পিচ্চি_মেয়ের_প্রেম_কাহিনী

পিচ্চি_মেয়ের_প্রেম_কাহিনী
পিচ্চি_মেয়ের_প্রেম_কাহিনী
       Kobirajhat24.net



তখন ইন্টার প্রথম বর্ষের ছাত্র আমি। গ্রাম এলাকায় বাড়ি থাকায় শহরে ম্যাসে থেকে পড়াশোনা করতাম। আমাদের ম্যাসের সামানে কয়েকটি বাড়ি ছিলো।সেখানে বিভিন্ন ভাড়াটিয়া থাকতো।

কোন এক সমস্যার কারণে আমি একদিন কলেজে যাইনি। কিন্তু আমার বন্ধুরা সবাই কলেজে যাওয়ায় আমার রুমে একাই ভালো লাগছিলোনা। তাই রুম থেকে বেড়িয়ে বাড়িগুলোর পিছনে একটি পুকুর ছিলো। সেখানে বসে খুব মনোযোগ সহকারে গেমস খেলছিলাম।

হঠাত্ কারো ডাকে আমার ঘোড় কাটল। দেখি ৬-৭বছরের একটি মেয়ে বসে আছে আমার পাশে বসে। এবং আমাকে জিঞ্জেস করছে .

-ভাইয়া আপনার নাম মোবাশ্বের
না ?
-হ্যা ।কিন্তু তুমি কে ? আমাকে চিনো কিভাবে ? (আমি ঘোর কাটিয়ে বললাম)
-আমি তন্নি।আপনি আমাদের বাসার সামনের ম্যাসে থাকেন আমি আপনাকে চিনি।
-ও।কিন্তু তুমি কোন ক্লাসে পড়ো।
-ক্লাস ওয়ানে।(সে) এভাবে তারসাথে কিছুক্ষন কথা বলার পর রুমমেট ফোন করায় ম্যাসে চলে আসি।

কিছুদিন পর কোন কারণে আমি ওই বাসার সামনে দিয়ে আসছিলাম।তখন কে যেন আমাকে বললো মোবাশ্বের ভাইয়া ভালো আছেন।আমি চেয়ে দেখি সেদিনের ওই পিচ্চি মেয়েটা।

আমি বললাম হ্যা ভালো আছি। তুমি কেমন আছো??সে বলল আমিও ভালো আছি।তারপর সে একটি রুম দেখিয়ে বলল ভাইয়া এটা আমাদের রুম। তারপর আমি সেখান থেকে ম্যাছে চলে আসলাম।

তারপর থেকে প্রায়ই ওই পিচ্চির সাথে আমার দেখা হতো এবং কথা হতো। মেয়েটিই আমার সাথে আগে কথা বলতো।কিছুদিন যাওয়ার পর পিচ্চির মধ্যে আমি পরিবর্তন লক্ষ করলাম। সে আমাকে দেখে কি যেন বলতে চাইতো। আর আমাকে দেখে কেমন যেন একটু লজ্জা পেত।

কটা মজার ব্যাপার হলো যেহুতু মেয়েটার বাসা আমাদের ম্যাছের ঠিক সামনা সামনি ছিলো তাই মেয়েটির ঘরের জানালা দিয়ে আমাদের ম্যাছের বারান্দা সরাসরি দেখা যেত ।আমি একটা বিষয় লক্ষ করতাম আমরা বন্ধুরা যখন বারান্দায় বসে আড্ডা দিতাম।মেয়েটি তখন তাদের ঘড়ের জানালা দিয়ে কেমন যেন আমার দিকে তাঁকিয়ে থাকতো।

আমার বন্ধুরাও বিষয়টা লক্ষ করতো।এবং তাকে নিয়ে আমার সাথের মজা করতো।এবং পিচ্চিকে দেখলে ভাবি বলে ডাকতো।এতে পিচ্চি কিছুবলতোনা বরং লজ্জা পেত। মনে হতো এতে সে খুশি।

এভাবে ভালোই কাটছিলো আমার দিনগুলো। কিন্তু বিষয়টা মেয়েটির মা কিভাবে যেন লক্ষ করেছিলো। তাই তাকে আমাদের ম্যাছের দিকে আর বেশি আসতে দিতোনা। আগে সে দিনে প্রায় চার পাঁচ বার আসতো আমাদের ম্যাছের দিকে।কিন্তু তখন থেকে আর তাকে বেশি দেখতাম না এদিকে।

কিন্তু একটা বিষয় লক্ষ করতাম সে আগের তুলনায় বেশি তাঁদের জানালার কাছে দাড়িয়ে ম্যাছের দিকে তাকিয়ে থাকতো।

একদিন রুমে জানালা খুলে বসেছিলাম তখন মেয়েটি দেখি তার মায়ের সাথে ম্যাছের সামনে দিয়ে যাচ্ছে।আর বার বার জানালা দিয়ে আমার দিকে তাকাচ্ছে।আর তার মা বিষয়টি লক্ষ করে তাকে বাধা দেওয়া সত্তেও সে এদিকে তাকাচ্ছে।সেদিন বিষয়টি লক্ষ করে আমি মনেমনে খুব অবাক হয়েছিলামযে এত পিচ্ছি মেয়ের মধ্যে কিভাবে এরকম অনুভূতি থাকতে পারে।

দেখতে দেখতে আমার HSC পরীক্ষা খুবই নিকটে চলে আসলো।সে জন্য অন্যদিকে নজর না দিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু মাঝে মাঝে যখন বারান্দায় যেতাম।তখন প্রায়ই দেখতাম পিচ্চি জানালা দিয়ে ম্যাছের বারান্দার দিকে তাকিয়ে আছে।মাঝে মাঝে তাঁর আমার চোখে চোখ পড়লে সে লজ্জায় চোখ ফিড়িয়ে নিতো ।

এভাবে চলতে চলতে আমার পরীক্ষাও শুরু হলো।পরীক্ষা দেওয়ার পর বাড়িতে চলে এসেছিলাম।কিন্তু ঐ পিচ্চিকে মনেমনে কেমন যেন মিস করতাম।

তারপর HSC পাশ করার পর আমি বিদেশে চলে যাই।কিন্তু সেখানে গিয়েও আমি তাকে অনেক মিস করতাম।মনে হতো তার সেই পাগলামি গুলো।আমি ভাবতাম কিভাবে অতটুকু মেয়ের মধ্যে এরকম অনুভূতি থাকতে পারে।খুব মিসকরতাম আমি তাকে।

এভাবেই কাটছিলো আমার বিদেশের দিনগুলো।নয় বছর আমি বিদেশ থেকে দেশে আসি।

এসে আমি পিচ্চির খোজ করি।কিন্তু আমি শুনি ঐবাসায় তারা আর থাকেননা।গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। যেহুতু আমার কাছে তাদের গ্রামের বাড়ির ঠিকানা ছিলোনা।তাই আমি তাদের আর খোজ নিতে পারিনি।কিন্তু আমি তাকে খুব মিস করতাম।অনুভূব করতাম সে আমার কতটা হৃদয় জূড়ে ছিলো।

কিন্তু কিছুদিন পর আমাকে বাড়ি থেকে বিয়ের চাপ দিতে শুরু করলো। আমি বিয়েতে রাজি ছিলাম না তবুও বাবা মায়ের কথা ভেবে বিয়েতে রাজি হলাম।

বাবা মা আমাকে মেয়ে দেখতে যেতে বললো।কিন্তু আমি না গিয়ে তাদের বলেদিলাম আপনাদের পছন্দই আমার পছন্দ।আপনাদের পছন্দ হলেই হবে।

তারপর মেয়ে পছন্দ হলো তাদের। আমাকে মেয়ের ফটো দেখালো। কেমন যেন চেনা চেনা মনে হলো মেয়েটাকে। আমি বললাম আমি রাজি।তারপর তারা বিয়েঠিক করলো।

দেখতে দেখতে বিয়ের দিন এসে গেলো। বিয়ে করতে গেলাম সেখানে মেয়েকে দেখলাম।দেখে মনে হল তাকে যেনো আমি কোথায় দেখেছি।আমার খুব পরিচিত। কিন্তু মনে করতে পারছিলামনা। আবার ভাবলাম হয়তো মনের ভুল। যাইহোক বিয়ে হয়ে গেলো বিয়ে করে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসলাম।
.
বাসর রাতে ঘরে ঢুকলাম।দেখি সে ঘুমটা দিয়ে বসে আছে।সে আমাকে দেখে সালাম করলো।তারপর আমি তাকে দেখে অবাক হোলাম।এতো তন্নি।তার পর আমি তার নাম জিঞ্জেস করলাম। সে বলো নাদিয়া জাহান তন্নি।এতে আমি আরও শিওর হলাম যে সে সেই পিচ্চি তন্নি।
.
তারপর আমি তাকে তখনকার ঘটনা গুলো বললাম।প্রথমে না মনে করতে পারলেও পরে সে তা মনে করতে পেরেছিলো এবং খুবলজ্জা পেয়েছিলো। kobirajhat24.net

(কাল্পনিক) 

#এমন_গল্প_আরো_পড়তে_চাইলে_আমাকে_ফ্রেন্ড_অথবা_ফলোয়ার_বানাতে_পারেন