ঐতিহাসিক_ব্যক্তিদের_জীবনীঃ

ঐতিহাসিক_ব্যক্তিদের_জীবনীঃ
#ঐতিহাসিক_ব্যক্তিদের_জীবনীঃ ০৪ 
.
⭕ হিটলার ⭕
.
⭕নামঃ আডলফ হিটলার ( Adolf Hitler)। 
⭕বাবার নামঃ Alois
⭕জন্মঃ ২০শে এপ্রিল, ১৮৮৯
⭕মৃত্যুঃ ৩০শে এপ্রিল , ১৯৪৫ (৫৬ বছর), বার্লিন, জার্মানি।
⭕মৃত্যুর কারণঃ আত্মহত্যা
⭕নাগরিকত্বঃ অস্ট্রীয় (১৮৮৯-১৯৩২), জার্মান (১৯৩২-১৯৪৫)
⭕জাতীয়তাঃ ১৯২৫ সাল পর্যন্ত অস্ট্রীয়; ১৯৩২-এর পর জার্মান।
⭕রাজনৈতিক দলঃ ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি (এনএসডিএপি)।
⭕দাম্পত্য সঙ্গীঃ ইভা ব্রাউন (১৯৪৫ সালের ২৯শে এপ্রিল বিয়ে করেন)
⭕পেশাঃ লেখক, রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রপ্রধান, চিত্রশিল্পী।
⭕ধর্মঃ খ্রিস্ট ধর্ম। 
.
▪হিটলারের অধীনে জার্মানি একটি আধিপত্যবাদী ফ্যাশিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত হয়। 
-
▪হিটলার রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করেন এবং তার মুখের কথাই আইন হিসেবে বিবেচিত হতে শুরু করে। তৎকালীন জার্মান সরকার কোন সমন্বিত ও সুসংগঠিত কাঠামো ছিল না বরং তা ছিল হিটলারের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার হাতিয়ারমাত্র। 
-
▪ বর্ণবাদ, বিশেষ করে ইহুদী বিদ্বেষ ছিল নাৎসি পার্টির শাসনামলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। 
-
▪ইহুদি এবং অন্যান্য সম্প্রদায় ও জাতিগোষ্ঠীর ব্যক্তিবর্গকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়। তাদের বেশিরভাগই অত্যাচার, নিপীড়ন বা হত্যার শিকার হন।
-
▪হিটলারবিরোধী সকল শক্তিকে দমন করা হয়। উদারপন্থী, সমাজতান্ত্রিক ও কমিউনিস্ট বিরোধী দলের সদস্যদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়, বন্দী করা হয় নয়তো দেশান্তরী হতে বাধ্য করা হয়। এমনকি চার্চগুলোও নাৎসি পার্টির কড়া নজর থেকে রেহাই পায়নি। বহু ধর্মীয় নেতাকে অবৈধভাবে বন্দী করা হয়
-
▪১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পোল্যান্ড আক্রমণ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত করেন।
.
⭕কৈশোর ও যৌবনকালঃ
▪১৯০৩ সালে বাবা মারা যান। বাবার রেখে যাওয়া পেনশন ও সঞ্চয়ের অর্থ দিয়েই তাদের সংসার কোনমতে চলতে থাকে। অনেক ভোগান্তির পর ১৯০৭ সালে মাতাও মারা যান। হিটলার নিঃস্ব হয়ে পড়েন। 
-
▪পড়াশোনায় বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। সামান্য যা ভাতা পেতেন তা দিয়ে ভিয়েনার মত শহরে চলতে-ফিরতে তার বেশ কষ্ট হতো। শিল্পী হিসেবেই তার বেশ সম্ভাবনা ছিল। এই উদ্দেশ্যে অস্ট্রিয়ার "একাডেমি অফ ফাইন আর্টস"-এ ভর্তি পরীক্ষা দেন। কিন্তু সুযোগ পাননি।
-
▪অগত্যা বেশ ক'বছর তাকে একাকী ও বিচ্ছিন্ন জীবন যাপন করতে হয়। এ সময় পোস্টকার্ড ও বিজ্ঞাপনের ছবি এঁকে সামান্য উপার্জন করতেন। এই অর্থ দিয়ে ভিয়েনার এক হোস্টেল থেকে আরেক হোস্টেলে বাস করতে থাকেন। 
-
▪এ সময় তার মধ্যে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা গিয়েছিল যেগুলো তার পরবর্তী জীবন সম্বন্ধে আমাদের কিছু ধারণা পেতে সাহায্য করে। যেমন: একাকীত্ব, গোপনীয়তা, প্রাত্যহিক অস্তিত্বের বোহেমীয় ভাব (ছন্নছাড়া জীবন-যাপন), কসমোপলিটানিজ্‌মের প্রতি ঘৃণা এবং ভিয়েনার বহুজাতিক অবস্থার প্রতি বিতৃষ্ণা।
.
⭕গ্রন্থঃ
▪হিটলারের লেখা গ্রন্থ হল "মেইন কামফ"।
.
⭕প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগদান
▪১৯১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রীয় সামরিক বাহিনীতে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেন। স্বাস্থ্যগত কারণে সৈনিক হবার সুযোগ পাননি।
-
▪কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে জার্মান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি ছিলেন ১৬তম বাভারিয়ান রিজার্ভ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টে।
-
▪যুদ্ধে সাহসিকতা ও বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯১৪ সালের ডিসেম্বরে সেকেন্ড ক্লাস আয়রন ক্রস লাভ করেন। 
-
▪১৯১৮ সালের আগস্টে তাকে ফার্স্ট ক্লাস আয়রন ক্রস দেয়া হয়। একজন করপোরালের পক্ষে এটা বেশ বড় প্রাপ্তি। হিটলার খুব উৎসাহের সাথে যুদ্ধ করেছেন।
.
⭕রাজনীতিতে প্রবেশঃ
▪১৯১৯ সালের মে-জুনের দিকে জার্মানির বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে মিউনিখের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হন।
-
▪১৯২০ সালে তাকে এই দলের প্রচারণার দায়িত্ব দেয়া হয়। দলের ভেতরে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্য তিনি সেনাবাহিনী ত্যাগ করেন। এই বছরই দলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় National-sozialistische Deutsche Arbeiterpartei (নাৎসি পার্টি)।
-
▪নাৎসিরা তাদের বিরোধী পক্ষের অনেককেই হত্যা করেছিল, রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ঢেলে সাজিয়েছিল, সামরিক বাহিনীকে নতুন নতুন সব অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করেছিল এবং সর্বোপরি একটি সমগ্রতাবাদী ও ফ্যাসিবাদী একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল। 
-
▪ হিটলার ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর এবং ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত সে দেশের ফিউরার ছিলেন।
-
▪হিটলার এমন একটি বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেন যাতে সকল "লেবেনস্রাউম" (জীবন্ত অঞ্চল) দখল করে নেয়ার কথা বলা হয়। 
-
▪হিটলারের রাজ্য জয় ও বর্ণবাদী আগ্রাসনের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়। ৬০ লক্ষ ইহুদিকে পরিকল্পনামাফিক হত্যা করা হয়। ইহুদি নিধনের এই ঘটনা ইতিহাসে হলোকস্ট নামে পরিচিত।
.
⭕বিয়েঃ
▪পুরো জীবনে কিছু সংখ্যক মেয়ের সাথে তার রোমান্টিক সম্পর্ক ছিল এবং একই সাথে  সমকামিতার প্রতি তার বিদ্বেষ দেখা গেছে। তিনি সমকামিতায় আসক্ত ছিলেন, এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তার নাম অনেক মেয়ের সাথেই যুক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন আত্মহত্যা করেছে। 
-
▪ইভা ব্রাউনের সাথে তার ১৪ বছরের প্রেমের সম্পর্ক বাইরে এবং ভেতরের কেউ জানত না।
-
▪১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তিনি ফিউরার বাংকারে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন।
.
⭕মৃত্যুঃ
▪১৯৪৫ সালে হিটলারের শেষ ভরসা স্তেইন এর সেনাবাহিনী বিধ্স্ত হয়ে যায় এবং তাঁর অধিকাংশ সঙ্গী মিত্রবাহিনীর কাছে ধরা দেয়। এর ফলে হিটলার তার জীবনের সব আশা-আকাঙ্খা হারিয়ে ফেলেন এবং ইভাকে পালিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু ইভা পালিয়ে না গিয়ে সেখানে থেকে যান এবং হিটলারের সাথেই ৩০শে এপ্রিল আত্মহত্ম্যা করেন।
.
⭕Nurjahan Akter
.
⭕ প্রতিদিন সকাল ৯:৩০ এ পৃথিবীর বিখ্যাত এবং কুখ্যাত সব ব্যক্তিদের জীবন ও কার্যকলাপ সম্পর্কে জানানো হবে। আপনি কার জীবনী সম্পর্কে জানতে চান কমেন্টে বলুন। 
⭕ পোষ্টটি আপনার সময়মত পড়ার জন্য শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রাখুন। আর পোষ্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট করে আমাদেরকে উত্‍সাহ দিবেন। ধন্যবাদ জানাতে T=(Thanks) লিখে কমেন্ট করুন।