বিজয়ের মাস ডিসেম্বর

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরবিজয়ের মাস ডিসেম্বর

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর
১লা ডিসেম্বর। বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাসের শুরু। ১৯৭১ সালের এই ডিসেম্বর বাঙালি জাতির জীবনে নিয়ে এসেছিল এক মহান অর্জনের আনন্দ। একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বর পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয় বাংলাদেশ। এদিন বিশ্বের বুকে রচিত হয় এক নতুন ইতিহাস। বাংলাদেশের নামে মানচিত্র রচনা করার ইতিহাস। পাকিস্তানিদের দ্বারা সুদীর্ঘ ২৩ বছরের শোষণ, বঞ্চনা আর অত্যাচার-নির্যাতনের সমাপ্তি ঘটে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে। তাই ডিসেম্বর যেমনি বীরত্বপূর্ণ তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে কারান্তরিন করে হানাদার বাহিনী। শুরু হয় ইতিহাসের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। এরপরই শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধাদের পাল্টা প্রতিরোধ। দেশকে স্বাধীন ও মুক্ত করার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে নানা বয়স, শ্রেণি ও পেশার নারী-পুরুষ। ৯ মাস যুদ্ধ শেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও ২ লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৬ই ডিসেম্বর আসে মুক্তির স্বাদ। এদিন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানিদের আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের মাধ্যমে সূচিত হয় বাঙালির বিজয়। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ এবং মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের খবর ভেসে আসতে থাকে চারদিক থেকে। মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাস ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও ডিসেম্বরে বিজয়ের শেষ সময়ে এসে পাকিস্তানি বাহিনী দেশকে মেধাশূন্য করতে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় মেতে ওঠে। তালিকা করে তারা একে একে হত্যা করে দেশের খ্যাতিমান শিক্ষক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, সাংবাদিকদের। তাই বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে প্রতি বছরের ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেও শেষ রক্ষা হয়নি হানাদারদের। শেষ পর্যন্ত ১৬ই ডিসেম্বরেই পর্যুদস্ত হতে হয় তাদের। এরপর স্বাধীন স্বভূমে ফিরে আসে ভারতের শিবিরে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করা প্রায় কোটি নর নারী। প্রবাসী মুজিবনগর সরকারও দেশে ফিরে এসে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।
প্রতিবছর বিজয়ের মাস ডিসেম্বর এলে জাতি যেমন আনন্দে উদ্বেলিত হয়, তেমনি শোকে মুহ্যমান হয়ে স্মরণ করেন শহীদদের। এবার ১৬ই ডিসেম্বরে পালিত হবে স্বাধীনতার ৪৪তম বছর।
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মাসব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনা, আলোচনা সভা, বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ, র্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি। এদিকে আজ ১লা ডিসেম্বরে জাতীয় ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক জীবনের সবক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা, অধিকার ও সম্মান নিশ্চিত করার দাবিতে আজ দেশব্যাপী জাতীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করা হবে। দিবসটি পালন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। আজ সকালে মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মুক্তিযোদ্ধা শহীদদের স্মরণ, আলোচনাসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও তাদের শৌর্যবীর্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২০০৪ সালের ১২ই জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ থেকে প্রতি বছরের ১লা ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

মহান বিজয়ের মাস শুরু আজ ১ ডিসেম্বর

মহান বিজয়ের মাস শুরু আজ ১ ডিসেম্বর
মহান বিজয়ের মাস শুরু

ঢাকা: আজ ১ ডিসেম্বর। শুরু হয়ে গেল মহান বিজয়ের মাস। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রাম, লাখ লাখ প্রাণ ও দু’লাখের মতো মা-বোনের সম্ভ্রমহানির মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার সাক্ষর ডিসেম্বর।
যুগ যুগ ধরে নানা কায়দায় শোষণ-বঞ্চনার শিকার বাঙালিরা এ ডিসেম্বর মাসেই বিভীষিকামুক্ত হয়ে নব আনন্দে জেগে ওঠে। ২৪ বছরের ধারাবাহিক লড়াই সংগ্রাম শেষে ১৯৭১ সালের এই মাসে বাঙালি চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হয়। সেই থেকে ডিসেম্বর মানেই বাঙালির আনন্দের মাস। ডিসেম্বর মানেই বাঙালির অর্জনের মাস।
মহান এই মাসে বাঙালির ঘরে ঘরে গৌরবের রেশ ছড়িয়ে পড়ে। আর এই রেশ বাঙালিকে নতুন করে মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাহস জোগায়।
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবারের বিজয়ের মাস পালিত হবে।
বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ট্রতম ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক রাজনৈতিক স্বপ্ন সাধ পূরণ হয় এ মাসে।
বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চুড়ান্ত বিজয় এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়। স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূ-খন্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা।
ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল ,এক রক্তক্ষয়ী জনযুদ্ধের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এ দিনে।
বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ হবার পাশাপাশি বহু তরতাজা প্রাণ বিসর্জন আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই অর্জন হওয়ায় বেদনাবিঁধূর এক শোকগাঁথার মাসও এই ডিসেম্বর।
এ মাসেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর আল শামসদের সহযোগিতায় দেশের মেধা, শ্রেষ্ঠ সন্তান-বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করে দেয়ার এধরনের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের দ্বিতীয় কোন নজির বিশ্বে নেই।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর জল,স্থল আর আকাশপথে সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে বর্বর পাক-হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের খবর চারদিক থেকে ভেসে আসতে থাকে।
এ বছরের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। যেখান থেকে ৭ মার্চ মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,’ বলে স্বাধীনতার ডাক দেন, সেখানেই পরাজয়ের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাক জেনারেল নিয়াজী। এর মধ্যদিয়ে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। আর জাতি অর্জন করে হাজার বছরের স্বপ্নের স্বাধীনতা।
মহান এ বিজয়ের মাস উদযাপনে জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। বিজয়ের মাসের প্রথম দিনেই বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করবে।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিজয়ের মাসকে স্বাগত জানিয়ে সমাবেশ, মানববন্ধন, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, বিজয় শোভাযাত্রা, মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন ইত্যাদি।
মুক্তিযোদ্ধা দিবস বাস্তবায়ন পরিষদ আজ সকাল ১০টায় বিজয়ের মাসের প্রথম প্রহরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনীতে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করবে।
‘যুদ্ধাপরাধী মুক্ত বাংলাদেশ চাই’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার-সদস্যবৃন্দের অংশগ্রহণে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে অপরাজেয় বাংলা থেকে বিজয় শোভাযাত্রা বের হবে। শোভাযাত্রাটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হবে।
(kobirajhat24.net/১ডিসেম্বর/গর্বিত কবিরাজহাট)

দিনাজপুর বড়মাঠে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে তাবলীগ

দিনাজপুর বড়মাঠে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে তাবলীগ
দিনাজপুর বড়মাঠে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে তাবলীগ
জামাতের ৩ দিনব্যাপী ইজতেমা : শেষ হবে শনিবার
বৃহস্পতিবার (৩০ নবেম্বর) বাদ জোহর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন
দিনব্যাপী তাবলীগ জামাতের ইজতেমা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু
হবে। দিনাজপুর বড়মাঠে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের
পূর্বপাশের অংশে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য প্যান্ডেল
তৈরীর কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) জোহর নামাজের পূর্বে আখেরী
মুনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে। দিনাজপুর জেলার
১৩ উপজেলার তাবলীগ জামাতের সাথীদের নিয়ে এই
ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার বিকেল থেকে জেলার বিভিন্ন
উপজেলা হতে মুসল্লিদের ইজতেমা মাঠে আসতে দেখা
গেছে। শুক্রবার ইজতেমা প্যান্ডেলে জুমার নামাজ আদায়
করা হবে। এটি জেলার সর্ববৃহৎ জুমার নামাজের জামাত হবে
বলে জানিয়েছেন তাবলীগ জামাতের মুরব্বিরা।
এদিকে ইজতেমা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে
ইজমেতা মাঠে অবস্থানের জন্য আগত মুসল্লিদের জন্য চাটাইসহ
অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে ইজমেতা মাঠের উত্তর পাশে ঈদগাহ
মাঠের চার পাশে দোকানীরা তাদের দোকান সাজিয়ে
বসেছেন। এছাড়া মেছওয়াক, টুপি, তসবিহ, জায়নামাজসহ
অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়েও দোকানীরা এরই
মধ্যে তাদের দোকান সাজিয়ে বসেছেন।
দিনাজপুর তাবলীগ জামাতের আমীর (জিম্মাদার) আলহাজ্ব
মো. লতিফুর রহমান জানান, ঢাকার কাকরাইল থেকে তাবলীগ
জামাতের মুরব্বিদের মাওলানা মো. রবিউল হক, মাওলানা
মো. মোশাররফ হোসেন ও মাওলানা মো. আব্দুল মতিনসহ
অন্যান্য মুরব্বি এই ইজমেতায় মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান করবেন।
মানুষকে দ্বীনের পথে উদ্বুদ্ধ ও আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগীর দিকে
রুজু করতে, মানুষের মাঝে হক তথা সঠিক পথ কবুল করার যোগ্যতা
তৈরী, আখেরাতের জিন্দেগী বা মৃত্যুর পরবর্তি জীবন কেমন
হবে এবং কিভাবে মানুষ আখেরাতমূখী করা যায় এ সব বিষয়ে
এই ইজতেমায় বয়ান (আলোচনা) করা হবে।
আলহাজ্ব মো. লতিফুর রহমান আরো জানান, এই ইজতেমায়
ইন্দোনেশিয়া হতে আগত একটি জামাত অংশগ্রহণ করবে। তিনি
জানান, যে বছর ঢাকার টঙ্গীতে দিনাজপুরের তাবলীগ
জামাতের সার্থীরা যেতে পারবেন না, মূলত তাদের নিয়েই
জেলা পর্যায়ে এই ইজতেমার আয়োজন করা হবে। আর সে
কারণে এ বছর দিনাজপুরে তিন দিনব্যাপী এই ইজতেমার
আয়োজন করা হয়েছে।
তিন দিনব্যাপী ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য দিনাজপুর
বড়মাঠে প্যান্ডেল তৈরীর কাজ শেস হয়েছে। প্রায় ৩০ হাজার
মুসল্লির জন্য এ প্যান্ডেল তৈরী করা হয়েছে। তবে
প্যান্ডেলের বাইরে আশপাশের এলাকায় ৩০ হাজারসহ প্রায়
৫০ হাজার মুসল্লি অবস্থান করতে পারবেন বলে জানান
মুরব্বিরা।
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের এরই মধ্যে অজু-গোসলের পানি
সরবরাহের জন্য ৩০টি টিউবওয়েল, একটি সাবমারসেবল পাম্প,
৩টি মটর স্থাপন করা হবে। এছাড়া নিরাপদ স্যানিটেশনের জন্য
৪শ’ টয়লেট তৈরা করা হয়েছে। বিদেশী মেহনান ও তাবলীগ
জামাতের বৃদ্ধ সাথীদের জন্য মাঠের পশ্চিম পাশে খাস
কামরা (বিশেষ কক্ষ) তৈরী করা হয়েছে। এই খাস কামরায় আগত
বিদেশী মেহমান ও তাবলীগ জামাতের বৃদ্ধ সাথীরা
থাকবেন বলে জানান মুরব্বিরা।
উল্লেখ্য, ইজতেমায় প্যান্ডেল তৈরী, টয়লেট নির্মাণ, নিরাপদ
পানি সরবরাহের জন্য টিউবওয়েল স্থাপন, বিদ্যুৎ সংযোগসহ
অন্যান্য সব ধরনের খরচ তাবলীগ জামাতের সার্থীরা নিজ
উদ্যোগে করেছেন। কারো নিকট থেকে ধরনের সহযোগিতা
নেয়া হয়নি। একমাত্র আল্লাহকে রাজি-খুশি ও সওয়াবের
আশায় সবাই স্বেচ্ছায় এসব কাজ করেছেন তাবলীগ জামাতের
সাথীরা।+(গর্বিত কবিরাজহাট)