জানা-অজানা তথ্য •

 জানা-অজানা তথ্য •

জানা-অজানা তথ্য •
>>> দিনাজপুর জেলা
>> জেলা হয় ১৭৮৬ সালে
> উপজেলার সংখ্যা ১৩ টি
* বিভাগ : রংপুর
* আয়তন : ৩৪৩৮ বর্গ কিঃমি।
* শিক্ষার হার : ৪৫.৭ %
* জনসংখ্যা : ২৬,৪৩,০০০ জন ( প্রায় )
* টেলিফোন কোড : ০৫৩১
** বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব : হাজী মোহাম্মদ
দানেশ
** দর্শনীয় স্থান : কান্তাজীর মন্দির ,
রামসাগর , স্বপ্নপুরী
** উল্লেখযোগ্য নদী : পুনর্ভবা
** সংসদীয় আসন সংখ্যা : ৬
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :
দেশের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম
জেলা দিনাজপুর। এই জেলার
উত্তরে ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলা,
দক্ষিনে গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট জেলা,
পূর্বে নীলফামারী ও রংপুর
জেলা এবং দণি পশ্চিমে ভারতের
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। এই জেলার ইতিহাস
থেকে জানা যায়, প্রাচীণ পুণ্ড্রবর্ধন
রাজ্যের অংশ ছিলো দিনাজপুর।
দিনাজপুর নামের ছোট্ট
একটি পাড়া থেকে গড়ে উঠেছে আজকের
বিশাল দিনাজপুর জেলা।
আগে এই জেলার নাম ছিলো ঘোড়াঘাট
জেলা। তবে দিনাজপুর জেলার নামকরণ
নিয়েও আছে একাধিক বক্তব্য।
দিনাজপুর জেলা সৃষ্টি হয় ১৭৮৬ সালে।
১৭৯৩ সালে এই জেলায় বৃটিশ শাসন
প্রতিষ্ঠিত হয়। জেলার ১৩টি উপজেলা:
দিনাজপুর সদর, বিরামপুর, বীরগঞ্জ, বিরল,
বোচাগঞ্জ, চিরিরবন্দর, ফুলবাড়ী,
ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর, কাহারোল,
খানসামা, নবাবগঞ্জ এবং পার্বতীপুর।
১৮৩৩ সাল থেকে ১৮৭০ সাল পর্যন্ত
দিনাজপুরের বিভিন্ন অংশ পূর্ণিয়া, রংপুর
ও রাজশাহীর অন্তর্ভূক্ত হয়। বৃটিশ
আমলে গঠিত দিনাজপুর অঞ্চলের কিছু
অংশ ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময়
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভূক্ত হয়ে এর
নামকরণ করা হয় পশ্চিম দিনাজপুর।
পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে এই জেলার
দুটি মহকুমা ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়
আলাদা জেলায় রূপ নেয়। পলি নির্ভর
এলাকা হওয়ায় বিশেষ কিছু ফসলের
নামেও প্রসিদ্ধ এই দিনাজপুর।
কথিত আছে, খৃষ্টীয় তের শতকে ইসলামের
বাণী প্রচার করতে অন্তত চল্লিশ জনের
একদল দরবেশ দিনাজপুরে আসেন। আগেই
বিভিন্ন যুদ্ধে কৃতিত্বের জন্য
গাজী স্বীকৃতি পাওয়া এই চল্লিশ দরবেশ
এখানকার স্থানীয় এক হিন্দু রাজার
সৈন্যদের সাথে সম্মুখ সমরে শহীদ হন।
তাদের
স্মরণে এখানে তৈরি করা হয়েছে
চেহেলগাজীর
মাজার। মুসলিম ঐতিহ্যের নিদর্শন
হিসেবে এখানে আরো আছে গোরা
শহীদের
মাজার, আওকর মসজিদ, নয়াবাদ মসজিদ
এবং প্রায় শত বছরের
পুরোনো খাজা নাজিম উদ্দিন মুসলিম
হলসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান।
দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ
বৃটিশ শাসন বিরোধী ঐতিহাসিক
তেভাগা আন্দোলনের সাথে জড়িত
ছিলো।
দিনাজপুরের নাম আসলেই আসে রামসাগর,
কান্তজিউ মন্দির আর স্বপ্নপুরীর নাম।
দিনাজপুর শহর থেকে কিলোমিটার
দূরে অবস্থিত রামসাগর। সাগর না হয়েও
এই দীঘির নাম রামসাগর। দৈর্ঘ্যে ১১৩৩
গজ এবং প্রস্থে ৪০০ গজ নিয়ে প্রায় দেড়শ
একর জায়গা নিয়ে এই রামসাগর এলাকা।
কথিত আছে, খৃষ্টীয় সতের শতকে এই
এলাকায় সৃষ্টি হয় প্রচন্ড খরা।
কৃষকদেরকে সেই
খরা থেকে বাঁচাতে স্বপ্নাদেশ
অনুসারে অনেক লোক নিয়োগ
করে রাজা এই দীঘি খনন করেন। খনন
করা দীঘির মাটি দিয়ে রামসাগরের
চারপাশে তৈরি হয় এই পাহাড়।
দিনাজপুর জেলা শহর থেকে ২০
কিলেমিটার উত্তরে কাহারোল
উপজেলার কান্তনগর এলাকায় অবস্থিত
কান্তজিউ মন্দির। ঢেপা নদীর
তীরে টেরাকাটা অলংকরনে ইন্দো-
পারস্য ভাস্কর্য্যরে অপূর্ব অলংকরণ এই
কান্তজিউ মন্দির। কালিয়াকন্দ জিউ
বা শ্রী কৃষ্ণের বিগ্রহ অনুষ্ঠানের জন্য এই
মন্দির নির্মিত হওয়ায় এর নাম কান্তজিউ
মন্দির। মন্দিরের উচ্চতা ৭০ ফুট।
বর্গাকারে নির্মিত মন্দিরের প্রত্যেক
বাহুর দৈর্ঘ্য ৫২ ফুট। মন্দিরের চারপাশেই
আছে বারান্দা। মন্দিরের
ভাঁজে ভাঁজে সুনিপুণভাবে গড়ে তোলা নকশায়
একেকটি ইতিহাসকে চিত্রায়িত
করা হয়েছে।
তিনতলা বিশিষ্ট মন্দিরের
নয়টি চূড়া বা রতœ ছিলো। এজন্য
একে নবরতœ মন্দিরও বলা হয়ে থাকে।
কিন্তু ১৮৯৭ সালে এক ভূমিকম্পে এ
চূড়াগুলো ভেঙ্গে যায়। কান্তজিউ
মন্দিরের পাশেই আছে একই
সময়ে নির্মিত মুসলিম ঐতিহ্যের নিদর্শন
নয়াবাগ মসজিদ। কিন্তু দুর্বল যাতায়াত
ব্যবস্থার
কারণে পর্যটকরা সেখানে যেতে আগ্রহ
বোধ করেন না।
দিনাজপুর শহর থেকে ৫২ কিলোমিটার
দূরে নবাবগঞ্জ উপজেলায়
গড়ে তোলা হয়েছে স্বপ্নপুরী নামের অপূর্ব
এক জগত। ১৯৮৯ সালে মোট ৪০০ বিঘা জমির
উপর তৈরি করা হয় এই স্বপ্নপুরী।
এখানে আছে মিনি চিড়িয়াখানা,
কৃত্রিম ?
বিনোদনের নানা সামগ্রি। সেই
সাথে আপনি মুগ্ধ হবেন এখানাকার
সাজানো গোছানো প্রকৃতি দেখে।
দিনাজপুর শহর থেকে ৪ কিলোমিটার
দূরে নিরিবিলি এক গ্রাম্য
পরিবেশে কালের
সাী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে দিনাজপুরের
রাজবাড়ি। হিন্দু, মুসলিম ও ইংরেজ এই
তিন যুগের স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যের বিচিত্র
সমাবেশ এই রাজবাড়ি। দিনাজপুরের এই
রাজবাড়ি কোনো একক রাজার কীর্তি নয়,
এখানকার রাজবংশের প্রতিষ্ঠাকাল
থেকে মহারাজা জগদীশ নাথ রায় পর্যন্ত
প্রায় চারশ বছর
ধরে ক্রমান্বয়ে গড়ে উঠেছিলো এই
রাজবাড়ি।
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা শহর
থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বিশাল
এলাকা জুড়ে রয়েছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও
কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প।
দিনাজপুরের প্রধান নদী: ঢেপা, পুনর্ভবা,
কাঞ্চন যমুনা ও আত্রাই। দিনাজপুরের
একমাত্র বিশ্বদ্যিালয় হাজী মোহাম্মদ
দানেশ বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়া এখানে মেডিকেল কলেজ,
পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, আণবিক
শক্তি কমিশন কেন্দ্র, হোমিও কলেজ,
সরকারি ও বেসরকারি কলেজ
এবং মাদরাসাসহ অসংখ্য
শিা প্রতিষ্ঠান। দিনাজপুরের দৈনিক
পত্রিকাগুলোর মধ্যে দৈনিক উত্তরা,
প্রতিদিন, তিস্তা অন্যতম। আর
?সাপ্তাহিক দুটি পত্রিকা হচ্ছে, অতঃপর
এবং আজকের বার্তা। দিনাজপুরে দেখার
মতো আরো যেসব জায়গা রয়েছে, তার
মধ্যে অন্যতম হলো, সিংহদুয়ার প্রাসাদ,
সীতার কুঠরী, হাবড়া জমিদার বাড়ি, গড়
গোবিন্দ গুপ্ত যুগের তাম্রলিপি।
অবসরে সুযোগ করে কাটারীভোগ চালের
জেলা দিনাজপুরে ঘুরতে আসলে আপনার
সময় ভালোই কাটবে।


বীরগঞ্জ উপজেলা দিনাজপুর জেলার একটি উপজেলা

বীরগঞ্জ উপজেলা
দিনাজপুর জেলার একটি উপজেলা

বীরগঞ্জ উপজেলা
দিনাজপুর জেলার একটি উপজেলা

বীরগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের দিনাজপুর বীরগঞ্জ উপজেলা
বাংলাদেশে বীরগঞ্জ উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৫°৫৯′ উত্তর ৮৮°৩৩′ পূর্ব / 
২৫.৯৮৩° উত্তর ৮৮.৫৫০° পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগ রংপুর বিভাগ
জেলা দিনাজপুর জেলা
আয়তন • মোট ৪১৩ কিমি ২ (১৫৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১) • মোট ৩,১৭,২৫৩
• ঘনত্ব ৭৭০/কিমি ২ (২০০০/বর্গমাইল)
স্বাক্ষরতার হার • মোট ৪৮.১০%

জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা।
                   অবস্থান
বীরগঞ্জ উপজেলাটি দিনাজপুর জেলা এবং ঠাকুরগাঁও জেলার মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত।
দিনাজপুর জেলা সদর হতে এর দূরত্ব ২৭ কি: মি:।
এর উত্তরে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ
উপজেলা, পুর্বদিকে খানসামা উপজেলা, দক্ষিনে
কাহারোল উপজেলা ও পশ্চিমে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা।

[১] প্রশাসনিক এলাকা

ইউনিয়ন সমূহ

শিবরামপুর ইউ,পি
পলাশবাড়ী ইউ,পি
শতগ্রাম ইউ,পি
পাল্টাপুর ইউ,পি
সুজালপুর ইউ,পি
নিজপাড়া ইউ,পি
মোহাম্মদপুর ইউ,পি
ভোগনগর ইউ,পি
সাতোর ইউ,পি
মোহনপুর ইউ,পি
মরিচা ইউ,পি [২]

                 ইতিহাস
১৭৯৩ সালে ঘোড়াঘাট অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
[৩] বীরগঞ্জ উপজেলাটি দিনাজপুর এবং ঠাকুরগাঁও জেলার মাঝামাঝি
স্থানে অবস্থিত। ইহা দিনাজপুর জেলা হতে ২৭ কি:
মি: দূরে একটি খাদ্য উদ্বৃত্ত উপজেলা।
১১টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার সমন্বয়ে গঠিত অত্র
উপজেলায় ২,৬৯,৮৯৩ (আদম শুমারী ২০০১) জন লোক বসবাস করে।
এর আয়তন ৪১৩ বর্গ কি: মি:।
অত্র উপজেলার মধ্য দিয়ে ঢেপা ও
করতোয়া নামীয় ২টি নদী প্রবাহিত হয়েছে।
মুসলমান, খ্রিষ্টান, সাওতাল উপজাতীসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক এই উপজেলায় বাস করে।
প্রত্যেকের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান।
মাথাপিছু জমির পরিমাণ ০.৩১ একর।
ভুট্টা, ধান, গম, পাট, আলু, সরিষা, শাক-সবজ্বি ও ফলমূল ইত্যাদি
এই উপজেলার প্রধান ফসল। চাউলের মিল ছাড়া
অন্যান্য শিল্প কারখানা নাই বললেই চলে।
[৪] দিনাজপুর জেলার উত্তরে        দিনাজপুর-পঞ্চগড়
মহাসড়ক সংলগ্ন বীরগঞ্জ উপজেলা ১১(এগার)টি
ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত একটি বড় উপজেলা।
এ উপজেলা সদরের ০৫নং সুজালপুর ইউনিয়ন
পরিষদের ০৪টি মৌজার আংশিক এলাকা আয়তনেএ৬.৩০বর্গ কি.মি. ; ১৫ জুন,২০০২খ্রিঃ তারিখে
বীরগঞ্জ পৌরসভা স্থাপিত হয় ।
[৫] জনসংখ্যার উপাত্ত
             শিক্ষা
           অর্থনীতি
            পর্যটন
বীরগঞ্জ জাতীয় উদ্যান এই উপজেলায় অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান।
২০১১ সালের ২৪ ডিসেম্বর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৬৮.৫৬ হেক্টর জমি নিয়ে এই জাতীয় উদ্যানটি গঠিত।
[৬] সিংড়া জাতীয় উদ্যান উত্তরবহকঙ্গের এই
উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল।
[৭] কৃতী ব্যক্তিত্ব
নাট্যকার মিজানুর রহমান
সামাজিক সংগঠন
বীরগঞ্জ সমিতি, ঢাকা
প্রজন্ম ব্লাড ব্যাংক (2016)
স্বপ্নঘুড়ি(এসএসসি ব্যাচ-২০০৭,বীরগঞ্জ


দিনাজপুর জেলা বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের একটি জেলা

দিনাজপুর জেলা
বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের একটি জেলা

             দিনাজপুর জেলা
বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের একটি জেলা

দিনাজপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তর- পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
এই অঞ্চল ভূতাত্ত্বিকভাবে ইন্ডিয়ান
প্লেটের অংশ যা আদি জুরাসিক যুগে সৃষ্টি হওয়া গন্ডোয়ানাল্যান্ডের অংশ ছিল।
এজন্য এই এলাকাকে গন্ডোয়ানাল্যান্ড বলা হত।
                দিনাজপুর জেলা
বাংলাদেশে দিনাজপুর জেলার অবস্থান স্থানাঙ্ক: ২৫°৩৭′৪৮″ উত্তর ৮৮°৩৯′০″ পূর্ব / 
২৫.৬৩০০০° উত্তর ৮৮.৬৫০০০° পূর্ব
দেশ ----------------------- বাংলাদেশ
বিভাগ -------------------- রংপুর বিভাগ
আয়তন  • মোট ৩৪৪৪.৩০ কিমি ২
(১৩২৯.৮৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (2011) [১] • মোট ৩১,০৯,৬২৮ • ঘনত্ব ৯০০/কিমি ২ (২৩০০/বর্গমাইল)
স্বাক্ষরতার হার • মোট ৫২.৫%

ওয়েবসাইট অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

           ভৌগোলিক সীমানা
দিনাজপুর জেলার উত্তরে ঠাকুরগাঁও , পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলা, দক্ষিণে জয়পুরহাট জেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ , পূর্বে রংপুর ও
নীলফামারী জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যর পশ্চিম দিনাজপুর ( উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাদ্বয়) অবস্থিত।
এই জেলার মোট আয়তন ৩৪৩৭.৯৮ বর্গ কিলোমিটার।
বার্ষিক সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ৩৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২৫৩৬ মিলিমিটার। প্রধান নদীসমূহ পূনর্ভবা, আত্রাই।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ দিনাজপুর জেলা উপজেলা গুলি হল


বিরামপুর উপজেলা
বীরগঞ্জ উপজেলা
বোচাগঞ্জ উপজেলা
ফুলবাড়ী উপজেলা
চিরিরবন্দর উপজেলা
ঘোড়াঘাট উপজেলা
হাকিমপুর উপজেলা
কাহারোল উপজেলা
খানসামা উপজেলা
দিনাজপুর সদর উপজেলা
নবাবগঞ্জ উপজেলা
পার্বতীপুর উপজেলা
বিরল উপজেলা

   দিনাজপুর নামকরনের ইতিহাস
জনশ্রুতি আছে জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর
রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা।
তার নামানুসারেই রাজবাড়ীতে অবস্থিত মৌজার নাম হয় দিনাজপুর।
পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসকরা ঘোড়াঘাট সরকার বাতিল করে নতুন জেলা গঠন করে এবং রাজার
সম্মানে জেলার নামকরণ করে দিনাজপুর।
          জেলা গঠনের ইতিহাস
১৭৬৫ সালে দেওয়ানি গ্রহণের ফলে দিনাজপুর জেলা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিয়ন্ত্রণভুক্ত হয়।
সেই সময় লক্ষনৌতী, বাজিন্নাতাবাদ, তেজপুর, পানজারা, ঘোড়াঘাট, বারবকাবাদ ও বাজুহা, এই ছয়টি
সরকারের অংশ নিয়ে দিনাজপুর জেলা গঠিত হয়।
১৭৮৬ সালে দিনাজপুর জেলা হিসেবে ঘোষিত হয়।
দিনাজপুর সদরে জেলা সদর গঠিত হয়।
[৩] দিনাজপুর একসময়ে একটি নামকরা জনপদ পুন্দ্রবর্ধনের অংশ ছিল।
লাখনাউটির রাজধানি দেভকটের অবস্থান ছিল এর ১১ মাইল দক্ষিণে।
ততকালীন ইংরেজ শাসকদের “The British
Administrative Control” এখানে ১৭৮৬ সনে গঠিত হয়।
১৯৪৭ সালে বঙ্গভঙ্গের সময়ে
দিনাজপুরের একটি বড় অংশ পশ্চিমবঙ্গে চলে যায় এবং তার নাম হয় পশ্চিম দিনাজপুর জেলা ।
এ জেলার জনগনেরা তেভাগা আন্দোলনে অংশগ্রহন করে এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে

                শিল্প ও বাণিজ্য
দিনাজপুর একটি কৃষি সমৃদ্ধ জেলা। সেজন্য এ জেলাতে যেসব শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে তার অধিকাংশই কৃষি ভিত্তিক। দিনাজপুর জেলায় বড় শিল্প ও কারাখানার মধ্যে সেতাবগঞ্জ সুগার মিলস লিঃ এবং দিনাজপুর টেক্সটাইল মিলস লিঃ অন্যতম।

                       কৃষিই
এই জেলার অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের চালিকা শক্তি।
কাটারী ভোগ, কালাজিরা চাল, চিড়া, আম ও লিচুর জন্য এই জেলা বিশেষভাবে পরিচিত।
এছাড়াও ধানচাষ নির্ভর এই জেলা দেশের সিংহভাগ চালের যোগান দেয়।
এজন্য দিনাজপুরকে দেশের শষ্য ভান্ডার বলা হয়।
ধান এই জেলার প্রধান কৃষি পণ্য হওয়ায় এই জেলায় শিল্প ও কলকারখানা বলতে প্রায় ২০০০ এর মত চাল কল আছে যার মধ্যে প্রায় ১০০ টির মত অটোমেটিক ও সেমি- অটোমেটিক চাল কল, বাকী সবগুলো চাতাল নির্ভর (হাস্কিং) চাল কল।
                      নদীসমূহ
দিনাজপুর জেলায় প্রায় ১২টি নদী রয়েছে।

                নদীগুলো হচ্ছে
আত্রাই নদী , কাঁকড়া নদী,
করতোয়া নদী, আপার করতোয়া নদী, ইছামতি নদী (দিনাজপুর) , খড়খড়িয়া নদী , চিরনাই নদী, ছোট যমুনা নদী , টাঙ্গন নদী ,
ঢেপা নদী, নলশিশা নদী, পুনর্ভবা নদী এবং যমুনেশ্বরী নদী ।
       
              চিত্তাকর্ষক স্থান
1. কয়লাখনি
2. কান্তজীর মন্দির
3. রামসাগর
4. স্বপ্নপূরী
5. হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
6. দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ
7. জিয়া হার্ট ফাউন্ডেসন
8. গাওসুল আজম বি এন এস বি চক্ষু হসপিটাল
9. দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড
10. পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন

বৃহত্তর দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থান

          দিনাজপুর
১. দিনাজপুর রাজবাড়ি,
২. চেহেলগাজি মসজিদ ও মাজার, ৩. কান্তজিউর মন্দির,
৪. ঘোডাঘাট দুর্গ,
৫.সীতাকোট বিহার,
৬. সুরা মসজিদ,
৭. নয়াবাদ মসজিদ,
১০. রামসাগর,
১১. স্বপ্নপুরী,
১২. স্টেশন ক্লাব,
১৩. কালেক্টরেট ভবন,
১৪.সার্কিট হাউস ও জুলুমসাগর,
১৫. দিনাজপুর ভবন,
১৬. সিংড়া ফরেস্ট,
১৭. হিলি স্থলবন্দর,
১৮. বিরল স্থলবন্দর,
১৯. লিচুগ্রাম
২০. বেড়াবো সিবিটি ভিলেজ।
২১. রামসাগর জাতীয় উদ্যান,
২২, শতশহীদের গণকবর.
মোট পর্যটন স্থান ২২টি।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত ৫টি। প্রত্নতাত্বিক স্থান: ১১টি।
বিষেশ স্থান : প্রজন্ম ক্লাব (২০১৬)
গুরুত্বপূর্ণ স্থান: ২টি।
কৃত্রিম বিনোদন কেন্দ্র: ১টি।
বিখ্যাত: ধান, লিচু আম ও সব্জি। আকর্ষণ: কৃষকদের জীবন যাপন। স্মারক পন্য:


একজন রিক্সচালকের গল্পঃ

একজন রিক্সচালকের গল্পঃ


রাত বারটা বেজে গেল।

বউকে ডেকে তুললাম।
ডেকে তুলে বউয়ের হাতে
শাড়ীটা তুলে দিয়ে
বললাম, বউ আজ আমাদের বিবাহ বার্ষিকী।আজকের
তারিখে তুমি আমার এই কুড়ে ঘরটাতে এসেছিলে।
আমার পক্ষথেকে তোমার জন্য এই ছোট্ট
উপহার।
বউ শাড়িটা বুকে জড়ায়,চোখ দিয়ে পানি ঝরতে
থাকে ওর।
তারপর উঠে গিয়ে ট্রাঙ্কটা খুলে শাড়িটা রেখে দেয়।
https://papry99.blogspot.com
তারপর কি যেন বের
করে।
আমি উকি মেরে দেখার চেষ্টা করেও দেখতে
পাইনা।
বউ ট্রাঙ্কটা বন্ধ করে আমার হাতে
একটা লুঙ্গি দিল।কিছুটা অবাক হয়ে গেলাম আমি। কারন
টাকা পেল কোথায়? জিজ্ঞাসা করলাম,
--টাকা পেলে কোথায় তুমি?
--অনেকদিন আগে থেকে প্রত্যেকদিন একমুঠ
করে চাল খাবারের চাল থেকে আলাদা করে
জমিয়ে রাখতাম।জমিয়ে জমিয়ে কিছুদিন আগে
পাশের বাসার ভাবির কাছে বিক্রি করে দিছি।সেই টাকা
দিয়ে লুঙ্গি কিনছি।ভাবছিলাম আজকে দিব, আপনি তো
এসেই ঘুমিয়ে পরলেন।তাই ঠিক করছিলাম কাল
সকালে দিবো।
আমি কিছু বলতে পারলামনা।শুধু লুঙ্গিটা
উল্টিয়েপাল্টিয়ে
দেখছিলাম।
তারপর বললাম,শুনছি বড় সাহেবরা নাকি বিয়ের দিন
তারিখে কেক কাটে।
বউ বলে,আমাদের কি অত টাকা আছে?
--বাসায় মুড়ি আছে।
--আছে।
--যাও সরিষার তেল দিয়ে মুড়ি নিয়ে এসো।সাথে
একটা কাঁচামরিচ
আর একটা পিয়াজ আনিও।
--আচ্ছা দাড়ান আনতেছি।
টিনের ফাক আর জানালা দিয়ে চাঁদের আলো
আসতেছে।দুজন জানালার পাশে বসে মুড়ি খাচ্ছি,
আমাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী পালন করছি
ভালো লাগলে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েন
_https://papry99.blogspot.com
ছোট ছোট গিফট আর অফুরন্ত ভালবাসায় বেঁচে
থাকুক আমাদের মত রিকশা ওয়ালাদের জীবন..........
আপনার মন্তব্য জানাবেন তা কেমন?
Admin- #_পাপড়ী_কম্পিউটার
writter-#_Friends_ক্যাবল_টিভি_নেটওয়ার্কBangladesh