাত্র ৩মাসের মধ্যে রচনা করলেন অসাধারণ যাত্রাপালা ‘মাতৃপূঁজা’। মাতৃপূঁজার মূল বিষয় ছিল দেশপ্রেম। দেশমাতৃকাকে একত্রীকরণের লক্ষ্যে তার সন্তানরা প্রয়োজনে জীবন দিয়ে ভারতমাতাকে ব্রিটিশদের হাত থেকে মুক্ত করবে। পুলিন দাস, অশ্বিনী কুমার দত্ত, মুকুন্দদাস দারুণ দেশপ্রেমের উন্মাদনা সৃষ্টি করলেন তরুণ সমাজের মধ্যে।

“বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে জন্ম নেয় স্বদেশি আন্দোলন। যে আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করে ছাত্ররা। বিশেষ করে স্কুলের কিশোরেরা। আর এই দুই আন্দোলনের সমর্থনে সক্রিয় অহিংস সংগ্রাম যেমন পরিচালিত হয়, তেমনি সহিংস কর্মকাণ্ডভিত্তিক গোপন সংগঠনেরও জন্ম হতে থাকে।

বঙ্গভঙ্গবিরোধী ও স্বদেশি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন ক্ষুদিরাম বসু। এ সময় ক্ষুদিরাম সত্যেন বসুর নেতৃত্বে গুপ্ত সংগঠনে যোগ দেন। এখানে তাঁর শারীরিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক ও রাজনৈতিক শিক্ষা হয়। এখানে পিস্তল চালনার শিক্ষাও হয়। এই গুপ্ত সংগঠনের কর্মসুচির অংশ হিসেবে ক্ষুদিরাম ইংল্যান্ডে উৎপাদিত কাপড় জ্বালিয়ে দেন এবং ইংল্যান্ড থেকে আমদানীকৃত লবণবোঝাই নৌকা ডুবিয়ে দেন। এসব কর্মকান্ডে তাঁর সততা, নিষ্ঠা, সাহসিকতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় পাওয়া যায়। ফলে ধীরে ধীরে গুপ্ত সংগঠনের ভেতরে তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি পায়”-রতন সিদ্দিকী।

১৯০৬ সালে কথা প্রসঙ্গে সত্যেন বসু বললেন, হঠ্যাৎ দেশটা বেশী রকম কালীভক্ত হয়ে উঠছে। তাঁর কথার জবাবে ক্ষুদিরাম বলে উঠলেন, আর যাই হোক কালীর কৃপায় পাঠা খেতে মিলে আর সেই পাঠার লোভে ভক্তও জোটে। সত্যিকার অর্থে এমন সময়টাই তখন চলছিল। দেশপ্রেমের একটা ছোট বই ছাঁপা হয়েছে, এগুলো বিক্রির জন্য তরুণদের উপর দায়িত্ব পড়ল। ক্ষুদিরাম তাদের মধ্যে অন্যতম।

মেদিনীপুর মারাঠা কেল্লায় প্রবেশ দ্বারে দাড়িয়ে ক্ষুদিরাম বই হাতে বলছেন- আসুন পড়ুন। দেশের দুর্দশার খবর জানুন। অত্যাচারী রাজশক্তির নির্মমতার নজির – এই বই আপনাদের জন্য।

“ভারতের ছাত্র আন্দোলনের সূত্রপাত সাম্রাজ্যবাদবিরোধিতার মধ্য দিয়ে। বৃটিশদের শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করার অদম্য মানসিকতা সেদিনের ছাত্র সমাজকে আপসহীন বিপ্লবী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করেছিল। বহু যুবক বিপ্লবী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করেছিল। বহু যুবক বিপ্লবী দলগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল এমনকি আমরা দেখেছি শিক্ষকদের প্রেরণাতেও বহু মেধাবী ছাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন। শিক্ষক-ছাত্রের এক অনুকরণীয় সম্পর্ক গড়ে দিয়েছিল সে সময়। ক্ষুদিরামেরা সেই অগ্নিগর্ভ সময়েরই সৃষ্টি। সে সময়ে তারুণ্যের প্রাবল্য আঘাত হানে অত্যাচারী শাসকের দুর্গে। ‘বোকা’ ক্ষুদিরামরাই নতুন পথ দেখান”-
নির্মল সেন।

হঠ্যাৎ এ্যাই কেয়া করত্যা হ্যায়। চুপ বই। একজন হাবিলদার ক্ষুদিরামের হাত চেপে ধরল। শক্তি ও বয়সে তার চেয়ে অনেক বেশি। তবুও ক্ষুদিরামের কাছে-কুছ পরোয়া নেহি। হাবিলদারের মুখের মধ্যে এক বকসিং মেরে দিলেন সমস্ত শক্তি দিয়ে। তৎক্ষনাৎ নাক ফেঁটে রক্ত বেরুলো। সত্যেন বসু ঠিক ওই সময় এসে হাজির হলেন। দেখলেন বিষয়টি। সান্তনা দিলেন হাবিলদারকে। ক্ষুদিরাম মুহূর্তের মধ্যে হাওয়া। কয়েকদিন আত্নীয়ের বাড়িতে আত্নগোপন করে রইলেন। তাতে কি আর একজন দেশপ্রেমিক শান্তি পায়? দেশ জোড়া বিপ্লবের ঢেউ। হাজার হাজার ছেলে মেয়ে জড়িয়ে আছে দেশমাতৃকার কাজে। পুলিশে ধরার ভয়ে আর কত দিন পালিয়ে থাকা যায়। মনস্থির করলেন পুলিশের কাছে ধরা দেবেন। তাই আলীগঞ্জের তাঁতশালায় চলে এসে ধরা দিলেন। পুলিশ মারা ও নিষিদ্ধ বই বিলির অপরাধে ক্ষুদিরামের বিরুদ্ধে রাজদ্রোহের মামালা করা হল। বাংলাসহ সারা ভারতবর্ষ এই প্রথম ক্ষুদিরামকে চিনলো। ১৩ এপ্রিল ক্ষুদিরাম মুক্তি পেল। খানিকটা শাস্তি পেলেন সত্যেন বসু। ক্ষুদিরাম এবার গুপ্ত সমিতির কাজে আরো উঠে পড়ে লাগলেন।

ইতোমধ্যে বিলেতী পণ্য বর্জনের পালা শুরু হলো। বিলেতী পণ্য নৌকায় দেখলে ক্ষুদিরামসহ বাংলার অসংখ্য ক্ষুদিরাম বাহিনী তা ডুবিয়ে দিত।

১৯০৭ সালের শেষের দিকে ক্ষুদিরাম তার দিদির সাথে কালী পুঁজা দেখতে যান। কালী পুঁজার সময় একদিন সন্ধ্যার অন্ধকারে ডাকহরকরাকে ছুরি মেরে গুপ্ত সমিতির জন্য টাকা সংগ্রহ করে আনেন।

সারাদেশে শুরু হলো ব্রিটিশ শাসক আর সশস্ত্র বিপ্লববাদীদের সংঘর্ষ। ধড়পাকড় আর নির্যাতন। বিপ্লবীরাও সুযোগ বুঝে গুম করে দেয় ব্রিটিশ শকুনদের। ব্রিটিশ হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাধিয়েঁ দিল। এক্ষেত্রে ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহর যথেষ্ট উস্কানি ছিল। তিনি ছিলেন হিন্দু বিদ্বেষী।

স্বাধীনতাকামী বিপ্লববাদী দলগুলোকো দমন করার জন্য ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী মরিয়া হয়ে উঠে। একের পর এক বিপ্লবীকে ধরে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা রুজু করে শারিরীক নির্যাতন, আন্দামান,আলীপুরসহ বিভিন্ন জেলে যাবতজীবন কারাদণ্ড দিয়ে পাঠানো শুরু করলো। ব্রিটিশ বিচারক ছিলেন কিংসফোর্ট। এক নিষ্ঠুর বিচারক। ১৩ বছরের ছেলে সুশীল সেন। পুলিশ সার্জেন্টকে ঘুসি মেরে নাক ফাঁটিয়ে দেয়। সুশীল সেনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হলো। কিংসফোর্ট বিচারক। বিচারে ১৫ টি বেত্রাঘাত মারার হুকুম দিল। রক্তাক্ত হলো সুশীল সেন। দুঃসহ যন্ত্রণায় কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে পড়লো। খবরটি দ্রুতবেগে ছড়িয়ে পড়লো। সকল তরুণ বিপ্লবী এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ইংরেজকে বিতাড়িত করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করলো। বিপ্লববাদী দলের সুবোধ মল্লিক, হেমচন্দ্র, চারুদত্ত, বারীন ঘোষ ও অরবিন্দ সিদ্বান্ত নিলেন কিংসফোর্টকে হত্যা করার। মিটিংয়ে প্রশ্ন উঠলো একাজের দায়িত্ব কাকে দেব? আড়াল থেকে মিটিংয়ের কথা শুনে প্রফুল্লচাকী বললেন-আমি প্রস্তুত। বলুন কি করতে হবে আমাকে। কিন্তু সবাই ভাবলেন একাজের জন্য আরো একজন দরকার। ভেবেচিন্তে ক্ষুদিরাম বসুর নাম ঠিক হলো।

ক্ষুদিরামের অবিভাবক সত্যেন বসুর কাছে চিঠি লিখে পাঠানো হলো। চিঠি অনুযায়ী ১৯০৮ সালের ২৫ এপ্রিল ক্ষুদিরাম কোলকাতায় এসে পৌছালেন। গোপীমোহন দত্তের ১৫ নম্বর বাড়ি ছিলো বিপ্লবীদের তীর্থক্ষেত্র। এখানে বসেই হেমচন্দ্র ও উল্লাসকর শক্তিশালী book bomb তৈরী করলেন। এ বোম বইয়ের ভাঁজে রাখা যেত। বেশ কৌশলে একটি বই কিংসফোর্টের কাছে পাঠানো হলো। কিন্তু কিংসফোর্ট বই না খোলার কারণে সে যাত্রায় বেঁচে গেলেন। আবার নতুন প্রস্তুতি।

কোলকাতার নবকৃষ্ণ ষ্ট্রীটের ৩৮/৫ এর বাড়ি। বারীন ঘোষের মাধ্যমে কিংসফোর্টকে মারার বোমা পৌছে গেল প্রফুল্লচাকী ও ক্ষুদিরামের কাছে। রিভলবার কেনার জন্য টাকা ও মজঃফরপুরে যাওয়ার মানচিত্র দেয়া হলো তাদেরকে। এই প্রথম দুজন একত্রিত হলো রেলস্টেশনে । এর আগে কেউ কাউকে চিনতো না। কথা হলো। সিদ্বান্ত নিলো কিংসফোর্টকে হত্যা করার। পাঁচ পাঁচটা দিন চলে গেল। ক্লাব হাউজ থেকে সন্ধার পর সাদা ফিটন গাড়িতে নিয়মিত ফিরে আসেন কিংসফোর্ট। ৩০ এপ্রিল। ছায়াঘন পিছঢালা পথ দিয়ে সাদা ফিটন গাড়ি আসতে ছিলো। গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করলো লড়াকু সৈনিকরা। কিন্তু ওই গাড়িতে কিংসফোর্ট ছিলো না। ছিলো দু’জন বিদেশী। তারা মারা গেল। তাৎক্ষনিক ওই স্থান থেকে চলে গেলেন উভয়ে। কিন্তু এক পর্যায়ে ধরা পড়লো ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্লচাকী। প্রফুল্ল ধরা পড়ার সাথে সাথে নিজের মাথায় রিভলবারের গুলি ছুড়ে মারা যান। প্রায় তিন মাস দশ দিন পর ১১ আগষ্ট ১৯০৮ সাল। ক্ষুদিরামের সকল বিষয় জানা ছিলো। হাঁসতে হাঁসতে ফাঁসির মঞ্চের দিকে এগিয়ে গেলেন। ভারতমাতার জয়—একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি...........

“ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের যেসব সত্য কাহিনী লোকমুখে প্রচারিত হতে হতে কিংবদন্তির রূপ নিয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলো ভগত সিং, সুর্যসেন, বিনয়-বাদল-দিনেশ ও ক্ষুদিরামের কাহিনী। এর মধ্যে ক্ষুদিরামের কাহিনী অধিক মাত্রায় লোকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তার কারণ সম্ভবত ক্ষুদিরামের বয়স ও দুঃসাহসিকতা”-রতন সিদ্দিকী। Alamgir Rahman 
#গল্প_একা


.এই গল্প যে পড়বে সেই বুঝবে প্রেম কি জিনিষ...... বহুদিন পরে.
মেয়েঃ হাই.. কেমন আছো?
ছেলেঃ হঠাৎ Unblock করলে যে...?
মেয়েঃ আমার ইচ্ছা হইছে তাই..!!
ছেলেঃ ওহ. সেদিন ও তো তোমার ইচ্ছা
রেখেছিলাম.. তো আজ কি চাও?
মেয়েঃ কিছু চাওয়া ছাড়া কি ম্যাসেজ দেওয়া
যাবেনা?
ছেলেঃ হ্যা,,বলো.. শুনছি..
মেয়েঃ উত্তর টা দিলে না তো?
ছেলেঃ জানার অধিকার হারিয়েছো..তুমি কেমন
আছো?
মেয়েঃ হুম.. এই তো ভালো..
ছেলেঃ তার মানে বেশি ভালো নেই..
মেয়েঃ কিভাবে বুঝলে..?
ছেলেঃ সেটা তুমি জানলে.. ছেড়ে যেতে না.. আচ্ছা
শোনো আমি বের হবো. খারাপ লাগছে কিছু
বললে বলো..
মেয়েঃ একটু সময় কি পাওয়া যাবে?
ছেলেঃ হুম,,বলো..
মেয়েঃ কি করো?
ছেলেঃ দোকানে বসে আছি..
মেয়েঃ এখন ও ছাড়ো নি..
ছেলেঃ যার জন্য ছেড়েছিলাম সে আমাকে ছেড়ে চলে
গেছে..তাই আবার আমি আগের মত হয়ে গেছি..
মেয়েঃ খুব ই খারাপ..
ছেলেঃ হ্যা,, তবে পিছুটান নেই..
মেয়েঃ তুমি কি আর রিলেশন করেছো?
ছেলেঃ যদি করতামা তাহলে তোমার ম্যাসেজ এর
রিপ্লে দেওয়ার সময় পেতাম না..এন্ড প্লিজ যা
বলার তাড়াতাড়ি বলো আর পারছিনা..
মেয়েঃ কেনো কি হইছে?
ছেলেঃ বুকের বাম কোণে ব্যথা হচ্ছে...
মেয়েঃ কেনো?
ছেলেঃ না জানলেও চলবে.. প্লিজ তাড়াতাড়ি...
মেয়েঃ আমাকে কি আরেকবার সুযোগ দিবা?
তোমার জীবনে ফিরে আসতে?
ছেলেঃ সে কি তোমাকে সুখী রাখেনা?
মেয়েঃ..........
ছেলেঃ হুম বুঝালাম.. যাই হোক.. কেনো ফিরতে
চাও?
মেয়েঃ তোমার মত করে কেউ ভালোবাসেনা..
ছেলেঃ আমি বলেছিলাম.. তোমাকে..
মেয়েঃ খুব ই কষ্ট হয়..
ছেলেঃ জানো,,খুব ইচ্ছে হচ্ছে তোমাকে আবার
বুকে জড়াতে.. ফিরেয়ে আনতে জীবনে
মেয়েঃ তাহলে কেনো ফিরিয়ে নিচ্ছ না..
ছেলেঃ কারণ..এইবার তোমাকে ফিরেয়ে নিলে.
যখন ই তুমি আমার চোখের দিকে তাকাবা তখন ই
তোমার নিজের কাছে অপরাধী মনে হবে,, আমার
চোখে ভালোবাসা খুঁজে পাবেনা তুমি,, মনে হবে
করুণা করছি, আর তোমার চোখের দিকে তাকালে
মনে হবে.. আমার প্রতিটা রাত দিনের কথা...
মেয়েঃ প্লিজ. আমার কান্না পাচ্ছে..
ছেলেঃ সেদিন আমিও কেঁদেছিলাম.. একবার
দেখোনি..
মেয়েঃ Sorry প্লিজ..
ছেলেঃ তোমার এই sorry টা পারবেনা. আমার সেই
কষ্টের দিন গুলো ফিরিয়ে দিতে পারবেনা.. আমার
নষ্ট হওয়া সময় গুলো ফেরাতে. পারবেনা আমার
নরম থেকে কঠিন হয়ে যাওয়া মন টাকে আবার নরম
করতে.. পারবেনা.. সেই কথা গুলো ভোলাতে
তোমার বিদায়ে যা তুমি বলেছিলে...
মেয়েঃ প্লিজ এইভাবে বলোনা.. আমার কষ্ট
হচ্ছে
ছেলেঃ হুম,,,তুমিও ফিরে আসতে চেওনা এইবার
ফিরে আসলে আমার চেয়ে বেশি কষ্ট তোমার হবে.
মেয়েঃ একটা সুযোগ কি পাবোনা?
ছেলেঃ সুযোগ যদি তোমাকে দিয়েও দি তুমি সেই
আগের তুমি আর আমি সেই আগার আমি হতে
পারবোনা..
মেয়েঃ কেনো পারবোনা.. চেষ্টা করলে ঠিক ই
পারবো..
ছেলেঃ মন যার ভাঙে সেই জানে.. সেটা আর আগের
মত জোড়া লাগানো সম্ভব না.
মেয়েঃ হুম,,,
ছেলেঃ জানি,,ভুলতে পারবোনা.. তবুও ফিরে পেতে
চাইনা. আর তোমার অপরাধী মুখটা দেখতে চাইনা..
মেয়েঃ(কিছু কান্নার ইমুজ সেন্ড করে)
ছেলেঃ হা হা হা, ভাগ্যিস চোখের পানি কথা বলতে
পারেনা না হলে সেদিন তোমার আসল রূপ টা
দেখাতে পারতাম না.. যাই হোক. ভালো থেকে..
ভালো রেখো.. আমিও চেষ্টা করবো.. কিন্তু
প্লিজ.. আর কারো মন নিয়ে খেলা করোনা..
অনেক কষ্ট হয়..
মেয়েঃ সত্যি সেদিন যদি তোমকে বুঝতাম..
ছেলেঃ একটা কথা জানো তুমি আজ ফিরতে চাও
কেনো আমার কাছে?
মেয়েঃ কেনো?
ছেলেঃ আজ তুমি একা হয়ে গেছো তাই..
মেয়েঃ হুম,অনেক..
ছেলেঃ একাকীত্ব যে কতটা যন্ত্রণার যে ভোগে
সে জানে. তবুও আমি কাওকে চাইনা কারণ,, এইবার
আবার তোমাকে হারালে পৃথিবীতে বসবাসের
অযোগ্য হয়ে যাবে.
মেয়েঃ কথা দিলাম হারাবোনা.
ছেলেঃ শুরুতে সবাই এই রকম ই বলে. তুমিও
বলেছিলে. কিন্তু সময় বাস্তবটা ঠিক দেখিয়ে
দিয়েছে.. তাইনা.
মেয়েঃ.......
ছেলেঃ তোমার নীরবতা জানিনা কি বলছে.. তবে
সত্যি আমি আর পারবোনা.
মেয়েঃ.......
ছেলেঃ ওকে,, বাই.. ভালো থেকে
মেয়েঃ শোনো
ছেলেঃ বলো
মেয়েঃ I love U
ছেলেঃ আফসোস,, সেদিন আমিও হাত জোর করে
বলেছিলাম..
মেয়েঃ প্লিজ
ছেলেঃ বাই,,
মেয়েঃ প্লিজ..
ছেলেঃ No more excuse,, No more pain,, life is
struggle,, So fight every time,, and now,, I am
নন্তন,,,
মেয়েঃ হুম,, বাই.,,,,,