___ মিষ্টি_স্যারের_দুষ্টু_ছাত্রী ____

 ___ মিষ্টি_স্যারের_দুষ্টু_ছাত্রী ____

___ মিষ্টি_স্যারের_দুষ্টু_ছাত্রী ____
https://mobile.facebook.com/alamgir.rahman.9847
https://papry99.blogspot.com/
:
:
:
.-- স্নিগ্ধা, কই তুই মা,ঘুমিয়ে পরলি নাকি?
--- না বাবা,ঘুমাই নি, পড়ছি,এসো।
---- মা তোকে না জানিয়ে একটা কাজ করেছি মা।
---- কি করেছ বাবা।
---- আমার এক বন্ধুর ছেলের সাথে তোর বিয়ে
ঠিক করে ফেলেছি।ছেলে ভাল।ভাল জব করে।
তুই সুখে থাকবি মা।তোর কোনো আপত্তি
নেইতো মা।
--- আমার কোনো আপত্তি নেই বাবা।কিন্তু আমি
আগে লেখাপড়া শেষ করতে চাই।
---- বিয়ের পর পড়বি। ছেলে বলেছে তোকে
পড়াবে।আর কথা বাড়ালাম না।বাবাকে কিছু বলে লাভ
হবেনা।
---- স্নিগ্ধা, উঠ, ৯টা বেজে গেছে।
---- হুম,আরেকটু ঘুমাই মা।---- কাল বললি ক্লাস
আছে,ডেকে দিতে সকালে।
---- অহহহ ,,আরো আগে ডাকলেনা কেন?
---- সেই কখন থেকে ডাকছি।আজও দেরি হয়ে
গেল।আজও বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখবে ওই বজ্জাত
স্যার (বিড়বিড় করে) ফ্রেশ হতে গেলাম।রেডি
হয়ে নাস্তা না করেই কলেজের উদ্দেশ্যে
বের হলাম।ধুর একটা রিক্সাও দেখা যাচ্ছেনা।তাড়াহু
রোর সময় কিছুই পাওয়া যায়না।অনেকক্ষন পরে
রিক্সা পেলাম।অবশেষে কলেজে পৌছলাম।
---- মে আই কাম ইন স্যার?
---- কটা বাজে মেম?
---- ইয়ে মানে ১০ টা বাজে স্যার।
---- আর কয় মিনিট বাকি ক্লাস শেষ হওয়ার?
----- ১৫ মিনিট স্যার।
----- মেম আপনি ১৫ মিনিট বেশি কেন ক্লাস
করবেন।আপনি একটু অপেক্ষা করুন।আমি যাওয়ার পর
ক্লাসে আসবেন কেমন।মুচকি হেসে উনি ক্লাস
নিতে লাগলেন।ধ্যাত,নাস্তা করে আসলেই ভাল হত।
শুধু শুধু এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।আরেকটু
দেরি করে আসলে এখানে দাঁড়াতে হতনা।বেটার
নাম কত নরম, তারেক ।কত শীতল নাম।আর উনি
কঠোর টাইপের মানুষ।বেটাকেএকদিন বাগে
পাই,দেখাব কত ধানে কত চাল।
---- এইযে মেম, আপনি এখন ঢুকতে পারেন।আমার
ক্লাস শেষ। আর কাল থেকে দেরি করবেন না
কেমন।মুচকি হেসে চলে গেল।রাগে গজগজ
করে ক্লাসে গেলাম।ক্লাস শেষে বন্ধুদের
সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় ওদের বললাম
---- বাবা বলেছে আমার বিয়ে ঠিক করেছে।
----- ওহ,গ্রেট নিউজ।ট্রিট বান্ধবী ট্রিট।< ( পিংকি)
---- ছেলে কি করে?( আনিকা)
---- তোর বিয়েতে পেট ভরে খাব।(নুরী)
----আমি আছি আমার যন্ত্রনায়,আর তোরা আছিস খাওয়া
নিয়ে।
---- কেন তোর আবার কি হল?(নুসরাত)
----আমি বিয়ে করতে চাইনা।
---- কেন তুই কি কাউকে পছন্দ করিস?(পিংকি)
----- আরে ধুর,এরকম হলে তো তোরা জানতি।
---- তাহলে সমস্যা কি? (আনিকা)
---- আমি আগে পড়াশোনা শেষ করতে চাই।নিজের
মত করে জীবন সাজাতে চাই।এখন সংসারে
জড়াতে চাইনা।
---- তুই ছেলেটার সাথে কথা বলে দেখতে
পারিস।(নুসরাত)
----ওকে দেখি কি করা যায়।ওদের থেকে বিদায়
নিয়ে বাসায় চলে আসি।দুপুরে খেয়ে দিলাম এক
ঘুম।বিকেলে ঘুম ভাঙল।ভাল লাগছিলনা তাই ভাবলাম একটু
নদীর পাড় থেকে ঘুরেআসি।ফ্রেশ হয়ে
পছন্দের জামা পরলাম, হাতে কাচের চুড়ি,পায়ে নুপুর,
চোখে কাজল মাখলাম।এগুলাই আমার পছন্দের
জিনিস।এগুলার একটা কম হলেমনে হয় সাজ হয়নি।
নদীতে বাতাস বইছে।খুব ভাল লাগছিল।গরমের
দিনে এরকম পরিবেশ খুব কম ই পাওয়া যায়।
---- তুমি গনিত বিভাগের স্নিগ্ধা না?
---- আরে স্যার আপনি, আমার নাম জানলেন
কেমনে?আমি তো ক্লাশে ঠিক সময় আসিনি
একদিনও।নামতো বলা হয়নি কখনও।
---- স্নিগ্ধা রায় ।সবায় স্নিগ্ধা ডাকে। রাইট?
---- হুম।অবাক হয়ে গেলাম।মনে মনে সুযোগ
খুজতে লাগলাম কিভাবে বেটাকে হেস্তনেস্ত
করা যায়।ধুর বুদ্ধি আসছেনা।রাগ হল নিজের প্রতি।
----- স্যার, আপনি থাকেন আমি বাসায় যাব।----- কেন মন
খারাপ নাকি?
---- আপনাকে বলার ইচ্ছা নাই।
---- কেন?
----- এইযে হ্যালো,আমি আপনার ছাত্রী।বান্ধবী
নই।যে সব আপনাকে বলতে হবে।যত্তসব।আর
হে শুনেন নেক্সট দিন যদি আমায় বাইরে দাঁড় করান
খবর আছে আপনার।বাসায় চলে আসলাম।ধুর গেলাম
ভাল সময় কাটাতে।আর কি হল।অসহ্য।পরেরদিন ও
স্যার আমাকে দাঁড় করিয়ে রাখলেন।খুব রাগ হল।
ক্লাশ শেষ হওয়ার পর দেখি স্যারের গাড়ি রাখা।
---- ওই তোরা দাঁড়া আমি আসছি।
---- কই যাস?( আনিকা)
----- চুপ করে দাঁড়া, আমি আসছি।স্যারের গাড়ির কাছে
গেলাম।সাইসাই করে বাতাস বের হচেছ। হিহিহিহিহি
---- কাজটা কিন্তু ঠিক করলিনা।(নুসরাত)
---- যা করছি ভাল করছি।প্রতিদিন আমায় দাঁড় করিয়ে
রাখে আজ বুঝবে মজা।ওই দিন মনের আনন্দে
বাসায় ফিরলাম।সন্ধার পর হঠাৎ মনে হল ছেলেটাকে
কল দেই।ছেলেটার নাম ও জানিনা।ধুর নাম দিয়ে
আমার কি।মায়ের ফোনে নাম্বার আছে।লুকিয়ে
মায়ের ফোনথেকে নাম্বার এনে কল দিলাম। https://mobile.facebook.com/alamgir.rahman.9847
https://papry99.blogspot.com/
:
----- হ্যালো,আমি স্নিগ্ধা,আপনাকে আমার কিছু বলার
আছে।
----- এত তাড়াহুরো কিসের আস্তে আস্তে বল।
---- আমি এখন বিয়ে করতে পারবনা।আমি লেখাপড়া
আগে শেষ করতে চাই।
---- বিয়ের পর পড়বা।
---- বিয়ের পর না আমি আগেই পড়তে চাই।আপনি এ
বিয়ে বন্ধ করেন প্লিজ।
---- ওকে, তোমার কথাই থাক।অনার্স শেষ হওয়ার
পর বিয়ে।ঠিক আছে।
---- হুম।মনে মনে খুশি হলাম যাক, বিয়ের চিন্তা
আপাতত দুরহল।বন্ধুদের জানালাম।আর বললাম কাল
দেখা করতে।পরদিন ওদের সাথে দেখা করলাম।
ডবল খুশির ট্রিটদিলাম ওদের।কিছুক্ষন আড্ডা দেওয়ার
পর যে যারমত চলে গেল।আমিও বাসায় যাব কিন্তু
রিক্সা পাচ্ছিলাম না।হঠাৎ দেখি স্যার দাঁড়িয়ে।রিক্সা
খুজছে হয়ত।একটা রিক্সা দেখে স্যার এগিয়ে
আসলেন।উনার সাথে অনেক জিনিস পত্রও।আমিও
এগিয়ে গেলাম।মজা নেওয়ার ধান্দা আসছে মাথায়।
রিক্সার কাছে যেতে দেখি উনি রিক্সায় উঠে
গেছেন।
---- স্যার কেমন আছেন? গাড়ি থাকতে রিক্সায় কেন
আপনি?
---- আর বলনা গাড়ির চাকা পাঞ্চার হয়ে গেছে।তুমি
এখানে কেন এখন?
---- বাসায় যাব কিন্তু রিক্সা পাচ্ছিনা।আপনি যদি কিছু না মনে
করেন তবে আমি যাই এই রিক্সায়।বাবা কল দিচ্ছে
বাসায় যাওয়ার জন্য কিন্তু কি করব বলেন।আমার জরুরি
দরকার বাসায়।
--- আচ্ছা, ঠিক আছে,তুমি যাও,আমি আরেকটা খুজে
নেব।
--- ধন্যবাদ স্যার।হিহিহিহি।বেটা এখন দেখ এই দুপুরে
রিক্সা পাস কিনা।খুশি মনে বাসায় আসলাম।বাবা ডেকে
বলল, ছেলে জানিয়েছে তোর অনার্স শেষ
হওয়ার পর নাকি বিয়ে করবে।আর ওর নাকি খুব পছন্দ
হইছে।ওই ছেলে কখন দেখল আমায়।মনে হয়
ছবি দেখছে।অনার্স শেষ করে বিয়ে করতে
আমার আপত্তি নেই।আজ কয়েকদিন দিন খেয়াল
করছি তারেক স্যার আসছেনা কলেজে।প্রথম
প্রথম স্যার না আসাতে ভালই লাগল।আমাকে আর
বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়না।আজ প্রায় ১৫ দিন হয়ে
গেল, স্যার আসেনা।মনে মনে খুব খারাপ লাগতে
শুরু করে।মিস করতে লাগলাম ওই বজ্জাত স্যারকে।
পিংকি কে জিজ্ঞেস করলাম। ও বলল উনি নাকি অন্য
কলেজে বদলি হয়ে গেছেন।ওইদিন আর ক্লাস
করিনি।বাসায় এসেও শুধু উনার কথা মনে হচ্ছে। উনার
মুচকি হাসি বারবার মনে হচ্ছে। উনার দাঁড় করিয়ে
রাখাকেও মিস করছি।উনার সাথে কত খারাপ বিহেভ
করছি।একবার স্যরি ও বলতে পারলাম না।মনের মধ্যে
অপরাধ বোধ কাজ করতে লাগল।এখন আর
কলেজে যেতে ইচেছ হয়না। আমি কি তাহলে
উনার প্রেমে পড়ে গেলাম।ধেত এসব কি ভাবছি।
আমার বিয়ে ঠিক এইটা ভুলে যাচিছ কেন?এখন
কলেজে গেলে মনে হয় এই বুঝি কেউ
বলবে এইযে মেম কটা বাজে,ক্লাস শেষ হওয়ার
কয় মিনিট বাকি,বাইরে থাকেন।উফফ কিচ্ছু ভাল
লাগছেনা।একবার যদি উনার দেখা পেতাম।সরি অন্তত
বলতে পারতাম।লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদি।হ্যাঁ ওই বজ্জাত
কঠোর স্যারকে আমি ভালবেসে ফেলেছি।
কয়েকদিন পর এক বিকেলে ঘুমিয়ে ছিলাম।মা
দেখে বলল রেডি হতে।বাবার বন্ধুর বাসায় আজ নাকি
দাওয়াত।কয়েকদিন বাইরে যাইনা,তাই আর না করলাম না।
আমার প্রিয় সাদা শাড়িটা পরলাম। দুহাতে কাচেরচুড়ি
পরলাম,নূপুর পরলাম,গাঢ় করে চোখে কাজল দিলাম।
চুলে বেলিফুলের মালা গুজে দিলাম।বাবা উনার বন্ধুর
সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন।উনারা গল্প করতে
লাগলেন।আমি বাসাটা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম।
খুব সুন্দর বাসা।অনেক গুছাল।হঠাৎ বাবা ডাকলেন।উনার
কাছে যেয়ে আমি অবাক হয়ে যাই-
--- এ হচ্ছে তারেক ।আমার বন্ধুর ছেলে।যার
সাথে তোর বিয়ে ঠিক করেছি।তারেক , তুমি তো
স্নিগ্ধাকে চেনো ই,-
--- উনি শুধু মুচকি হাসি দিল।তখন স্নিগ্ধার বাবা বললেন-
--- তারেক স্নিগ্ধা কে নিয়ে তোর রুমে
যা,মেয়েটাএকা একা বোর হচেছ।স্নিগ্ধা আমাকে
উদ্দেশ্য করে বলল
---- চলেন।
---- হুম চলেন।উনার পিছে পিছে উনার রুমে
গেলাম।গিয়েই দরজা লাগিয়ে দিলাম।
---- এইযে, কি পাইছেন আপনি? হে যখন ইচ্ছা
বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখবেন আবার যখন ইচ্ছা না
বলে চলে আসবেন?
---- আমি বদলি হয়ে গেছি তাই আর যাইনি ওই
কলেজে।
---- একবার বলে আসার দরকার মনে করেন নাই।
---- আচ্ছা সরি।
--- নো সরি।আর আপনি জানতেন আমাদের বিয়ে
ঠিক তারপরও আমাকে বলেন নাই কেন??
---- আসলে আমি শুধু তোমাকে দেখার জন্য ওই
কলেজে ঢুকি।কিন্তু তুমি আমাকে সহ্য করতে পারনা
বলেই চলে আসি।
---- কচু,আমার কত কষ্ট হইছে যানেন।কোনো
ক্ষমা নাই আপনার।
---- এই দেখো কান ধরছি।প্লিজ ক্ষমা কর এবারের
মত।
---- হুম ক্ষমা করব তবে
---- তবে আজকেই বিয়ে করতে হবে
---- তাই, অনার্স কি আপনার শেষ?
---- বিয়ের পরে শেষ হলেই চলবে।
---- কেন কেন?
---- আমি আর আমার বজ্জাত স্যারকে চোখের
আড়াল করতে চাইনা।
---- আমিও না আমি সবচেয়ে দুষ্টু ছাত্রীকে সব
সময় দেখতে চাই।
---- তাহলে ক্লাসের বাইরে রাখতেন কেন?
---- ক্লাস থেকে বাইরে দরজায় দাঁড়ানো আমার
মেঘপরি কে খুব ভাল করে দেখা যায় তাই।
---- মেঘপরি কে?
---- কে আবার আমার বউ।ভালবাসি পাগলি
---- আমিও ভালবাসি ll
_______The End_______K

http:/alamgir.rahman.9847
https://papry99.blogspot.com/


বড় ছেলে ২

বড় ছেলে ২

বড় ছেলে - 2
https://mobile.facebook.com/alamgir.rahman.9
847
https://papry99.blogspot.com/

অব শেষে মুক্তি পেল।
সবাই পড়বেন, আশা করি সবার ভাল লাগবে।
রিয়ার Gifts গুলো আর আকাশ পরিমাণ বেদনা নিয়ে
রাশেদ আসার পর প্রায় ৫ বছর কেটে গেল।
রাশেদ এখন বড় একটা চাকরি করে। আজ সে
প্রতিষ্ঠিত। রাশেদ গাড়িতে করে বাসায় ফিরছে।
গাড়িতে বসে রিয়ার দেয়া সেই ডায়রীটা বের
করলো। যে ডায়রীতে রাশেদ লিখেছে তার
মনে জমানো অনেক না বলা কথা। ডায়রীতে
লিখেছে -
প্রিয় রিয়া, আমি তোমার সেই রাশেদ। অনেক বছর
তোমার সাথে কথা হয়নি। ৫বছর কেটে গেছে।
জানতে খুব ইচ্ছে করে কেমন আছো তুমি?
জানো আজও আমি তোমাকে অনেক মিস করি।
তোমার দেয়া হাত ঘড়িটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
ওটা হাতে দিয়েই প্রতিদিন আমি অফিসে যাই। এখন
আমার মোবাইলে সব সময় চার্জ থাকে। কারন
তোমার দেয়া পাওয়ার ব্যাংকটা সব সময় আমার সাথে
থাকে। বাবা, মা, ভাই, বোন আর অনেকে আমাকে
কল ফোন করে শুধু তুমি ছাড়া। আর যখন আমি খুব
ঘেমে যাই তখন তোমার দেয়া আইছি টিস্যু দিয়ে
মুছি ফেলি। সারাদিন অফিসের কাজ শেষ করে বাসায়
এসে তোমার সাথে কথা বলি। তোমার ডায়রীর
সাথে। তুমি বলেছিলে হুট করে একদিন এসে
ডায়রী চেয়ে বসবে। তাই ডায়রীটা সব সময়
আমার সাথে রাখি। আর তোমার দেয়া চকলেট
গুলো জেসির খুব পছন্দ হয়েছে। ওহ
তোমাকে তো বলাই হয়নি, আমার অনেক বড় একটা
চাকরি হয়েছে। আজ আমার সব আছে শুধু তুমি ছাড়া।
বাবা এখন টেনশন মুক্ত থাকে। বোনের
দোকানেও অনেক ভাল বেচাকেনা হয়। ছোট
ভাইটাও ভাল একটা কলেজে পড়ে। একটা কথা কি
জানো রিয়া? তোমার আর আমার ব্যাপারটা আমার বাড়ির
কেউ জানেনা। শুধু একজন জানে। সে হল জেসি।
তোমার দেয়া চকলেট গুলো যখন ওকে
দিয়েছিলাম তখন আমাকে খুশি হয়ে বলেছিল,
আংকেল কে দিয়েছে চকলেট? আমি এই অবুঝ
শিশুর সাথে মিথ্যা বলতে পারিনি। আমি বলেছিলাম
তোমার মামি দিয়েছে। সে কি বলেছিল জানো?
বলেছিল মামি অনেক ভাল। আমি সেদিন অনেক
কষ্টে কান্না লুকিয়ে রেখেছিলাম। আজ জেসি
অনেক বড় হয়েছে। ক্লাস থ্রি তে পড়ে।
অনেক মেধাবী। জানো রিয়া আমি এখনো প্রতি
ছুটির দিনে ঐ বেঞ্চে বসে থাকি। যেখানে
তোমাকে আমি বাদাম ছিলে দিতাম। এখনো তোমার
জন্য বাদাম নিয়ে বসে থাকি। ভাবি এই বুঝি তুমি এলে।
কিন্তু তুমি আসোনা। পরে গোধূলির সন্ধ্যাতে
ভারাক্লান্ত মনে ফিরে আসি। সব কিছুই আগের মতই
আছে, শুধু তুমি ছাড়া। ডায়রীটা পড়ে রাশেদ
চোখের জল মুছলো।রাশেদের গাড়ি দ্রুত
এগিয়ে চলছে। হঠাৎ রাশেদ রিয়াকে দেখতে
পেল। রিয়া রাস্তা দিয়ে হেটে চলছে। রাশেদ গাড়ি
থামালো। তারপর রিয়ার সামনে গেল। দুজন একে
অপরকে দেখে দুজনের চোখই অস্রুসিক্ত
হয়ে গেল। রাশেদ বললো কেমন আছো রিয়া?
বলবো আগে আমার বাদাম দাও। রাশেদ একটু
হেসে পাশের দোকান থেকে বাদাম কিনে দিল।
এবার বল কেমন আছ?
রিয়া :কেটে যাচ্ছে। তুমি কেমনে আছ?
রাশেদ :আছি আরকি। তো তোমার বরকে
দেখছিনা যে?
রিয়া :আমি বিয়ে করেনি।
রাশেদ :কেন?
রিয়া : কারন ছেলেটা চোরাকারবারী আর অনেক
খারাপ কাজে যুক্ত ছিল। বিয়ের আসরেই পুলিশ
তাকে ধরে নিয়ে যায়। এটা দেখে বাবা হার্টএ্যাটাক
করে সেদিনই মারা যায়।
রাশেদ :সরি! তারপর কি হলো?
রিয়া :বাবা ব্যাংকে অনেক টাকা ঋন ছিল। বাবার সব
সম্পত্তি বিক্রি করে ঋন পরিশোধ করি। https://mobile.facebook.com/alamgir.rahman.9
847
https://papry99.blogspot.com/
তারপর গ্রামে মামার বাড়িতে ওঠি। ওখানকার এক
প্রাইমারি স্কুলে চাকরি নেই। স্কুলের কাজেই আজ
শহরে আসা হয়েছে।
রাশেদ : এত বড় ঝড় তোমার জীবনে বয়ে
গেল আর তুমি আমাকে জানালেনা?
রিয়া : জানাতে চেয়েছিলাম কিন্তু দেখলাম তুমিই
অনেক কষ্টে আছ,তাই জানাইনি।
রাশেদ : পরে কি আর বিয়ে করনি?
রিয়া : না
রাশেদ : কেন?
রিয়া : কারন তুমি চলে গেলে তারপর বিয়েটাও
ভেঙে গেলো। ভাবলাম আমার কপালে বিয়ে
নেই, তাই বিয়ে করিনি। দেখো আমি একা একা বক
বক করছি। তোমার বউ কেমন আছে? তোমাকে
খুব ভালবাসে তাইনা?
রাশেদ : জানিনা।
রিয়া : মানে?
রাশেদ : মানে বিয়ে করলে তো জানবো
কেমন আছে আর কেমন ভালবাসে? আর তাছাড়া
আমি বিয়ে করলে তোমাকে ভালবাসবে কে?
রিয়ার চোখ অস্রুসিক্ত হয়ে গেল।
রাশেদ :এই কাঁদছো কেন পাগলি?
রিয়া :তুমি আমাকে এত ভালবাসো?
রাশেদ : অনেক ভালবাসি। রাশেদ রিয়ার হাত ধরে
বললো বিয়ে করবে আমাকে? রিয়া রাশেদের
দিকে অবাক চোখে তাকালো। হ্যা রিয়া সেদিন তুমি
আমার হাত ধরে কেঁদেছিলে, আমাকে নিয়ে
পালাতে চেয়েছিলে। কিন্তু সেদিন আমি পারিনি।
কারন সেদিন আমার কিছু ছিলনা। কিন্তু আজ আমার গাড়ি
বাড়ি টাকা পয়সা সব আছে। শুধু তুমি নেই। তাই আজ
আমার তোমাকে নিয়ে স্বপ্নের রাজ্যে পালাতে
ভয় নেই। তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিওনা রিয়া। রিয়া কথা টি
শুনে কাঁদতে লাগলো।
রাশেদ : কাঁদছো কেন? কষ্ট পেলে আমার
কথায়?
রিয়া : ধ্যাত, এই কান্না সুখের কান্না, এই কান্না
তোমাকে আপন করে পাবার কান্না। রিয়া কান্না থামিয়ে
দেখলো তার দেয়া ঘড় আর পাওয়ার ব্যাংক
রাশেদের সাথেই আছে। তারপর বললো সব
আছে কিন্তু আমার দেয়া ডায়রীটা কই? তুমিকি আমার
সাথে নিয়মিত কথা বলতা? রাশেদ গাড়ি থেকে
ডায়রীটা এনে দিল। ডায়রীর সব লেখা পড়ে আবার
কাঁদতে লাগলো। কাঁদতে কাঁদতে রাশেদের
বুকে মাথা রাখলো আর বললো তুমি আমাকে এত
ভালো বাসো! রাশেদের বুক রিয়ার চোখের
জলে ভিজে গেল। রাশেদ রিয়ার দেয়া টিস্যু দিয়ে
চোখের জল মুছে দিল। বললো এখন আর কান্না
নয়। এখন থেকে আর কষ্ট পেতে হবেনা।
গাড়িতে ওঠো, এখনই তোমাকে আমার বাড়ি নিয়ে
যাবো। আর ভালবাসার বন্ধন বিয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ
করবো।
লেখাটি লিখতে অনেক সময় লেগেছে।
যদি আপনাদের ভাল লাগে, তবে আমার কষ্ট করে
লেখাটা সার্থক হব!!
https://mobile.facebook.com/alamgir.rahman.9
847
https://papry99.blogspot.com/